যুদ্ধ বন্ধে বড় ছাড়ে প্রস্তুত হামাস
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুদ্ধ বন্ধে বড় ছাড় দিতে প্রস্তুত হামাস। যুদ্ধ বন্ধ হলে তারা সবার সঙ্গেই আলোচনার জন্য তৈরি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা গাজী হামাদ বুধবার আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট এবং তা হচ্ছে যুদ্ধের সমাপ্তি। গাজায় যা ঘটছে তা বড় আকারের বিপর্যয়।’ গাজায় ইসরাইলের হামলার ৭৫ দিনের মাথায় এমন ইঙ্গিত দিল হামাস। সাক্ষাৎকারে হামাদ আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী। কিন্তু তাতে হামাস এবং ফিলিস্তিনের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। জিম্মিদের অজুহাতে ইসরাইল সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেবে আর তারপর আবার ফিলিস্তিনের মানুষের বিরুদ্ধে শুরু করবে গণহত্যা। আমরা ইসরাইলের সঙ্গে এই খেলা খেলব না’।
এদিকে ‘গাজায় আগ্রাসন ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে’ বুধবার কাতার থেকে মিসরে পৌঁছেছেন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, ‘বন্দিদের মুক্তিতে একটি চুক্তি প্রস্তুত করাসহ আগ্রাসন ও যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসমাইল হানিয়ার মিসরের গুপ্তচরপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল।’ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না চাইলেও একটি নতুন সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি আছে ইসরাইল। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ এ কথা বলেছেন। তবে এজন্য হামাসের হাতে আটক থাকা আরও জিম্মির মুক্তির বিষয়ে নিশ্চয়তা পেতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইসরাইলের চলমান এ বর্বরতায় গাজায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বুধবারও দক্ষিণ গাজার রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। একইদিনে উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও বোমা
হামলা চালিয়েছে দেশটি। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর জাবালিয়া মেডিকেল সেন্টারে অন্তত ৪৬ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আনা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার পাশাপাশি পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। এমন অবস্থায় নিরাপদ পানির অভাবে মারা যেতে পারে বিপুলসংখ্যক শিশু। বুধবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।