Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

যুক্তরাষ্ট্রে ধেয়ে আসছে তাপদাহ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২১, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভয়ংকর তাপদাহ কড়া নাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের দরজায়। আরও মারাত্মক খরা আর দাবানলের রূপ নিয়ে গ্রীষ্মের এই দানব দেশটিতে আছড়ে পড়বে আজই। সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় সমুদ্র ও আবহাওয়া প্রশাসন এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সোমবার থেকে রকি পর্বতমালা, উত্তরপশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সমতল ভূমির দিকে ধেয়ে আসছে এই তাপদাহ। গার্ডিয়ান।

খবরে বলা হয়, গ্রীষ্মকালীন এই তাপদাহ ডাকোটাস ও মন্টানায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাত্রা নিয়ে এগিয়ে আসছে। এরই মধ্যে চলতি মাসে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে বিলিংসের নাগরিকদের। আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন ডেস ময়নেস, মিনেপলিস, মিসৌরি, আরকানসাস, ওকলাহোমা এবং চিকাগোতে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত। সর্বশেষ বয়ে যাওয়া তাপদাহে পাশাপাশি বজ ঝড়, বজ পাতের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান খরায় বিপর্যস্ত হয়েছে পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল। এই আবহাওয়াকে তারা বলছেন, ‘মারাত্মক’ এবং ‘ব্যতিক্রমী’। দেশটির জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত এক মাসে তাপদাহের উগ্রতায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তাগুলো ধ্বংস হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়াজনিত এ জটিলতাগুলোর জন্য মানুষই দায়ী। আগে সতর্কবাণী দেওয়া সত্ত্বেও তারা এর বিরুদ্ধে সতর্ক হয়নি বা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একজন ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী মাইকেল ওয়েনার বলেন, ‘এটি একটি তীব্র এবং বিপজ্জনক গ্রীষ্ম। কারণ এর তাপদাহ ধ্বংসাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অব্যাহত থাকায় এমনটি হতে পারে, আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। এই শাস্তি আমাদের প্রত্যাশিত বলে ভোগ করতেই হবে।’ ওয়েনার বলছিলেন, ‘চলমান তাপদাহ সরকার ও ব্যবসায়ীদের কিছুটা সতর্ক করে দিল। হিটস্ট্রোক হতে পারে কিংবা দাবানল থেকে নির্গত ধোঁয়াজনিত কারণে জনগণের শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। এ কারণে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’ এখন থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে পাঠদান জোরালো করতে হবে, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর ভয়াবহতাকে মোকাবিলা করতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম