এই স্মৃতি ভোলার নয় কখনও
লে. কর্নেল এটিএম মহিউদ্দিন সেরনিয়াবাত (অব.)
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন স্বজনরা। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দশ বছর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সবুজ গাছপালা বেষ্টিত পিলখানায় ঘটেছিল ইতিহাসের বর্বর, নৃশংস হত্যাকাণ্ড। যেখানে ঝরে পড়েছিল ৭৪টি জীবন। এর মধ্যে ৫৮ জন ছিলেন সেনাবাহিনীর অফিসার; যাদের প্রায় সবাই এককালে আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, যেন আত্মার আত্মীয়।
প্রতিবছর ক্যালেন্ডারের পাতায় ২৫ ফেব্রুয়ারি উপস্থিত হলে স্মৃতির পর্দায় ভেসে ওঠে সেসব চৌকশ সহকর্মীর পরিচিত মুখ, রক্তাক্ত দেহ, যেন ক্ষুব্ধ আগুন চোখ। আমার বুকটা ভারী হয়ে আসে। কী অপরাধ ছিল তাদের? কেন অকালে তাদের জোর করে কবরে ঠেলে দেয়া হয়েছিল!
সেদিন ছিল বুধবার; বসন্তের সুন্দর সকাল। স্থান পিলখানা বিডিআর সদর দফতর। ১৭৯৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তত্ত্বাবধানে রামগড়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও ভূতপূর্ব সীমান্ত রক্ষীর সদর দফতর পিলখানায় স্থানান্তরিত হয় ১৭৯৯ সালে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষীর উত্তরাধিকার এ বিডিআরের কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাত্র ৪৮ দিন আগে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রথম স্বাগত ও আপ্যায়নে যেন বিন্দুমাত্র কমতি না হয়, সে জন্য সর্বস্তরে ছিল উৎসাহ ও সর্বোচ্চ প্রয়াস। প্রস্তুতির প্রায় এক মাস কঠোর পরিশ্রমের পর সবার মাঝে, বিশেষত অফিসারদের আজ একটু ফুরফুরে ভাব।
ইংরেজিতে রিল্যাক্স মুড। বিশাল এ দরবার হলে পিলখানায় পোস্টেড ছাড়াও উপস্থিত আছেন ঢাকার বাইরে থেকে গতকালের কুচকাওয়াজ উপলক্ষে সংযুক্ত অফিসার ও বিডিআর জওয়ান। কিছুক্ষণ আগে ডিজি মহোদয় উপস্থিত হওয়ার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দরবারের সূচনা।
এরপর, মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বক্তব্য শুরু করা মাত্র অস্ত্র উঁচিয়ে দুজন সৈনিক কোত্থেকে যেন আজরাইল রূপে হাজির। তন্মধ্যে একজন ঊর্ধ্বমুখে এক রাউন্ড গুলি ফায়ার করা মাত্র সব সৈনিক কী যেন ধ্বনি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। সম্ভবত এগুলোর শব্দই পূর্বনির্ধারিত সবুজ সংকেত- এমনটি হয়তো অনেকেরই জানা ছিল।
তারা হুড়মুড় করে দ্রুত দরবার হল ত্যাগ করে। কয়েকজন অফিসার তাদের পিছু নিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও কে শোনে কার কথা! এতদিন যে অফিসাররা সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে বিডিআরকে জেনে এসেছে, তাদের এমন আচরণে তারা হতবিহ্বল, কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তারা কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।
অফিসাররা কাচের জানালা দিয়ে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন সৈনিকদের অনেকের হাতেই অস্ত্র। তারা ছোটাছুটি এবং অন্যদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ড্রয়ের জন্য চিৎকার করছে। এদের কারও কারও মাথায় হেলমেট, কাপড়ের পট্টি, কিংবা মুখোশ। যুদ্ধংদেহী এক বিশৃঙ্খল অবস্থা। এরই মধ্যে কাছেই কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ।
বুঝতে বাকি রইল না যে, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করে নেয়া আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করে এরা বিদ্রোহ করেছে। এতক্ষণের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি আতঙ্কে রূপ নিল। কয়েকজন অফিসার আত্মরক্ষার্থে পাশের রন্ধনশালা, বাথরুমে আশ্রয় নিলেও অধিকাংশই দরবার হলে ডিজি মহোদয়কে ঘিরে আছেন।
যেন কেউ তাকে অসম্মান করতে না পারে। এমন সময়ে সশস্ত্র সৈনিকদের একটি দল অশ্রাব্য ভাষায় চিৎকার করতে করতে দরবার হলে ঢুকে পড়ল। তারা অস্ত্রের নলের মুখে সব অফিসারকে এক লাইনে বের করে নিয়ে আসে। অফিসাররা হেঁটে দরবার হলের গেট অতিক্রম করা মাত্র খুব কাছ থেকে বেশ কটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র গর্জে উঠল।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝাঁকে ঝাঁকে বুলেট নিরস্ত্র সেনাবাহিনীর এসব অফিসারের বুকে-দেহে বিদ্ধ হলে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রক্তে ভেসে যায় চারদিক। এরপর হায়েনারা রন্ধনশালা, বাথরুম, ডোবা-ম্যানহোলে আশ্রয় নেয়া অফিসারদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, ইউনিফর্মধারী এসব কাপুরুষের দল অফিসারদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে অত্যাচার, লুণ্ঠন, এমনকি ডিজির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তার স্ত্রী এবং অতিথিদেরও হত্যা করে। পিলখানার বিভিন্ন গেটে ভারী অস্ত্র বসানো হয়। ভবনের শীর্ষে উঠে বাইরের দিকে তাক করে ছেলেখেলার মতো এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে একাধিক পথচারীও বেঘোরে প্রাণ হারায়।
মোট কথা তাদের বর্বরতার শিকার হয়ে মারা যায় ৫৮ জন অফিসার, তাদের দু’জনের স্ত্রী, একজন সেনাবাহিনীর সৈনিক, বিডিআরের সুবেদার মেজরসহ ৯ জন সৈনিক ও চারজন বেসামরিক ব্যক্তিসহ ৭৪ জন। বিশ্বযুদ্ধে অনেক প্রাণহানি ঘটলেও একসঙ্গে এত সেনা অফিসারের মৃত্যুর নজির পৃথিবীতে নেই।
এ হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহের ঘটনার অবসান ঘটেছিল দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষার পর। আলোচনা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করানো সঠিক ছিল, নাকি তাদের ওপর সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা উচিত ছিল- এ প্রশ্নে দশ বছর পর এখনও বিতর্ক চলছে।
যারা শক্তি প্রয়োগের পক্ষে তাদের যুক্তি হল- প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্রোহীরা পুরোপুরি সংগঠিত ছিল না। ওই পর্যায়ে একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন আক্রমণ করলে বিদ্রোহীরা রণেভঙ্গ দিত এবং কিছু অফিসারের প্রাণ হয়তো রক্ষা পেত। সামরিক অভিযানের বিপক্ষদের মতে, এতসংখ্যক অফিসারের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক।
রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী ও পরিবারের জন্য এ এক অপূরণীয় ক্ষতি; কিন্তু অভিযান চালানো হলে আরও যে পরিমাণ হতাহত ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটত তা সামাল দেয়া রাষ্ট্র, সরকার ও জাতির পক্ষে অসম্ভব ছিল।
তাদের মতে, বিডিআর সদস্যদের অধিকাংশের পালিয়ে যাওয়া, অতঃপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রবেশ না করা পর্যন্ত ভেতরের পরিস্থিতি ছিল শুধু গুজবনির্ভর। তথ্য প্রদানের মূল সূত্র হতে পারত বিডিআরের যে গোয়েন্দা সংস্থা আরএসইউ; তারা নিজেরাই বিদ্রোহে অংশ নিয়ে নিজ অধিনায়ক লে. কর্নেল এনসাদকে হত্যা করে।
সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলোর একটি অংশের সর্বদা যুদ্ধপ্রস্তুতি থাকলেও পুরো ইউনিটকে জড়ো করা, প্রস্তুত, ব্রিফিং এবং ঢাকা শহরের কর্মদিবসে পিলখানায় পৌঁছুতে সর্বনিু যে সময় লেগেছিল তার আগেই হত্যাযজ্ঞের পর্ব শেষ করে ফেলা হয়েছিল।
ভেতরের অবস্থা, বিশেষত অফিসার ও তাদের পরিবার, বিডিআর সৈনিকদের পরিবার, ষড়যন্ত্রের বাইরে থাকা সৈন্যদল, নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কে কোথায় কী অবস্থায় ছিল তার প্রকৃত চিত্র জানা ছিল না। বিমানবাহিনীর রেকি হেলিকপ্টার পাঠানো হলে নিচ থেকে গুলি ছোড়া হয়।
এ ছাড়া বিডিআর সদর দফতরের চারপাশে রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকা এবং ক্ষুদ্রাস্ত্রের নাগালের ভেতরে। এদের সবার নিরাপত্তার কথা ভাবতে হয়। মূল ফটকগুলোয় বসানো হয়েছে লং রেঞ্জের ভারী অস্ত্র। বিদ্রোহীরা ছিল উচ্ছৃঙ্খল, দূরদৃষ্টিহীন এবং বাংলায় গোঁয়ার মাত্র।
ঢাকার বাইরে অন্তত ত্রিশটি ব্যাটালিয়নে এরই মধ্যে তারা অস্ত্র লুট করে সেখানকার অফিসার ও পরিবারকে জিম্মি করে ফেলেছে। কর্তৃত্ব নিয়েছে সৈনিকরা। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দায়িত্বহীনতার কারণে জনমতের বড় অংশ বিদ্রোহীদের পক্ষে। ঝিগাতলা রোড, আজিমপুর, হাজারীবাগে খণ্ড খণ্ড মিছিলও হয়েছে বিডিআর সৈনিকদের সমর্থনে।
তাদের স্লোগানের ভাষা অনেকটা ৭ নভেম্বর ১৯৭৫-এর মতো। এ সবকিছুই বিবেচনায় নিতে হয়েছে ৪৮ দিনের শিশু সরকারকে। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট ও শেখ হাসিনার সরকারকে ল্যাং মারতে উদ্যত স্বার্থান্বেষী মহল। তপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশে পিলখানার আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে অপেক্ষমাণ সেনা, র্যাব ও পুলিশ বাহিনী।
অস্ত্রের নল থেকে বুলেট ছুটে গিয়ে কার বক্ষ ভেদ করবে কেউ জানে না। বুলেট তো আর শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ করে না। সামরিক অভিযান পরিচালনা করলে যে রক্তের বন্যা শুধু পিলখানা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন বিডিআর ব্যাটালিয়নগুলোয়ও ছড়িয়ে যাবে।
এমনকি সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীরা যে বিওপি ত্যাগ করবে না এমন নিশ্চয়তা কোথায়! এ অবস্থায় দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেদিন সামরিক অভিযান পরিচালিত হলে নিহত ৭৪ জনসহ অভিযানে হাজার হাজার হতাহতের দায়ভারও সরকারের ওপর বর্তাতো।
সেনাবাহিনী ও জনগণের মুখোমুখি অবস্থা হতো। তাই আলোচনা, পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ, আবারও তাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য ও আটকের সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত কৌশলী ও সঠিক পদক্ষেপ। এড়ানো গিয়েছিল পরবর্তী সম্ভাব্য ধ্বংসযজ্ঞ। উচ্ছৃঙ্খল, অপরিণামদর্শী, স্বঘোষিত বিপ্লবী চেগুয়েভারাদের পরাজয়ের মাধ্যমে অবসান ঘটেছিল ৩৬ ঘণ্টার অপেক্ষা।
দশ বছর পূর্ণ হল সেদিনের বিদ্রোহ ও মর্মান্তিক ঘটনার। বাহিনীকে কলুষমুক্ত করতে ইতিমধ্যে আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। অভিশপ্ত বিডিআর নামের পরিবর্তে নামকরণ করা হয়েছে বিজিবি। ইউনিফর্ম, লোগো বদলে দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের জন্য আইন করা হয়েছে; কিন্তু এখনও শেষ হয়নি বিচার প্রক্রিয়া।
দণ্ডিত হয়নি খুনিরা। তবে হ্যাঁ, আশার কথা, সচল রয়েছে মামলার বিচার। এখানে উল্লেখ্য যে, ঘটনার অব্যবহিত পর প্রায় ৬ হাজার জনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। প্রত্যেককে জেরা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনানুসারে। এ এক কঠিন ও জটিল কাজ। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে ইতিমধ্যে অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তথ্য-প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির পর অবশেষে প্রায় সাড়ে আটশজনকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি মামলায় একসঙ্গে এত আসামির বিচারের উদাহরণ আমার জানা নেই। নিু আদালতের বিচারের পর হাইকোর্টের বিচার এবং রায়ও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
হাইকোর্ট দুই দিনব্যাপী প্রদত্ত রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৪৬ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৩ জন অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। দশ বছরেও এ মামলার চূড়ান্ত পরিণতি না হওয়ায় স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলা প্রয়োজন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়ার পক্ষে।
যেমনটি তিনি তার পিতা ও মা-ভাইদের হত্যার বিচারের বেলায়ও চেয়েছিলেন। মনে রাখতে হবে, এত বিপুলসংখ্যক অভিযুক্তের বিচারকার্য পরিচালনা করতে হচ্ছে অত্যন্ত যত্ন ও সতর্কতার সঙ্গে, যেন একজনও নিরপরাধ দণ্ডিত আবার প্রকৃত কোনো অপরাধী পার না পেয়ে যায়।
যে দেশে এক সময় বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, সেই দেশে যে এমন একটি সেনসিটিভ মামলা বিনা হস্তক্ষেপে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাই বা কম কিসের! সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আগামীতে হয়তো বা কোনো মা সন্তান, বোন স্বামী এবং শিশু পিতৃহারা হবে।
এমন বিয়োগান্তক শাস্তি নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক, স্বজনদের জন্য সারা জীবনের কান্নার কারণ। কিন্তু আইনকে যে তার নিজস্ব পথে চলতে না দিলে এই দেশ এবং জাতিকে আরও মূল্য দিতে হবে। দেশ জংলি, হানাহানির দেশে পরিণত হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা প্রিয় বাংলাদেশ অবশেষে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে ভাগাড়ে পরিণত হোক- এমনটি আমরা চাই না।
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। যদি এটি বিশ্বাস করি, তবে ডিসিপ্লিনড ফোর্সের কেউ যদি অন্য কোনো নাগরিকের প্রাণ সংহার করে, নিশ্চয়ই তাকে যথাযথ শাস্তি পেতে হবে। এর কোনো কাটছাঁট নেই।
লে. কর্নেল এটিএম মহিউদ্দিন সেরনিয়াবাত : অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা
