প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পড়াশোনা
বাংলা * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বাংলা
সবুজ চৌধুরী
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
বিপরীত শব্দ
পুলকিত - বিষণ্ণ
আনত - উদ্ধত
সাফ - নোংরা
স্পর্ধা - সংকোচ
অপরাধ - নিরপরাধ
শির - পদ
শ্রেষ্ঠ - নিকৃষ্ট
অনর্গল - বিরত
শাহানশাহ - সম্রঙ্গী
সৌজন্য - অসৌজন্য
বেয়াদবি - সৌজন্য
অবহেলা - ভালোবাসা
জাঁহাপনা - সম্রাজ্ঞী
নিরালা - মুখর
তফাত - নিকট
উচ্ছ্বাস - বিষণ্ণ
উচ্চরবে - নীরবে
উদার - অনুদার
আজি - কল্য
ব্যথা - সুখ
মহান - সংকীণ
এক কথায় প্রকাশ
দুনিয়ার আশ্রয়দাতা - জাঁহাপনা
গৌরব সহকারে - সগৌরবে
মাথা নিচু করে সম্মানের সাথে সালাম করা - কুর্নিশ
শিক্ষা প্রদান করেন যিনি - শিক্ষাগুরু
যত্ন সহকারে - সযতনে
যেখানে লোকজন নেই - নিরালা
প্রকৃষ্টরূপে যে খলন - প্রক্ষালন
আদব কায়দা নেই এমন - বেয়াদবি
গোপনে যে সংবাদ আদান- প্রদান করে - দূত
অর্গল (বাধা) নেই যেখানে - অনর্গল
দিল্লি জাহানের যিনি প্রধান - দিল্লিপতি
আলম বা দুনিয়ার মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ - আলমগীর
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
আফরোজা বেগম
সিনিয়র শিক্ষক
উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
নারী-পুরুষ সমতা
প্রশ্ন : বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে দেয়া
হল : * নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার শিক্ষার প্রতি প্রবল ঝোঁক বা অনুরাগ থাকায় তিনি নানা প্রতিকূল পরিবেশে নিজের শিক্ষাজীবন এগিয়ে নেন।
* তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েরা ধীরে ধীর শিক্ষার আলো পেতে থাকেন। নারীশিক্ষা বিস্তারে তার এ অবদান অসামান্য ও অন্যন্য।
* ভারতীয় উপমহাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখেন বেগম রোকেয়া।
সুতরাং বেগম রোকেয়ার এ অসামান্য অবদানের জন্য তার জন্মদিন, ৯ ডিসেম্বরকে বাংলাদেশ সরকারিভাবে রোকেয়া দিবস পালন করে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর : শিক্ষা লাভের অধিকার প্রত্যেক শিশুর একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ সরকার ছয় বছরের ওপরে সব শিশুর জন্য শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য মফস্বলে খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা বা নারীশিক্ষার জন্য উপবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত নিুরূপ :
ছাত্রী ভর্তি ৮৪% ছাত্র ভর্তি ৮১%
সুতরাং, ছাত্রীভর্তি : ছাত্রভর্তি = ৮৪ : ৮১% = ৮৪ : ৮১
অর্থাৎ, ছাত্র ও ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা প্রায় সমান সমান। কিন্তু, যত সংখ্যা ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয় তাদের একটা বিশাল অংশ ঝরে যায়। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ঝরে যাওয়া রোধ করে ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির অনুপাত ১০০ : ১০০ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সব শিশুকে শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্র-ছাত্রী অনুপাত কত?
উত্তর : শিক্ষা প্রত্যেকের মৌলিক অধিকারের অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার সব শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। নিচের একটি ছকে বাংলাদেশের প্রাথমিক শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা-সংক্রান্ত একটি জরিপের ছক নিচে দিয়ে সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষার সফলতা পর্যালোচনা করা হল।
ছাত্রী ছাত্র
ভর্তি ৮৪% ৮১%
ঝরে পড়া ৩৪% ৩২%
৫ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ কিন্তু ফলাফল ভালো নয় ২৮% ২৫%
ভালো ফলাফল নিয়ে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ ২৮% ২৮%
উপরের ছক থেকে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, একটা ভালোসংখ্যক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তাদের একটা বিরাট অংশ নানা পারিবারিক ও সামাজিক কারণে ঝরে পড়ে। ঝরে পড়ার পর যারা থাকে তাদের শিক্ষার মানও নিুমুখী। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অপেক্ষাকৃত খারাপ ফলাফল নিয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। আর ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র ২৮% শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল নিয়ে ৫ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। আমি মনে করি, প্রাথমিক শিক্ষার এই সফলতা হতাশাব্যঞ্জক, অসন্তোষমূলক। প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ঢেলে সাজাতে হবে তবে সফলতার মুখ দেখবে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। ভীত হবে মজবুত। সরকারকে প্রাথমিক শিক্ষায় পরীক্ষার্থী তৈরির চেয়ে শিক্ষার্থী তৈরির দিকে মনোযোগী হতে হবে। কারণ প্রাথমিক শিক্ষা মাত্র ২৮% সফল।
