Logo
Logo
×

বাতায়ন

স্বদেশ ভাবনা

অতিকথন পরিহার করতে হবে

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২২, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অতিকথন পরিহার করতে হবে

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১৭ জুলাই সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদকদের সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের প্রথম দিনে অর্থাৎ ১৭ জুলাই চারটি দলকে উপস্থিত থাকার জন্য ইসি অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ছাড়া আমন্ত্রিত অন্য তিনটি দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস সংলাপে অংশ নেয়।

এনডিএমের সঙ্গে সংলাপের সময় প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, আমি কী করব?’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আপনাদের রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ, খেলোয়াড় কিন্তু আপনারা। আপনারা মাঠে খেলবেন, আমরা রেফারি।’

সিইসির উপর্যুক্ত বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এনডিএমের চেয়ারম্যান বলেছেন, শটগান নিয়ে দাঁড়ানোর বিষয়টি আইন সমর্থন করে না। অন্য কেউ যদি পিস্তল নিয়ে আসে বা ১০০ মানুষ নিয়ে আসে, সেটা সরকারের পক্ষ থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইসিকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে।

সিইসির বক্তব্যে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সিইসি যে তলোয়ারের বিপরীতে তলোয়ার বা রাইফেল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন, তা সহিংসতাকেই উসকে দেয়। তার এমন বক্তব্য আত্মঘাতী, অপরিণামদর্শী ও অগ্রহণযোগ্য। গত কয়েকটি নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার, বুথ দখল এবং জোর করে বাক্স ভরার যে অরাজকতা দেখা গেছে, সিইসির এ বক্তব্য সেটাকেই উৎসাহিত করার নামান্তর। সিইসির উচিত অবিলম্বে এমন আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী বক্তব্য প্রত্যাহার করা।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সিইসির বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তিনি এখনই দিশা হারিয়ে ফেলছেন। মেরুদণ্ড শক্ত না থাকলে এমন বক্তব্যই আশা করা যায়। তারা দিনদিন খেলো হয়ে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক পদ। এ পদে থেকে বক্তব্য দেওয়ার আগে অনেক ভেবে নিতে হয়। কারণ তারা যা বলছেন, তা সাধারণ মানুষের কাছে একটা বার্তা হিসাবে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সিইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যেভাবে কথা বলছেন, তা কারও কাম্য নয়। তার বক্তব্যে সবাই হতাশ।

বিগত ৫০ বছরে ইসির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বাধীনতার প্রথম দুই দশকে গঠিত ইসিগুলো ছিল অনেকটা নির্বাক। বিচারপতি মো. ইদ্রিসের নেতৃত্বাধীন দেশের প্রথম ইসির মেয়াদ ছিল ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত।

এ কমিশনের অধীনে ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকা, রাষ্ট্রীয় রেডিও-টেলিভিশন ও যানবাহনসহ প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ কর্তৃক বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের। ইদ্রিস কমিশন শাসক দলের প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে নিশ্চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর দুজন সামরিক শাসক সামরিক ও বেসামরিক পোশাকে প্রায় ১৫ বছর দেশ শাসন করেন। বেসামরিক পোশাকে রাজনৈতিক দল গঠন করে তারা তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২য়, ৩য় ও ৪র্থ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ সময়কালে যারা সিইসির দায়িত্বে ছিলেন, তারা হলেন বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম এবং বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ।

বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম সিইসি পদে নিয়োগ পান ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে। সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের শাসনামলে সিইসি হিসাবে নিয়োগ পান বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। এ দুজনের নেতৃত্বাধীন ইসি উপর্যুক্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। জয়লাভের জন্য ক্ষমতায় থাকা দলগুলো মাঠ প্রশাসনসহ পুরো প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে। ইসি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

গত শতকের শেষ দশকে এবং চলতি শতকের প্রথম দশকে মোট পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলোর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া অন্য চারটি নির্বাচনের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তিনটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি সরকারের পতন হলে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের নেতৃত্বাধীন ইসি এ নির্বাচন পরিচালনা করে। আর সপ্তম (জুন ১৯৯৬), অষ্টম (অক্টোবর ২০০১) ও নবম (ডিসেম্বর ২০০৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যথাক্রমে সাবেক সচিব আবু হেনা, সাবেক সচিব এমএ সাঈদ এবং সাবেক সচিব ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।

এসব নির্বাচনে ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো শুধু নিরপেক্ষ থাকেনি, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। জনগণ বুঝতে পারে-সরকার নয়, ইসিই নির্বাচন পরিচালনা করছে। এসবের ফলে একদিকে যেমন নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে আসে, তেমনই অন্যদিকে এসব নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়।

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাসক দল আওয়ামী লীগ নিয়োগকৃত কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসি সুষ্ঠুভাবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলেও অতিকথনে পিছিয়ে থাকেনি। ২০১১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধমে জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলে যখন দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে, তখন জাতি পঞ্চদশ সংশোধনী মেনে নিয়েছে বলে মত প্রকাশ করে এই ইসি।

২০১২ সালের ৫ জুলাই সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী জাতি মেনে নিয়েছে। সুতরাং সে অনুযায়ী (দশম জাতীয় সংসদ) নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নতুন আইনের কোনো প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং সমমনা আটটি দল ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে। এতে ওই নির্বাচন অনেকটা একদলীয় রূপ নেয়। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে এই ইসি কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এই ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন তাদের লুকোচুরি ও অতিকথনের আরেকটি প্রমাণ।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের তুলনায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কমসংখ্যক পদে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ‘যে কোনো উপায়ে’ এ অবস্থার পরিবর্তন চায়। এই যখন অবস্থা, তখন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ দীর্ঘ ছুটিতে বিদেশে যান। গুজব আছে, সরকারের ইঙ্গিতে তিনি এ ছুটিতে যান। নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ থেকে ফলাফলের চিত্র বদলে যেতে থাকে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থকদের ভোট জালিয়াতি, ব্যালট ছিনতাই, বুথ দখল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নীরবতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের অধিকাংশ পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়লাভ নিশ্চিত করে। ভারপ্রাপ্ত সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে বক্তব্য দিতে থাকেন।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও সুষ্ঠু হয়নি। এ নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে না তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই। ‘পৃথিবীর কোনো দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান হয় না। বাংলাদেশেও হবে না’ এবং ‘বড় পাবলিক নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না’-যথাক্রমে একজন নির্বাচন কমিশনার ও সিইসি কেএম নূরুল হুদা এমন বক্তব্য রাখেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে। এ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার নিয়োগকৃত কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং ইসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। এই ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সিইসি ও একজন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যকার বাগ্যুদ্ধ এই ইসির মর্যাদাকে বিশেষভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।

উপরের বর্ণনার মাধ্যমে যা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো, বর্তমান ইসিকে অনিয়মের বিরুদ্ধে নীরবতা পালন যেমন পরিহার করতে হবে, তেমনই পরিহার করতে হবে অতিরঞ্জিত বর্ণনা বা অতিকথন। আগের ইসিগুলোর ভুল থেকে এ ইসিকে শিক্ষা নিতে হবে।

আমার জানামতে, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বর্তমান ইসির যে সংলাপ হয়েছে, তাতে সবাই ইসিকে সাহসী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশে নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, দলীয় সরকারের হস্তক্ষেপের কারণেই ইতঃপূর্বে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং এসব নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কোনো দলীয় সরকার পরাজিত হয়নি। ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপ রুখতে না পারলে ইসিকে পদত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ক্ষমতায় থাকা দলীয় সরকারের ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি ইসি ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বর্তমান ইসিকে এ বিষয়টি স্মরণে রাখতে হবে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম