Logo
Logo
×

বাতায়ন

স্বদেশ ভাবনা

বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে আমাদের অবস্থান

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে আমাদের অবস্থান

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সূচকের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছি। এসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিবেদন/সূচকগুলো থেকে দেখা যায়, বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমনের জন্য চিহ্নিত কারণগুলোর অবসান না হওয়ায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও অবনতি হওয়ায় ২০২৪ সালের বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে আমাদের অবস্থানের আরও অবনমনের আশঙ্কা রয়েছে। সর্বশেষ বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবং কী কারণে আগামীতে এ অবস্থানের আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন ও সূচকের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছি, সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক কাউন্সিল, সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসি (ভি-ডেম), যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউজ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীর ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)।

‘গ্লোবাল ফ্রিডম ও প্রসপারিটি’ শিরোনামে এপ্রিলে প্রকাশিত হয়েছে আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদন। এতে দুটি পৃথক সূচক রয়েছে-স্বাধীনতা সূচক ও সমৃদ্ধি সূচক। বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন, অর্থনীতি ও রাজনীতিকে বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীনতা সূচক এবং আয়, স্বাস্থ্য, অসমতা, পরিবেশ, সংখ্যালঘু অধিকারের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সমৃদ্ধি সূচকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুটি সূচকেই বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে। স্বাধীনতা সূচকে ২০২৩ সালে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। এর আগে (২০০০ সালে) এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬। অর্থাৎ স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। এ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়া অন্যসব দেশ বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯, যা ২০০০ সালে ছিল ১০৭। এ সূচকে বাংলাদেশ ৮ ধাপ পিছিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতাবঞ্চিত’ এবং সমৃদ্ধির সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ নয়’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্র্যাসি (ভি-ডেম) সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ ১৭৯টি দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি এ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ছয়টি সূচকে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। এগুলো হলো-১. লিবারেল ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্স, ২. ইলেক্টোরাল ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্স, ৩. লিবারেল কম্পোনেন্ট ইনডেক্স, ৪. ইগলিটারিয়ান কম্পোনেন্ট ইনডেক্স, ৫. পার্টিসিপেটরি কম্পোনেন্ট ইনডেক্স, ৬. ডেলিবারেটিভ কম্পোনেন্ট ইনডেক্স। এসব সূচকের কোনোটিতে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে, কোনোটি অপরিবর্তিত রয়েছে।

‘Freedom in the World 2024’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ফ্রিডম হাউজ ২০২৩ সালে রাজনৈতিক অধিকারচর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতায় ১৯৫টি দেশ ও ১৫টি অঞ্চলের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। রাজনৈতিক অধিকারচর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এসব দেশ ও অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’, ‘আংশিক স্বাধীন’ ও ‘স্বাধীন নয়’-এ তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। বিগত চারবারের মতো ফ্রিডম হাউজের এবারের সূচকেও বাংলাদেশ ‘আংশিক স্বাধীন’ শ্রেণিতে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, ভুটান, নেপাল ও শ্রীলংকা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো স্কোর করেছে।

বিশ্বের ১৬৭ দেশ ও অঞ্চলের গণতন্ত্র পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ১০ স্কোরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে ইআইইউ গণতন্ত্র সূচক-২০২৩। এ সূচক পাঁচটি মানদণ্ড-নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, নাগরিক স্বাধীনতা, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এসব মানদণ্ড বিবেচনা করে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন-এ চার শ্রেণিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়েছে। দি ইকোনমিস্টের মতে, ১০ স্কোরের ভিত্তিতে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮-এর বেশি হলে পূর্ণ গণতন্ত্র, ৬ থেকে ৮ হলে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, ৪ থেকে ৬ হলে মিশ্র শাসন এবং ৪-এর নিচে হলে সেই দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালু রয়েছে। এবারের সূচকে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়েছে। আগের মতোই হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসন শ্রেণিতে বাংলাদেশের অবস্থান। হাইব্রিড রেজিম বলতে এমন এক ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। সরকার বিরোধী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকদের ওপর চাপ ও হয়রানি, নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থা-এগুলো হাইব্রিড রেজিমের বৈশিষ্ট্য। এবারের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলংকা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ইআইইউ প্রকাশিত প্রথম ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্সে ৬.১১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ত্রুটিপূর্ণ শ্রেণিতে। এরপর ১৭ বছর ধরে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ নিচের শ্রেণিতে তথা হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসন শ্রেণিতে অবস্থান করছে।

বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতির জন্য যেসব কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-ক. জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক না হওয়া; খ. গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সহাবস্থানে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির অভাব; গ. সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অনুপস্থিতি; ঙ. নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় সাংবিধানিক নিশ্চয়তা প্রতিপালিত না হওয়া।

এখন আগামী বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের আরও অবনতির আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা করা যাক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এর উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, সে নির্বাচন জাতীয় বা স্থানীয় যে পর্যায়েই অনুষ্ঠিত হোক। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ দেড় ডজনের মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বর্জন করে। এ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে সরকারি দল নিজ দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলের সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেয়। ‘ডামি’ নির্বাচন হিসাবে পরিচিতি পাওয়া এ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ১১ আসন বাদে বাকি সব আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জয়লাভ করে। এ নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড’ মেনে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে পারেনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের চর্চা নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য হলেও নির্বাচনে তা সীমিত ছিল।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী প্রথম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে অর্থাৎ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৩৬.১০ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, দেড় দশকের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের এ হার সর্বনিম্ন। জনগণ নির্বাচনের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। তারা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অবশিষ্ট ধাপগুলোতে এবং পরবর্তীকালে অনুষ্ঠেয় অন্য কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার বাড়বে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক না হওয়া আগামী (২০২৪) বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে।

গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সহাবস্থানে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ১৫ বছর ধরে টানা ক্ষমতায় থাকা বর্তমান সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক ক্ষেত্রে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করলেও এ সময়ে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। শাসক দলের যুক্তি অনেকটা এ রকম-‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র’। নির্ভেজাল গণতন্ত্র অনুসরণ করে যে উন্নয়ন করা যায়, তা শাসক দল মানতে নারাজ।

সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অভাব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে কলুষিত করে তুলেছে। নব্বইয়ের দশকে বড় দুটি দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সহাবস্থানে বিশ্বাসী না হয়ে একে অপরকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কৌশল অবলম্বনে তৎপর হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির এখন এমন কৌশল অবলম্বনের সুযোগ নেই। এমন কৌশল বাস্তবায়নের সামর্থ্য এখন শুধু টানা ১৫ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগেরই রয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র ও নেতৃত্ব চর্চার অনুপস্থিতি, তাদের পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যাবলির মধ্যে অন্যতম।

সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মোটেই সুখকর নয়। সংবিধান প্রদত্ত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ হ্রাস পেলেও সংঘটিত হচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল আইনের বিতর্কিত ধারাগুলোর প্রায় সবই রাখা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইনে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নতুন আইনটিও মানুষের বাক্ ও চিন্তার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

উপরের আলোচনার মাধ্যমে যা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো, বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতির জন্য চিহ্নিত কারণগুলো দূর করে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না করা গেলে আগামী বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের আরও অবনতি ঘটার জোর আশঙ্কা রয়েছে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম