Logo
Logo
×

বাতায়ন

মার্কিন-পাকিস্তানি বন্ধুত্বের অবধারিত পরিণতি

Icon

এ কে এম শাহনাওয়াজ

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মার্কিন-পাকিস্তানি বন্ধুত্বের অবধারিত পরিণতি

মার্কিন নীতি হচ্ছে, যতদিন নিজ লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, ততদিন তারা বন্ধুত্ব বজায় রাখবে-সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। স্বার্থ হাসিলের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেলে আর ফিরে তাকাবে না। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে তেমনটিই ঘটেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ডিসেম্বরে ঢাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে কঠিন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনীর আবেদনে আর সাড়া দেয়নি মার্কিন সরকার।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের দুর্বল দশা স্পষ্ট হতে থাকে। যৌথবাহিনী বাংলাদেশের অনেকটা অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। কার্যত পাকিস্তানি বিমান ও নৌবাহিনী অকেজো হয়ে পড়েছিল।

এমন অবস্থায় নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ড. মালিক জেনারেল নিয়াজীকে গভর্নর হাউজে ডেকে পাঠান। এ সময় সেনাবাহিনীর প্রেস কর্মকর্তা প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সিদ্দিক সালিকের বর্ণনায় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি সংকটের চিত্র স্পষ্ট হয়। তিনি বলেন, নিয়াজী গভর্নরের সামনে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। পাকিস্তানি বাহিনীর দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে তিনি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে গভর্নর জানান, তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে বার্তা পাঠাবেন যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে। পাকিস্তানি সামরিক অফিসাররাও অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছিলেন। নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করতে থাকেন (আত্মসমর্পণের দলিল, মূল বই সিদ্দিক সালিক, Witness to Surrebder, মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ, পৃ. ১৪১-১৪৪)।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রেক্ষাপট রচিত হয় ৯ ডিসেম্বর থেকেই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। অনেক শহরে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে থাকে। পাকিস্তানি বাহিনীর সৈন্যরা আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে আসছিল ঢাকার দিকে। এমন এক পরিস্থিতিতে ৯ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ড. এএম মালিক ইয়াহিয়া খানের কাছে একটি বার্তা পাঠান। অতিদ্রুত যুদ্ধ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। ইয়াহিয়া খান তখন দিশেহারা। তিনি গভর্নর মালিক ও সেনাপ্রধান নিয়াজী উভয়কেই তাদের বিবেচনামতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মার্ক হেনরি পাঁচ দফার একটি প্রস্তাব পাঠান। এগুলো হচ্ছে-১. অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, ২. সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতে হবে, ৩. পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসরত অন্যসব নাগরিক যারা পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যেতে ইচ্ছুক, তাদের পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতে হবে, ৪. ১৯৪৭ সাল থেকে যারা পূর্ব পাকিস্তানে বসবাস করছে, সেসব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে এবং ৫. নিশ্চয়তা দিতে হবে তাদের কখনো দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে না।

তবে এ প্রস্তাব তেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পেরেছে বলে মনে হয়নি। এদিকে গভর্নর মালিক পরবর্তী নির্দেশনার জন্য রাওয়ালপিন্ডির দিকে তাকিয়েছিলেন। অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় গভর্নর হাউজে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি সভা ডাকেন। এ সংবাদ সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতীয় বাহিনীর সিগন্যাল ইন্টিলিজেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল পি সি ভাল্লা পেয়ে যান। তিনি দ্রুত টেলিফোনে এয়ার ভাইস মার্শাল দেবাসেরকে জানান। তিনি শিলংয়ে অবস্থিত ইস্টার্ন এয়ার কমান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন, এ সময় গভর্নর হাউজে বিমান আক্রমণ করলে আত্মসমর্পণের বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভায় কর্মকর্তারা যোগ দেওয়ার আগেই ভারতীয় বিমান থেকে গভর্নর হাউজে বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষিপ্ত হয়। গভর্নর মালিক ভীত হয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় নেন। ১৩ বা ১৪ ডিসেম্বর রাতে নিয়াজী পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল হামিদকে অনুরোধ করেন, যাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নেন। ১৪ ডিসেম্বর ইয়াহিয়া খান নিয়াজীর কাছে বার্তা পাঠিয়ে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

নিয়াজীর কাছে প্রেসিডেন্টের বার্তা এসে পৌঁছায় বিকাল ৩টায়। এরপর নিয়াজী এবং রাও ফরমান আলী ছুটে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল হার্বার্ট স্পিভেকের কাছে। তারা অনুরোধ করেন, তিনি যেন ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধ বন্ধের ব্যবস্থা করেন। স্পিভেক জানান, তিনি এ ধরনের আলোচনার বিষয়ে যথাযোগ্য পদমর্যাদার নন। রাও ফরমান আলী প্রাসঙ্গিক একটি বার্তা প্রস্তুত করে এনেছিলেন। তারা বার্তাটি স্পিভেকের কাছে দিয়ে চলে আসেন। বার্তাটিতে তারা যুদ্ধে সাধারণ মানুষের জীবনহানির কথা বলে একটি মানবিক আবেদন জানান।

এ প্রস্তাবনার একটি কপি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাও ফরমান আলীর হাতে দেওয়া হয় গভর্নরের কাছে পৌঁছানোর জন্য। তবে বার্তাটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে না দিয়ে একটি কপি ওয়াশিংটনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

১৯৭১ সালে ভারতীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের প্রধান লে. জেনারেল জ্যাক জ্যাকব তার গ্রন্থে বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কলকাতাস্থ কনসুলার অফিসের একজন কূটনীতিক তাকে স্পিভেকের সঙ্গে নিয়াজীর সাক্ষাৎ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি জানান, এ সময় যুদ্ধ বন্ধ বা আত্মসমর্পণ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়। জ্যাকব তখন কলকাতায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল হার্বার্ট গর্ডনকে টেলিফোন করেন। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবুও জ্যাকব বিষয়টি পুনরায় খোঁজ নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কনসাল জেনারেল নতুন কোনো তথ্য দেননি। এরপর জ্যাকব সেনাবাহিনীপ্রধান মানেকশকে টেলিফোন করে অনুরোধ জানান তিনি যাতে দিল্লিতে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, এ ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তার জানামতে স্পিভেক তার বার্তাটি পাকিস্তানে নিয়োজিত তাদের রাষ্ট্রদূতকে পাঠিয়েছেন এবং রাষ্ট্রদূত তা পাঠিয়ে দিয়েছেন ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টে। পরে কিসিঞ্জার স্বীকার করেছিলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রস্তাবটি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে একদিন অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।

বার্তাটি মানেকশ ১৫ ডিসেম্বর পান। তিনি পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পাকিস্তানের ইস্টার্ন কমান্ড ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নিয়াজী আশা করেছিলেন, এ অন্তিম সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যের হাত বাড়াবে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন ততক্ষণে যুদ্ধের পরিণতি বুঝতে পেরে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে উপায় না দেখে নিয়াজী আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া দেন।

এ সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যুদ্ধবিরতিতে (যা বস্তুতপক্ষে আত্মসমর্পণ হিসাবে গৃহীত হবে) সম্মতি দান করেন। তবে পাকিস্তান পক্ষ ‘আত্মসমর্পণ’ (Surrender) শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য চেষ্টা করেছিল। স্পিভেকের মাধ্যমে আত্মসমর্পণের দলিলটি নিয়াজী পান এবং এতে তার সম্মতি প্রকাশ করেন। জ্যাকব লিখেছেন, জেনারেল মানেকশ ১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টায় তাকে আদেশ দেন দ্রুত ঢাকায় চলে যেতে এবং সন্ধ্যার মধ্যে আত্মসমর্পণের কাজ সম্পন্ন করতে। তিনি জানিয়ে দেন, ইতোমধ্যে ব্রিগেডিয়ার সেন্থা অরোরাকে নিয়ে আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত দলিল প্রস্তুত করেছেন।...জ্যাকব ঢাকায় পৌঁছে নিয়াজীর সদর দপ্তরে যান। এখানে তিনি মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধাদের না আসার পরামর্শ দেন। তার মতে, এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ফলে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তার সঙ্গে শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কয়েকজন সংবাদকর্মী যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে বলছিলেন, আমরা ভেতরে যেতে চাই, আমরা নিয়াজী ও তার সহযোগীদের ওপর প্রতিশোধ নেব। ঘৃণাভরা নানা শব্দে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন। জ্যাকব মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝালেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই আত্মসমর্পণ সম্পন্ন হবে। তারা বরং চারদিকের পরিবেশ যেন শান্ত রাখার ব্যবস্থা করেন। এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। আর সবারই জেনেভা কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে চলে যান। জ্যাকব দুপুর ১টায় নিয়াজীর দপ্তরে পৌঁছেন।

নিয়াজী অভ্যর্থনা জানান ভারতীয় জেনারেলকে। এ সময় নিয়াজী ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন রাও ফরমান আলী, মেজর জেনারেল জমশেদ, নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শরীফ, এয়ার কমডোর ইমাম এবং ব্রিগেডিয়ার বাকার সিদ্দিক। এর আগে ভারতীয় বাহিনীর মেজর জেনারেল জি. সি. নাগরার বার্তা আসে। যৌথবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। বার্তায় তিনি নিয়াজীকে জানান, তিনি তার বাহিনী নিয়ে মিরপুর ব্রিজের কাছে চলে এসেছেন। তিনি যাতে তার প্রতিনিধি পাঠান। নাগরা একটি সাদা পতাকা ওড়ান। পাকিস্তানি সৈন্যরা নাগরাকে স্কর্ট করে নিয়াজীর সদর দপ্তরে নিয়ে যায়। জ্যাকব নিয়াজীকে জানান, টঙ্গীসহ কয়েকটি স্থানে এখনো বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চলছে। এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন। নিয়াজী তখন একটি নির্দেশনামা পাঠিয়ে দিলেন। জ্যাকব নাগরাকে কয়েকটি কাজ বুঝিয়ে দিলেন। প্রথমত, অইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তিনি যাতে প্রয়োজনীয় সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হন; দ্বিতীয়ত, আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি যাতে সম্পন্ন করেন। জ্যাকব মনে করলেন, ঢাকার অধিবাসী বাঙালিরা অত্যাচারিত হয়েছে, তাই জনসম্মুখে এ আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান করলে সবার কষ্ট অনেকটা প্রশমিত হবে। যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে কয়েক ঘণ্টা লেগে গেল। কাছাকাছি কোথাও মাঝেমাঝেই গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এ সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতিসংঘ এবং রেড ক্রসের কর্মকর্তা ছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের সরকার ও বিদেশি কর্মকর্তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সভাকক্ষে আত্মসমর্পণের শর্ত পড়ে শোনানো হয়। ঘরটি মৃতপুরীর মতো নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নিয়াজীর গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। অন্যরা নিশ্চল। তাদের ধারণা ছিল, ১৪ ডিসেম্বর স্পিভেক যেভাবে খসড়া তৈরি করেছিলেন, সেভাবেই একটি যুদ্ধবিরতির কথা লেখা থাকবে। এটি যে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ হিসাবে নির্ধারিত হয়ে গেল, তা মেনে নেওয়া তাদের জন্য খুব কষ্টের ছিল। পাকিস্তানি অফিসাররা কিছু শব্দ পরিবর্তনের কথা বলে। ভারতীয় ও বাংলাদেশি সৈন্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরিবর্তে তারা যুদ্ধ বন্ধের মধ্যে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এ আবেদন রক্ষা করা যায়নি। নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্যেই তাদের সম্মতি জানাতে হয়। ঠিক হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

গণহত্যা আর বাঙালির ওপর পৈশাচিক অত্যাচার চালালেও পাকিস্তানি বাহিনীর পাশে বন্ধুর মতো ছিল তথাকথিত ‘গণতন্ত্রী’ মার্কিন সরকার। কিন্তু যখন বুঝতে পারে, কঠিন খাদ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীকে আর টেনে তোলা সম্ভব হবে না, তখন অবলীলায় পৃষ্ঠ প্রদর্শন করতে বিলম্ব করেনি নিক্সন প্রশাসন।

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

shahnawaz7b@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম