বাইফোকাল লেন্স
আনোয়ারুল আজিম, আজিজ ও বেনজীরের ঘটনায় সরকার কি সত্যিই বিব্রত!
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া পরপর বেশ কয়েকটি ঘটনা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রথমে আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিমের ভারতে মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ। তারপর সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি এবং তার পরপরই আদালত কর্তৃক পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি জব্দের আদেশ জারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে বেশ বেকায়দায়ই ফেলে দিয়েছে। যে কজন ব্যক্তিকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমে বড় বড় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে, তারা সবাই-ই এ দেশের মানুষের কাছে পরিচিত। তাদের কৃতকর্মের অনেক খবরই মানুষের জানা। দীর্ঘদিন ধরেই এসব ব্যক্তির ব্যক্তিগত দুর্নীতি ও দুষ্কর্ম নিয়ে দেশের সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছে। অতীতে এসব ঘটনা নিয়ে সরকারের অনেক ক্ষমতাধর নেতাকেই বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে দেখা গেছে। যার বেশির ভাগই ছিল অনেকটা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।’ এখন পরিস্থিতি পালটেছে। এমন হয়েছে যে, ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’। এটি কীভাবে হয়েছে, এ লেখায় তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মর্মান্তিক মৃত্যু সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এমনভাবে একজন সংসদ-সদস্যের মৃত্যু ঘটবে তা মোটেও কাম্য ছিল না। তার এ অপমৃত্যুতে সমবেদনা জানানো ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, তার এ পরিণতির জন্য কাকে দায়ী করা যায়? যারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে, নিঃসন্দেহে তাদেরই দায়ী করা উচিত। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উন্মোচনের পর যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, তার এ পরিণতির জন্য তিনিও কম দায়ী নন। হুন্ডি ব্যবসা, খুন-খারাবি ও বেপরোয়া স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনা নিয়ে দলের ভেতরেও তিনি বিতর্কিত ছিলেন। এ স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে শত্রুতার জের ধরেই তিনি খুন হয়েছেন বলে এখন পর্যন্ত তথ্যে জানা গেছে। আনোয়ারুল আজিম ও তার ঘনিষ্ঠ চোরাকারবারি বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন স্বর্ণ চোরাচালান ও হন্ডিসহ আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় অনেকদিন যাবত জড়িত ছিলেন। এ দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয় বলে গোয়েন্দা তদন্তকারীরা মনে করছেন। স্বর্ণ চোরাচালান আনোয়ারুল আজিমের আজকের কারবার নয়। অনেক আগে থেকেই তিনি এ কারবারের সঙ্গে জড়িত। তার দলেরই একটি অংশের বক্তব্য, ২০০৭ সালের দিকে স্বর্ণ চোরাচালানের বড় ধরনের একটি চালান ধরা পড়ার ঘটনায় বিপাকে পড়ে তিনি মামলার আসামি হয়েছিলেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি পরে খুন হলে তাতেও আনোয়ারুল আজিমের নাম আলোচনায় এসেছিল। দলের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, আনোয়ারুল আজিম সংসদ-সদস্য হওয়ার পর থেকে এলাকায় এমন কোনো খুন বা বড় চোরাচালানের ঘটনা ঘটেনি, যেখানে তার নাম আসেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে ক্ষমতায় আসার আগে খুন, ডাকাতি, হুন্ডি ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২১টি মামলা ছিল। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে একই কারণে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত জারি ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লাগ ক্ষমতায় আসার পর ইন্টারপোল থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে করা ২১টি মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যা, মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল। আনোয়ারুল আজিম আওয়ামী লীগের টিকিটে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের সব বিতর্কিত নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে ব্যক্তি এতগুলো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তিনি কীভাবে তিন দফায় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। এমন নয় যে, তার এ অপকর্মের কথা দলের কারও জানা ছিল না। আনোয়ারুল আজিমের এ কর্মকাণ্ডের কথা অনেকটা প্রকাশ্যেই আলোচনা হতো। এসব বিষয়ে দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদেরও জানা ছিল বলে শোনা যায়।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অতিসম্প্রতি দেওয়া একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ২৩ মে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আনোয়ারুল আজিম কী ছিলেন, সেটা বড় কথা নয়। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা দেখে দল তাকে তৃতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছে।’ এর মানে কী দাঁড়ায়? তার মানে, তিনি যত অপরাধমূলক কাজ করুন না কেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তিনি যে কোনো কারণেই হোক এলাকায় জনপ্রিয়, কাজেই তাকে মনোনয়ন দিলে পাশ করে আসতে পারবেন, সেটাই বড় কথা? কলকাতার গণমাধ্যম আনোয়ারুল আজিম স্বর্ণ চোরাচালানকারী ছিলেন বলে সংবাদ প্রকাশ করে, এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন বলছেন, কলকাতা তাকে চোরাকারবারি বলছে। আমি আপনাদের বলব, আনোয়ারুল আজিম যখন তিন-তিনবার জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তখন কি আপনারা এটা পেয়েছিলেন? এখন ভারতীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্য আনল, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন।’ তিনি সাংবাদিকদের দোষারোপ করে বলেন, ‘আপনারা তো এই দেশের নাগরিক, সে যদি অপরাধী হয়, সে অপরাধটা আপনাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন এলো না?’ সাংবাদিকদের দোষারোপ করা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্য কিছুতেই গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এবারের নির্বাচনের আগে, বহুবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি, দুর্নীতি ও দুষ্কর্মের দুর্নাম আছে এমন কোনো সংসদ-সদস্যকে দলের সভাপতি মনোনয়ন দেবেন না। এ জন্য দলীয় চ্যানেল ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই সভাপতি মনোনয়ন দিয়েছেন। তাতে শতাধিক সাবেক সংসদ-সদস্য মনোনয়নবঞ্চিত হলেও, আনোয়ারুল আজিমের নাম এ বঞ্চিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। তার অপকর্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিতে দলীয় চ্যানেলসহ সরকারের সংস্থাগুলো কীভাবে ব্যর্থ হলো সেটিও একটি বড় প্রশ্ন।
