রোবটকেন্দ্রিক সায়েন্স ফিকশন কমেডি ধারার সিনেমা ‘বুমেরাং’ কয়েক দিন আগেই বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। আর ‘বুমেরাং’ সিনেমার নায়ক ও প্রযোজক হচ্ছেন সুপারস্টার জিৎ। আর সিনেমায় জিৎ ছাড়াও অভিনয় করেছেন রুক্মিণী মৈত্র, সৌরভ দাসসহ অনেকেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বুমেরাং নিয়ে কথা বলেছেন জিৎ।
প্রযোজক জিৎ বলেন, ব্যবসায় কতটা সাফল্য এলো, সেটি তার কাছে সেকেন্ডারি বিষয়। বিষয় হলো— আমরা যা ভাবনা নিয়ে বুমেরাং বানিয়েছি, সেটি দর্শক কতটুকু গ্রহণ করছে— এটিই বড় কথা। তিনি বলেন, আমি ‘নন্দন’-এ একদিন পেছনের সিটে বসে ৪০ মিনিট ‘বুমেরাং’ দেখেছি। কেউ আমাকে চিনতে পারেনি। সবাই প্রাণভরে সিনেমাটি দেখেছে। আর সেটিই আমার কাছে তৃপ্তির।' তিনি বলেন, আগে থেকেই সিনেমা ভালো হবে— এটি বলা ঠিক নয়। কারণ সব কিছু ভালো করার পরও অনেক সময় বুমেরাং হয়ে যায়।
ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে জিৎ বলেন, ‘জীবনের সব ক্ষেত্রেই বেঁধে বেঁধে থাকার পন্থায় বিশ্বাসী। এতে পাওয়ার বাড়ে, শক্তি বাড়ে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ‘
তা হলেই জিৎকে কেন অন্য প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজে করতে দেখা যায় না— সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমি কখনো বলিনি অন্য কোনো প্রযোজনা সংস্থা বা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব না। বরং অনেক দিন ধরেই বলছি— আমি কাজ করতে চাই। ভালো, ইন্টারেস্টিং কিছু থাকলে নিশ্চয়ই করব।’
একটা দক্ষিণী সিনেমা খুব ভালো একটা বাংলা সিনেমার থেকে অনেক বেশি ভালো ব্যবসা করছে— এ কথা মানতে নারাজ এ অভিনেতা। জিৎ বলেন, ‘প্রতিটা সিনেমা তার ভাগ্য নিয়ে আসে। আর সাউথের সেন্টিমেন্ট ফ্যানাটিজম, কালচার অনেক আলাদা। ওরা খুব ভালো ব্যবসা করছে। কনটেন্টও খুব ভালো। চারটে স্টেট ভালো কাজ করছে— তেলেগু, মালয়ালম তো ছিলই, কন্নড় সিনেমাও ভালো ব্যবসা করছে, ভালো কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের সব সময়ে ইন্ডাস্টি আর ফ্ল্যাটারনিটির সম্পর্কে ভালো কথা বলা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদিক থেকে 'মিডিয়ারও ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে পজিটিভ খবর করা উচিত। একটু মোটিভেটেড রাখা, ব্যাক করা মিডিয়ারও কাজ। কাজের ক্ষেত্রে আমরা কি ট্রাই করছি, কোন ইউনিকনেস নিয়ে সিনেমাগুলো তৈরি করছি সেগুলো হাইলাইট করা উচিত। আমাদের বাজার খারাপ— এ কথা বলাটা কোনো কাজের কথা নয়।’