
প্রিন্ট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২০ এএম
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

ইলিয়াস কাঞ্চন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০১৮’-এর তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ১০ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং প্রায় ৫০ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে, যার ৯০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে ঘটে থাকে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় এটি তিনগুণ বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার, পাকিস্তানে ২৭ হাজার এবং ভারতে ৩ লাখ। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬ অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং এ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিটি দেশকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়াও লক্ষ্যমাত্রা ১১.২-এ রাস্তাকে সহজ, ব্যবহারযোগ্য ও টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা সবার জন্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয়, সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী মানুষের হতাহতের একটি প্রধান কারণ। যেসব কারণে মানুষের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু রয়েছে ৮ম স্থানে এবং এর ভয়াবহতা এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা অচিরেই ৩য় স্থানে উঠে আসতে পারে।
যদিও বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে, তবে এক জায়গায় আমরা সবাই একমত-সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র, বিশেষ করে আহত ও নিহতের সংখ্যা সঠিকভাবে নিরূপণ করা হচ্ছে না। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
আমাদের দেশে দরিদ্র সাধারণ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এই মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া খুবই কম। দেখা যায়, যে আন্দোলন রাস্তায় খুব বেশি জোরালো হয়েছে, তা সামর্থ্যবান মানুষদের বেলায় হচ্ছে। যেমন মিশুক মুনীর, তারেক মাসুদ, ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের শিক্ষার্থীর, এমনকি আমি বলব, সড়ক দুর্ঘটনায় আমার স্ত্রী নিহত হওয়ার পর যে রেসপন্স বা প্রতিবাদ হয়েছিল, সেটি সাধারণ মানুষের বেলায় হয়নি। তাই বলব, প্রতিক্রিয়া যখনই সর্বমহল থেকে উঠবে, তখনই অন্ধকার কেটে আলোর দেখা পাওয়া যাবে। বহু ক্ষমতাধর তখন গলার স্বর নামিয়ে সাধারণের কাতারে নেমে আসতে বাধ্য হবে। অতীতে এমন নজির রয়েছে।
এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২ হাজার কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। আমি বলব, এই ৪২ হাজার কোটি টাকা কিন্তু সরকারের রাজস্ব থেকে ক্ষতি হচ্ছে না; দুর্ঘটনায় পতিত আহত বা নিহতদের ক্ষতি হচ্ছে, যার যার ব্যক্তিগত ক্ষতি হচ্ছে।
আর এজন্য সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। হ্যাঁ, সরকারের মাথাব্যথা থাকত, যদি রোড ক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো। তাই বলব, যতক্ষণ না সরকারের বেদনা অনুভূত হবে, ততক্ষণ যে-কোনো উদ্যোগ অনেকটা ফিকে হয়ে থাকবে। সুতরাং গুরুত্বের জায়গাটায় আসতে হলে সরকারকে অনুধাবন করাতে হবে।
এ পর্যন্ত আমি অনেক জায়গায়, বিশেষ করে সুইডেনে ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে যেসব সেমিনার হয়েছে, সেসব সেমিনারে অংশ নিয়ে দেখেছি, সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনের ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কে আইন মানা, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও নিয়ম মেনে চলার ওপর মানুষের মাঝে সচেতনতা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের মতো যদি সরকারও পদক্ষেপ নিত, তাহলে দুর্ঘটনা এই জায়গায় থাকার কথা নয়। জাতিসংঘ ২০১০ সালে একটি স্লোগান দিয়েছে-‘Road Crash Is Not A Disease, It's A Man Made Problem’. এর মানে হলো, সড়ক দুর্ঘটনা কোনো রোগ নয়, এটি মানুষ সৃষ্ট একটি সমস্যা।
সারা বিশ্বে করোনার আঘাত সবাই দেখেছে। এতে মৃত্যুর মিছিলও কম ছিল না। কিন্তু সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপে করোনা এখন প্রায় নিয়ন্ত্রিত। পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সরকারও করোনা নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে যেমন-লকডাউন, টিকা প্রদান এবং বিভিন্ন রকম বিধিনিষেধ আরোপ করে এ দুর্যোগ থেকে মানুষকে নিরাপদ করেছে। এখানে সরকারের আন্তরিক ও দৃঢ় সদিচ্ছার প্রতিফলন আমরা দেখেছি।
প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে কি সরকার এখন পর্যন্ত এমন সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটাতে পেরেছে? কার্যকর কোনো উদ্যোগ বা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পেরেছে কি, যার জন্য সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়? আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা বা সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। অথচ চলতি বছর (৩০ জুন-১ জুলাই) জাতিসংঘের রোড সেফটিবিষয়ক একটি অধিবেশনে জোরালোভাবে উঠে এসেছে, সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে সড়ক দুর্ঘটনা নিরসন সম্ভব নয়। তাহলে করোনার মতো সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বা নিরসন করতে সরকারের সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন কোথায়?
এখনো সেরকম সমন্বিত কোনো উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি। কখনো কখনো জনমানুষের জোরালো কণ্ঠস্বর ও প্রতিবাদের ঢেউ উঠলে সরকার কিছুটা উদ্যোগী হয়ে থাকে। কিন্তু সে সময়ও দেখা গেছে, অদৃশ্য একটি শক্তি ও মদদদাতাদের কৌশলের কাছে সেসব উদ্যোগ ভেস্তে গেছে, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও এ আইন সড়কে কতটা কার্যকর, সেই প্রশ্ন রইল।
বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন, বছরে যদি গড়ে ৭ হাজার মানুষ মারা যায়, এটা কি গণহত্যা নয়? আমি বলব, ৭ হাজার নিহতের এ সংখ্যা সঠিক নয়, সংখ্যাটি অনেক বেশি। জাতিসংঘের মতে, এটা ৭ হাজারের তিনগুণ বেশি। যদিও আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত পরিসংখ্যান জানার সুযোগ নেই।
কারণ এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো বা নির্দেশনা নেই, যার মাধ্যমে সবাই জানতে পারবে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে কতজন মারা যায়, কতজন আহত হয়, কতজন দুর্ঘটনা-পরবর্তী মারা যায় এবং কয়টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ আমাদের দেশে যারা সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা সংরক্ষণ করছেন, তাদের কাছে সব এন্ট্রি হয় না। আমাদের দেশে পুলিশ এ কাজটি করে থাকে, তা-ও কেউ এফআইআর বা মামলা করলে তাদের খাতায় যেগুলো লিপিবদ্ধ হয়। এ কারণে আমি তাদের বলেছি, আপনারা দয়া করে এটাকে ‘রোড ক্র্যাশ ডাটা’ বলবেন না। বলবেন, ‘রোড ক্র্যাশ এফআইআর ডাটা’।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত ডাটা না থাকায় কতটা ক্ষতি হচ্ছে, সেটি বলতে চাচ্ছি। সরকার পুলিশের দেওয়া তথ্যে মনে করে বা ধরে নেয়, বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ মারা যায়। অথচ জাতিসংঘের হিসাবে দেখা যায়, নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এতে করে প্রতিবছর জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে।
আমরা প্রতিনিয়ত সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে গিয়ে যে বিষয়গুলো দেখি, তাতে প্রশ্ন জাগে, যারা রাষ্ট্রপরিচালনা করেন তারা কি দেখেন না সড়কের অব্যবস্থাপনা? এখানে আইন প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে, যে যেভাবে পারে যান চালাচ্ছে, গাড়ির ফিটনেস আছে কী নেই, সেটা না দেখে সড়কে নামছে।
এগুলো দেখার দায়িত্ব কার? সড়কে নিয়ম প্রতিষ্ঠায় কোনো মনিটরিং নেই বলে আমরা প্রতিনিয়ত দেখি একটা বাস আরেকটা বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। এক বাসের সঙ্গে আরেক বাসের ঘেঁষাঘেঁষিতে ‘ছাল-বাকল’ উঠে যাচ্ছে। কখনো পথচারীর উপর দিয়েও চলে যাচ্ছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিতে দেখা গেছে, একটি বাসের সারা গায়ে ধুলা। কোনো লুকিং গ্লাস নেই। হেডলাইটও নেই। অথচ বাসে যাত্রী আছে।
আবার বাসের নাম ‘ভিআইপি পরিবহণ’! আমার মনে হয় না, সড়কে বাংলাদেশের মতো এমন ভঙ্গুর অবস্থা আর কোথাও আছে। আমাদের সড়ক যে যার মতো করে ব্যবহার করছে। কোনো অনিয়মই যেন কারও চোখে পড়ছে না। কিন্তু এ অবস্থা চলবে আর কতকাল?
প্রশ্ন হচ্ছে, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কী করা দরকার? প্রথমেই আসে সরকারের সদিচ্ছার কথা। কারণ, সড়কে নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু বর্তমান আইন কতটা কার্যকর? এ আইন প্রয়োগে সরকার কতটা আন্তরিক? আইনটি পাশ হওয়ার পর চার বছর হয়ে গেছে, এখনো এর বিধিমালা আলোর মুখ দেখেনি। বিধিমালা ছাড়া আইনের পুরোপুরি প্রয়োগ অসম্ভব। রোড সেফটির ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টের কথা আগেই বলা হয়েছে। ম্যানেজমেন্ট ছাড়া কোনো কিছুই সফল হয় না, হবেও না।
এর মধ্যে থাকবে কোন ধরনের সড়কে কোন ধরনের যান চলাচল করবে। যেমন, একটি সড়কের ধারণক্ষমতা ৫০টি গাড়ি চলাচলের, সেখানে যদি ১০০ গাড়ি চলাচল করে, তাহলে সড়কের ওপর তো চাপ পড়বেই। এমনকি একেক যানের একেক রকম গতি। সড়কে যদি সব যান চলাচল করার সুযোগ পায়, তখন গতির বিষয়টি আর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না। চলে প্রতিযোগিতা। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। এজন্য প্রথমেই আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আইন প্রয়োগে কোথায় কোথায় বাধা আছে, সেগুলো দূর করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা এবং সঠিক ম্যানেজমেন্ট।
এসডিজি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। একই টার্গেট ছিল ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার। কিন্তু আমরা কি তা পেরেছি? বরং সড়ক দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে। ২০২২ সালে এসে আমরা দেখছি, দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে। যেখানে কমার কথা, সেখানে আরও বেড়ে গেছে। বলা চলে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০-২৫ শতাংশের মতো বেড়ে গেছে।
এভাবে যদি বাড়ে, তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার অঙ্গীকারের কী হবে? কারণ আমাদের সড়ক এখনো অনিয়ন্ত্রিত, আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। রয়েছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। অথচ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের। আমরা মনে করি, সবাই যে কথাগুলো বলছি, সেটাকে যদি সত্যিকার অর্থে সরকার আমলে নিয়ে বাস্তবায়ন করে, যে আইন আছে সেটি যদি যথাযথভাবে প্রয়োগ করে, তাহলেই সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, ‘সড়কে মানিলে অনুশাসন, নিরাপদে থাকিবে সবার জীবন’। সড়কের একটা অনুশাসন আছে, সে অনুশাসনটা যদি আমরা সবাই মানার চেষ্টা করি, তাহলে আপনার, আমার, সবার জীবন নিরাপদ হবে।
আমরা দেখেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন, তা-ও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাহলে প্রশ্ন আসে, এ পরিবহণ খাতটা চালায় কে? কার কাছে জিম্মি? তা এখনো জানতে পারলাম না। আমরা একবার প্রস্তাব দিয়েছিলাম সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখেই শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আমি এটা করতে পারলাম না।’ তার মানে তিনি অসহায়। তিনি করতে পারলেন না। কিন্তু কেন করতে পারলেন না, কাদের জন্য করতে পারলেন না, সেটাও কিন্তু জানা যাচ্ছে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যে ২৩টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার কয়টি বাস্তবায়ন হয়েছে? তা দেখার দায়িত্ব কার বা কাদের? প্রধানমন্ত্রী যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা কি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন? আমরা মনে করি, তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সামনের দিনেও গুরুত্বহীনভাবেই কাজ চলতে থাকবে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সব মহল থেকেই সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সরকারের সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতার কথা বলা হয়েছে। আমরাও বলছি। সুতরাং সরকারকে এ বিষয়টি অনুধাবন করে উদ্যোগী হতে হবে। আর আমরা যারা সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করি, তারা ওই উদ্যোগের সহায়ক শক্তি হতে পারি।
ইলিয়াস কাঞ্চন : প্রতিষ্ঠাতা, নিরাপদ সড়ক চাই