Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি

Icon

হাসান মামুন

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস পূর্ণ হতে বেশি বাকি নেই। সরকারটি কতদিনের জন্য এসেছে, তা অবশ্য সুনির্দিষ্ট নয়। প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন, দায়িত্ব পালন শেষে তারা কবে যাবেন, সে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে আসবে। তাদের ‘প্রাথমিক নিয়োগকর্তা’ ছাত্রনেতারাও বলবেন। একটা সময় পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনকালে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিত। সে বিধান এখন নেই। এ জায়গাটা থেকে নির্বাচন ঘিরে সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। সঙ্গে অপশাসন গ্রাস করেছে দেশকে। এ প্রেক্ষাপটেই কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন একপর্যায়ে সরকারেরই পতন ঘটিয়ে দিয়েছে। আর এ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের সামনে কেবল নির্বাচন নয়; সংস্কারের প্রশ্নও রয়েছে। সে কারণেই সরকারটির মেয়াদ একটু দীর্ঘ হবে বলে মনে হচ্ছে। মানুষ এ আলোচনাও বেশি বেশি করছে যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আনতে কতদিন লাগবে তার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেও কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আনতে বেগ পেতে দেখা যেত। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ করে আগের সরকারের ‘সাজিয়ে যাওয়া প্রশাসন’ বদলাতে হতো তাদের। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের মুহূর্তেই বিপুলসংখ্যক সচিবকে একযোগে বদলি করে। পরে রাজনৈতিক গডফাদারদের বিরুদ্ধেও নেয় কঠোর ব্যবস্থা। তাতে আবার ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বিনষ্ট হওয়ার। এটা স্মরণ করা হলো বলতে যে, সব পক্ষের পছন্দমতো কাজ করা কঠিন। কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তাই বিতর্কমুক্ত অবস্থায় বিদায় নিতে পারেনি। নির্বাচনে পরাজিতরা বরাবরই ওই সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে তুলেছে প্রশ্ন। তারপরও সত্য যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর সময় সিংহভাগ মানুষ স্বস্তিবোধ করেছে। পেয়েছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনও। তবে সমস্যা বেড়ে উঠেছে অন্য দিক দিয়ে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা গণতন্ত্র ও সুশাসন জোরদারের বিপরীত কাজই করেছে কম-বেশি। এক্ষেত্রে ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করা দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে ‘মন্দের প্রতিযোগিতা’ই বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। সেটা ছিল নব্বই-পরবর্তী সময়ের দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা।

এ অবস্থাতেই এসেছিল ‘ওয়ান-ইলেভেন’। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিধানকেও অপব্যবহারের চেষ্টা হয়। যা হোক, ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দু’বছর দেশ চালিয়ে বিদায় নেয় নির্বাচন দিয়ে। তারা এতটা দীর্ঘ সময় নেওয়ার কারণ-ওই সরকারের সামনেও ছিল সংস্কারের প্রশ্ন। তবে নানা কারণে শেষতক কোনো সংস্কারই তারা করে উঠতে পারেননি। বহুল আলোচিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানও হয়নি সফল। এতে অর্থনীতিতে বরং বিপরীত প্রভাব পড়ে। মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ওঠে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত পরিস্থিতিকে করে তোলে সুকঠিন। অবশেষে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে তারা বিদায় নেন। সেটি নিয়েও ওঠে কিছু প্রশ্ন। তার চেয়ে বড় কথা, এর ভেতর দিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশ চালাতে থাকে আপন খেয়ালে। তারা সংস্কারের চাহিদাকে শুধু অগ্রাহ্য করেনি; এর বিপরীত ধারায় চলতেই হয়ে পড়ে অভ্যস্ত। সেটা না ঘটলে দেশে আজ যে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা অন্তত হতো না। প্রথমবারের মতো একটি সরকারকে পালাতে হয়েছে দেশ থেকে। সঙ্গে পুলিশকে। তাদের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে এখনো বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে। নজিরবিহীন দলীয়করণের শিকার জনপ্রশাসনেও নেই গতি। সেনাবাহিনীতেও সংস্কারের একটা প্রক্রিয়া চলছে। হাসিনা সরকার টানা ১৫ বছর দেশ চালাতে গিয়ে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যার দলীয়করণ করেনি। তবে এটা সবচেয়ে বেশি হয় পুলিশে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুরুতেই তাই পুলিশ নিয়ে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশকে কাজে ফেরাতেও লেগে গেল অনেকদিন!

সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো জরুরি পরিবর্তন এনে পুলিশকে সক্রিয় করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া। তবে সে কাজে স্বভাবতই দেরি হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় পুলিশের কাজে যেতে হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। ধামরাইয়ে কোনো এক পোশাক কারখানার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ ও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটলে সেখানেও যেতে হয় সেনাসদস্যদের। ওখানে পুলিশ গেলেও তারা হয়তো যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয়নি। এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাধিক অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে গেলে তাদের দাবির মুখে ওখানে মোতায়েন করতে হয়েছে সেনা ও বিজিবি সদস্যদের। চিকিৎসক ধর্মঘট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার মতো একটা পরিস্থিতিও দেখা দিয়েছিল। এসব ঘটনায় অনেকেই নতুন সরকারকে সংকটে ফেলার ‘চক্রান্ত’ দেখতে পান। তবে সবকিছুতেই চক্রান্ত আছে বলে ধরে নেওয়ার অবকাশ নেই। সবচেয়ে বড় কথা, একটি সরকারকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় অভিযোগ না করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যে সবকিছুতে ‘চক্রান্ত’ খুঁজতে দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়। ধীরেসুস্থে পরিস্থিতি সামলে এগোনোর চেষ্টাই তার মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত। তবে প্রশাসনিক রদবদলসহ কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে জনমনে আস্থা জাগানো কঠিন বলেই অনেকের ধারণা। যে পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল, সেটা বিপর্যয়কর সন্দেহ নেই। একটা চরম কর্তৃত্ববাদী সরকার ছিল ক্ষমতায় এবং তারা বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় সবকিছু দলীয় বৃত্তে নিয়ে এসেছিল। একের পর এক যেনতেন নির্বাচন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমই ছিল তার লক্ষ্য। এ অবস্থায় তাদের উৎখাতে একটা নজিরবিহীন রক্তক্ষয়ী আন্দোলনও হয়ে গেছে দেশে। অতঃপর ক্ষমতাচ্যুতদের ওপর পালটা যে আঘাত শুরু হয়েছে, সেটা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসাও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতার পরিবর্তনে অতিউৎসাহী হয়ে উঠতে দেখা গেছে একাধিক পক্ষকে। এর মধ্যে একটি বড় রাজনৈতিক দলকে নিজেদের বেপরোয়া কর্মী সামলাতে কিছু পদক্ষেপ নিতেও দেখা যাচ্ছে। সরকারের জন্য সেটি কিছুটা সহায়ক হবে বৈকি।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুতদের ভেতর থেকে বিশেষ একটি অঞ্চলে বেপরোয়া প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা ছিল। সেনাবাহিনীকেই কিন্তু সেটা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে এসব কাজে তাদের স্বস্তিবোধ করার কথা নয়। বিগত সরকার ‘বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তা’য় তাদের ডেকেছিল। সে পরিস্থিতি অবশ্য দ্রুত পালটে যায়। সেনাবাহিনী শেষতক ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেয়। এখনো তারা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সেটা কতদিন, এ প্রশ্ন রয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে দেশে। এতেও থাকবে সেনাসদস্যদের জোরালো অংশগ্রহণ। এর আগেও আমরা এমন অভিযান দেখেছি। রাজনৈতিক শাসনামলে এ ধরনের অভিযানে ক্ষমতাসীন দলের লোকদেরই বেশি আটক হতে দেখা গেছে। সেটা পেশাদার সেনাসদস্যদের অংশগ্রহণের কারণেই। এবারের অভিযানের ফল দেখার অপেক্ষায় রইলাম। গণঅভ্যুত্থানের সময় থানা থেকে লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্রের একাংশ এখনো উদ্ধার হয়নি। অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র তো রয়েছেই। এ অভিযানের ভেতর দিয়ে জনমনে স্বস্তি কিছুটা বাড়বে। পুলিশও সক্রিয় হবে বলে আশা। তাদের পোশাক বদলানোর পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। সব মিলিয়ে পুলিশ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। জনসাধারণের সঙ্গে তার স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা তো সহজ নয়।

একটা অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও কিন্তু দায়িত্ব নিতে হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। তিন মাসের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে বিদায় নেওয়ার এজেন্ডা থাকলে এটা অবশ্য তেমন চ্যালেঞ্জিং হতো না। অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক করে আনার জনদাবিও জোরালো হতো না সেক্ষেত্রে। বাস্তবে এ সরকারকে শুরু থেকেই অর্থনীতি সামলানোর দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়েছে। ব্যাংকসহ আর্থিক খাত সামলাতে দ্রুত নিযোগ দিতে হয়েছে নতুন গভর্নরকে, যিনি একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। অবিশ্বাস্য লুটপাটের শিকার একগুচ্ছ ব্যাংকের আমানতকারীর মনে ন্যূনতম আস্থা জাগিয়ে রাখতে তাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। সাবেক দুই বিতর্কিত গভর্নর পলাতক! শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থায়ও আনতে হয়েছে দ্রুত পরিবর্তন। এমন পরিস্থিতি কি এর আগের কোনো সরকারকে মোকাবিলা করতে হয়েছে? ব্যাংক থেকে চেকে অর্থ উত্তোলনের পরিমাণও দিতে হচ্ছে বেঁধে! রিজার্ভের ওপরও রাখতে হচ্ছে তীক্ষ্ন নজর। অব্যাহত অব্যবস্থাপনায় রিজার্ভও তো খেয়ে দিয়ে গেছে সাবেক সরকার। তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও ছিল নজিরবিহীনভাবে ব্যর্থ। এ সংক্রান্ত তথ্য আবার বিকৃত করা হচ্ছিল। এ অবস্থায় যে উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রণীত হয়েছিল, সেটাও দ্রুত কমাতে হবে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পও করতে হচ্ছে যাচাই-বাছাই। এসব ক্ষেত্রেও রয়েসয়ে এগোনোর সুযোগ কিন্তু নেই। দায়িত্ব নিতে না নিতেই নজিরবিহীন বন্যাও মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে। সরকারের খাদ্য মজুত কেমন, সে প্রশ্ন উঠেছে দ্রুতই। পণ্যবাজার কিছুটা হলেও স্বাভাবিক করে আনার দায়ও রয়েছে সরকারের। সেজন্য জোর দিতে হচ্ছে আমদানি স্বাভাবিকীকরণে। বিশেষ কোনো দেশের অসহযোগিতা করার শঙ্কায় এক্ষেত্রে বিকল্প উৎসও চিহ্নিত করতে হচ্ছে! খাদ্যপণ্য আমদানিকারক বড় ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে আবার সরবরাহ সংকট দেখা দেয় কিনা, সেদিকেও কি নজর রাখতে হচ্ছে না? এদের বিরুদ্ধে তাই একযোগে ব্যবস্থা নেওয়াও যাবে না।

কিছু কাজ অবশ্য একযোগেই করতে হচ্ছে। যেমন-পুলিশকে সক্রিয় করা; অঙ্গীভূত আনসারসহ বিভিন্ন ‘বঞ্চিত’ পেশাজীবীর দাবি মোকাবিলা; রাজপথ সচল রাখা; কলকারখানা, বিশেষত রপ্তানি খাত স্বাভাবিক রাখা; পণ্যবাজার শান্তকরণ; পালটা দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; শিক্ষাসহ সেবা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা মোকাবিলা ইত্যাদি। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসায় নজর দিতে হচ্ছে ‘ডে ওয়ান’ থেকে। তারপরও উঠছে অভিযোগ। ক্ষমতাচ্যুতদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা; এর মধ্যে আবার ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু’ ইস্যু সামলাতে সরকারকে কম বেগ পেতে হয়নি। এমন গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুতদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা তো কঠিন। তাদের গ্রেফতার এড়িয়ে থাকতে পারা আর পালিয়ে যাওয়াটাও সরকারের জন্য অস্বস্তিকর। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের দিক থেকেও কম কথা শুনতে হচ্ছে না। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজনকে হত্যা মামলায় আসামি করার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুও কি নেই? এরই মধ্যে পুলিশের হাতে হত্যাযজ্ঞের নতুন ভিডিও বের হলে মানুষ তার বিরুদ্ধে উত্তেজিত হচ্ছে নতুন করে। পুলিশ অবস্থান পালটাতে না পারায় সরকার পতনের দিনেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু ভয়াবহ সংঘাত হয়েছিল। পুলিশই যেন হয়ে উঠেছিল সরকার!

এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পথ আগেকার যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। তবে তার সমর্থনে প্রকাশ্যেই রয়েছে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রসমাজ আর সেনাবাহিনী। ব্যাপক ‘তরল জনসমর্থন’ও রয়েছে সরকারের পেছনে। এর ওপর ভর করে অগ্রাধিকার ধরে ধরে তাকে এখন এগোতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোও নিশ্চয় স্পষ্ট করবে অবস্থান। দ্রুত নির্বাচন না চাইলেও তারা চাইছে এর ‘রোডম্যাপ’। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিন্তাভাবনাও স্পষ্ট হচ্ছে নিশ্চয়। তাদের দু’জন প্রতিনিধি উপদেষ্টা পরিষদেও আছেন। নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এ সরকারের ব্যর্থতার তো কোনো সুযোগ নেই।

হাসান মামুন : সাংবাদিক, বিশ্লেষক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম