দুই করতলে ধরে বাজানো হয়। এই থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে করতাল। দুই হাতের আঙুলের সঙ্গে এর দরজ্জু পেঁচিয়ে পরস্পরের গায়ে আঘাত করে এই যন্ত্র বাজানো হয়। দুই করতলে ধরে বাজাবার যন্ত্রবিশেষ;
ধাতু নির্মিত ঘন জাতীয় ঘাত বাদ্যযন্ত্র। এর আকার মন্দিরা’র চেয়ে আকারে ছোট। তালের লয় এবং ছন্দ রক্ষাকারী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর আওয়াজ বেশ তীব্র এবং ততটা সুখশ্রাব্য নয়। ভারতীয় লোকগানে প্রাচীনকাল থেকে করতাল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে চৈতন্যদেবের আমল থেকে করতাল কীর্তন গানে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয় ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে পথ-কীর্তনে এই যন্ত্রটি অপরিহার্য যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতের প্রায় সকল লোকগানে করতালের ব্যবহার আছে। তবে সকল করতালের গড়ন বাংলা করতালের মতো নয়।