আগে প্রয়োজন রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কার
ড. হাসনান আহমেদ
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের বিজয়োল্লাসের বাঁধভাঙা স্রোত সারা দিন ধরে দেখেছি। কারও আনন্দোল্লাসকে বিঘ্নিত করতে চাই না। চাই এদেশের বিজয়োল্লাসকে স্থায়িত্ব দিতে। আমি কবি নই। তবুও ছোটবেলায় একটা কবিতার পঙ্ক্তি লিখেছিলাম এমন : ‘একটুখানি খ্যাতি হলে খ্যাতির ভারে নুয়ে, চলার পথে পিছলে পড়ে ঠেকায় মাথা ভুঁইয়ে’। বারবার এমনটিই হয়। তাই সময় থাকতে ‘সাধু সাবধান’!
রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কারের কথা পতিত সরকারের সময়ে শত হুমকির মুখেও এ পত্রিকায়ই বারবার লিখেছি; আবারও লিখতে হচ্ছে। অনেকেই এ বিজয়কে দ্বিতীয় স্বাধীনতা, কেউবা দ্বিতীয় বিজয় দিবস বলে আখ্যায়িত করছেন। আমি কিন্তু এ আন্দোলনের বিজয়ে একটা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিপ্লবের সুগন্ধ খুঁজছি। দীর্ঘদিনের এত প্রাণের ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়কে নিঃসন্দেহে বিপ্লব বলতে পারি। বিপ্লব দেশ ও সমাজে আমূল পজিটিভ পরিবর্তন আনে। এটাই বড় চাওয়া। শরতের প্রবল বৃষ্টি যেমন জমে থাকা আবর্জনা ও কর্দমাক্ত পরিবেশকে ধুয়ে-মুছে দিগন্তবিস্তৃত রোদ্দুর-করোজ্জ্বল আলোর ছটায় ঝকঝকে-তকতকে করে শুচিশুদ্ধ করে, এ অর্জন সেপথে ধেয়ে চলুক এটা এদেশের আপাতত নাগপাশমুক্ত দীর্ঘ-বছর লালিত মুক্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা।
স্বাধীনতার পর থেকে বারবার বিজয়ের কথা আমরা মুখে মুখে অনেকবার বলেছি। কিন্তু বিজয়ের ফলে হাতে-পাওয়া মুক্তির আলোকমালা কেন জানি না বারবার হাত থেকে ফসকে গেছে। মুক্তিপিপাসু মনের একান্ত চাওয়া সুদূরপরাহত হয়ে গেছে। ভুগতে হয়েছে দেশ ও সমাজকে। আমাদের দেশ ও সামাজিক অবস্থা পেছাতে পেছাতে ক্রমেই অগণতান্ত্রিক মন-মানসিকতা, অমানবিকতা, ডাহা মিথ্যাচারিতা, লুটপাট ও অপকর্মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
ছোটবেলায় গ্রামের পরিবেশে বিস্কুট খাব বলে মায়ের কাছে কান্নাকাটি করতাম। মা একটা বিস্কুট এক হাতে দিয়ে খেতে বলতেন। বিস্কুটটা দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আবারও কাঁদতাম, দুই হাতে দুটি বিস্কুট চাই। অবশেষে মা এসে ছুড়ে ফেলা বিস্কুটটা কুড়িয়ে এনে উলটো দিকে ঘুরে ওই বিস্কুটটাকে দুই ভাগ করে দুই হাতে দিয়ে চলে যেতেন। তখন দু’হাতে বিস্কুট পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠতাম। জটিল বুদ্ধিটা মাথায় খেলত না।
এখন জীবনের এই পড়ন্ত বিকালে এসে এদেশের ‘অতি মহান’ রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝতে শিখেছি। শুধু অনুশোচনায় লিখে চলি : ‘দিনগুলি আমার হারিয়ে গেল ঐ সুদূরের স্বপ্নালোকে, ব্যথিত তাই আমার এ হৃদয় হারানো সেই দিনের শোকে।’ সমাজের কদাকার রূপ, প্রতারণা, মুখে মধু পেটে বিষ, শোষণের সব কৌশল, ভাঁওতাবাজি করে লুটপাট- সবই বোঝার ক্ষমতা বিধাতা এ সমাজের ভুক্তভোগীদের দিয়েছেন। এবার শুধু কথায় চিড়ে ভিজবে না, আমি কর্মে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। কোনো দলের সামনের কাতারে গিয়ে অতি উৎসাহ দেখিয়ে দড়ি ধরে গলা ফাটিয়ে কারও পক্ষে স্লোগান হাঁকতেও আমি নারাজ। প্রতারণা, মিথ্যাচার বর্তমানে স্বার্থবাদী লোকের আদর্শ ও মূলনীতি। এই একটা কারণেই এদেশের মানুষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে বারবার প্রতারিত হচ্ছে। আমরা সাধু হই না, স্বার্থের কারণে সাধু সাজি। কত হীন-স্বার্থপর লোক যে ভোল পালটে সবার সামনে সাধু সাজতে এখন আসবে, তাকিয়ে দেখলেই ঘৃণায় মনটা রি রি করে উঠবে।
আমি দেশ ও সমাজের পরিবর্তন চাই। অনেক হয়েছে, আর নয়। এক দলসহ চৌদ্দ দলের পতন নিশ্চিত হয়েছে। আরও শতেক দল আছে। আমি আমার লেখার মাধ্যমে দেশ ও সমাজের সংস্কারের দিকনির্দেশনা দিতে চাই। লিখিত সংস্কার চাই। দেশ ও সমাজ রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। তাই আগে রাষ্ট্রপরিচালনার নীতি পরিবর্তনের ও সংস্কারের কথা ভাবতে হবে। সংস্কারের এ সুযোগ এবার হাতছাড়া হয়ে গেলে দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নতি ও স্বাধীনতা ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে। আবার সেই পুরোনো খেলার পুনরাবৃত্তি হবে। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কমপক্ষে ৫ বছর হোক এটা আমার চাওয়া।
এদেশের সব দলের রাজনীতিকদের অনেককেই আমি চিনি। প্রতিটি দলেই অল্প কিছু লোক এখনো ভালো আছেন। এছাড়া উপর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বেশিরভাগ নেতাকর্মীর রাজনীতিক হওয়ার উদ্দেশ্য জনসেবা ও দেশসেবা, আত্মত্যাগের জন্য আদৌ নয়। কথাটা আমার একটুও বাড়িয়ে বলা নয়। এ সমাজ যে পরিবর্তনযোগ্য নয়, আমি তা বিশ্বাস করি না। আমাদের এ ছাত্রসমাজকে দিয়ে দেশ ও সমাজ উন্নয়নের অনেক কিছু করার আশা আবার জেগেছে। প্রয়োজন সুস্থ ও সাবলীল উদ্দেশ্যভিত্তিক জবাবদিহি নেতৃত্ব। এই ছাত্রদেরকেই রামদা, কিরিচ, চাপাতি হাতে দিয়ে, কখনো পিটিয়ে অন্য ভাইকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে হত্যা করার অনেক বাস্তব ঘটনা আমরা দেখেছি। আবার এদেরই একটা বড় অংশকে দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে সাহায্যের ডালি হাতে নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখেছি।
সামাজিক পরিবেশ কেমন হবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মানসিকতার ওপর। আমাদের দেশে সব অন্যায়, দুর্বৃত্তায়ন, বিকৃত মানসিকতা ও অপকর্মের জননী দিগ্ভ্রষ্ট রাজনীতিকরা। এদের কোনো দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা নেই, জিহ্বারও কোনো মূল্য নেই। যত দুর্বৃত্তের আস্তানা ও আশ্রয়দাতা এদেশের রাজনৈতিক দল। এসব কথা লিখতে লিখতে হাত ব্যথা হয়ে গেছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, দলবাজি মুক্ত করার একটাই পথ-দলমত নির্বিশেষে স্বার্থপর, দেশ বিক্রেতা, মতলববাজ লোকদের কোনোভাবেই ক্ষমতার আসনে না বসানো, আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করা।
ভবিষ্যতে নির্বাচনে হারার ভয়ে রাজনীতিকরা সমাজে ভালো কাজ করবে এবং আবার ক্ষমতায় আসবে-এসব পুরোনো, বস্তাপচা তত্ত্ব এখন বাতিল। এদের বর্তমান তত্ত্ব-‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, বাকির খাতা শূন্য থাক, দূরের বাদ্য লাভ কি শুনে, মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক।’ প্রয়োজন আইনের সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ব্যবহারে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ; সুশিক্ষিত, সৎ মানুষ দিনে দিনে তৈরি করা, সে-প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। আমড়াগাছ থেকে কখনোই সুমিষ্ট আম আশা করা যায় না। অথচ দেশপ্রেমী, ন্যায়নিষ্ঠ, সুবিবেচক মানুষ শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি করা এখনো সম্ভব, এটা কেন জানি আমরা ক্ষমতায় গেলেই সম্পূর্ণ ভুলে যাই। আমরা ভোগবাদে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। পরপর দুটি নিবন্ধ ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’ শিরোনামে সম্প্রতি লিখেছিলাম এবং আমার লেখা সম্পূর্ণ সত্য প্রমাণিত হলো।
এ থেকেও ভোগবাদী চিন্তার ধারকদের একটু বোধোদয় হওয়ার কথা। এর আগে কমপক্ষে বিশবার লিখেছি যে, এদেশের জনগোষ্ঠী মূলত আমাদের সম্পদ, যা আমরা মানব-আপদে পরিণত করে ফেলেছি, এখনো মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। দরকার উপযুক্তভাবে তাদের জীবনমুখী শিক্ষা, মনুষ্যত্ব-সঞ্চারক শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া। কে কার কথা শোনে! প্রায় প্রত্যেকের দৃষ্টি টাকা কামিয়ে চৌদ্দপুরুষ বসে খাবার ধান্দায়। আমার মতো অখ্যাত মাস্টারের কথা কর্ণপাত করার সময় তাদের কই! তারা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রমে ‘বাঁদর নাচাতে’ এবং যান্ত্রিক মানুষ তৈরি করার ফন্দিফিকির করতে মহাব্যস্ত।
মানবসন্তান জন্মেই যে মানুষ হয় না, তাকে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ বানাতে হয়-এসব কথা এতবার বলেও কিছু জ্ঞানবিধ্বস্ত পণ্ডিতের মগজে ঢোকাতে পারলাম না। কামার লোহা ও ইস্পাত দিয়ে ছুরি তৈরির সময় ইস্পাত যদি চুরি করা হয়, তাহলে আজীবন ঘষলেও শুধু লোহার ছুরিতে কি ধার আনা যাবে? এ বোধটুকু কাকে দেব! দেশে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নেই বলে সব লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান, স্বর্ণ পাচারকারী, হুন্ডি-ব্যবসায়ী, খুনি-লুটেরা এসে রাজনীতিতে ভর করেছে। এর কারণে সুশিক্ষিত লোকগুলো সমাজে একঘরে হয়ে প্রাণের ভয়ে ঘরে লুকিয়ে বসে আছে। দলমত নির্বিশেষে এদের বাইরে বের করে আনতে হবে। তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার দায়িত্ব দিতে হবে। এতে কোনো দলবাজি, স্বজনপ্রীতি করা চলবে না।
এদেশের সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে, যা একান্ত জরুরি। যেটা বেশি প্রয়োজন, কোনো রাজনৈতিক দলই তা করতে চাইবে না। করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই করতে হবে, নইলে লবডঙ্কা। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রেও তো স্বাধীনতার উদ্দেশ্যের বর্ণনা ছিল। স্বাধীনতার পরপরই সে উদ্দেশ্য পরিবর্তন হলো কী করে? এর সঙ্গে আরও দু-একটা যোগ করা যায়। সংবিধানে নেগেটিভ অর্থ প্রকাশ করে এমন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ রাখার পক্ষপাতী আমি নই। এটাকে পরিবর্তন করে ‘ধর্ম-অহিংস’ ও ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ’ করার প্রস্তাব আমার। প্রত্যেক ধর্মেই ধার্মিক লোক আছেন। এদেশের প্রত্যেক ধর্মের ও নাগরিকের অধিকার সমান। ইসলামেও ধর্ম-বৈষম্যবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তাছাড়া বিশ্বে এমন কোনো দেশ আছে কিনা আমার জানা নেই, যেখানে শুধু একটা ধর্মের লোক সেদেশের নাগরিক।
এই থিও-পলিটিক্যাল বৈষম্যই তো বিশ্বে যত অশান্তির মূল। সেজন্য ধর্মকে জীবনব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ উধাও করে না দিয়ে ধর্মের মূলমন্ত্র কথায় ও কাজে পালন করে সম্প্রীতির বাঁধনে মানুষকে বেঁধে ফেলাই যুক্তিযুক্ত। মনে মনে কেউ নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাস করলে এতে সমাজের কিছু যায়-আসে না। তবে নাস্তিক্যবাদের সবক নিয়ে কেউ কেউ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তকসহ দেশব্যাপী নাস্তিক্যবাদ ছড়িয়ে দিতে চায়। এ কাজ থেকে তাদের নিবৃত্ত করা উচিত। তেমনিভাবে ‘অসাম্প্রদায়িক চ্যেতনা (চেতনা), চ্যেতনা’ বলতে বলতে আমরা গলা শুকিয়ে ফেলি। এ শব্দটিও নেগেটিভ অর্থ প্রদান করে।
এ শব্দ থেকে বেরিয়ে এসে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’র কথা সমাজে ছড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, শাশ্বত মূল্যবোধ, সামাজিক বুনন, আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। জাতি হিসাবে আমাদের নিজস্ব অস্তিত্ব বজায় রেখে নিজস্ব সংস্কৃতি ও অস্তিত্বের বিকাশ সাধনে যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এতেই আমাদের মুক্তি। নইলে অন্য কোনো জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে আমাদের বিলীন হওয়া ও গোলামির নিগড়ে আবদ্ধ হওয়া কঠিন কিছু নয়। রোহিঙ্গাদের কথা একবার ভেবে দেখুন। অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন। এছাড়া এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের অনেক জাতির কথা ইতিহাসে শুনবেন, বাস্তবে অস্তিত্ব পাবেন না। এতে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষের অনেক চিন্তার খোরাক রয়ে গেছে।
যা হোক, এবার সময় এসেছে রাজনৈতিক দলের দিগভ্রষ্টতা, সীমাহীন দুর্নীতি, দায়িত্ববোধহীনতা ও জবাবদিহিহীনতাকে আমলে এনে সংবিধানের পুরো রাজনৈতিক-পরিচালনা কাঠামোকে ঢেলে সাজানোর। এ বিষয়ে যথাসময়ে আমার পরামর্শ এ পত্রিকার মাধ্যমেই সবাইকে জানিয়ে দিতে পারব বলে আশা রাখি। এ সময় করণীয় হলো : আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, যারা গণহত্যার শিকার হয়েছেন তাদের সঠিক তালিকা তৈরি করা, আন্তরিকভাবে আহতদের পাশে দাঁড়ানো। দেশের অর্থ লুটপাট, দুর্নীতি, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারীদের অতি অল্প সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা।
বিদেশে পলাতকদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার আইনগত ব্যবস্থা করা। তাদের বিচার না হলে সাধারণ মানুষের কাছে ভবিষ্যতে তা আইনহীনতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রের বড় বড় পদে দলবাজ, সুবিধাভোগী ও তোষামোদকারীরা বসে আছেন, দেশ লুটে খাচ্ছেন; তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীর বিচারে আপন-পর বিবেচনা এবং কোনোরকম দলীয় পক্ষপাতিত্ব আমরা কেউ দেখতে চাই না, যদিও আইনহীনতা ও পক্ষপাতিত্ব এদেশের প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ার জন্য এ ধরনের অপবাদ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। আমি সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বারবার আশাহত হয়ে এবার বেশি আশান্বিত না হওয়ার পক্ষপাতী। ভালোর জন্য অপেক্ষা করতে পারি।
ড. হাসনান আহমেদ এফসিএমএ : অধ্যাপক, ইউআইইউ; সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ; প্রেসিডেন্ট, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