
প্রিন্ট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
নেটিজেনদের তুলোধুনো করলেন কাঞ্চনপত্নী

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
-67efa9aab370b.jpg)
ছবি:সংগৃহীত
আরও পড়ুন
পিঙ্কিকে ডিভোর্স দিয়ে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করেন টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। এরপর তাদের বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। কখনো বয়সের ফারাকের জন্য তো, কখনো অভিনেতার তৃতীয় বিয়ে বলে কথা। কেউ কেউ তো পিঙ্কি ও কাঞ্চনের ডিভোর্সের জন্য শ্রীময়ীকেই দায়ী করেছেন । এবার তাদের জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি ইভেন্টে গিয়ে মমতা শঙ্করের সঙ্গে দেখা হয় কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের। তারা একসঙ্গে ছবি তুলে সেটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করেন। এরপরই অনেকে অভিনেত্রীর সেই পোস্টে ঢুকে মমতা শঙ্করের উদ্দেশ্যে নানা মন্তব্য লিখেছেন— জানতে চান কাঞ্চন এবং তার স্ত্রীর মতো 'রুচিহীন' মানুষের সঙ্গে কেন ছবি তুলেছেন। কেউ আবার শ্রীময়ীকে দায়ী করেন ওশ এবং তার বাবার দূরত্বের জন্য। তারই জবাব দেন অভিনেত্রী।
সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে শ্রীময়ী বলেন, গত কয়েক দিন আগে সম্ভবত আমি একটা ইভেন্টে গিয়েছিলাম, সেখানে আমি মমতা দি, মানে মমতা শঙ্কর দির সঙ্গে ছবি দিয়েছিলাম। সেখানে আমি নাম করে বলব— পম্পা ভট্টাচার্য মুখার্জি আপনি কমেন্ট করেছেন যে, রুচিশীল মানুষ হয়ে কীভাবে রুচিহীন এমন অমানুষের সঙ্গে বসেন।
তিনি বলেন, প্রথম কথা— আমার মতে, আপনি যদি এতই রুচিশীল হোন তাহলে এত রুচিবোধ নিয়ে রুচিশীল হয়েও হঠাৎ আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে ঢুকে আমার ছবিগুলো দেখছেন কেন? আবার মন্তব্যও করছেন। আমার তো মনে হচ্ছে, আপনি যমেরও অরুচি। যমও আপনাকে নিয়ে যেতে ভয় পাবে।
অভিনেত্রী বলেন, আর দ্বিতীয়ত আপনার বোধহয় একদম বাড়িতে কাজ নেই। আমার মনে হয় আপনার জীবনটা ফ্রাস্ট্রেশনে ভরা। সেটা আপনার লেখাতে প্রকাশ পাচ্ছে। আপনি আপনার বাপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়িতে টিপ্পনি মার্কা মন্তব্য করেন। কম পয়সায় রিচার্জ করছেন, অবাধ ওয়াইফাই পেয়ে আপনি যা খুশি মন্তব্য করতে পারেন না। আমরা পাবলিক ফিগার, আমাদের প্রোফাইলে ঢুকে কমেন্ট করা যায়,
এদিকে নিজের প্রোফাইল লক করে রেখেছেন। পেছনে অনেক ভয়, পারলে সামনে এসে কথা বলুন। আমি এবার সাইবার সেলে যাব।
এরপর আরেক নারী শ্রীময়ীর ছবিতে মমতা শঙ্করের উদ্দেশ্যে লিখেছেন— আপনি তো অনেক বড় বড় কথা বলেন, শাড়ির আঁচল নিয়ে বাচ্চাদের রিয়েলিটি শোতে অংশ নেওয়া নিয়ে। অন্যের ঘর ভেঙে বাবা কে ছেলের থেকে আলাদা করে দেওয়া এই নারীর ব্যাপারে কী বক্তব্য আপনার? আসলে আপনি গরম গরম কথা ছেড়ে মার্কেট ধরে রাখতে চাইছেন। নাচের শো তো আর সেই রকম পান না। সেই ঐতিহ্য নেই। তাকেও জবাব দিতে ছাড়েন না কাঞ্চনপত্নী।
শ্রীময়ী তার উদ্দেশ্যে বলেন, উনি বড় বড় কথা বলেন, আমার ব্যাপারে উনি কী বলেন সেটা আপনাকে বলবে কেন? আর উনি শাড়ির আঁচল বা ড্রেস পরা নিয়ে যে কিছু বলেছেন, সেটি তো ওর ব্যক্তিগত মতামত। ওর কথা শুনতে হবে কে মাথার দিব্যি দিয়েছে? আপনি জামাকাপড় ছাড়াই হাঁটুন না। আপনার চেহারা, আপনার শরীর, আপনার লাইসেন্স আছে, যা খুশি ভাবে হাঁটতে পারেন। আপনার অধিকার নেই আমার প্রোফাইলে ঢুকে এসব লিখতে। আপনি পারেন না একজন নারীর প্রোফাইলে ঢুকে এভাবে লিখতে। অভিনেত্রী বলেন, আপনি কি জানেন— কে কার থেকে কাকে ছাড়িয়ে এনেছেন? আপনি বোধহয় বিয়ে করে ভালো করে সুখে নেই, শান্তিতে নেই? ওই জন্য দেখুন সেটা আপনার লেখায় প্রকাশ পাচ্ছে। নিজের লেখায় তেল দিন। আপনাদের শিক্ষা দেওয়া দরকার।
এদিন এই ভিডিও পোস্ট করে শ্রীময়ী লিখেছেন— আমাদের প্রোফাইলটা পাবলিক প্রোফাইল বলে যা খুশি লিখব, তাও আবার তার প্রাইভেট প্রোফাইলে ঢুকে— এটা একেবারেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, আপনাদের মতো মানুষগুলোর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যখন ভালো কিছু করতে পারেন না, তখন মানুষের খারাপ কিছু করার অধিকারও আপনার নেই।