Logo
Logo
×

বাতায়ন

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যৌক্তিক উপায় কী?

Icon

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যৌক্তিক উপায় কী?

বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় সমস্যা-চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচ্য। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নির্দয় প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত-অনিশ্চয়তায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জুনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক মহামন্দার কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধির সতর্কবার্তা দিয়েছে। একই সঙ্গে মন্তব্য ছিল-বিশ্ব দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির একটি প্রলম্বিত সময়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে।

ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির বিপদ আজ উল্লেখযোগ্য। বিশ্বের বেশির ভাগ অংশে দুর্বল বিনিয়োগের কারণে প্রশমিত প্রবৃদ্ধি সম্ভবত পুরো দশকজুড়ে অব্যাহত থাকবে। মুদ্রাস্ফীতি এখন বহুদেশে, বহু-দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং সরবরাহ খুব ধীরগতিতে বাড়ছে।

তবে সবচেয়ে মারাত্মক ঝুঁকি যেটি, তা হলো মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘ সময়জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে।’ ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোয় বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি। সব দেশই উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার পন্থা উদ্ভাবনে ব্যতিব্যস্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রধান সমস্যা বিবেচনায় বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নীতি সুদহার বৃদ্ধি করছে। কিন্তু অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ধারণা ইতোমধ্যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নীতি সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সামান্যতম সাফল্য লাভের বিপরীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অতিসম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ওয়েবসাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থনীতিবিদদের নিয়ে পরিচালিত জরিপ ‘ইকোনমিস্ট আউটলুক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্ব মন্দার আশঙ্কা করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৩ শতাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ২০২৩ সালে মন্দা হতে পারে।

তাদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ মন্দার আশঙ্কা এবং বাকি ৯ শতাংশ শক্তিশালী মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রবৃদ্ধি কমার পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতিও বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিচ্ছে এবং মজুরি হ্রাস, দারিদ্র্য বৃদ্ধি ও সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি-বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে পড়া জ্বালানি সরবরাহের কারণে বিভিন্ন দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। বিশ্বের অন্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩ সালে মোটামুটি মানের প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে মত দিয়েছেন ৬৫ শতাংশ অর্থনীতিবিদ। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রবৃদ্ধিকে দুর্বল করার অন্যতম বড় কারণ হলো বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯৩ শতাংশ অর্থনীতিবিদের মতে, ২০২২ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান থাকবে। বিপরীতে ৪৩ শতাংশের মতে, ২০২৩ সালেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি থাকবে। একইভাবে ২০২২ ও ২০২৩ সালে ইউরোপে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকার ব্যাপারে জানিয়েছেন যথাক্রমে ৯৩ ও ৪৫ শতাংশ অর্থনীতিবিদ। মূলত জ্বালানি ও খাদ্য আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশগুলোর ঋণ পরিশোধ, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিশ্ব অর্থনীতিবিষয়ক ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অক্টোবর’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় যে বিঘ্ন করোনার সময় থেকে ঘটছে, তা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরও বেশি প্রকট হয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় একদিকে দাম বেড়েছে, অন্যদিকে উৎপাদনও কম হয়েছে।

পণ্যমূল্য বাড়ার ফলে প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। আমেরিকায় জুনে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতিবেদন মতে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ; যা চলতি বছর বেড়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে।

সংস্থাটির মতানুসারে, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি রাশিয়-ইউক্রেন যুদ্ধ, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির চাপ এবং চীনের অর্থনীতিতে ধীরগতি-এ তিনটি মূল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আন্তর্জাতিক দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-এবারের বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ডলারবাহিত মূল্যস্ফীতি। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই এর সূত্রপাত। করোনা মহামারি মোকাবিলায় আমেরিকান সরকার সে দেশের জনগণকে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিয়েছে।

এ অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে তারা যেমন একদিকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে, তেমনই সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ প্রচুর পরিমাণ মুদ্রা ছেপেছে। আর সেই ডলারের হাত ধরে মূল্যস্ফীতি দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা এখনো পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।

অতিসম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভাষ্যমতে, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে ১৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। এতে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের (ওএনএস) মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সে দেশের মানুষ দৈনন্দিন ব্যয় ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ভ্রমণও কমিয়ে দিয়েছে।

বর্তমানে দেশটির নাগরিকরা অতি প্রয়োজনীয় ছাড়া অন্যান্য ব্যয় সংকোচন করেছে। বছরের শেষভাগে নতুন করে মন্দার আশঙ্কায় যুক্তরাজ্যবাসী হতাশাগ্রস্ত। অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০০১ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০২১ সালের একই সময়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ৬ অক্টোবর ২০২২ বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্যনিরাপত্তা আরও ঝুঁকিতে ফেলেছে। ফলে চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২ শতাংশ ছাড়াতে পারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, মূল্যস্ফীতি ২ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকলে জনজীবন স্বস্তিদায়ক হয়। ৭ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকা মানেই বিপদ এবং এর আধিক্য হলো মহাবিপদ। বিগত এক যুগের মধ্যে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। মূল্যস্ফীতির চরম আঘাতে দেশের সর্বস্তরের জনগণের জীবনযাত্রার বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দৃশ্যমান। ১১ অক্টোবর ২০২২ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, চলতি বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১১ বছর ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমেছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিপরীতে সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে। ২০২১ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫৪ ও ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২০ সালের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৬৮ এবং সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশের ঘরেই ওঠানামা করেছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি গত এক যুগের মধ্যে হ্রাস-বৃদ্ধি পেলেও কখনো অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত লক্ষ করা যায়নি। বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার অনেকাংশে চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রতীয়মান। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশের মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছে। জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। জুন ও মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য মাসগুলোয় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৭ ও ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৩৩ ও ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘গরিব মানুষ এখন মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি অনুভব করছেন। কারণ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আর খাবারের দাম বাড়লে গরিব মানুষের কষ্ট বাড়ে। তাদের জীবিকার সংকট দেখা দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুনতে পাচ্ছি, বিদ্যুতের দাম বাড়বে। তাহলে তা এ উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। জ্বালানি তেলের চেয়ে বিদ্যুৎ বেশি ছোঁয়াচে।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে তা অর্থনীতির সব জায়গায় প্রভাব ফেলবে। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা যৌক্তিক হবে না।’ আইএমএফেরও আশঙ্কা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে হবে ৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হবে আগামী বছর। তবে ২০২৭ সালে তা সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মূল্যস্ফীতির সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে নিুআয়ের জনগোষ্ঠী সর্বাপেক্ষা কষ্টের সম্মুখীন হয় বিধায় তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত এবং বাজারের ওপর সরকারের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা একান্ত জরুরি। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সচলতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

অবৈধ-অনৈতিক কারসাজিতে ব্যতিব্যস্ত বিভিন্ন সিন্ডিকেট ও তাদের কদর্য দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। মানবরূপী এই হিংস্র দানবদের কঠোর হস্তে দমন করা ও আইনের আওতায় আনা না হলে সরকারপ্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১১ অক্টোবর একনেক সভায় প্রদত্ত বক্তব্য বা পণ্য সরবরাহ-বাজার তদারকির নির্দেশনার কার্যকারিতা ফলপ্রসূ হবে না।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম