সহকারী শিক্ষক, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

মিরপুর, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

১২৮. ৯টি সংখ্যার যোগফল ১০৮ হলে, ৯টি সংখ্যার গড় কত? উত্তর : ১২

১২৯. ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর গড় কত?

উত্তর : ৫.৫

১৩০. ০, ১, ২ সংখ্যা তিনটির গড় কত? উত্তর : ১

১৩১. ৩টি সংখ্যার গড় ১৫ এবং ২টি সংখ্যার গড় ২৫ হলে এ ৫টি সংখ্যার গড় কত? উত্তর : ১৯

১৩২. লাভ ও ক্ষতি কীসের ওপর হিসাব করা হয়?

উত্তর : ক্রয় মূল্যের ওপর

১৩৩. ৩০০ টাকার ১৫%= ? উত্তর : ৪৫ টাকা

১৩৪. শতকরা কী?

উত্তর : শতকরা হল এমন একটি অনুপাত, যা ১০০-এর ভগ্নাংশরূপে প্রকাশ করা হয়

১৩৫. ০ ও ৫৪কে শতকরায় প্রকাশ কর।

উত্তর : ৫৪%

১৩৬. % চিহ্নটি ভগ্নাংশে প্রকাশ কর। উত্তর : ৬০%

১৩৭. ১২ জন লোক ২০ জন লোকের কত%?

উত্তর : ১৮

১৩৮. মুনাফার হার কী?

উত্তর : ১০০ টাকায় ১ বছরে যে মুনাফা হয় তা হল শতকরা মুনাফার হার।

১৩৯. সময় নির্ণয়ের সূত্রটি লিখ।

উত্তর : সময় = মুনাফা x১০০

আসলূমুনাফার হার

১৪০. ০. ০৩ কে শতকরায় প্রকাশ কর। উত্তর : ৩%

১৪১. একটি বইয়ের ক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ১৮০ টাকা। শতকরা কত লাভ হল? উত্তর ২০%

১৪২. বার্ষিক মুনাফা নির্ণয়ের সূত্রটি কী?

উত্তর : আসল x মুনাফার হার x সময়

১৪৩. বিক্রয়মূল্য থেকে ক্রয়মূল্য বেশি হলে কী হয়?

উত্তর : ক্ষতি

১৪৪. আসল কাকে বলে?

উত্তর : বিনিয়োগকৃত টাকাকে আসল বলে।

১৪৫. একটি কলম ৫০ টাকায় ক্রয় করে ৪৬ টাকায় বিক্রয় করলে শতকরা কত ক্ষতি হবে? উত্তর : ৮%

১৪৬. কত টাকার ৪০%= ৪৮ টাকা? উত্তর : ১২০

১৪৭. ১২৫%কে দশমিক ভগ্নাংশে প্রকাশ কর।

উত্তর : ১.২৫

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

ব্রিটিশ শাসন

প্রশ্ন : ক. পলাশীর যুদ্ধ কেন হয়েছিল? এ যুদ্ধের ফলাফল কী ছিল?

উত্তর : পলাশীর যুদ্ধ

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার পলাশীর আম্রকাননে বাংলার নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের যে প্রহসনমূলক যুদ্ধ হয় তা-ই ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত।

কারণ

সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। তিনি ছিলেন বাংলার নবাব আলিবর্দী খাঁর দৌহিত্র। নানার মৃত্যুর পর ১৭৫৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে বাংলার সিংহাসনে বসেন। তার মাত্র এক বছর পরে পলাশীর যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। এ যুদ্ধের কারণগুলো নিচে দেয়া হল-

* সিংহাসনে আরোহণ করেই তরুণ নবাবকে নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধী শক্তির মুখোমুখি হতে হয়।

* তার সামনে একদিকে ছিল ইংরেজদের ক্রমবর্ধমান শক্তি আর অন্যদিকে বড় খালা ঘসেটি বেগম, সেনাপতি মীর জাফর আলী খানের মতো ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র।

* এ ষড়যন্ত্রে যোগ দেয় রায় দুর্লভ এবং জগৎ শেঠের মতো শক্তিশালী বণিক গোষ্ঠী।

* এ সময় বাংলায় ইংরেজ বণিকদের বাণিজ্য সংস্থার নাম ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। নানা কারণে নবাবের সঙ্গে ইংরেজ বণিকদের বিরোধ দেখা দেয়।

* ইংরেজদের সঙ্গে নবাবের বিরোধী দেশীয় শক্তিগুলো একযোগ হয়ে যোগ দেয় ষড়যন্ত্রে। এরা সবাই নবাবকে উৎখাতের চেষ্টা করে। এসবের জের ধরেই পলাশীর আম্রকাননে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ইংরেজদের সঙ্গে নবাবের প্রহসনমূলক পলাশীর যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়।

আসলে একদিকে ক্ষমতালোভী দেশীয় শত্রুদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে ইংরেজদের লোলুপ দৃষ্টির মিলিত ষড়যন্ত্রের ফসলই হল পলাশীর যুদ্ধ।

ফলাফল

* পলাশীর যুদ্ধে নবাবের সেনাপতি বিশ্বাসঘাতকতা করে ইংরেজদের পক্ষ নেয়। ফলে পলাশীর যুদ্ধে নবাব পরাজিত হয় ও পরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

* এ যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজ শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

* এ যুদ্ধের ফলে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়।

সুতরাং পলাশী যুদ্ধের ফলাফল ছিল বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটার প্রতিচ্ছবি। বাংলার ইতিহাসে এর প্রভাব ছিল বিরূপ।