
প্রিন্ট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ঘোষণা হলেও কোটাবিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা তেমন ছিল না। কিন্তু জুনের শেষে তা যেন হঠাৎ গতি পায়। অতঃপর ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া সেই রায় স্থগিত না করায় এর তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সরকারের পাঁচ মন্ত্রী এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মামলাটি আপিল বিভাগে আছে; চাইলে কোটাবিরোধীরা হাইকোর্টের রায় স্থগিতের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং একজন আইনজীবী রেখে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। আপিল বিভাগ তাদের বক্তব্য শুনে তা বিবেচনা করবেন। আনিসুল হকের এ বক্তব্যের পর অনেকেই অনুমান করেছিলেন কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কেউ হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন না করলেও, কোনো না কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করবেনই; বাস্তবেও তাই হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী ৯ জুলাই হাইকোর্টের রায় স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যদিও কোটাবিরোধী আন্দোলনে তারা অংশগ্রহণকারী কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের আবেদনের পরদিনই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য ‘স্থিতাবস্থা’র আদেশ জারি করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আপিল বিভাগের দেওয়া এ সিদ্ধান্তকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘আমরা কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানছি না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। কোটা নিয়ে বারবার টালবাহানা দেখতে চাই না। আমাদের একদফা এক দাবি, সংসদে আইন পাশ করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত না পূরণ করা হবে, আমরা রাজপথ ছাড়ব না’। আপিল বিভাগে আবেদনকারী ওই দুই শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কেউ নন বলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গণমাধ্যমকে জানান। তাহলে এ শিক্ষার্থী দুজন কাদের পরামর্শে এ আবেদন করেছিলেন, এমন প্রশ্নও এখন উঠছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছেন এমন অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করায় শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে; ফলে সরকার কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যায়। এ বিক্ষোভ দ্রুত প্রশমনের জন্য সরকারের মন্ত্রীরা হয়তো ভেবেছিলেন, আইনি উপায়ে যদি এমন কিছু ব্যবস্থা করা যায়, যাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করার আর কোনো যুক্তি থাকবে না। এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে হয়তো এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
সরকার মনে করেছিল, আপিল বিভাগের দেওয়া সিদ্ধান্তের পর আন্দোলনের তীব্রতা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে এর উলটো। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করার পর, যে আপিল বিভাগ ৪ জুলাই কোনো সিদ্ধান্ত দেননি, সেই আপিল বিভাগই ৯ জুলাই মন্ত্রীদের বৈঠকের সূত্র ধরে দুজন শিক্ষার্থীর আবেদনের পরদিনই চার সপ্তাহের জন্য যে ‘স্থিতাবস্থা’ দিয়েছেন. তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের প্রশ্ন, মন্ত্রীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর কেন? এ ‘স্থিতাবস্থা’র আদেশ তো ৪ জুলাইতেই দেওয়া যেত। তবে এ কথা ঠিক, উচ্চ আদালত কখন কোন আদেশ দেবেন, তা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট ৫ জুনে দেওয়া রায়ের কার্যকরী ও নির্দেশনার মূল অংশ প্রকাশ করেছে। রায়ে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়া এর আগে যে যে ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দ ছিল, সেসব ক্ষেত্রেও কোটা পদ্ধতি বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সরকার কোটার অনুপাত বা শতাংশ কমাতে কিংবা বাড়াতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধা তালিকা থেকে কোটা পূরণের কথা বলা হয়েছে। হাইকোর্ট রায়ের এ আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে কোটা পুনর্বহাল করতে বলেছেন। আপিল বিভাগ যেহেতু চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন, ফলে এ রায় এখনই বাস্তবায়ন করা যাবে না। জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর লিভ টু আপিল করবে।
শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন যেভাবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তাতে সরকার চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এ আন্দোলন যে এত তীব্র হবে, তা হয়তো ভাবেনি। সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের অনেক মন্ত্রী এ কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আদালত অবমাননা বলছেন। ৭ জুলাই যুব মহিলা লীগের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা, এটি তো সাবজুডিস। কারণ, আমরা সরকার থেকে এভাবে কিন্তু কোনো কথা বলতে পারি না। কারণ, হাইকোর্ট রায় দিলে হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।’ এমন বক্তব্য শুনে অনেকেই বলছেন, সরকার এবং সরকারি দলের নেতাকর্মীও আদালতের এমন অনেক নির্দেশ অমান্য করে থাকেন। অতীতে এমন অনেক উদাহরণও আছে।
সরকার আদালতের আদেশকে পাশ কাটিয়ে অনেক নির্দেশই যে দেন, তার সর্বশেষ উদাহরণ হলো, ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার অনুমোদন। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর রিকশাচালকরা তীব্র আন্দোলন শুরু করে। তারা রাস্তা অবরোধ, গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত সরকার আদালতের রায়কে পাশ কাটিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দেন এবং এ নির্দেশের পর থেকে রাজধানীর বুকে ব্যাটারিচালিত রিকশা দিব্যি চলে বেড়াচ্ছে। এর মানে কী দাঁড়ায়, আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও তা অগ্রাহ্য করে সরকারের নির্দেশে এদেশে অনেক কিছুই করা সম্ভব! এখন কেউ যদি প্রশ্ন করেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো বন্ধের নির্দেশ কি আদালত তুলে নিয়েছে? যদি তুলে না থাকে, তাহলে আদালতের সেই নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে সরকার কোন কর্তৃত্বের বলে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিল? এ নির্দেশের মাধ্যমে আদালতের আদেশ অমান্য করা হলো কিনা ভেবে দেখতে হবে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এখানে জনৈক ব্যক্তির একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি লিখেছেন, ‘সরকার আজকে কোটা আন্দোলন নিয়ে বারবার একই কথা বলছেন, হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন, এইখানে সরকারের কিছু করার নেই। আচ্ছা, তাহলে অটোরিকশাও হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ছিল। সরকার ওইটা বৈধ করল কীভাবে?’ এখানে ভদ্রলোক অটোরিকশা বলতে হয়তো ব্যাটারিচালিত রিকশাকেই বুঝিয়েছেন। উল্লেখ্য, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের জন্য ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এ ধরনের সব রিকশা বন্ধ করতে ২০১৪ সালে প্রথমবার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০১৭ সালে এসব পরিবহণ বন্ধে আরেক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় হাইকোর্ট থেকে। এরপর ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইকসহ এ ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ। পরে এ আদেশের সংশোধন চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ব্যাটারিচালিত রিকশা সর্বত্র বন্ধের আদেশ বহাল রাখেন।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ‘ইন্টেরিম রিক্রুটমেন্ট রুলস্’-এর অধীনে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি চালু করে। এ আইনের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে চাকরিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া। সাময়িকভাবে এ কোটা পদ্ধতি চালু করলেও এটি জারি রয়েছে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও। শুরুতে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকলেও পরে এ কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তারপর নাতি-নাতনি যুক্ত করা হয়। তাতে অনেকের ধারণা হয়েছে, একটি মহল রাজনৈতিক স্বার্থে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যের পোষ্যদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। ফলে, ২০১৮ সালে এ কোটা পদ্ধতিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের এক পর্যায়ে ওই বছর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র প্রকাশ করে। ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট, ৫ জুন সেই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন। তিন বছর আগের করা রিটের রায় এতদিন পর হঠাৎ করে কেন দেওয়া হলো, এ নিয়েও প্রশ্ন আছে। প্রথমদিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষে জুনের শেষভাগে এসে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়ে গেল। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে দেশ যখন সরগরম, ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ যখন নানামুখী সমালোচনায় মুখর, ঠিক তখনই মুক্তিযোদ্ধা কোটা আন্দোলন যেন সরকারের জন্য ‘তীব্র দাবদাহে’ বৃষ্টির মতো হাজির হয়েছে। এ আন্দোলন খুব ভালোভাবেই মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র ঘোরাতে পেরেছে। ফলে, এখন পুলিশের বেনজীর কিংবা এনবিআরের মতিউরের খবর খুব একটা চোখে পড়ে না। একইসঙ্গে রেল করিডর, রাডার স্থাপন এবং তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারতবিরোধী সমালোচনাও যেন খবরের কাগজ থেকে উধাও হয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে বিভিন্ন কায়দায় আরও কিছুদিন চলতে দেওয়া হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে যে সমালোচনা আছে, তা-ও যেন মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থাকে। তবে, কোটা আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার এর হাল ধরার চেষ্টা করবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার যদি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় বলা মুশকিল হবে। তখন হয়তো, নিজের খোঁড়া গর্তেই পা পিছলে পড়তে হবে।
শোনা যাচ্ছে, সরকার কোটাব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সরকার কোটা কমিয়ে সমাধানের পথ খুঁজছে। কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে কোন কোটা কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে সরকারের ভেতরে আলোচনাও শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও সব গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম মাত্রায় এনে আইন পাশ করানোর দাবি জানিয়েছে। সবার প্রত্যাশা, আদালতের দোহাই দিয়ে নয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সরকার এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করবে, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ, মানুষ বিশ্বাস করে, সরকার চাইলে এ দেশে সবকিছুই সম্ভব।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা