স্বদেশ ভাবনা
অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহে জোর দিন
আবদুল লতিফ মণ্ডল
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি আমন মৌসুমে ৮ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এর মধ্যে তিন লাখ টন ধান এবং ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল।
এবার প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪২ টাকা দরে কেনা হবে, যা গত আমন মৌসুমের (২০২১-২২ অর্থবছর) তুলনায় কেজিপ্রতি যথাক্রমে ১ ও ২ টাকা বেশি। গত ১০ নভেম্বর থেকে চলতি আমন সংগ্রহ শুরু হওয়ার কথা। কার্যক্রম চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত।
সরকারের আমন ও বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্দেশ্যাবলির মধ্যে রয়েছে-এক. ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমে বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখা। আমাদের দেশে ধানচাষিদের বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। তারা ধারদেনা করে ফসল ফলান। এছাড়া তাদের সংসারে নানা অভাব-অনটন লেগেই থাকে। ফলে ধান কাটার পরপরই বহুকষ্টে ফলানো ফসল বিক্রি করতে বাজারে নিতে হয়। মৌসুমের শুরুতে ধানচাষিরা যাতে ধানের ন্যায্য দাম পান, তা যতটা সম্ভব নিশ্চিত করতে সরকার মাঠ পর্যায়ে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনে। দুই. সরকারি গুদামে চালের নিরাপত্তা মজুত গড়ে তোলা। সরকারি খাদ্যগুদামে যথেষ্ট পরিমাণে ধান-চাল মজুত থাকলে তা চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়াতে নিরুৎসাহিত করে। তিন. বাজারে চালের দাম বাড়লে সরকারি মজুত থেকে খোলাবাজারে ও ন্যায্যমূল্যের দোকানে চাল বিক্রির মাধ্যমে সরকার চালের দাম স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাছাড়া গত ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে সরকারি গুদামের মজুত থেকে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে (কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা) চাল বিতরণ করে আসছে। এটি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নামে পরিচিত। চলতি অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার ৫০ লাখ নিু-আয়ের পরিবারকে কর্মাভাবকালীন সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল, অর্থাৎ ৫ মাসব্যাপী ১৫ টাকা কেজি দরে পরিবারপ্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণপূর্বক খাদ্য সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চার. খাদ্যশস্যের (চাল, গম) সরকারি মজুত থেকে সরকারের লক্ষ্যমুখী খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে দুস্থ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন (ভিজিডি), দুস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে সরকারি কর্মসূচির কয়েকটি অসংগতি উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করি। চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ২০১৯-২০ অর্থবছরের আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম। ২০১৯-২০ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ১০ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ছিল ৬ লাখ টন ধান এবং ৪ লাখ টন চাল। যেহেতু সরকারের ধান সংগ্রহের মূল উদ্দেশ্য হলো মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম স্থিতিশীল রেখে ধানচাষিদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করা, সেহেতু ২০১৯-২০ অর্থবছরে অধিক পরিমাণে ধান কেনার সিদ্ধান্ত ধান সংগ্রহ নীতিমালার মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল। আমার যতদূর মনে পড়ে, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ওই সময় বা পরবর্তী কোনো একসময় বলেছিলেন, ভবিষ্যতে ধানচাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হবে। কিন্তু এখন ঘটছে তার বিপরীত। সরকার যুক্তি দেখাতে পারে, ধানচাষিরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে এগিয়ে আসেন না। যেমন ২০২০-২১ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ৩ লাখ টন ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক মাত্র ৮৪ হাজার ৪৭০ টন ধান সংগৃহীত হয়েছিল। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার ৭২ শতাংশই অর্জিত হয়নি। শুধু আমন ধানের ক্ষেত্রেই নয়, দেশে ধান-চাল উৎপাদনে শীর্ষে থাকা বোরোর ক্ষেত্রেও সরকারের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম ধান সংগৃহীত হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কিছুদিন আগে সমাপ্ত বোরো মৌসুমে সরকারের ৬ লাখ ৫০ হাজার টন বোরো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগৃহীত ধানের পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ হাজার টনে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪১ শতাংশের সামান্য বেশি। তাই সরকার ধান কাটা-মাড়াই মৌসুমে সরাসরি ধানচাষিদের কাছ থেকে ক্রমান্বয়ে বেশি পরিমাণ ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা থেকে সরে আসছে।
এখন দেখা যাক সরকারের এ যুক্তি কতটা যৌক্তিক। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ডিজেল ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ যেমন-সার, কীটনাশক, বীজ ইত্যাদির দাম বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের শুরুতেই কৃষি উৎপাদনের সবচেয়ে মৌলিক দুটি উপকরণ ডিজেল ও সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে। এক লাফেই ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় প্রায় ৪৩ শতাংশ, আর সারের দাম বাড়ানো হয় ৩৮ শতাংশ। এছাড়া বেড়েছে কৃষি মজুরদের দাম। সব মিলে কৃষক পর্যায়ে বেড়ে চলেছে ধানের উৎপাদন ব্যয়। ১৪ নভেম্বর যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে ২০২১ ও ২০২২ সালে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয়ের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২১ সালের পাওয়ার টিলারে চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ১৫০০-৩৫০০ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ২১০০-৫৫০০ টাকায়। কিন্তু সরকার ধান সংগ্রহে দাম নির্ধারণে ধানচাষিদের উৎপাদন ব্যয়বৃদ্ধির বিষয়টি সঠিকভাবে আমলে নিচ্ছে না। অথচ সরকারকে চাল সরবরাহকারী চালকল মালিকদের প্রতি সদয় মনোভাব প্রকাশে কার্পণ্য করতে দেখা যায় না। যেমন, ২০২১-২২ অর্থবছরের বোরো মৌসুমে যখন সংগ্রহতব্য ধানের দাম আগের বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বাড়িয়ে ২৭ টাকা করা হয়, তখন চালের দাম আগের বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৩ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়। এর আগে একই অর্থবছরে যখন আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য আগের বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বাড়িয়ে ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন চালের দাম আগের বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়। চলতি আমন মৌসুমে ডিজেল ও সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ধান উৎপাদন ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার পরও সরকার যখন ধানের সংগ্রহ মূল্য আগের বছরের চেয়ে কেজিপ্রতি ১ টাকা বাড়িয়েছে, তখন চালের দাম গত বছরের তুলনায় বাড়িয়েছে কেজিপ্রতি ২ টাকা। এর ফলে ধানচাষিরা সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তারা কিছুটা বেশি দামে বাজারে ধান বিক্রিতে আগ্রহী হচ্ছেন। পত্রপত্রিকার খবরে জানা যায়, বাজারে আসা নতুন আমন ধান সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম পুনর্নির্ধারণ না করা হলে গত আমন মৌসুমের মতো চলতি আমন মৌসুমেও সরকার ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হবে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাল উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা, বৈশ্বিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাশিয়ার আপত্তি প্রভৃতি কারণে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম আবারও বাড়বে, যখন চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড চালের দাম ইতোমধ্যে আবারও বাড়িয়েছে, তখন ২০১৯-২০ সালের আমন মৌসুমের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে কম পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ আমাকে কিছুটা বিস্মিত করেছে। চলতি আমন মৌসুমে চালের আকারে কমবেশি ৭ লাখ টন চাল সরকারিভাবে সংগ্রহ আমনের সম্ভাব্য উৎপাদনের (১.৫০ কোটি টন) মাত্র ৫ শতাংশ বা সামান্য বেশি। এদিকে দেশে চালের চাহিদা মেটাতে চলতি অর্থবছরে সরকারি-বেসরকারি খাতে ১৯ লাখ টন (সরকারি খাতে ৯ লাখ টন এবং বেসরকারি খাতে ১০ লাখ টন) চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবহণ ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার কারণে চাল আমদানি আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠায় এবং দেশে ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় আমদানিতে গতি আসেনি। খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক চলতি অর্থবছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬ টন (সরকারি খাতে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪ টন এবং বেসরকারি খাতে ২ লাখ ১৩ হাজার ০২ টন) চাল আমদানি হয়েছে।
দ্বিতীয় খাদ্যশস্য গমের আমদানিও হতাশাব্যঞ্জক। দেশে বছরে কমবেশি ৭০ লাখ টন গমের চাহিদার বিপরীতে পণ্যটির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১১-১২ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ আমরা গমে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছি। খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গমের আমদানি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ লাখ ৮৩ টনে (সরকারি খাতে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬ টন এবং বেসরকারি খাতে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৭ টন)। জাতিসংঘ ও তুরস্কের তত্ত্বাবধানে গত জুলাইয়ে স্বাক্ষরিত রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ চলতি নভেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাশিয়া কিছু কঠিন শর্ত আরোপ করেছে বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ না বাড়লে গমের দামে উল্লম্ফন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যৌথভাবে বিশ্বে প্রায় ৩০ শতাংশ গম রপ্তানি করে।
এদিকে ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ এড়াতে আমাদের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের অংশ হিসাবে চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমপক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার (১০ লাখ টন) সমপরিমাণ করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান সফল করতে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। ১০ লাখ টন আমন ধান-চাল সংগ্রহ সম্ভব হলে চাল আমদানিতে দুষ্প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রার কিছুটা সাশ্রয় হবে। দুই. সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে চাল ও গম আমদানি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। তিন. আসন্ন বোরো মৌসুমে সর্বোচ্চ পরিমাণ ফলন পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাদির মধ্যে রয়েছে-ক. জমি স্বল্পতার কারণে আমাদের চালসহ খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। উল্লেখ্য, ভারত ও চীনের তুলনায় আমাদের হেক্টরপ্রতি চালের উৎপাদন কম। খ. চাল, গমসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়া যথাসম্ভব বন্ধ করতে হবে। গ. চাল, গমসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, কৃষি খাতে বিনিয়োগ শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগের চেয়ে কম লাভবান নয়। ঘ. কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সুপারিশকৃত কৌশলগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক খাদ্য সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com