বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের ভালোবাসা
দেশপ্রেমের চশমা
মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সমাজে প্রতিটি সম্পর্কই ভালোবাসানির্ভর। কিন্তু বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কেবল প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার ওপর গুরুত্ব আরোপিত হয়। ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানে বয়স্ক আলোচকরা তাদের কিশোর ও যৌবনকালের প্রেম-পিরিতের গল্প উপস্থাপন করেন।
এমন অনুষ্ঠানে ভালোবাসার বিভিন্নমুখী স্বরূপের ওপর কদাচিৎ গুরুত্ব আরোপিত হয়। ভালোবাসার ক্ষমতাকে যুবক-যুবতীদের বাক-বাকুম প্রেমে সীমায়িত করে ভালোবাসার বিশালতা ও এর শক্তিকে সংকুচিত করা হয়। ভালোবাসার পরিধি কেবল যুবক-যুবতীর প্রেমে সীমাবদ্ধ থাকা যথার্থ নয়। মানুষ তো মা-বাবাকে ভালোবাসেন। ভাই-বোনকে ভালোবাসেন।
আত্মীয়-স্বজনকে ভালোবাসেন। প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবকে ভালোবাসেন। ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানে এসব সম্পর্কনির্ভর ভালোবাসার ওপর কম আলোকপাত করা হয়। গুরুর প্রতি শিষ্যের, পিরের প্রতি মুরিদের, নেতার প্রতি কর্মীর, আদর্শের প্রতি বিপ্লবীর, শিল্পকর্মের ওপর শিল্পীর এবং ফুল বাগানের ওপর মালির ভালোবাসাকে কি অস্বীকার করা যায়? একইভাবে অস্বীকার করা যায় না এক সহকর্মীর প্রতি অন্য সহকর্মীর, ধান খেতের প্রতি চাষির, নৌকার প্রতি মাঝির, শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীর এবং শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের পবিত্র ভালোবাসাকে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও আজ এ দিবস পালিত হবে। তবে এদেশে এ দিবসটির উদযাপন সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েনি। শহর এলাকার উদারমনা শিক্ষিত সম্প্রদায়ের অনেকে এ দিবস পালন করেন। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালোবাসা দিবস পালনের যুগপৎ চর্চা ও আগ্রহ লক্ষ করা যায়। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ দিবস পালন করা হয় না। রাজনৈতিক অঙ্গন যেহেতু প্রতিহিংসা জর্জরিত, সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো এ দিবস উদযাপন করে এ এলাকায় বিরাজমান ভালোবাসার খরা লাঘবে উদ্যোগী হলে ভালো হতো। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোয় অনুষ্ঠিত ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানে আজ তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের ভালোবাসার রীতি, ভঙ্গিমা ও স্বরূপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। মুরব্বিরা সেকালের প্রেম-পিরিতের সঙ্গে বর্তমান প্রেম-ভালোবাসার তুলনা করবেন। সেকালে প্রেম প্রস্তাবে ব্যবহৃত চিঠির বিলুপ্তি এবং একালের প্রেম পরিণয়ে ব্যবহৃত ডিজিটাল পদ্ধতির ওপরও রসাত্মক আলোচনা হবে। তবে এসব আলোচনায় যুবক-যুবতীদের প্রেম প্রাধান্য পাবে। আলোচনায় উচ্চারিত হবে ভালোবাসার কিংবদন্তি জুঁটি লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জুলেখা, রজকিনী-চণ্ডিদাস, শিরী-ফরহাদের নাম। যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মা অসুস্থ জেনে খরস্রোতা নদী সাঁতরে মাকে দেখতে গিয়েছিলেন, সে ভালোবাসার কথা উচ্চারিত হবে কি? এমন আরও অনেক সম্পর্কনির্ভর ভালোবাসার ওপর উল্লেখযোগ্য আলোচনা হবে না। আমি নিবন্ধে যুবক-যুবতীদের প্রেম-ভালোবাসার ওপর আলোকপাত করব না। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের ভালোবাসার স্বরূপ উন্মোচনের চেষ্টা করব। নিজে শিক্ষক হওয়ায় বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এ আলোচনার প্রয়াস নেব।
আমি চার দশক (১৯৮২-২০২২) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। অবসর জীবনে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে তাদেরকে এখনো অনলাইনে একাডেমিক সহায়তা প্রদান করি। আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে সবচেয়ে প্রাধান্য পেয়েছেন প্রিয় শিক্ষার্থীরা। বর্ণের আবরণে প্রচলিত দলীয় রাজনীতিতে জড়িত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া, গবেষণা ও শিক্ষকতা ছাড়া আমি অন্য কোনো দায়িত্ব পালন করিনি বা করার সুযোগ পাইনি। কারণ, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদ এবং সুযোগ-সুবিধা মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ডে বণ্টন হয় না। হয় রাজনৈতিক বর্ণ পরিচয়ের বিচারে। এ কারণে আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতা জীবন শ্রেণিকক্ষ ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। পাঠদান ছাড়া অন্য দায়িত্ব না থাকায় আমি আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে যত্নের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছি। তাদের সমস্যা অনুধাবনের জন্য বন্ধুর মতো তাদের সঙ্গে মিশেছি।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের রাস্তায় হেঁটেছি। তাদের চাহিদামতো সময় দিয়েছি। হালকা আপ্যায়ন করেছি। নেশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীকে সুপথে আনতে এবং হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীর মনে আশার আলো জ্বালাতে কাজ করেছি। সাকসেস রেট ভালো না হলেও সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হইনি। এভাবে আমার সান্নিধ্যে আসা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে যুগপৎ বন্ধু ও সন্তানের মতো ভালোবেসেছি। আমার এ ভালোবাসায় স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্য ছিল না। সে কারণে সংস্পর্শে আসা শিক্ষার্থীরা আমাকে না ভালোবেসে পারেননি।
চার দশকের শিক্ষকতা জীবনে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে পড়িয়েছি। তাদের প্রত্যেককে সমান চোখে দেখেছি। নির্ভেজাল ভালোবাসা পেয়ে শিক্ষার্থীরাও আমাকে ভালোবেসেছেন। সর্বক্ষণ স্মরণে রেখেছি, শিক্ষার্থীরা আছেন বলে আমি শিক্ষক। তারাই ক্যাম্পাসের প্রাণভোমরা। উল্লেখ্য, যুবক প্রেমিক কোনো যুবতীকে ভালোবাসলে তাকে প্রেম প্রস্তাব দেন বা প্রপোজ করেন। শিক্ষক হিসাবে শিক্ষার্থীদের ভালোবাসলে কি তাদের প্রপোজ করা লাগে? সে প্রেম প্রস্তাবের স্বরূপ কেমন? আমার দৃষ্টিতে শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সন্তানের মতো ভালোবাসেন, নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন, যত্নের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান, তাদের সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হন, তাদেরকে সময় দেন, তাহলে তাকে পৃথকভাবে ‘আই লাভ ইউ’ বলে শিক্ষার্থীদের প্রপোজ করা লাগে না। শিক্ষকের কাছ থেকে স্বার্থসিদ্ধির ফরমালিনমুক্ত ভালোবাসা ও আন্তরিক সেবা পেলে শিক্ষার্থীরা তাকে একাডেমিক পিতার মতো ভালোবাসতে বাধ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এ ভালোবাসার রসায়ন পবিত্র, মিষ্টি-মধুর ও দীর্ঘস্থায়ী। চার দশক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে অবসর গ্রহণের পরও আমি এ ভালোবাসায় সিক্ত। শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি না থাকলেও তাদের সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। ‘অবসর’ এই ভালোবাসার উষ্ণতা কমাতে পারেনি।
আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকায় তাদের অনেকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমাকে ভালোবেসেছেন বলে তারা আমায় মনে রেখেছেন। তারা আমার খোঁজখবর নেন। কুশলাদি জানতে চান। কেমন আছি, কী করছি-খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে শুনতে চান। আমার প্রকাশিত লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন। সমালোচনা করেন। দূরদূরান্ত থেকে আমাকে ফোন করেন। পত্রিকায় সাহসী প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে আমার নিরাপত্তা নিয়ে ভাবেন। নিজের ও ছেলেমেয়ের জন্য দোয়া চান। অনুমতি না নিয়ে কেউ কেউ কদাচিৎ উপহার পাঠান। এ সবই প্রিয় শিক্ষার্থীদের আমার মতো বর্ণহীন শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসার নমুনা। গত ৪১ বছরের এহেন নমুনা অ-নে-ক। কিছু নমুনা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ভালোবাসার রসায়নের স্বরূপ ২০২২-এ প্রকাশিত নিজের লেখা একাডেমিক স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘শিক্ষকতা পেশা ব্যতিক্রমী নেশা’য় সন্নিবেশিত করেছি।
ভালোবাসার অনেক শক্তি। তা না হলে অবসর গ্রহণের পর আমার তো শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনা করা ছাড়া কোনো ক্ষমতা নেই। এসব জেনেও শিক্ষার্থীরা আমাকে স্মরণে রাখবেন কেন? ভালোবাসেন বলেই তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। না হলে বড় সরকারি পদে চাকরিরত শিক্ষার্থী দাপ্তরিক কাজে খুলনায় এসে সস্ত্রীক আমাকে দেখতে ছুটে এসে বলবেন কেন-‘স্যার আপনাকে দেখতে এসেছি?’ শিক্ষার্থীর এমন উচ্চারণে ভালোবাসায় আমার বুক উষ্ণ ও চোখ সিক্ত হয়েছে। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষার্থী সুদূর মোরেলগঞ্জ থেকে আমি খুলনায় আছি জানার পরদিন আমাকে দেখতে এসেছেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আমরা তাকে নিজ বাসায় রাখি। যত্ন-আপ্যায়ন করি। রাতে গল্প করাকালীন কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করি, আচ্ছা বলো তো তোমরা আমায় এত ভালোবাসো কেন? শিক্ষার্থী বলেন, স্যার ভালোবাসা হঠাৎ করে হয় না। ক্রমান্বয়ে গড়ে ওঠে। আপনাকে বিভাগে ৫-৬ বছর দেখেছি। শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনার নির্ভেজাল আন্তরিকতা দেখে আমাদের হৃদয়ে আপনার প্রতি ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে। শিক্ষার্থী কয়েকটি ছোট্ট ঘটনা বলেন, যার একটিও আমি স্মরণ করতে পারিনি। একটি ঘটনার উল্লেখ করছি। শিক্ষার্থীর মুখের ভাষায় শুনুন : ‘স্যার অনার্স চতুর্থ বর্ষে আপনি ক্লাস নিচ্ছিলেন। এক সহপাঠী ১০ মিনিট দেরি করে হন্তদন্ত হয়ে আপনার অনুমতি নিয়ে ক্লাসে এসে বসে। দ্রুত আসায় সে ঘামছিল। আপনি খেয়াল করেছিলেন। ডায়াস থেকে নেমে ঘর্মাক্ত শিক্ষার্থীর মাথার উপরের ফ্যানের সুইচ অন করে আবার ডায়াসে এসে পড়ানো শুরু করেছিলেন। বিষয়টি তুচ্ছ। কিন্তু ক্লাস শেষে আমরা আপনার এমন কাজ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। বুঝেছিলাম, আপনি শিক্ষার্থীদের প্রতি কতটা যত্নবান।’
পিতার মতো ভালোবাসেন দেখে সন্তানসম্ভবা ছাত্রী তার এক্সপেক্টেড ডেলিভারি ডেট জানিয়ে আমার কাছে দোয়া চান। আমি মোনাজাতে তার জন্য দোয়া করি। করোনাকালে শিল্পকাজ শিখেছিলেন পর্দানশীন শিক্ষার্থী। কোকের ক্যান কেটে আঠা আর রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার কলমদানি বানিয়ে আমায় উপহার দিয়েছেন। বিসিএস পরীক্ষায় ৩ শিক্ষার্থী এডুকেশন ক্যাডার পেয়ে পৃথকভাবে ফোন করে দোয়া চেয়েছেন। বলেছেন, তারা আমার মতো শিক্ষক হতে চান। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। অনেক সাবেক শিক্ষার্থী বিভাগ পরিদর্শনে এসে সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেভ দ্য চিলড্রেনে কর্মরত সাবেক শিক্ষার্থী আমার সভাপতিত্বকালে ২০১৮ সালে বিভাগে এসে দেখা করলে সামান্য চা-বিস্কুট দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করেছিলাম। পাঁচ বছর পর ওই শিক্ষার্থী সেই সাক্ষৎকারের ছবি পাঠিয়ে ফেসবুক ওয়ালে ব্যবহারের অনুমতি চাইলে অনুমতি প্রদান করি। নস্টালজিক হয়ে আমিও ছবিটি ব্যবহারের অনুমতি চাইলে শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যার, সন্তানের ছবি ব্যবহারের জন্য কি বাবার অনুমতি প্রয়োজন হয়?’ ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে নিজ ফেসবুক ওয়ালে ছবিটি শেয়ার করে লিখি :
হে পরোয়ার তোমার কাছে এই অধমের বায়না
আমার ছাত্রীর মিষ্টি হাসি মলিন যেন হয় না
চলার পথের প্রতি বাঁকে তোমার যেন দৃষ্টি থাকে
তার ইহকাল আর পরকালে কষ্ট যেন হয় না।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ভালোবাসার সম্পর্কের নমুনা বলে শেষ করা যাবে না। সে চেষ্টা না করে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অনুষ্ঠান উদযাপনকারীদের বিনীতভাবে বলি, ভালোবাসার অন্তর্নিহিত শক্তিকে শুধু যুবক-যুবতীর বাক-বাকুম প্রেমে সীমাবদ্ধ করে রাখবেন না। এমন অনুষ্ঠানে অন্যান্য ক্ষেত্রে ইতিবাচকতা আনতে ভালোবাসার শক্তিকে ব্যবহারের উপায় উদ্ভাবন ও উপস্থাপন করুন। বিশেষ করে প্রতিহিংসায় জর্জরিত রাজনৈতিক অঙ্গনে কীভাবে গণতন্ত্র কার্যকর করতে ভালোবাসার শক্তিকে অহিংস ভঙ্গিমায় কাজে লাগিয়ে সমঝোতা ও সহমর্মিতা সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে ভাবুন। এ জায়গাগুলোয় ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারলে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্ব পাবে।
পুনশ্চ : ১২ ফেব্রুয়ারি এ লেখা পাঠানোর আগে স্কুলশিক্ষক জেবুন্নেসা মা হওয়ার সুসংবাদ দিলেন। শিক্ষককে ভালোবাসেন বলে ফোন করেছেন। খুব খুশি হয়েছি। পরোয়ারদিগার, নবজাতক ও মাকে তোমার রহমতের জিম্মায় সোপর্দ করলাম। মেয়ে-জামাই আর নবজাতককে তোমার রহমতের চাদরে আবৃত রেখো।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : সাবেক সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com