ওবায়দুল কাদেরের আরও একটি বক্তব্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি ২৪ মে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ব্যক্তি যত প্রভাবশালী হোক, অপরাধ করতে পারে, অপকর্ম করতে পারে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুদক স্বাধীন। সেখানে যদি অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত হয় কেউ, আমরা তাকে প্রোটেকশন দিতে যাব কেন? তিনি সাবেক আইজিপি হোন আর সাবেক সেনাপ্রধান হোন। আমাদের দেশের প্রচলিত আইন তাদের শাস্তির কাছে সমর্পণ করবে। এ কারণে সরকারের কাউকে কোনো ধরনের প্রোটেকশন দেওয়ার বিষয় নেই। অপরাধী যত প্রভাবশালী হোক প্রশ্ন থেকে যায়, সরকার অপরাধের শাস্তি পাওয়ার ব্যাপারে সৎ সাহস দেখিয়েছে কিনা।’ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শুনে এটা সহজেই অনুমান করা যায়, তিনি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের প্রতি ইঙ্গিত করে এ কথাগুলো বলেছেন। কারণ এ সময় এ দুজন সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে এ দুজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সে অভিযোগের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। এখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক যে অনুসন্ধান চালায়, তারই অংশ হিসাবে বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করলে, আদালত দুদকের সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের সঙ্গে তার ৮৩টি জমির দলিলও জব্দের আদেশ দেন। অপরদিকে, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদের সম্পর্কে বাজারে ব্যাপক দুর্নীতির কথা শোনা গেলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা সরকারের কোনো সংস্থা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আনেনি। তবে সরকার এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণ দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ এনে দাবি করা হয়েছে, ব্যক্তি স্বার্থের বিনিময়ে সরকারি নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। ভাইয়ের অপরাধ সত্ত্বেও তাকে বাঁচাতে দুর্নীতির আশ্রয় নেন আজিজ আহমেদ।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার উত্থাপিত কোনো অভিযোগ ছিল না। ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকা সম্প্রতি ‘সাবেক আইজিপির অপকর্ম-১ এবং ২ নামে দুই পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারপরই দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয় এবং তার জের ধরেই দুদক অনুসন্ধানে নামে। তবে এখানে একটি জায়গায় এ দুজনের ঘটনার মিল আছে; তা হলো তাদের কারোর বিরুদ্ধেই সরকার নিজ উদ্যোগে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেনি। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ গড়ার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জনের কথা অস্বীকার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপরও দুদক তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারির পর, আজিজ আহমেদও গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চলেছেন। আমরাও তার কথায় আস্থা রাখতে চাই। তার এ দাবি দেশের জনগণ কতটুকু গ্রহণ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সরকার কিছুটা বিব্রত আছে। এ বিষয়টি আর বাড়তে না দিয়ে আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে আনা যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগগুলো তদন্তের মাধ্যমে ভুল প্রমাণ করে দিলেই হয়। আজিজ আহমেদ যদি এতই আস্থাশীল হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নিজেই সরকারকে তদন্তের জন্য অনুরোধ করতে পারেন। অথবা সরকারও একটি তদন্তের ব্যবস্থা করতে পারে। সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে তদন্তের মাধ্যমে আজিজ আহমেদ দোষী কি নির্দোষ তা প্রমাণ করে দিতে পারে। তা না হলে দেশের মানুষের ভেতর যে ধারণা জন্মেছে, তা দূর করা সম্ভব হবে না।
সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিম, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদ, এরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনয়নপ্রাপ্ত বা নিয়োগকৃত। সে বিবেচনায় তাদের কৃতকর্মের জন্য সরকারও দায় এড়াতে পারে না। আনোয়ারুল আজিমকে মনোনয়ন দেওয়ার আগে কিংবা বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদকে নিয়োগ দেওয়ার আগে সরকার নিশ্চয়ই যাচাই-বাছাই করে নিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশেষ করে, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও সেনাপ্রধান নিয়োগের সময় তাদের চেয়ে আরও সৎ, পেশাদার যোগ্য কর্মকর্তা কি ছিল না? যদি যোগ্য কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তারা দেশ ও দেশের বাইরে যে দুর্নাম ছড়িয়েছেন, সে দুর্নামের ভাগ ক্ষমতাসীন সরকারের নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় যারা আছেন, তাদেরও নিতে হবে। পাশাপাশি, এ দুর্নাম ঘোচানোর জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রতিফলনও ঘটাতে হবে। ওবায়দুল কাদের, প্রভাবশালী অপরাধীর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের যে সৎ সাহসের কথা বলেছেন, তা শুধু মুখের কথার ফুলঝুরি হলেই চলবে না, কার্যক্ষেত্রেও তা করে দেখাতে হবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা