বাইফোকাল লেন্স
‘বেনজীর’ যাদের সৃষ্টি, তারা কি দায় এড়াতে পারেন?
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত কিছুদিন ধরে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মে মাসে ঘটে যাওয়া পরপর তিনটি ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। প্রথমে সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড, তারপর সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং সর্বশেষ বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি ফাঁস ও তার সম্পত্তি জব্দ করা নিয়ে আদালতের নির্দেশ। এ ঘটনাগুলোর মধ্যে বেনজীরকে নিয়েই লেখালেখি ও আলোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ফলে বাকি দুটি ঘটনা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।
পুলিশ, একটি রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ছাড়াও সমাজের অনেক সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হয় পুলিশকে। এছাড়া দেশের অনেক দুর্যোগ-দুর্ভোগ মোকাবিলায় পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে যোগ্য ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেওয়া হবে-এটাই প্রত্যাশা। পেশাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসাবে বেনজীরকে নিয়োগ দেওয়া সরকারের ভুল ছিল, সে কথা বলব না। পুলিশের মহাপরিদর্শকের পদ অলংকৃত করার মতো যোগ্যতা ছিল তার। তবে তাকে নিয়োগ দেওয়ার সময় শুধু পেশাগত যোগ্যতাই কি বিবেচনা করা হয়েছিল? নিঃসন্দেহে তা নয়। তাকে নিয়োগের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি তার অকৃত্রিম আনুগত্যও যে কাজ করেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ কথা সবাই জানেন, এ পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে বেনজীর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে চাহিবামাত্র সেবা দিয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর (২০০৯-২০২২) বেনজীর বরাবরই সরকারের সুনজরে ছিলেন। এ সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে নিয়োগ পান। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর বেনজীর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঠিক একইভাবে তিনি ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। এ সময় ভিন্নমত ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে তিনি এতটাই উৎসাহিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তখন তাকে অপরিহার্য মনে করেছিল। এজন্যই সরকার তাকে এত লম্বা সময় এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রেখেছিল। তারপরই তাকে পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন।
বেনজীর আহমেদের প্রায় ৩৫ বছরের চাকরিজীবনে তিনি পাঁচবার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল’ লাভ করেন। এ পদকগুলো তিনি ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পেয়েছেন। এছাড়াও তার কৃতিত্বের মধ্যে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকও আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২০-২০২১ সালে তাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২১ সালে বেনজীরকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করে। সন্দেহ নেই, সরকার বেনজীরের কাজে সন্তুষ্ট হয়েই তাকে পুরস্কৃত করেছে। দুদকের নথি অনুযায়ী, যে বেনজীরের নামে এখন একে একে দুর্নীতির দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছে, সে বেনজীরকেই সরকার শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করেছে। অথচ শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝায়। ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্র্যাটেজির সংজ্ঞা অনুযায়ী, শুদ্ধাচারকে সমাজের মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বোঝায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ বোঝানো হয়-কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে কর্মসম্পাদন ও যাপিতজীবন। এখন বেনজীরের অবৈধ সম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের যে তালিকা বেরিয়ে আসছে, এর সঙ্গে শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতার কোনো মিল পাওয়া যায় না। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, যে মন্ত্রণালয় বেনজীরকে এ শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে, সে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, কোন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে বেনজীরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। আমরা খতিয়ে দেখব, তিনি কীভাবে এ পুরস্কার পেয়েছিলেন।’
এ বক্তব্য শুনে মন্ত্রী মহোদয়কে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে, এখন কেন খতিয়ে দেখবেন? যখন পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, তখন কেন যাচাই করে নেওয়া হয়নি? এখন চারদিকে হইচই রইরই পড়ে যাওয়ায় আপনাদের বেনজীর গুণমুগ্ধতার মোহ ভঙ্গ হয়েছে! মাত্র দুটি উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে সরকার একজন দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাকে কীভাবে পুরস্কৃত করেছে। সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন তার মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০-২০২১ সালে বেনজীরকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে, সেসময় দুদকের তথ্য অনুযায়ী, বেনজীর ও তার পরিবার প্রায় ৮৭ একরেরও বেশি জমি ক্রয় করেছেন। ২০২১ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যখন বেনজীরকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করে, ওই সময় বেনজীর ও তার পরিবার ১৩৮ একরেরও বেশি জমির মালিক ছিলেন। সরকারের উচ্চমহল কি এখন অস্বীকার করতে চায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেনজীরের এত অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার কোনো তথ্যই তাদের জানা ছিল না? রাষ্ট্রের অত্যন্ত শক্তিশালী দুটি গোয়েন্দা সংস্থা তাহলে কী করেছে? অন্যান্য দায়িত্ব পালন ছাড়াও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কখন কী করেন, সেই খবর সরকারপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেওয়াও এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কাজ। এ সরকারের আমলেই, এ সংস্থা দুটির একটিতে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, সংস্থা দুটি অবশ্যই যথাসময়ে বেনজীরের সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরকারকে অবগত করেছে। তাছাড়া তাদের কোনো উপায়ও নেই। কারণ, এসব তথ্য যদি অন্য কোনো সূত্রের মাধ্যমে সরকারপ্রধানের কাছে পৌঁছে যায়, তাহলে তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হয়। সুতরাং, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বেনজীরের এ অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরকার কিছুই জানত না, কথাটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সুতরাং, এটি সহজেই অনুমান করা যায়, সরকার বেনজীরের এসব অপরাধের কথা জানলেও তা বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অর্থাৎ বেনজীর, সরকারের জন্য এতটাই অপরিহার্য ছিলেন, তার সব অপকর্মই তারা হজম করে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাকে খুশি করার জন্য পদক ও পুরস্কারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
এখন যে বুদ্ধি ও বিবেচনায়ই সরকার বেনজীরকে পরিত্যাগ করুক না কেন, তার অপরাধের দায়ভার তারা এড়াতে পারন না; কিন্তু সরকারের মন্ত্রীদের বক্তৃতা-বিবৃতি শুনে মনে হয়, তারা এখন বেনজীরের অপরাধের বোঝা আর টানতে চান না। সরকারের সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শুনে তাই মনে হয়। তিনি বেনজীরের দুর্নীতির খবর তার পদে থাকাকালীন গণমাধ্যমে প্রকাশ না পাওয়ায় সাংবাদিকদের সৎসাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ২ জুন ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদকর্মী বেনজীর র্যাবের ডিজি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকা অবস্থায়ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান, সরকার এখন কেন সে দায় নেবে না? জবাবে ওবায়দুল কাদের উলটো সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কোন টিভিতে কাজ করেন? বেনজীর দুর্নীতি করেছে আপনি কি বলতে পেরেছেন? মিডিয়ায় কে বলেছে? সবশেষে বলেছে ‘কালের কণ্ঠ’। আপনারা কেউ বলেননি। সে সাহসটা তো আপনারা সবাই দেখাতে পারেননি। এখন সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। আপনি কী করে বলেন, সরকার জেনেও এটা গোপন করেছে?’ আমি জানি না, ওবায়দুল কাদের এভাবে সাংবাদিকদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের দায়ভার থেকে কতটুকু মুক্ত হতে পারবেন। সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সর্বোচ্চ পদে থেকে বেনজীর যেভাবে দুষ্কর্ম করে গেছেন, ওবায়দুল কাদেরের কথায়, তা জানতে না পারাও যে সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা, তা তিনি অস্বীকার করবেন কী করে? সাংবাদিকরা বেনজীরের অপরাধের কথা জানার পরও মিডিয়ায় তা প্রকাশ করতে কেন সাহস করেননি, তা সম্প্রতি ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের দেওয়া এক বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়েছে। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বেনজীরের কুকর্ম আমরা মিডিয়াতে জানতাম, কিন্তু রিপোর্ট করতে সাহস পেতাম না। কারণ ওই সময়ে সে যে পাওয়ারফুল আইজিপি ছিল, সে সাংবাদিকদের তখন কিনা করতে পারত। ওই সময় যদি রিপোর্ট করা হতো, তাহলে সরকার কি পাশে এসে দাঁড়াত?’
ওবায়দুল কাদের ৪ জুন আওয়ামী লীগের আরও একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বেনজীর আহমেদ আমাদের দলের লোক নন। সিনিয়রিটি নিয়ে তিনি আইজিপি হয়েছেন। আজিজ আহমেদও আমাদের দলের লোক নন। সেনাপ্রধান হয়েছেন নিজ যোগ্যতায় সিনিয়রিটি নিয়ে। আমরা তাকে বানাইনি। আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনা, র্যাব বা প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যতা কতটুকু আছে তা নিয়ে কিছু বলব না। তবে এতটুকু বলতে পারি, আজিজ আহমেদকে যখন সেনাপ্রধান করা হয়, তখন তার চেয়েও অনেক যোগ্য ও সিনিয়র কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ওবায়দুল কাদের যে কথাই বলুন না কেন, এসব পদে সরকার কাদের নিয়োগ দেন, সে বিষয় কমবেশি সবারই জানা আছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, সরকারপ্রধানের বিশেষ পছন্দের লোক না হলে কেউ পুলিশের মহাপরিদর্শক হতে পারেন না। ঠিক একই কথা সশস্ত্রবাহিনীর প্রধানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিগত বেশ কয়েকটি নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখে সাধারণ মানুষের ভেতর এ ধারণাই জন্মেছে, আমাদের দেশে বাহিনীপ্রধান হতে হলে শুধু পেশাগত যোগ্যতা থাকলেই হয় না; রাজনৈতিক আনুগত্যও থাকতে হয়। কয়েক দশক ধরেই রাজনৈতিক আনুগত্যকেও যোগ্যতার মাপকাঠি ধরা হচ্ছে। আবার দেখা যায়, কারও কারও ক্ষেত্রে পেশাগত যোগ্যতারও প্রয়োজন পড়ে না, শুধু আনুগত্য দেখিয়েই বৈতরণি পার হয়ে যান। দেশের মানুষ মনে করেন, যিনি বা যারা এসব পদে নিয়োগ দেন তারা দেখেন, যাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তিনি তাদের অভিপ্রায় নির্দ্বিধায় পূরণ করবেন কি না। এক্ষেত্রে পেশাদার যোগ্য ব্যক্তিকে অতিক্রম করতে হলেও তাকেই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, এ দেশে বেনজীর কি একজনই? নাকি আরও বেনজীর আছে? বেনজীর কাদের সৃষ্টি? সরকার কি এমন বেনজীর সৃষ্টির দায় এড়াতে পারে? ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতিকে যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে, তাতে অনুমান করা যায়, এমন বেনজীর এ দেশে আরও আছে। গণমাধ্যমে খবর হলেই কেবল আমরা শুনতে পাই, তাদের নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা হয়। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এমন অনেকেই এখনো সরকারের সুনজরে আছেন। তাদের দেখে মনে হয়, তারাও বেনজীরের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী, রক্ত হিমশীতল করা ভয়ংকর ব্যক্তি; ভিন্নমতাবলম্বী নেতা পিটিয়ে সরকারের নজরে এসেছেন। তাদের অনেকেই এখন মানুষের সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার করেন। মিডিয়ায় ঘনঘন হাজির হয়ে বেনজীরের মতোই সততার গল্প শোনান।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা