স্বদেশ ভাবনা
রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কী?
আবদুল লতিফ মন্ডল
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গণভবনে ১৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাঠের বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সংসদে না থাকায় তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি চিন্তায় নেই। একইসঙ্গে তিনি সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য কয়েকদিন আগে তার দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ৭ মে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি বলেছে, নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের আগ্রহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর উপর্যুক্ত বক্তব্য প্রদানের পরদিনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার কী গঠন করবে না করবে, তা বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিএনপি একটি নিরপেক্ষ সরকার চায়, সেখানে তারা কোনো দলীয় ব্যক্তিদের চায় না। এখানে যে প্রশ্নটি উঠতে পারে তা হলো, প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারের সম্ভাব্য যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান দেবে কি?
বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে, তা অনেকটা নব্বইয়ের দশকের চুরানব্বই-ছিয়ানব্বই সময়কাল এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাবস্থার সঙ্গে তুলনীয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলের বর্জনে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অনেকটা অংশগ্রহণহীন নির্বাচনের শুরু। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি সরকারের শাসনামলে অনুষ্ঠিত এ সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জনদাবি ওঠে প্রথমবারের মতো।
এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সরকার পদত্যাগ করে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যকার স্বল্পকালীন সুসম্পর্কের অবসান ঘটে। বিরোধী দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং ১৯৯৪ সালে মাগুরার একটি উপনির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে। অন্য দুটি বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীও এ আন্দোলনে অংশ নেয়। তাদের আন্দোলনে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ায় জনগণ চরম বিপদের সম্মুখীন হয়, শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাখ লাখ শিক্ষার্থী, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্য।
সে সময় এমনকি অনেক অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অপদস্থ পর্যন্ত হতে হয়। সহিংস আন্দোলনে দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এ সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবসানে মধ্যস্থতা করতে ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় আসেন কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গভর্নর জেনারেল স্যার নিনিয়ান মার্টিন স্টিফেন। তিনি উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন এবং সমঝোতার লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেন। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়ার) নেতৃত্বে ৪৫ দিনের জন্য একটি নির্দলীয় সরকার গঠিত হবে এবং ১০ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী মনোনীত চারজন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী মনোনীত পাঁচজন সদস্য থাকবেন। নিনিয়ানের এ প্রস্তাবে ক্ষমতাসীন বিএনপি সম্মতি জানালেও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জানিয়ে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো ফর্মুলা তিনি মানবেন না। ব্যর্থ হয় নিনিয়ান মিশন।
বিরোধী জোটের দাবি অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সংবিধান সংশোধনে প্রয়োজন সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন। সংসদে বিএনপির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য না থাকায় বিএনপি সরকার সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে। প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল বর্জিত এ নির্বাচনে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। অতঃপর বিরোধী দলের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপি সরকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ওই বছরের মার্চে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে এবং ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়।
এবার আসা যাক বর্তমান পরিস্থিতিতে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুরু করা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় একটি গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ গণসমাবেশে বিএনপি ১০টি দাবি উত্থাপন করে। এর মধ্যে প্রধান দুটি দাবির একটি হলো সরকারের পদত্যাগ, আর অন্যটি দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। দুই ডজনের বেশি সরকারবিরোধী দল ও জোট এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে ১৭ মে বিএনপি এককভাবে রাজধানীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। সংকটের ফয়সালা রাজপথেই হবে।
বর্তমানে বিএনপি এবং তাদের সহযোগী ও সমমনা দল ও জোটগুলোর আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও ভবিষ্যতে সেটি আওয়ামী লীগের ১৯৯৪-৯৬ সময়কালের সহিংস আন্দোলনে রূপ নেওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ২০ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করার যে ডাক দিয়েছেন, তাতে দুই রাজনৈতিক শক্তির সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের মার্চে সংবিধান সংশোধনপূর্বক নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, তার পুনরাবৃত্তির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া বর্তমান সংসদে থাকা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কারা? এরা মূলত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সদস্য। এ জোটের একাধিক দলের নেতা ও কর্মী নিজেদের দলের প্রতীক বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ-সদস্য হয়েছেন। কাজেই এদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা এবং আওয়ামী লীগের এককভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ ধরনের নির্বাচনকালীন সরকার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটের বাইরে তাদের বলয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির সমর্থক বা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনরত দল বা জোটগুলোর মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে নানা উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। অনেক দলকে চাপের পাশাপাশি নানা সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়ে জোট থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের বেরিয়ে আসাকে সরকারের এরূপ একটি প্রচেষ্টার ফল হিসাবে দেখছেন অনেকে। এক সময়ের সহযোগী আওয়ামী ওলামা লীগকে পুনরায় আওয়ামী লীগের বলয়ে আনার চেষ্টা চলছে এবং সে চেষ্টা সফল হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। ১৪ দলীয় জোট এবং নতুন করে আওয়ামী লীগের বলয়ভুক্ত দু-চারটি দলকে নিয়ে সরকার দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে মনে হয়। তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের মার্চে সংবিধান সংশোধন করে যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে, সেনাসমর্থিত নির্দলীয় সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে এবং তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন (জানুয়ারি ২০১৪) বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল ৮টি দল নির্বাচন বর্জন করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং গুটিকয়েক দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে সংসদের মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি আসনে অর্থাৎ ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবং এতে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন না ঘটায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
উপরের বর্ণনার মাধ্যমে যা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো, বর্তমান জাতীয় সংসদে থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের যে পরিকল্পনা করছেন, তা দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানেও তা কোনো ভূমিকা রাখবে না। সন্ত্রাস দমনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো বাইরে কিছুটা সমালোচনা করলেও তারা প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল। তাছাড়া বিএনপি ও তাদের সহযোগী ও সমমনা দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তৎকালীন ভারত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল। ভূ-রাজনীতির পরিবর্তনের কারণে সে অবস্থা এখন নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি একদলীয় নির্বাচন বিশ্বের শক্তিধর গণতান্ত্রিক দেশগুলো সমর্থন করবে না। তাই বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নির্ধারণ করাই সরকারের জন্য সর্বোত্তম পন্থা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com