Logo
Logo
×

বাতায়ন

কতটা এগিয়েছে দেশ

Icon

ড. আর এম দেবনাথ

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কতটা এগিয়েছে দেশ

আজ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। দেখতে দেখতে ৫০-৫১ বছর কেটে গেল। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই পাঁচ দশকের বেশি সময়ে আমাদের অর্জন কী, অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আছে কি কোনো বর্জনীয় দিক? বিশাল আলোচনার বিষয়।

কোথায় শুরু হবে, কোথায় শেষ হবে সেটাই বিবেচ্য। সামনে আমাদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। ‘ব্যবসাবান্ধব’ ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট শেষ হতে আর মাত্র মাস তিনেক বাকি।

অতএব, বাজেট দিয়েই শুরু করা যাক। স্বাধীনতার পর অর্থমন্ত্রী হলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তখন বাজেট করা ছিল এক সুকঠিন বিষয়। অর্থমন্ত্রীকে কাগজপত্র নিয়ে আমলাসহ যেতে হতো ‘প্যারিস কনসোর্টিয়াম’ সভায়। সেই ছবি কাগজে ছাপা হয়েছে বছরের পর বছর। সভা সাহায্যদাতাদের সঙ্গে। তাদের অঙ্গীকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হতো আমাদের বাজেট। বাজেট ছিল সাহায্য-সহযোগিতানির্ভর।

এসব নিয়ে সাহায্যদাতাদের কত প্রশ্ন! দেখা যাচ্ছে, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেটের ৭০-৮০ শতাংশই ছিল বিদেশি সাহায্যনির্ভর। ওই বছরের একটি খবরানুযায়ী বিদেশি সহায়তা এসেছিল মোটামুটি ৫৫ কোটি ডলার। খাদ্য সহায়তা লাগত। ঋণ ছিল, গ্র্যান্টসও ছিল। আর এখন খাদ্য সহায়তা বলতে গেলে নেই। বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরতা বিপুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।

এ কারণে শিরদাঁড়া উঁচু করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে অগ্রাহ্য করে সারে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। এখন অর্থমন্ত্রীকে প্রতি এপ্রিল মাসে সাহায্যদাতাদের সভায় যেতে হয় না, জবাবদিহিতা করতে হয় না। বাজেটের আকার বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার উপরে। অথচ ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেটের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা।

ছোট্ট অর্থনীতির বিপরীতে এখন আমাদের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকায়। স্বাধীনতার পর এ সময় পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৫০০ গুণেরও বেশি। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে আমাদের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৭০ কোটি টাকার মতো। খাদ্যে ঘাটতি ছিল। এখন গম কিছুটা আমদানি করতে হলেও চালে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাল ও সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয়। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং গোল আলু উৎপাদনে সপ্তম।

বৈদেশিক সাহায্যনির্ভরতা হ্রাস, বাজেটের আকার বৃদ্ধি, খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি সূচক ছাড়াও আরও অনেক সূচক আছে, যার দ্বারা ৫০-৫১ বছরে অর্জিত আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি বোঝা যায়। এর মধ্যে আছে মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয়, আমদানি ব্যয়, কলকারখানার সংখ্যা, দারিদ্র্যবিমোচন, পোশাক রপ্তানি, রেমিট্যান্স আয়, গড় আয়ু, খাদ্যশস্য উৎপাদন, টাকার ক্রয়ক্ষমতা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, প্রাথমিক শিক্ষা, পয়ঃব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা। বলাবাহুল্য, এসব ক্ষেত্রের প্রায় সবকটিতেই আমাদের সাফল্য অসামান্য।

সাফল্য দৃশ্যমান। স্বাধীনতার পরপর আমাদের হাতে কোনো ডলার ছিল না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল শূন্যের কোঠায়। ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল নিম্নমুখী। ১০০ টাকা দিলে তখন ভারতীয় ৩৫-৪০ রুপি পাওয়া যেত। বড় দুঃখ ও আক্ষেপ হতো। ১০-২০ ডলারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ধরনা দিতে হতো। আজ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের (এক বিলিয়ন সমান শত কোটি) উপরে।

৮৫-৯২ টাকা দিয়ে এক ডলার কেনা যায়। অথচ যে পাকিস্তানিরা আমাদের অবহেলা করত, ঘৃণা করত, তাদের ১৪০-১৫০ রুপি দিয়ে একটা ডলার কিনতে হয়। ভারতীয় মুদ্রার বিপরীতেও আমাদের টাকার মূল্যমান বেড়েছে। এখন হুন্ডিতে ১০০ টাকার বিনিময়ে ভারতীয় ৭০-৭৫ রুপি পাওয়া যায়। ডলারের জন্য আর আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হয় না। চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসার খরচ ইত্যাদির জন্য ডলার এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকেই পাওয়া যায়, কোনো অনুমোদনের দরকার হয় না। এসব নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক শক্তির দিক।

খাদ্যশস্য উৎপাদনের প্রশ্নে যদি আসি, তাহলে দেখা যাবে এখন ৪ কোটি টনেরও উপর খাদ্যশস্য দেশে উৎপাদন হয়। অথচ স্বাধীনতার আগে এর পরিমাণ ছিল ১ কোটি টনেরও নিচে। খাদ্যের জন্য হাহাকার ছিল। উত্তরবঙ্গে ‘মঙ্গা’ (ভিক্ষার অভাব) লেগেই থাকত। মানুষ না খেয়ে মারা যেত। আজ ভাতের অভাবে মানুষ মারা যায় না। মাছ মাংস, তরিতরকারি, ডিম-দুধ ইত্যাদি উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। প্রতিবছর নানা ধরনের নতুন সবজি যোগ হচ্ছে, ফলমূল যোগ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতিতে। ফলে খাদ্যের জন্য পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। এতে পররাষ্ট্রনীতিতে স্বাধীনচেতা হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি এখন।

ধরা যাক পোশাক খাতের কথা। স্বাধীনতা উত্তরকালে পোশাক রপ্তানি বলতে কিছু ছিল না। তখনকার রপ্তানি দ্রব্য ছিল পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চা, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য। এখন এক নম্বরে রয়েছে তৈরি পোশাক। এ খাতের রপ্তানির ফলে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ ৩৪-৩৫ কোটি ডলার থেকে প্রায় ৪০০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমরা এখন বিশ্বে তৃতীয়। প্রথমে চীন এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩০০০ কোটি ডলার। এর সঙ্গে জড়িত কর্মসংস্থান।

পোশাক খাতে ৩০-৪০ লাখ নারী নিয়োজিত। এ খাতের সঙ্গে জড়িত দেশীয় বস্ত্রশিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, ডাইয়িং শিল্প ইত্যাদি, এমনকি নিম্ন-মধ্যবিত্তের প্রসাধনীসামগ্রী। মোট কথা, এর ফলে অভ্যন্তরীণ একটা বিশাল বাজারের সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ করতে পারি ‘প্রবাসী আয়কে’ (রেমিট্যান্স আয়)। স্বাধীনতা উত্তরকালে প্রবাসী আয় বলে আমাদের কিছুই ছিল না। আর এখন বছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এ আয়ের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫ কোটি পরিবার।

বিভিন্ন দেশে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি নানা পেশায় নিয়োজিত। তাদের বিরাট অংশ গ্রামীণ জনপদের। কৃষকের সন্তান। তারা যা রোজগার করে, তার সবটাই দেশে পাঠায়। এর গ্রহীতা বা উপকোরভোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ৫ কোটি। এক পরিবারের পাঁচজন ধরে হিসাব করলে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৫ কোটি লোক উপকৃত। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহের একাংশ ও সিলেটের বিপুলসংখ্যক মানুষ রেমিট্যান্সের উপকারভোগী। প্রকৃতপক্ষে এ রেমিট্যান্স গ্রামীণ অর্থনীতিক উজ্জীবিত করে রেখেছে।

পোশাক ও রেমিট্যান্স খাত বাংলাদেশের বিপুলস্যংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে ধরে রেখেছে। অবশ্য উত্তরবঙ্গে ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ সেই অর্থে এর দ্বারা উপকৃত নয়। তবু বলতেই হবে, এ দুই খাত দারিদ্র্যবিমোচনে বিরাট অবদান রাখছে। স্বাধীনতার আগে, এমনকি স্বাধীনতার পরও ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। দুই বেলা ভাত পেত না তারা। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি, গরিব মানুষ বাড়িতে বাড়িতে খাবারের জন্য যাচ্ছে, ভাত না হলে অন্তত ভাতের মাড়। কী করুণ দৃশ্য! কংকালসার মানুষ।

গায়ে কাপড় নেই, পায়ে জুতা নেই, রোদে-বৃষ্টিতে তারা কাজ করতে চায়, অথচ কাজ নেই। সরকারি সাহায্য অপ্রতুল। লঙ্গরখানা খোলা হতো প্রায়ই। মার্কিন দেশের চাল দিয়ে হতো ‘জাউ’। তাই খেতে হতো গরিবদের। আজকের দিনে সেই অবস্থা নেই। দারিদ্র্যসীমার নিচে মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ মানুষ। তারা দুইবেলা ভাত পায় না। কিন্তু উপোসে মরে না কেউ। নানা রকমের সরকারি সাহায্যে তারা মোটামুটি কিছু না কিছু খাবার খেয়ে বেঁচে থাকছে। গায়ে এখন কাপড় আছে। এটা তৈরি পোশাক খাতের অবদান।

ওই খাতের উচ্ছিষ্ট বাজারে আসে, যা রপ্তানিযোগ্য নয়। এতে মানুষের কাজ চলে। পায়ে জুতাও আছে। শীতে তারা এখন আর সেভাবে কষ্ট পায় না। ধনাঢ্য ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলো গরিবদের মধ্যে প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ করে। এতে আগের মতো মানুষ শীতে কষ্ট পায় না। অথচ স্বাধীনতার পরপর আমাদের পুরোনো কাপড় পরতে হতো, যা আমদানি হতো বিদেশ থেকে। কাপড়, কম্বল ইত্যাদি সবই আমদানি হতো। আমরা এ সবই ব্যবহার করেছি। সেই সময় এখন অতীতকাল। গ্রামে গ্রামে বিদুৎ গেছে। শতভাগ গ্রাম এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। ঘরে ঘরে, বাজারে বাজারে বিদ্যুৎ। গ্রামগুলো এখন আলোতে জ্বলজ্বল করে। বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত হয়েছে।

স্বাধীনতার পর কুপি বাতি, হারিকেন, হ্যাজাক লাইটই ছিল সম্বল, আর ছিল ব্যাটারিচালিত টর্চ। এসব এখন ইতিহাসের অংশ। রাস্তাঘাট সবই ছিল কাঁচা। গরুর গাড়ি, মোষের গাড়ি, ঘোড়াই ছিল যানবাহন। নদীতে ছিল পালতোলা নৌকা। ঘাটে ঘাটে ছিল নৌকা ও মাঝি। কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিতে ভরপুর ছিল গ্রামবাংলা। যানবাহন, পরিবহণের উন্নতি এবং বিদ্যুৎ এখন সব বদলে দিচ্ছে। স্কুল-কলেজের অভাব নেই। স্বাক্ষরতার হার ৭০-৮০ শতাংশ। গড় আয়ু ৪৫ বছর (১৯৭২) থেকে ৭৩ বছরে (২০২১)। গ্রামাঞ্চলে এখন সবই পাকা রাস্তা।

নতুন রাস্তা তৈরির প্রয়োজনীয়তা শেষ। এখন শুধু রক্ষণাবেক্ষণ। জিডিপির কাঠামো আমূল পরিবর্তিত। কৃষির অবদান ছিল তখন ৬০-৭০ শতাংশ। শিল্প ছিল যৎসামান্য। এখন কৃষির অবদান ২০ শতাংশের নিচে। সেবা খাত এখন ৫০ শতাংশ জিডিপির মালিক। শিল্পের অবদান বেড়েছে। ১৯৭৩ সালে কলকারখানার সংখ্যা ছিল শ’তিনেক। এখন প্রায় ৫০ হাজার। জাহাজশিল্প, বস্ত্রশিল্প ওষুধশিল্প, আইটি, চিনি, সয়াবিন পরিশোধন শিল্প ইত্যাদি ক্রমবর্ধমান। খাদ্যসংশ্লিষ্ট শিল্প দিন দিন বড় হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বিদেশে বিনিয়োগ করছে। এ এক নতুন বাংলাদেশ।

উন্নয়নের প্রথম সমস্যা হচ্ছে একে টেকসই করা। টেকসই উন্নয়নের সংগ্রামেই আমরা এখন নিয়োজিত। ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ নিয়ে কাজ করছি আমরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হয়েছে। সামনে রয়েছে আরও দুই ধাপ ‘উচ্চমধ্য আয়ের’ স্বীকৃতি এবং পরে ‘উচ্চ আয়ের’ দেশ। নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হিসাবে কতগুলো সূচকে ভালো করতে হয় উন্নয়নকে টেকসই করতে। আইএমএফের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, আমরা ৬টি সূচকেই পিছিয়ে।

এগুলো হচ্ছে-বাণিজ্য জিডিপি অনুপাত, রপ্তানি জিডিপি অনুপাত, মোট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ জিডিপি অনুপাত, নিট রেমিট্যান্স জিডিপি অনুপাত, কাস্টমস ও অন্যান্য আমদানি শুল্ক ও কর আয় অনুপাত এবং কর জিডিপি অনুপাত। সাধারণভাবে একটি নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হিসাবে এ সূচকগুলোর যে অবস্থান হওয়া দরকার, তার ধারেকাছেও নেই আমরা। টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। এ দিকটি ছাড়াও রয়েছে আরও অনেক দিক, যা উন্নয়নের সহযোগী সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে।

এর মধ্যে আছে দারিদ্র্য, নগর দারিদ্য, বৈষম্য, সম্পদ পাচার, কালো টাকা, ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস, সংস্কৃতিতে স্থবিরতা, জলবায়ুজনিত সমস্যা, বিশুদ্ধ পানীয়জলের সমস্যা, মাদক সমস্যা ইত্যাদি। দুর্নীতি হচ্ছে আরেকটি সর্বগ্রাসী সমস্যা। অবশ্যই মূল্যস্ফীতি আরেকটি সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। মধ্যবিত্ত সংকুচিত হচ্ছে। দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে। আগের হিসাবেই এখনো দেশের ৪-৫ কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে, যদিও দারিদ্র্যবিমোচনে আমাদের অগ্রগতি যথেষ্ট। শিক্ষার গুণগত মান, সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান, অপুষ্টিজনিত সমস্যাও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। সুশাসনের ঘাটতি আছে। রাজস্বের ভীষণ অভাব। আগামী দিনে এসব সমস্যা সমাধান করে আমাদের এগোতে হবে। আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্জন অনেক, সমস্যাও অনেক। চ্যালেঞ্জ অনেক।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম