Logo
Logo
×

বাতায়ন

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য

Icon

সিমিন হোসেন রিমি

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য নাম। দেশপ্রেমের অনন্ত শক্তির উৎস তিনি। বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্ম চিন্তাচেতনা সবকিছু ছিল মানুষকে ঘিরে। মানুষের মুক্তির চিন্তায় যেমন উদ্গ্রীব ছিলেন তিনি, তেমনই সমাধানের পথও খুঁজেছেন বাস্তবতার নিরিখে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত- সর্বোপরি বাংলাদেশের প্রতীক। বিশ্বমানচিত্রে যে বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশের প্রতীক তিনি।

আজ জাতীয় শোক দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, এই বাংলার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট সাহাদতবরণকারী সব শহিদকে।

যাকে হারানোর বেদনা অমোচনীয়, তিনি কালে কালে হয়ে ওঠেন সব প্রেরণার উৎস। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুকে তিলে তিলে জয় করতে হয়েছিল দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর। সহ্য করতে হয়েছিল নিদারুণ নিপীড়ন। তারপরও সবকিছু সহ্য করে নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তিনি খুঁজেছেন মানুষের সার্বিক মুক্তির পথ। তার চিন্তাকে ঘিরে ছিল মানুষ আর মানুষের কষ্ট মোচনের ভাবনা। তার সুদূরপ্রসারী চিন্তাচেতনা আজও যেমন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, তেমনই ভবিষ্যতের জন্যও পথরেখা।

চিন্তাচেতনা, সাহসে, কর্মে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য। দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য কী কী চাই, এর সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তিনি তার ’৭০-এর নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় কর্মসূচি হিসাবে ২৮ অক্টোবর বেতার ও টেলিভিশনে সুদীর্ঘ লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন। আজ তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই বক্তব্যের কিছু কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। ‘পাকিস্তানের জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ এ প্রতিশ্রুতি দিতে পারে যে, তারা জনগণের পাশাপাশিই থাকবে, স্বৈরাচারী ও শোষকগোষ্ঠীর মোকাবিলার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে। কোনো জাতি কোনোদিনই আত্মাহুতি না দিয়ে মুক্তি ও ন্যায়বিচার পায়নি। তাই আজ আওয়ামী লীগ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলোকে জানিয়ে দিতে চায় যে, পাকিস্তানের জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের মোকাবিলা আওয়ামী লীগ অবশ্যই করবে। গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা বিঘ্নিত করা হলে আওয়ামী লীগ সব শক্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই আওয়ামী লীগের জন্ম আর সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের বিকাশ।...প্রকৃত প্রস্তাবে আমাদের গোটা কৃষিব্যবস্থাতে বিপ্লবের সূচনা অত্যাবশ্যক।...কৃষিব্যবস্থাকে অবশ্যই আধুনিকীকরণ করতে হবে।... অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমাদের বনজসম্পদ, ফলের চাষ, গোসম্পদ এবং নৌপ্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য অবিলম্বে একটি নৌগবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা প্রয়োজন।...বিপুলভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যাপকভাবে বিজলি সরবরাহ করতে না পারলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধিত হতে পারে না।...অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পরিবহণ ও যোগাযোগব্যবস্থা। যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা স্থাপনের বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই।...সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চেয়ে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর হতে পারে না।...জাতীয় উৎপাদনের শতকরা কমপক্ষে ৪ ভাগ সম্পদ শিক্ষা খাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কলেজ ও স্কুল, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে হবে। নিরক্ষরতা অবশ্যই দূর করতে হবে। পাঁচ বছর বয়স্ক শিশুদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার দ্বার সব শ্রেণির জন্য খোলা রাখতে হবে। দ্রুত মেডিকেল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দারিদ্র্য যাতে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবী ছাত্রদের অভিশাপ না হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।...চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এক করুণ পরিবেশ বিদ্যমান। আমাদের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ সামান্যতম চিকিৎসা সুযোগ থেকে বঞ্চিত। প্রতি ইউনিয়নে একটি করে পল্লি চিকিৎসাকেন্দ্র এবং প্রতি থানা সদরে একটি করে হাসপাতাল অবিলম্বে স্থাপনের দরকার। চিকিৎসা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ‘ন্যাশনাল সার্ভিস’ প্রবর্তনের প্রয়োজন। পল্লি এলাকার জন্য বিপুলসংখ্যক প্যারা মেডিকেল পার্সোনেলদের ট্রেনিং দেওয়া দরকার।...অর্থনীতির সর্বত্র মজুরি কাঠামো ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পুনর্বিন্যাস করতে হবে।...পরিশেষে বলতে চাই, জাতি হিসাবে আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ এসেছে-আমরা সাফল্যের সঙ্গে তার মোকাবিলা করবই।...আওয়ামী লীগ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আওয়ামী লীগ দেশবাসীর যে সমর্থন ও আস্থার অধিকারী হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস করি যে, ইনশাআল্লাহ আমরা সাফল্যের সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।’ (তথ্যসূত্র : দৈনিক আজাদ, ২৯ অক্টোবর, ১৯৭০)

