আরজি করকাণ্ডে নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন চলছে পুরো ভারতজুড়ে। এর পর থেকেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে শুরু হয়েছে যৌন হেনস্তার অভিযোগ পালটা অভিযোগ। টালিউডের একাধিক ব্যক্তির নামে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবারই এক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তা করার অভিযোগে পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করে ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’।
গত কয়েক বছরে একাধিক অভিনেত্রী অবশ্য অরিন্দমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনলেও, এতদিন সেসবই অস্বীকার করে এসেছিলেন পরিচালক। তবে এবার নাকি তথ্যপ্রমাণ অরিন্দমের পক্ষে নেই বলেই জানা গেছে।
পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করায় এবার মুখ খুললেন টালিউড অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। বললেন, প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন তিনিই। প্রয়োজন পড়লে আবার লড়াইয়ে নামব। প্রসঙ্গত তিনিই প্রথম অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা করার অভিযোগ তুলেছিলেন।
আনন্দবাজার অনলাইনের এক সাক্ষাৎকারে অরিন্দম শীলের সাসপেন্ড প্রসঙ্গে রূপাঞ্জনা মিত্র বলেন, 'গতরাতে প্রমাণিত হয়ে গেল চার বছর আগে আমিই ঠিক ছিলাম। আমার মনের জোর অনেক বেড়ে গেছে। দরকার হলে আবার লড়াইয়ে নামব।'
কেন অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করা হলো— সম্প্রতি এক অভিনেত্রী মহিলা কমিশনের কাছে অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি রূপাঞ্জনা মিত্র নিজেই ২০২০ সালে জানান যে, সেই বছর জানুয়ারিতে তাকে স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনানোর ভান করে পরিচালক তারই অফিসে অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। ঘনিষ্ঠভাবে আলিঙ্গন করেন। করেন কদর্য ইঙ্গিতও। কিন্তু এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এত সময় লাগল কেন বিচার পেতে?
রূপাঞ্জনা বলেন, 'সবটাই সময়ের ওপর নির্ভরশীল। করোনার পর থেকেই নানা ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে জীবন এগোচ্ছে। লড়াই করেই বাঁচতে হবে, আর উপায় নেই। তিনি বলেন, আরজি করের নির্যাতিতার মৃত্যু সবাইকে কাঁদিয়েছে, নারীশক্তির বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাই এখন একটাই আওয়াজ— We want justice।'