দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব শ্রেণী-পেশার লোকজন প্রতিদিন কর্মের আশায়, শিক্ষার আশায়, চিকিৎসার আশায় ঢাকায় আসছে। সহায়-সম্বলহীন মানুষ আসছে; আবার সহায়-সম্বল বিক্রি করেও অনেকে আসছে। উন্নত জীবনের হাতছানি তাকে টেনে নিয়ে আসছে। ভাগ্য ফেরার আশায় এসে ভাগ্য বিড়ম্বিত হয়েও ঢাকাতেই থাকছে।
ঢাকা মহানগরীর প্রতি বর্গকিলোমিটারে পঞ্চাশ হাজারের বেশি লোকের বসবাস। World Economic Forum-এর বর্ণনামতে পৃথিবীর ১০টি সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ শহরের মধ্যে ঢাকা শীর্ষে। ওই শহরগুলোর মধ্যে ছয়টির অবস্থান এশিয়া মহাদেশে।
ঢাকার লোকসংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ‘ঢাকা শহর আইসা যার আশা পুরাইছে’, ‘লাল লাল, নীল নীল বাতি দেইখা’ যার নয়ন জুড়ায় সে তো থাকছেই আবার ‘ঢাকা শহর দেখতে এসে ঘুরছি গোলক ধাঁধায়, চলতে পথে হোঁচট’ লাগা ব্যক্তিটিও কিন্তু ঢাকাতেই থেকে যাচ্ছে। এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায় সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু যেহেতু ঢাকা, সেহেতু এখানে মানুষকে আসতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৭৪ সালে ৪০ বর্গকিলোমিটার ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ, ২০১৭ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখে।
ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। নাগরিক সুবিধাগুলো বর্ধিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগাভাগি করতে গিয়ে বহুবিধ নিত্যনতুন সমস্য সৃষ্টি হচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফলশ্রুতিতে সামাজিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে কোটির অধিক জনসংখ্যার এ মহানগরীতে সবাইকে ঘড়িরকাঁটা ধরে নাগরিক সেবা ও শৃঙ্খলা প্রদান একটু কঠিন বৈকি।
ঢাকা শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব কমাতে পারলে নগরবাসী সবদিক দিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বসবাস করতে পারবে। এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থায় সবকিছুর জন্যই মানুষকে ঢাকামুখী হতে হচ্ছে। চাকরির জন্য, শিক্ষার জন্য, সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার জন্য, দাফতরিক মিটিংয়ের জন্য, ব্যবসার জন্য, ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য, প্রাইভেট কোম্পানির কর্তাব্যক্তির নির্দেশনা নেয়ার জন্য সবাইকে ঢাকায় আসতে হচ্ছে। পাশের দেশ ইন্ডিয়ায় রাজধানীর অনেক লোক চিকিৎসার জন্য চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছে, আমাদের এখানে চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে তো কেউ দেশের অন্য শহরে যাচ্ছে না। সিনেমার হিরো হওয়ার জন্য রাজধানী ছেড়ে মুম্বাই বা হলিউড যাচ্ছে, আর আমাদের দেশে সবকিছুর জন্যই তাকে ঘুরেফিরে রাজধানীতেই আসতে হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই সব শ্রেণী-পেশার লোককে সব ধরনের কাজ বা ফয়সালার জন্য এত ব্যাপকভাবে রাজধানীমুখী হতে হয় না।
ঢাকাতে ‘শ্বাস নিতে কষ্ট, নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট, ঢাকার পরিবেশ নিকৃষ্ট, মানুষের বসবাসের অযোগ্য, ঢাকায় মানুষ থাকে না’। এ ধরনের অজস্র অপবাদ দিয়েও ঢাকার মোহ ছেড়ে কেউ অন্যস্থানে থিতু হয়েছে; সে পরিসংখ্যান কিন্তু তেমন নেই বললেই চলে। মানুষ ঘুরে-ফিরে ঢাকায় আসছে, ঢাকার সঙ্গে বিনিসুতোর মালাবদল করছে, চলে যেতে চাইলেও অদৃশ্য মোহ তাকে আরও আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে নিচ্ছে। গ্রামের বসতবাড়ি, প্রাচীর ঘেরা বাগান, শান বাঁধানো পুকুর ছেড়ে দু’রুমের খুপরি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসকে আভিজাত্য, কৌলিণ্য ও উন্নত জীবনের প্রতীক হিসেবে ধরে নিয়েছে। বাংলাদেশ তো কল্যাণকামী রাষ্ট্র, এ দেশের যে কোনো নাগরিক যে কোনো অঞ্চলে বসবাসের অধিকার রাখে।
ফলে আমরা কারও ঢাকায় থাকাকে নিবৃত্ত করতে পারি না। নগরে বসবারের জন্য কঠিন শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ করতে পারি না। তা হলে উপায় কী? ঢাকাকে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর চাপ থেকে মুক্তি দিয়ে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে হলে মানুষের রাজধানীতে আসার কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। রাজধানীতে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো অন্যান্য দু-চারটা শহরেও ছড়িয়ে দিতে হবে। রাজধানীর সমতুল্য আরও শহর গড়ে তুলতে হবে। যেসব দফতর-অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের অবস্থান ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য শহরে আরও বেশি মানানসই সে দফতরগুলোকে ঢাকা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় চেষ্টা করা হয়েছে, সরকারি পর্যায়ে আলোচনাও হয়েছে; কিন্তু খুব একটা আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি।
ছোট ছোট অনেক ধরনের সরকারি-বেসরকারি অনুমোদনের জন্য মানুষকে ঢাকামুখী হতে হচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ধাপ কমিয়ে বিভাগ, জেলা বা স্থানীয় পর্যায়ে প্রদান করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি-ছাটা এবং অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এখন অবশ্য স্থানীয় পর্যায়ে প্রদান করা হয়েছে; যা পুরোপুরি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি দফতরকে ইন্ডিপেনডেন্ট এবং আন্তঃদফতর নির্ভরশীলতা যতদূর সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
ঢাকা নগরী বা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ঢাকার অভ্যন্তরে নিন্মাঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত যথেষ্ট পরিমাণের জায়গা অনেকটা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আমিনবাজার, বনগাঁও এলাকায় রাস্তার দু’ধার, আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া, গাবতলী থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধমুখী বেড়িবাঁধ, আমিনবাজারের কাউন্দিয়া এলাকা, মিরপুরের মাজার রোড থেকে সাভারের বিরুলিয়ার পাশ দিয়ে ধৌড় হয়ে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত ব্যাপক বিস্তীর্ণ এলাকায় ইটভাটা ও রেডিমিক্সের কারখানা ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ে না। ওই জায়গাগুলো দিনের পর দিন এভাবে ফেলে রাখা ঘনবসতির নগরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, ইটভাটা ও বর্ষাকালে পানি ধরে রাখার জন্য আমরা কতকাল ওই জায়গাগুলো এভাবে আগলে রাখব?
সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে না গিয়েই বলা যায়, ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে পরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন, ঢাকার মধ্যে বেদখলকৃত ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার, ঢাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর সংস্কার, ঢাকার অভ্যন্তরের সব খালকে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করে। তাহলে ঢাকার আশপাশের নিন্মাঞ্চলগুলো উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার উপযোগী হবে। এতে অঙ্কের হিসেবে জনঘনত্ব হয়তো কমবে না; কিন্তু মানুষের দম ফেলার জায়গা একটু হলেও বাড়বে।
১৯৭৫ সালে ফিলিপাইনে, রাজধানী ম্যানিলা ও তার পার্শ্ববর্তী ১৬টি শহর ও একটি মিউনিসিপ্যালিটি নিয়ে রাজধানীর ক্রমবর্ধিত জনসংখ্যাকে ধারণ করার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যানিলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (এনসিআর) নামেও পরিচিত। মেট্রো ম্যানিলার অন্তর্ভুক্ত শহরগুলোর মধ্যে ক্যাজন, মাকাতি, ম্যারিকিনা, সানজুয়ান অন্যতম। এনসিআরের আয়তন ৬১৯.৫৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ত্রিশ লাখ। এ রিজিওন ফিলিপাইনের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, গবেষণা, বিনোদন ও শিল্পকলার পীঠস্থান। কাগজে-কলমে ম্যানিলা ফিলিপাইনের রাজধানী হলেও সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো সমগ্র মেট্র্রোম্যানিলাজুড়ে বিস্তৃত।
কয়েক বছর আগেও মিরপুর, উত্তরার লোকজন শহরের দিকে এলে বলত- ‘ঢাকা যাচ্ছি’। ষাট-সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা ছিল প্রধানত লালবাগ, হাজারীবাগ, চকবাজার, বংশাল, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুরের মধ্যে সীমাবদ্ধ, ওয়ারী ছিল ঢাকার সবচেয়ে শরিফ আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা বলতে বোঝানো হতো শাঁখারিবাজার, লক্ষ্মীবাজর, তাঁতিবাজার, কুমারটুলী, পাটুয়াটুলী এলাকাকে। ১৯৫৬ সালে ডিআইটি প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭ বছর আগে ১৯৪৯ সালে ৫০০ একর জমি নিয়ে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা এবং ১৯৬০-এর শেষের দিকে উত্তরা মডেল টাউন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ধানমণ্ডি ও উত্তরা পরিপূর্ণ অবয়ব পায় যথাক্রমে ৭০ এবং ৯০-এর দশকে। প্রায় ২০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও পূর্বাচল ঢাকাবাসীর জন্য এখনও বৈকালিক মৃদু সমীরণ সেবন ও ‘রথ দেখা ও কলা বেচা’র মতো দেশি মুরগির ডিম ও কলার মোচা কেনা ব্যতীত অন্য কোনো উপযোগিতা সৃষ্টি করতে পারেনি।
‘৪৭-এ দেশ ভাগের পর উত্তরা, পূর্বাচল পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে প্রায় ৭০ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। জনঘনত্ব গিয়ে ঠেকেছে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ হাজারের ওপর। আমরা ঢাকামুখী জনস্রোতকে বাসযোগ্য বিকল্প এলাকা জোগান দিতে এবং ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে ধারণ করার জন্য ঢাকাকে প্রস্তুত করতে পারিনি, তা সহজেই অনুমেয়।
প্রশ্ন হল ঢাকা এখন স্বাভাবিক গতিতে যেভাবে বাড়ছে, সেভাবেই চলবে? তা হলে তো প্রতিনিয়ত ঢাকার জনঘনত্ব বাড়তে থাকবে, তাহলে উপায় কী? আমরা ম্যানিলার মতো ঢাকার সীমানাঘেঁষা জেলাগুলো যেমন- গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জকে অঙ্গীভূত করে মেট্রো ঢাকা তৈরির বিষয়টি ভাবনায় রাখতে পারি। যেহেতু স্বাভাবিক গতিতে ঢাকার যে সম্প্রসারণ হচ্ছে সেটা নিয়ত বর্ধিত জনগোষ্ঠীকে ধারণ করতে পারছে না; সেহেতু উপরোক্ত অঞ্চলগুলো নিয়ে মেট্রো ঢাকা বা বৃহত্তর ঢাকা বা যে কোনো নামে যে কোনো ব্যবস্থাপনাতেই হোক না কেন, ঢাকাকে একটু বড় করা দরকার। এতে ঢাকার ধারণক্ষমতা বাড়বে, উল্লেখিত অঞ্চলগুলোতে বসবাস করেও যে কেউ বলতে পারবে সে ঢাকার বাসিন্দা; এতে সে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি পাবে। এ প্রশান্তির মূল্যমান কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।
কোনো দেশের উন্নতির মাত্রা নির্ধারণের জন্য যেমন জিডিপি, জিএনপি পরিমাপ করা হয়, তেমনি এখন ভুটানের রাজা জিগমে সিঙে ওয়ানচুকের প্রবর্তিত গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেসও একটি ইন্ডিকেটর। তাই পৃথিবীর দেশে দেশে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে জনগণের সুখের মাত্রা নির্ধারণের গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। মেট্রো ঢাকার আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, গণপূর্ত, জনপথ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ বিতরণ, জনসেবা ও উন্নয়নসংশ্লিষ্ট কাজের তদারকি ও সমন্বয়ের ভার নতুনভাবে তৈরি কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পণ করা যায়।
উপরে আলোচিত মেট্রোপলিসের প্রতিটি অঞ্চল পরস্পরের সঙ্গে সড়ক পথের সঙ্গে সংযুক্ত। ঢাকা শহরে দ্রুতগতির যে বিআরটি চালু হচ্ছে তা বর্ণিত মেট্রোপলিসের সব অঞ্চলে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। কমিউটার ট্রেন ও ডেমু ট্রেন চালু করে প্রতিটি অঞ্চলকে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করা যেতে পারে। পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত এ অঞ্চলের নদীগুলোর সংস্কার ও খননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে পুরো মেট্রোপলিসকে পানি পথে সংযুক্ত করে গণযাতায়াতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করা যেতে পারে। গণযোগাযোগ ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন বর্ণিত অঞ্চলের যে কোনো দূরবর্তী প্রান্তকে বাস বা ট্রেনে দেড়-দু’ঘণ্টার যাত্রাপথে পরিণত করা যায়। তাহলে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান অনায়াসে অন্য স্থানে স্থানান্তর সম্ভব।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, দাফতরিক কার্যক্রম ও সর্বোপরি ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর জন্য দেশের সব প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে। এ জনস্রোতকে আমরা বিকল্প গন্তব্যের দিশা দিতে পারিনি, ফলশ্রুতিতে বেড়েই চলেছে ঢাকার জনঘনত্ব। তাই মানুষের দম ফেলার জায়গাটাকে আরও একটু বাড়ানোর জন্য হোক না ঢাকা একটু বড়।
সালাহ্উদ্দিন নাগরী : সরকারি চাকরিজীবী, snagari2012@gmail.com