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলার সব মানুষকে সেই স্বপ্নের ডাকে আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন। ফলে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর অনন্য নেতৃত্বের স্পর্শে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ নতুন করে জেগে উঠতে থাকে। এর একটি সুন্দর বিবরণ আমরা পাই ১৯৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণে। সেই ভাষণের অংশবিশেষ তুলে ধরছি-‘উনিশ শ একাত্তর সালের এই ডিসেম্বর আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের সমাপ্তি। একই দিনে আমাদের দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু। স্বাধীনতাসংগ্রামের চাইতেও দেশ গড়ার সংগ্রাম বেশি কঠিন। দেশ গড়ার সংগ্রামে আরও ত্যাগ, আরও বেশি ধৈর্য, আরও বেশি পরিশ্রম দরকার।...এর আগে কী নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম? চারদিকে অসংখ্য নরকঙ্কাল, বুদ্ধিজীবীর লাশ, বীরাঙ্গনা মা ও বোনের হাহাকার, অচল কলকারখানা, থানা, আইন-আদালত পর্যন্ত বিধ্বস্ত, ব্যাংকে তালা, ট্রেজারি খালি, রেলের চাকা বন্ধ, রাস্তা-ব্রিজ ধ্বংস, বিমান ও জাহাজ একখানাও নাই। যুদ্ধের জন্য অনেক খেতে ফসল বোনা সম্ভব হয়নি। পাট ঘরে ওঠেনি। নৌকা স্টিমার, লঞ্চ, বাস, লরি, ট্রাকের শতকরা সত্তর ভাগ হয় নষ্ট, না হয় অচল। অনেকের হাতে তখন অস্ত্র। তাদের মধ্যে আছে বহু দুষ্কৃতকারী। আমাদের প্রয়োজনীয় সৈন্য ছিল না। পুলিশ ছিল না। জাতীয় সরকারে কাজ চালাবার মতো দক্ষ অফিসারও ছিল না। তখন পাকিস্তানে বন্দি কয়েক লাখ বাঙালি। ভারত থেকে ফিরে আসছে প্রায় এক কোটি বাঙালি উদ্বাস্তু, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদারের অত্যাচারে দেশ ত্যাগ করেছিল। তখনই দরকার এদের জন্য রিলিফ আর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। ক্ষুধার্ত বাঙালিকে বাঁচানোর জন্য চাই অবিলম্বে খাদ্য। ওষুধ চাই। কাপড় চাই। চারদিকে এই চাই চাই আর নাই নাই-এর মধ্যে আমাদের যাত্রা শুরু। উনিশ শ একাত্তর থেকে উনিশ তিয়াত্তর। সময়ের হিসাবে মাত্র দুই বছর। এই দুবছরে আমরা কী পেয়েছি আর কী পাইনি, আজ তারও খতিয়ান এবং আত্মবিশ্লেষণের দিন। আমি বড় দাবি করি না। আমরা কোনো ভুল করিনি বা কোনো কাজে ত্রুটি হয়নি এমন কথাও বলি না। শুধু অনুরোধ করব, আপনাদের চারপাশে পৃথিবীর আরও অনেক দেশের ইতিহাসের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন। আমেরিকা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। এই আমেরিকাকেও স্বাধীনতা লাভের পর দুই দুটি গৃহযুদ্ধের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আজকের অবস্থায় পৌঁছাতে আমেরিকার সময় লেগেছে প্রায় একশ বছর। সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতন্ত্রী অর্থনীতি গড়ে তুলতে ত্রিশ বছর প্রত্যেকটি মানুষের একটানা কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হয়েছে। সোভিয়েত বিপ্লবের পর প্রথম পাঁচ বছরে দুর্ভিক্ষে মারা গেছে অসংখ্য লোক। আমাদের প্রতিবেশী মিত্ররাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে এখনো চলছে গরিবি হটাও আন্দোলন।

দুর্ভিক্ষে যাতে মানুষ না মরে চেষ্টা করেছি। ভিক্ষা করে হলেও বিদেশ থেকে খাদ্য এনেছি। বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল ছিল খালি। তবু পরণের কাপড়, রোগের ওষুধ আমদানির চেষ্টা করেছি। এক কোটি উদ্বাস্তুকে ছমাসে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে যতটা সম্ভব রিলিফ পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম সময়ে ভাঙা রাস্তা, রেলব্রিজ মেরামত করা হয়েছে। পাকিস্তানিরা যে ভৈরব সেতু ভেঙে বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা খতম করতে চেয়েছিল, তা আবার তৈরি করা হয়েছে। আমি জানি না, রক্তাক্ত বিপ্লবের পর পৃথিবীর আর কোনো দেশে সঙ্গে সঙ্গে গণতান্ত্রিক শাসন চালু করা হয়েছে কি না। আমার জানা মতে হয়নি। বাংলাদেশে তা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিপ্লবের এক বছরের মধ্যে সংবিধান তৈরি করেছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে। ভোট দেওয়ার বয়স একুশের বদলে আঠারো বছর করে ভোটাধিকারের সীমানা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের নিজস্ব বিমান এখন উড়ছে দেশ-বিদেশের আকাশে। তৈরি হয়েছে নিজস্ব বাণিজ্যিক জাহাজ বহর। বিডিআর সীমান্ত পাহারায় নিযুক্ত। স্থলবাহিনী মাতৃভূমির ওপর যেকোনো হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুত। গড়ে উঠেছে আমাদের নিজস্ব নৌ ও বিমানবাহিনী। থানা ও পুলিশ সংগঠনের যে শতকরা ৭০ ভাগ পাকিস্তানি হানাদারেরা নষ্ট করেছিল, এখন আবার তা গড়ে উঠেছে। পাকিস্তানের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মধ্যে পৃথিবীর অধিকাংশ সংস্থা, এমনকি বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলেরও আমরা সদস্য। তাতেই প্রমাণিত হয়, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আজ বাংলাদেশের পাশে।’ (সূত্র : মূলধারার রাজনীতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬, পৃ. ৪৫২-৪৫৫, হারুন-অর-রশিদ)

স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ চরম দরিদ্র দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশের পথে পা বাড়াতে সক্ষম হয়। কিন্তু ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তব রূপায়ণকে স্তব্ধ করে দেয়। সত্যের জয়কে প্রলম্বিত করা যায়, কিন্তু ঠেকিয়ে রাখা যায় না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বে দেশ সুদৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এক বিস্ময়ের নাম। ছোট ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে ১৭ কোটি মানুষের বসবাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল দেশ। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ থেমে থাকার নয়।

সিমিন হোসেন রিমি : জাতীয় সংসদ সদস্য, লেখক ও সমাজকর্মী

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম