নায়িকার স্বপ্নের বাড়ি, বেডরুমে উঁকি দিলে মাথা ঘুরবে

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রিতাভরী চক্রবর্তী। হাইস্কুলে পড়া অবস্থায় মডেলিংয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। তিনি জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরীতে' অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
ঋতাভরী যতটা না সুন্দর, তারচেয়েও বেশি সুন্দর তার স্বপ্নের বাড়িটি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্বপ্নের নীড় ‘কেয়া পাতার নৌকা’র অন্দরের ছবি প্রকাশ করেছেন।
কখনও প্রেম, কখনও বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় থাকেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছোটপর্দার গণ্ডি পেরিয়ে এখন বড়পর্দার চেনা মুখ। বাংলার বাইরেও দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন শতরূপা সান্যাল কন্যা। সম্প্রতি নিজের সাজানো অন্দরমহলের ঝলক প্রকাশ করেছেন।
ঋতাভরীর বাড়ি কলকাতা শহরের কংক্রিটের ভিড়ে এক চিলতে মুক্তির স্বাদ। এই বাড়ির নাম ‘কেয়া পাতার নৌকা’। বাড়ির নামের পেছনে রয়েছে নায়িকার অতীত-ইতিহাস। ঋতাভরীর দিদিমার নামে এই বাড়ি।
ঋতাভরীর বাড়ির সাজানো ড্রইংরুম। ইউরোপিয়ান চিত্রশিল্পে ভরাট দেওয়াল। ড্রইং রুমের মাঝখানে রয়েছে একটি আয়না। চারিদিকে ঝুলছে আলো। সিলিংয়ের কড়িকাঠ; যা রীতিমতো বিরল। জানালার পাশের দেওয়ালে রয়েছে সুবিশাল একটি ব্রিটিশ আমলের ঘড়ি।
ঋতাভরীর বয়স যখন মাত্র ৪, তখন বিচ্ছেদ হয় তার বাবা-মায়ের। নায়িকার শৈশব মূলত কেটেছে মামার বাড়িতে। ঋতাভরীর দিদিমার নাম ‘কেয়া’। সেই মতোই তার দাদু নিজের বাড়ির নামকরণ করেন ‘কেয়া’। ছোটবেলা থেকেই দিদিমার ন্যাওটা ছিলেন নায়িকা।
দিদিমা ছিলেন ঋতাভরীর সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ভালোবাসার মানুষ। হাইস্কুলে পড়া অবস্থায় দিদিমাকে হারান নায়িকা। নিজের ভালোবাসার নীড়ের নামও দিদিমার নামেই রেখেছেন তিনি। ঋতাভরীর বাড়ির নীল রঙা দরজা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। ড্রইং রুমজুড়ে সবুজ গাছের মেলা। উপরের সিলিং থেকে ঝুলছে একধিক ঝাড়বাতি।
আভিজাত্য-সাবেকিয়ানায় ভরপুর ঋতাভরীর অন্দরমহল। নায়িকা যে ঘর সাজানোর মামলায় কতখানি শৌখিন তার প্রমাণ এই ছবি।
কাঠরঙা সিঁড়ি। তার পাশেই টেলিফোন বুথ। যার অন্দরে অসংখ্য শো-পিস। সিঁড়ির দেওয়ালজুড়ে লাগানো ফোটোগ্রাফ। সিঁড়ির কোণায় গাছ।
ঋতাভরীর বাড়ির ডাইনিং স্পেস। জানালার ধারে সাজানো-গোছানো ছোট্ট চারজন বসার মতো খাবার টেবিল।
মিনিয়েচার পেন্টিংয়ে পারদর্শী ঋতাভরী, সেই নির্দশন তার বাড়ির কোণায় কোণায়। খাবার টেবিলও বাদ নেই।
ঋতাভরীর মিনিয়েচার স্টুডিও। এখানে বসেই নিজের হাতের জাদুতে ক্ষুদ্র চিত্র বা মিনিয়েচার পেইন্টিং তৈরি করেন অভিনেত্রী।
ঋতাভরীর বাড়ির একটি বেডরুম। শোবার ঘরের দরজায় স্পষ্ট বার্তা, ‘নক করে ঢুকুন’। দরজার পাশে রাখা টেবিল ল্যাম্প। তার উপর রবি ঠাকুরের ছবি। ঋতাভরীর বাড়ির দেওয়ালের রং মূলত প্যাস্টেল শেডের।
ঋতাভরীর বাড়ির রাজকীয় স্নানঘর। বাথরুমের একপাশে অবস্থিত বাথটব বেশ চিত্তাকর্ষক।
বাড়ির এই ঝুল বারান্দায় বসে কফির কাপে চুমুক দেন নায়িকা। সেখানেও সবুজের ছোঁয়া বিদ্যমান।
ঋতাভরীর রাজকীয় বাড়ির খোলা ছাদ। ঘরের অন্দরমহলের মতো এই ছাদও কম আকর্ষণীয় নয়।