নিজ ভাষাচর্চার অধিকার মানবাধিকার

এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মানবাধিকার। প্রতীকী ছবি
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালে প্রথম সিদ্ধান্তে আসে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করবে। সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর তা কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগে। এভাবে ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ববাসী মানবাধিকার দিবস পালন করে আসছে।
আসলে মানবাধিকার প্রশ্নে বিশ্ববাসীর রাজনৈতিক, নাগরিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
এ বছর মানবাধিকার দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- মানুষের সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় প্রত্যেক জাতির নিজ ভাষা সংরক্ষণ ও গভীরভাবে অনুধাবন করা। আমরা প্রত্যাশা করব, ভিন্ন ভাষার আগ্রাসী বিস্তারের হাত থেকে প্রত্যেক জাতি নিজ নিজ ভাষার সুরক্ষা যেন করতে পারে।
মানবাধিকার দিবসের এমন প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আমি গভীরভাবে নিজেকে অনুধাবনের চেষ্টা করি। একটি প্রচলিত কথা আমরা সবাই জানি, বাঙালি জাতি ও বাংলাভূমিকে লক্ষ করে গ্রিক বীর আলেকজান্ডার নাকি তার সেনাপতি সেলুকাসকে বলেছিলেন, ‘হায় সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ।’ আমি জানি না, এ কথার সত্যাসত্য কী।
আমি আমার সাধ্যে গ্রিক সূত্র খুঁজে এ কথার সমর্থনে তেমন কিছু পাইনি। তবে এ তথ্যটি পাওয়া যায় পাঞ্জাব জয় করার পর আলেকজান্ডার সেলুকাসকে পাঠিয়েছিলেন পূর্ব ভারত অর্থাৎ বাংলা জয় করতে।
কিন্তু ব্যর্থতা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল সেলুকাসকে। এ সূত্রেই হয়তো অমন জনশ্রুতি তৈরি হয়েছিল। তবে মানবাধিকার দিবসে এবারের প্রতিপাদ্যের দিকে তাকিয়ে ভাষা প্রশ্নে আমাদের বিচিত্র আচরণের কারণে একটি শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এটি ভালো দিক যে, আমাদের দেশের নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যাদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা রয়েছে, সরকারের শুভদৃষ্টির কারণে তাদের ভাষায় বইপত্র প্রকাশ করে তা চর্চার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে নিজ নিজ অঞ্চলের স্কুলগুলোতে।
এভাবে নিজস্ব ভাষা সংরক্ষণের একটি সুযোগ দৃশ্যমান হয়েছে। দুটো দিক থেকে আমরা এ সময় বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে আছি। একটি বাংলা ভাষার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ এবং প্রজন্মের সামনে বাংলা ভাষার গুরুত্বকে ফিকে করে দেয়া; আর অন্যটি ভাষা দিবসে বিশ্ববাসীর সামনে ভুল ধারণা পৌঁছে দেয়া।
একটি জাতির সাংস্কৃতিক শক্তির বড় বাহন ভাষা। এগারো শতকের মাঝপর্বে বিদেশাগত সেন রাজারা বুঝেছিলেন ভাষার শক্তি কত বড়। পাল রাজাদের সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুবাদে কর্নাটকের সেনরা বাংলায় আসে। এক সময় এরা বলপূর্বক বাংলার রাজদণ্ড কেড়ে নিয়েছিল।
তাই প্রতিবাদী বাঙালির প্রতিরোধ আশঙ্কায় শাসকরা ছিল শঙ্কিত। এরা চেয়েছে নতুন প্রজন্মের বাঙালিকে ঐতিহ্য ভোলাতে। তাই এরা বাংলা ভাষার ওপর আঘাত হানে। শূদ্র বাঙালির জন্য লেখাপড়া নিষিদ্ধ করে দেয়। একই কাজ পাকিস্তানি শাসকরাও করেছে।
তাদের লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করা। তারাও ভয় পেয়েছে সচেতন বাঙালিকে। তাই প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ভোলাতে তৎপর হয়। চাপিয়ে দিতে চায় উর্দু। ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত এখান থেকেই। নিজ ভাষার শক্তিই আলাদা। এ দেশের বিহারিরা তো পাকিস্তানি নয়।
মুক্তিযুদ্ধে এদের বাঙালিকেই সমর্থন করার কথা। শুধু ভাষাগত ঐক্য থাকায় এরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে থেকে পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মেলায়। ভাষার জন্য বাঙালির লড়াই শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি।
কিন্তু আমরাই কি ভাষা আন্দোলনের মর্যাদা রাখতে পেরেছি? সরকারি ব্যবস্থাপনায় আমরা ২১ ফেব্রুয়ারির অনন্য ক্ষণ প্রভাতফেরিকে বিসর্জন দিয়ে প্রায় বিনা প্রতিবাদে মধ্যরাতকে একুশের প্রথম প্রহর গুনতে শিখেছি। এতে নিজ ভাষা ও ভাষা আন্দোলনের মাহাত্ম্য যে খাটো হয়ে যাচ্ছে, এ সত্যটি রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মী সবাই ভুলতে বসেছি।
সব দেশেই বিভিন্ন অঞ্চলে নানা উপভাষা থাকলেও প্রমিত ভাষা দেশটিকে প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশে অনেক বেশি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। জেলায় জেলায় রয়েছে ভাষাবৈচিত্র্য। এসব আঞ্চলিক ভাষা রক্ষা করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি সব আঞ্চলিক ভাষার মেলবন্ধন ঘটিয়ে প্রমিত ভাষায় বাঙালির ভাষাকে মার্জিত রূপে রক্ষা করাও জরুরি।
কিন্তু আমাদেরই বিভ্রান্তির কারণে প্রমিত বাংলাকে অচেনা করে দিচ্ছি প্রজন্মের কাছে। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলাতে এখন প্রমিত ভাষায় নাটক হয় না বললেই চলে। নাটকের ভাষা এখন আঞ্চলিক ভাষায় বন্দি হয়ে গেছে। প্রমিত ভাষা না থাকলে যে নানা আঞ্চলিক ভাষার যোগসূত্র থাকে না, তা এসব নাটক নির্মাতা ও সম্প্রচারকরা বুঝতে চান না।
নিজ ভাষার সংকট তৈরি হয় বিদেশি ভাষার অনুপ্রবেশ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার কারণে। বাংলা ভাষা- যার মূল মাটির অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত- পৃথিবীর ঐশ্বর্যশালী ভাষার সঙ্গে যে ভাষা তুলনীয়, যে ভাষায় সাহিত্যচর্চা শুরু হয়েছে ৯-১০ শতকে, ১৪ শতক থেকে যে ভাষায় প্রবলভাবে সাহিত্যচর্চা হয়েছে, সে ভাষার পরিচর্যা কি এখন আমরা সেভাবে করছি?
এ ভাষা ব্যবহার করে কি আমরা সেভাবে গর্বিত হই? বাংলা ভাষার ঐতিহ্য দৃঢ়মূলে প্রোথিত বলেই এর অন্তঃসলিল শক্তি অমন প্রবল ছিল; যে কারণে বাঙালি তরুণ ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত দিতেও দ্বিধা করেনি। অথচ আজ বাংলা ভাষা লাঞ্ছিত হচ্ছে আমাদের হাতেই।
ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন আশ্রিত যেসব দেশ ছিল, সেগুলো বাদ দিলে পৃথিবীর অধিকাংশ উন্নত দেশ নিজ ভাষাচর্চাকেই প্রাধান্য দিয়েছে। অথচ এ দেশে এখন সামান্য অর্থবিত্ত থাকলেই সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়িয়ে বাংলা ভুলিয়ে দিচ্ছি। বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি বাঙালির উজ্জ্বল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে।
অন্যদিকে এ দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একুশের চেতনাকে অস্বীকার করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়া বাধ্যতামূলক করেছে। আমি দেশের সেরা এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝেমধ্যে দু-চারজন বাঙালি ছাত্রছাত্রী দেখি, যারা অনেক কষ্টে বাংলা বলতে পারলেও পড়তে এবং লিখতে পারে না।
একজন শিক্ষিত সচেতন মানুষের ইংরেজির মতো অন্য ভাষা জানাটা ভালো। তবে ইংরেজি জানার জন্য ইংরেজি মাধ্যমে পড়া আবশ্যিক নয়। বাংলা মাধ্যমে পড়া বাঙালি ছাত্র তার কারিকুলামে যেটুকু ইংরেজিচর্চা করে, তা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে অচিরেই ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার মতো যোগ্যতা রপ্ত করে নিতে পারে। নিজ ভাষাচর্চায় দক্ষ হলে দ্রুত অন্য ভাষা রপ্ত করা কঠিন নয়।
চীন-জাপানের মতো দেশ নিজ ভাষাচর্চায় দৃঢ় থেকেই তো আজ অনেককে ডিঙিয়ে অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। ঐতিহ্যিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বিচারে জাপান তো আমাদের অনেক পরে যাত্রা শুরু করেছে।
গ্রিস এবং রোমকে বাদ দিলে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ আমাদের অনেক পরে গ্রামীণ সংস্কৃতির বিলোপ ঘটিয়ে নাগরিক জীবনের যাত্রা শুরু করেছিল। এখন তো স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ ভাষা না জানলে আমাদের মতো দেশের মানুষের পশ্চিম ইউরোপে চলা মুশকিল।
ওসব দেশের কেউ ইংরেজি বলবে না, সাইনবোর্ডে বা খাবারের প্যাকেট কোথাও ইংরেজির ব্যবহার নেই। প্যারিসে ল্যুভর মতো বিশ্বখ্যাত জাদুঘরেও কোনো প্রত্নবস্তুর পরিচিতিতে একবর্ণ ইংরেজি নেই।
আমি একবার প্যারিসে যে হোটেলে ছিলাম, সেখানকার একজন ফরাসি ম্যানেজারকে প্রশ্ন করেছিলাম- স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, রোম কোথাও ইংরেজির ব্যবহার লক্ষ করিনি। ইংরেজি ব্যবহার না করার পক্ষে আপনাদের এমন শক্ত অবস্থান কেন?
তিনি একটি চমৎকার উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই যে আমাদের দেশকে আপনারা উন্নত দেশ বলেন- এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে আমাদের নিজ ভাষাচর্চার কারণে। ভাষাচর্চার মাধ্যমে আমাদের জাতি নিজ সংস্কৃতির ঐশ্বর্য জেনে শক্তি পায়। দেশাত্মবোধ তৈরি হয়।
এভাবেই আমরা অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিতে সবল হয়েছি। আজ যদি ইংরেজির মতো বিদেশি ভাষাকে এ দেশে অনুপ্রবেশ করার সুযোগ দেই তাহলে আমাদের সংস্কৃতিচর্চা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তেমন হলে আমাদের অগ্রগতির ধারাকে আর ধরে রাখতে পারব না।
মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য এসব কারণেই সম্ভবত নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি জাতির সার্বিক অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে সব মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ সৃষ্টির বিকল্প নেই। আর দেশাত্মবোধ তৈরি হয় নিজের সভ্যতা-সংস্কৃতি অর্থাৎ ঐতিহ্য চর্চার মাধ্যমে।
এসব চর্চার বাহন হচ্ছে ভাষা। এ কারণে এগারো শতকে সেন রাজা আর বিশ শতকে পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের বাংলা ভাষাচর্চা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল।
দুর্ভাগ্য এই, বাহ্যত আমাদের কেউ এখন আর ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চা ভোলাতে চেষ্টা করছেন না; কিন্তু আমরাই অবজ্ঞা করছি আমাদের ভাষা। এতটাই আমাদের চেতনা নিুগামী যে, নিজ পুত্র-কন্যার বিয়েতে আত্মীয়-বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করছি ইংরেজি ভাষায় দাওয়াতপত্র ছাপিয়ে।
ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমার মধ্যে একটি আশঙ্কা কাজ করে। বাংলাদেশ এখন স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। স্বাধীনতাও অর্জন করেছি অর্ধশতক হয়ে গেল। তবুও কেন নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার বদলে ইংরেজি চর্চার জন্য একে একে পথ তৈরি করে দিচ্ছি।
এদেশে আঠারো শতকের মাঝপর্বে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে প্রশ্ন উঠেছিল, দাফতরিক ভাষা কী হবে! বুদ্ধিমান ইংরেজরা বুঝেছিল, বহু ভাষার দেশ ভারতে ইংরেজি চাপিয়ে দিলে চারদিক থেকে প্রতিবাদ উঠতে পারে। তাই দীর্ঘদিন ব্যবহৃত ফারসিকেই রাজভাষা করে দিল।
তারা বুঝতে পেরেছিল, একদিন এ দেশের মানুষই ইংরেজি চেয়ে নেবে। তাই ঘটল ১৮৩৫ সালে। ওরা ফল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে জানে। এখন তো মনে হয় একইভাবে প্রজন্মকে বাংলার সংস্কৃতি ভোলাতে পশ্চিমাশক্তি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। আমাদের ওপর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন আছে।
বঙ্গোপসাগরে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করে দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন এমন একটি বাঙালি প্রজন্ম, যারা ইংরেজি চর্চার মধ্যে আটকে থেকে নিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ভাষা এমন এক শক্তি, যে ভাষা প্রধান হিসেবে রপ্ত করি; সে ভাষার উৎসভূমি আপন হয়ে যায়।
এই উদ্দেশ্যেই তো পাকিস্তানি শাসকরা বাংলা ভুলিয়ে উর্দু শেখাতে চেয়েছিল। আমার ধারণা, পশ্চিমাশক্তি নিজেদের সুপ্ত উদ্দেশ্য কার্যকর করতে সংগোপনে ইংরেজি ক্রেজ তৈরি করে দিল। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের ছড়াছড়ি হল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি মাধ্যম আবশ্যিক করা হল।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও এ আসর যে পড়ছে না, তা-ও নয়! ওরা বিশ্বাস করে, এভাবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ভোলা বাঙালি প্রজন্ম যেদিন দেশ ও সমাজ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে, সেদিন এদের দিয়ে অতি সহজেই উদ্দেশ্য সিদ্ধি করে ফেলতে পারবে।
একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারক বাঙালিকে ভাষা ভুলিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের মৌলিক অধিকারকেই লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এখান থেকে নিজেদের মুক্ত করতে এমন দিবস তর্পণ শক্তি জোগাতে পারে।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnawaz7b@gmail.com