Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশও ভূমিকা রাখতে পারে

Icon

ড. দেলোয়ার হোসেন

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশও ভূমিকা রাখতে পারে

যুদ্ধ মানবতা ও সভ্যতার অন্যতম চ্যালেঞ্জ; বলা যায় অন্যতম শত্রু। বিশ্ব সভ্যতার ব্যাপক অগ্রগতি সত্ত্বেও যুদ্ধ নামক ভয়ংকর বাস্তবতা থেকে পৃথিবী পরিত্রাণ লাভ করতে পারেনি। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।

ইতিহাসবিদদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি বিশ্বে শত বছরব্যাপী যুদ্ধ হয়েছে, ৩০ বছরব্যাপী যুদ্ধ হয়েছে, নেপোলিয়ানিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে। লক্ষ করার বিষয়, পৃথিবীতে যত বৃহৎ আকারের যুদ্ধ হয়েছে, এর প্রায় সবই সংঘটিত হয়েছে ইউরোপে অর্থাৎ ইউরোপ ছিল যুদ্ধের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।

ইউরোপের বাইরেও সারা বিশ্বে নানা সময় নানা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। কখনো সাম্রাজ্য রক্ষা করার জন্য, কখনো সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করার জন্য যুদ্ধ হয়েছে, অন্য কোনো দেশ বা অঞ্চলকে আক্রমণ করার জন্য যুদ্ধ হয়েছে। ফলে যুদ্ধের ইতিহাস অনেক করুণ। যুদ্ধের ভয়াবহতার সঙ্গে মানবজাতি পরিচিত। যুদ্ধ কীভাবে পৃথিবীকে বিভিন্ন সময় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, বিভিন্ন সভ্যতাকে ধ্বংস করেছে এবং আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা উপলব্ধি করা যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হলেও বৃহৎ শক্তিগুলো সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর পূর্ব ইউরোপ, মধ্য ইউরোপ থেকে শুরু করে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ সংঘটিত হলেও সে যুদ্ধগুলো একটা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

তারপরও আমরা যুদ্ধের ভয়াবহতা ও নির্মমতা দেখেছি। কিন্তু গত দুবছর বা এরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে যুদ্ধের একটি নতুন মাত্রা আমার দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বৃহৎ শক্তিগুলো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ আপাতদৃষ্টিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে হলেও ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার জন্য ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্ব সরাসরি সামরিক অস্ত্র দিচ্ছে, সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। ফলে যুদ্ধটি বস্তুত রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যেই সংঘটিত হচ্ছে। ফলে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের বাস্তবতার মধ্যেই আমরা বাস করছি এখন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত কয়েক বছর ধরেই এ যুদ্ধের ভয়াবহতা ও বিভিন্ন দিক নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রেখেছেন এবং বক্তব্যগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও স্পষ্ট। আমরা দেখেছি, ২০২২ ও ২০২৩ সালে জাতিসংঘে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন এবং যুদ্ধের ফলে কী ধরনের বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে, তিনি তার ইঙ্গিত করেছেন। যুদ্ধের অসংখ্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন যুদ্ধের কারণে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়।

যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা বিশ্ব ব্যাপকভাবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, রাশিয়াও তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পালটা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে ভয়াবহ নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি দেখতে পাচ্ছি আমরা। এর প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকট চরমে উঠেছে। এখন আমরা দেখছি গাজা যুদ্ধের ভয়ংকর অবস্থা। দেখছি ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা।

এ পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধের ভয়াবহতা, যুদ্ধের কারণে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, মানবতার পতন এবং যুদ্ধের দরুন যে ধরনের অবিশ্বাস ও বৈরিতা তৈরি হয়েছে-সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফোরামে শান্তির পক্ষে বক্তব্য রাখছেন, সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।

গত ২৫ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এসকাপের ৮০তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। এ বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান আরও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। এ ভাষণটি সমগ্র বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তিনি এ ভাষণটি দিয়েছেন জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনে (এসকাপ), কিন্তু সমগ্র বিশ্বকে সামনে রেখেই তিনি বক্তব্য রেখেছেন। তিনি সরাসরি বলেছেন, এখনই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত এবং যুদ্ধের মাধ্যমে কখনোই কোনো সমাধান আসে না।

যুদ্ধের মাধ্যমে নারী, শিশুসহ অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে গাজা যুদ্ধ। সেখানে হত্যার শিকার ৭০-৭৫ শতাংশই হলো নারী ও শিশু। শেখ হাসিনা যুদ্ধের একটি মানচিত্র উপস্থাপন করেছেন। একদিকে যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে, গাজা যুদ্ধ চলছে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে, একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারে সংঘটিত গৃহযুদ্ধের কথাও তিনি বলেছেন। যুদ্ধের এ মানচিত্র অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলছে। যুদ্ধের ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্ব তথা বৈশ্বিক দক্ষিণের (গ্লোবাল সাউথ) দেশগুলো। সেখানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে কয়েকটি দিক স্পষ্ট। প্রথমত, তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট ও জোরালোভাবে যুদ্ধকে ‘না’ বলার কথা বলেছেন। কারণ যুদ্ধ মানেই হচ্ছে ধ্বংস, সহিংসতা, আগ্রাসন। এ যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব একটি চরম সংকটে উপনীত হয়েছে। শেখ হাসিনা যথার্থই যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধ দেশটির ভেতরে চরম সংকট তৈরি করেছে এবং একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটকে আরও জটিল করেছে। মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যার ফলে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এ মুহূর্তে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।

মিয়ানমারের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। পুরো অঞ্চলটি ভয়ংকরভাবে একটি অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি যেমন বাংলাদেশের প্রতিবেশী অঞ্চল বা রাষ্ট্রের বাস্তবতা, একইসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা যুদ্ধের মাধ্যমে নারী ও শিশু হত্যার বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেছেন। বিশ্ব অর্থনীতি যে সংকটে পড়েছে, সেই সংকটের কথা তিনি বলেছেন।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী শুধু যুদ্ধের ভয়াবহতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেননি, কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সেসব বিষয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আঞ্চলিক সংকট বা দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হলে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। এ সংলাপকে স্বাগত জানাতে হবে, সংলাপের আয়োজন করতে হবে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৫০-এর দশক থেকে ’৯০-এর দশক পর্যন্ত সংকট আমরা দেখেছি, অনেক যুদ্ধ দেখেছি; কিন্তু সেই সংকট ও যুদ্ধের পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়া চালু ছিল, শান্তির সংলাপ চালু ছিল, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। বর্তমানে কার্যকর কিংবা টেকসই কোনো সংলাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, সংলাপ প্রয়োজন এবং সংলাপের মাধ্যমেই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংকট সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে একদিকে তিনি যেমন বৃহৎ শক্তিগুলোর দায়িত্বের কথা বলেছেন, একইসঙ্গে জাতিসংঘের নতুন শান্তি এজেন্ডাকে সমর্থন করেছেন। অর্থাৎ জাতিসংঘের ভূমিকাকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘নয়া শান্তি এজেন্ডা’ পিস-কে সমর্থন করেছেন।

যেহেতু তিনি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কথা বলছেন, সে কারণে তিনি রোহিঙ্গা সংকট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংকট সমাধানে আসিয়ানের ভূমিকার কথা বলেছেন। আসিয়ানের দশটি সদস্য দেশ আছে এবং সংস্থাটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। আসিয়ানের মাধ্যমে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংকট সমাধান করা সম্ভব।

তৃতীয়ত, তিনি এ যুদ্ধ বন্ধে বা সংঘাত নিরসনে শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা বলেছেন। শুধু বক্তব্য রেখেই বাংলাদেশ দায়িত্ব শেষ করছে না, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও অর্জনও তুলে ধরেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর কথা তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন। ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান বিশ্বে সামরিক যুদ্ধের পাশাপাশি আরেকটি যুদ্ধ আমরা প্রত্যক্ষ করছি, যা হচ্ছে জলবায়ু যুদ্ধ। এই জলবায়ু যুদ্ধের প্রধান দিক হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে ভয়ংকর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে বাংলাদেশ তার সীমিত সম্পদের মধ্যেও ভূমিকা রাখছে। সেদিকেও প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অভিযোজন মিটিগেশনের চেষ্টা করছে এবং সাফল্য অর্জন করছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিশ্বের সঙ্গে বিনিময় করার কথা বলেছে।

চতুর্থত, বর্তমান বিশ্বে একটি নেতৃত্ব সংকট বিরাজ করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে বিভিন্ন সংকটে যে দেশগুলো একসময় বড় ভূমিকা পালন করেছে যেমন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ, বর্তমান বিশ্বে সে দেশগুলো থেকে কোনো আশাবাদ বা দূরদর্শিতা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ নেতৃত্বশূন্যতার সময়ে শেখ হাসিনা একটি বড় ভূমিকা রাখছেন। তিনি বিশ্বনেতার অবস্থান থেকেই কথাগুলো বলছেন।

তিনি একদিকে বিশ্বনেতা হিসাবে বিশ্বের সমস্যাগুলো তুলে ধরছেন, একইসঙ্গে উন্নয়নশীল বিশ্বের অন্যতম মুখপাত্র হিসাবে বক্তব্য রাখছেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের যেসব চ্যালেঞ্জ আমরা দেখছি, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ব শক্তিগুলোর এগিয়ে আসার কথা তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন। তিনি জ্বালানি ব্যবস্থাপনার কথা বলেছেন। একটি ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কথা বলেছেন। এসকাপ অধিবেশনে শেখ হাসিনার বক্তব্যটি বহুমাত্রিক এবং অত্যন্ত গভীর দার্শনিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং এর মাধ্যমে বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

পরিশেষে, বর্তমানে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নতুন গুরুত্ব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল তথা দক্ষিণ এশিয়ার কথা সামনে চলে আসে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কথাও চলে আসে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংহতি, ঐক্য বৃদ্ধি করতে হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই ভূ-রাজনৈতিক সংকট থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান করা সম্ভব। এ কথাটিই তিনি বারবার বলার চেষ্টা করেছেন। বর্তমান বিশ্ব সংকটকে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, পরিবেশগত কিংবা সামরিক যেভাবেই আমরা বিবেচনা করি না কেন, সেখানে এশিয়ার দেশগুলোর একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

এ ভূমিকা পালন করতে হলে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও ঐক্য বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের ভূমিকা রয়েছে, আসিয়ানের ভূমিকা রয়েছে, এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে চীন, ভারত ও জাপানের ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। শেখ হাসিনার মতো বিশ্বের আরও নেতাদের এসব বিষয়ে যেমন-যুদ্ধ বন্ধ করা, যুদ্ধকে না বলার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে এবং একটি সুন্দর মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।

ড. দেলোয়ার হোসেন : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম