দেশপ্রেমের চশমা
সংকট সমাধানের সম্ভাব্য উপায়
মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী গণবিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ অভূতপূর্ব এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যা, গ্রেফতার ও শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা যত বেড়েছে, আন্দোলন তত তীব্রতর হয়েছে। রাজনৈতিক কৌশলের কূটচালেও এ আন্দোলন দমিত হয়নি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চলমান পরীক্ষা বন্ধ করে, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রেখে, কারফিউ জারি, হেলিকপ্টার ব্যবহার এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা করেও আন্দোলন দমানো যায়নি। আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিশু, তরুণ, যুবকদের গ্রেফতার ও শতশত আন্দোলনকারীকে হত্যা ও নির্যাতন করলেও আন্দোলন স্তিমিত হয়নি। পরিবর্তে আন্দোলন তীব্র হয়েছে এবং এতে গণসম্পৃক্ততা বেড়েছে। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা, গায়ক, ডাক্তার, আইনজীবী, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পেশাজীবী। স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনরত জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে আন্দোলনের ধারাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্যোগও সফল হয়নি।
বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে অধিকাংশ বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পোশাকধারী বাহিনী ও সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সশস্ত্র আক্রমণ কাজে লাগেনি। নিরস্ত্র, নিরীহ শিক্ষার্থীদের পুলিশের গুলি করার দৃশ্য ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনরত ছাত্রসমাজ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। পরবর্তী সময়ে তারা নতুন উদ্যমে আন্দোলন এগিয়ে নিতে অব্যাহতভাবে কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছেন এবং ওই কর্মসূচিগুলোয় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসব বিশ্লেষণের পর বলা যায়, আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তীব্রতর করতে পেরেছে। আন্দোলনের পক্ষে গণসম্পৃক্ততা বাড়াতে পেরেছে। পেরেছে স্বদেশি বিভিন্ন দলমত-পেশার বিবেকবান নাগরিক সমাজের এবং বহির্বিশ্বে জাতিসংঘসহ পরাশক্তিধর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সহানুভূতি ও সমর্থন অর্জন করতে। বলা যায়, আন্দোলনকারীরা আন্দোলনে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, ক্রমান্বয়ে সরকার একঘরে হয়ে পড়ছে। ছোট হয়ে এসেছে সরকারি দলের সমর্থকদের পরিধি। কেবল সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এর দুর্বল সমর্থন সীমিত হয়ে পড়েছে। বিদেশি বাংলাদেশিদের মধ্যেও সরকারের সমর্থন নড়বড়ে। পাশ্চাত্যের গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় বিরাজিত সরকারবিরোধী মনোভাব কোটা আন্দোলনের পর অধিকতর চাঙা হয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দেশগুলোয় সরকারের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি দুর্বলতর হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক কাজকর্ম ও শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে ধসে পড়েছে। বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে সমাবেশ করেছেন।
আন্দোলন দমনে সরকার শিক্ষার্থীদের ৮ দফা (পরবর্তীকালে ৯ দফা) দাবির প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে সন্ত্রাস করছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে না। কিন্তু ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর সরকার সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৬ সমন্বয়কারীকে ডিবি অফিস তুলে নিয়েছে। তাদের দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রদান করিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এরা একপর্যায়ে মুক্ত হয়ে আবারও আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কোটা আন্দোলন যে কোটা সংস্কারের দাবিতে সীমিত নেই, সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। আন্দোলনটি এখন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কারণে সরকার ও এর সহযোগী শরিক দলগুলো ছাড়া অন্যসব ডান, বাম দল এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে পাশাপাশি কর্মসূচি পালন করছে। উল্লেখ্য, এ সরকার সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে আদালতের দোহাই দিয়ে বিচারপতি খাইরুল হকের একটি খণ্ডিত ও বিতর্কিত রায়ের একাংশ ব্যবহার করে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-এমপিরা ক্ষমতায় থেকে দলীয় ব্যবস্থাধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ব্যবস্থা করে। রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারে, এমন ব্যবস্থাধীনে নির্বাচনে অংশ নিলে জনসমর্থন থাকলেও কোনো বিরোধী দল নির্বাচনে জিততে পারবে না। এ কারণে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পাশাপাশি অন্য গণতন্ত্রমনা ও বাম দলগুলোও সংসদ নির্বাচন বয়কট করে আসছে। ফলে দেশে গণতান্ত্রিকব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
জনগণ এসব বিষয় বুঝে ভোটকেন্দ্রমুখী হচ্ছেন না। ছাত্র-যুবকরাও বিষয়টি অবগত। তাদের একটি বড় অংশের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। এরা অনেকে নতুন ভোটার হয়েও ভোট দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটবাজি রোধে সরকারি ব্যর্থতা, ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসে দখলদারি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও পোশাকধারী বাহিনীর নিপীড়ন, গায়েবি মামলায় তাদের গ্রেফতার, হয়রানি ও নির্যাতন এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয়দানের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। এমন অবস্থায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূচনা হওয়ায় প্রথমে শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ এবং পরে অন্য সব পেশাজীবী ও দেশপ্রেমিক নাগরিকরা এ আন্দোলনে যোগ দিয়ে আন্দোলনের গতি বাড়িয়েছেন। এ কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনসমাগম হচ্ছে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
