আরজি কর কাণ্ড মিমির সঙ্গে হলে মমতা কি তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতেন?
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
![আরজি কর কাণ্ড মিমির সঙ্গে হলে মমতা কি তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতেন?](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/08/23/image-841708-1724394983.jpg)
আরজি কর হাসপাতালের ৩১ বছরের চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করার প্রতিবাদে মুখ খুলেছে গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে, গোটা ঘটনায় উত্তেজিত যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মতো দেশগুলোও। তারই মধ্যে সামনে আসছে একের পর এক পরিসংখ্যান, দেশে হয়ে চলা ক্রমাগত নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ নিয়ে।
একটি নিউজ আর্টিকেল এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে বিধায়ক এবং সংসদ সদস্য মিলিয়ে ভারতের ১৫১ জন রাজনৈতিক নেতার ওপরে। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের পেশ করা হলফনামা থেকেই এ তথ্য সামনে এসেছে। রাজ্য ভিত্তিক হিসাবে নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত সবচেয়ে বেশি বিধায়ক-সংসদ সদস্য পশ্চিমবঙ্গের, আর দল হিসেবে এগিয়ে বিজেপি।
এ খবর নিয়ে রীতিমতো হইচই। যেখানে প্রভাবশালী নেতারাই এরকম নিকৃষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, সেখানে প্রতিবাদ করে আদৌ লাভ হবে কি? এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা সৌরভ দাস ও সাবেক এমপি তৃণমূলের একসময়ের হেভিওয়েট নেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
মিমি চলতি লোকসভা ভোটে না দাঁড়ালও, এর আগেরবার বেশ বড় মার্জিনে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন এমপি পদ। তবে, তিনি প্রতিবাদ করতে কখনো ভয় পান না, যা এর আগেও সামনে এসেছে। এবারেও মিমির ভাষা বেশ চাঁচাছোলা। তিনি এই খবরের স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে লেখেন, ‘দেশের ভার এদেরই হাতে, আর কী বা আশা করতে পারি আমরা…’! সৌরভ দাস লিখলেন, ‘অসুস্থ’! সাধারণ মানুষও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, এমন নেতাদের হাতে দেশ বলে!
২০১৯ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে একাধিক নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া ৪ হাজার ৬৯৩টি হলফনামার মধ্যে ৪ হাজার ৮০৯টির সমীক্ষা করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। তা থেকেই জানা গিয়েছে যে বিভিন্ন দলের ১৬ এমপি এবং ১৩৫ বিধায়কের বিরুদ্ধে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সম্ভাব্য অপরাধী ১৫১ জন।
কদিন আগে মিমির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে আরজি কর নির্যাতিতাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে, এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তা হলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।’
এ কমেন্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ তো করেছিলেনই, সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থও হয়েছেন অভিনেত্রী। যার আপডেট বৃহস্পতিবার রাতে শেয়ার করে সাবেক তৃণমূলের এমপি লিখেছিলেন, ‘ধর্ষণের হুমকি প্রসঙ্গে আপটেড…. সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাহায্যে এই প্রসঙ্গে এফআইআর করা হয়েছে। ওই সকল অ্যাকাউন্টগুলো ডি-অ্যাক্টিভেট করা হয়েছে চিরতরের জন্য। পুলিশ চেষ্টা করছে দুজন প্রধান অভিযুক্তকে খুঁজে বার করতে, কারণ তারা সব কমেন্ট মুছে আপতত ইনকগনিটো মুডে চলে গেছে।’