
প্রিন্ট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন শ্রীলেখা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
-67efafbdde9ce.jpg)
ছবি:সংগৃহীত
আরও পড়ুন
এসএসসিকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি খোয়ালেন। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় ক্ষোভ ও কান্নায় ফেটে পড়েন অনেকেই। এমতাবস্থায় টালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
অভিনেত্রী এদিন বাংলার একটি প্রথম সারির সংবাদ পত্রিকার প্রথম পাতার বিজ্ঞাপনের ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে বেঙ্গল মিন্স বিজনেসের বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। আর সেখানেই লেখা— 'স্বাস্থ্য কিংবা শিক্ষা, বাংলা মানে ভরসা।' এসএসসিকাণ্ডের পর ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি খোয়ানোর পর এ কথাকে ব্যঙ্গ করেছেন অভিনেত্রী।
এদিন এ ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখেছেন— আর কিছুই বলার নেই। কুড়ুল আর গাছ— দুটোই আমরা সমর্পণ করেছি, আমাদের কাটবে না তা হয় নাকি? এই তো এগিয়ে বাংলা। দয়া করে হাসবেন না এটা দেখে।
অনেকেই তার পোস্টে তাকে সমর্থন করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন— বিপ্লব ছাড়া বিকল্প নেই। আরেক নেটিজেন লিখেছেন— পশ্চিমবঙ্গের শ্মশানে আর কিছু যদি হওয়ার থাকে, তা আনতে পারত যারা, তাদের মানুষ সেই কবে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এখন তো মানুষের সব রেডিমেট টাকা আর অনুদান তহবিল সংগ্রহ করেই বেঁচে থাকা, অন্তত এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে।
আবার কারও মতে, চপ শিল্প আর ভাতা শিল্প, দাদার স্টিল প্ল্যান্টের সঙ্গে সংগীত, পহেলা বৈশাখ, ঈদ ও কার্নিভ্যাল— এসব নিয়ে এগিয়ে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বহাল রেখেছেন হাইকোর্টের রায়কেই। যোগ্য-অযোগ্যদের কেন আলাদা করতে পারল না এসএসসি তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বহু সংসারে নেমে এসেছে অন্ধকার। রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন অনেকেই।
এসবের মধ্যে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তারা একটা ডিপ্রাইভড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছেন জাস্টিস পাওয়ার জন্য। শিক্ষামন্ত্রীকে তারা অনুরোধ করেছেন। সবাই মিলে একটা সভা করতে চান। আমি যদি সেখানে থাকি, মুখ্যসচিব, আইনজীবীরাও থাকবেন। আমি তাদের কথায় সাড়া দিয়ে আগামী ৭ তারিখ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যাব। শুনতে কোনো আপত্তি নেই।’
যদিও বিরোধীরা বলছেন, এর দায় নিতে হবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে। তিনি এখন আড়াল করার চেষ্টা করছেন।