গণগ্রেফতার, গুলি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের সরকারি চেষ্টা সফল হবে না। সরকার দেরি করে বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। কোনো কোনো মন্ত্রী এখনই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইছেন। সরকারি ছাত্র সংগঠন থেকে কেউ কেউ পদত্যাগ করছেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের বিবেচনায় সরকার চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নিুলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের বিষয় ভাবতে পারে :
১. রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য, তাদের গুলি করার জন্য নয়। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার নীতি থেকে সরকার যত দ্রুত সরে আসবে, ততই তার জন্য ভালো হবে। দ্রততম সময়ের মধ্যে নির্মোহ তদন্তের মাধ্যমে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের যথাযথ তালিকা প্রকাশ করে তাদের খোঁজখবর নিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়ে সরকার ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের চাকরি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবতে পারে। তাদের পরিবারকে গ্রহণযোগ্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হারানো প্রিয়জন ফিরে পাবেন না। তবে কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন।
২. গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের সবাইকে সসম্মানে নিঃশর্ত মুক্তি দেবে।
৩. লেখাপড়ার অপূরণীয় ক্ষতির জন্য সরকারকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে অবিলম্বে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের একক দখলদারি উৎখাত করে দলমতনির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সুনিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেবে। এমন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত না করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে ক্যাম্পাসে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে দায়ে সরকার অভিযুক্ত হবে।
৪. পোশাকধারী বাহিনীর কাজ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। অন্যায় রাজনৈতিক নির্দেশনায় নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও জনগণকে গুলি করা নয়। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে প্রণীত আইন দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পুলিশ বাহিনী পরিচালনা করা অসম্ভব। জনবান্ধব পুলিশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত সরকারের প্রণীত পুলিশ সংস্কার অধ্যাদেশ ধামাচাপা না দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে ওই অধ্যাদেশ সংসদে পাশ করার কথা ভাবতে হবে। পুলিশকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের লাঠিয়াল না বানিয়ে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে হবে।
৫. সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে অতিদ্রুত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এজেন্ডা দিয়ে গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অস্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় সংলাপে বসতে পারে। এমন সরকার গঠনের জন্য সংবিধানের সংশোধনী প্রয়োজন হলে সে লক্ষ্যে বড় দলগুলো থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে কমিটি গঠন করা যায়। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহনশীলতা, পারস্পরিক সহমর্মিতা এবং পরাজয় মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে না ওঠা পর্যন্ত নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবতে হবে।
৬. লোকদেখানো ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’র পরিবর্তে দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কর প্রদানের সময় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রদান করে অবৈধ অর্থ উপার্জনকারীদের উৎসাহিত করা যাবে না। সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি, আত্মীয়তার প্রভাব এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে লোক নিয়োগকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।
৭. সংবিধান সংশোধনের পর অতিদ্রুত নির্দলীয় সরকার গঠন করে ওই সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভীতিমুক্ত পরিবেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
আপাতত উল্লিখিত ব্যবস্থগুলো অবলম্বন করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সমাজ ও দেশপ্রেমিক জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি পুঞ্জীভূত ক্ষোভ হ্রাস পেয়ে কিছুটা আস্থা তৈরি হতে পারে। এ পরামর্শ অনুযায়ী স্বল্পতম সময়ে অনুষ্ঠিত অগ্রিম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে যে দল বা জোট সরকার গঠন করবে, সে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা থাকবে। ওই সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনকল্যাণে কাজ করতে পারবে। আর নমনীয় না হয়ে, ভুল স্বীকার না করে, স্তাবকদের পরামর্শে হার্ড লাইনে গেলে তার জন্য সরকারকে হয়তো ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : সাবেক অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় akhtermy@gmail.com