আতঙ্কগ্রস্ত ব্যাংক গ্রাহকরা নিজেদের নিরাপদ দেখতে চান
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লাল-হলুদ-সবুজ বিভাজনে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ধারণ ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক পরিলক্ষিত হচ্ছে। সময় ধরে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণ-নিরীক্ষণ এবং যথার্থ যাচাই-বাছাই করে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কি না, তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এমনিতেই নিত্যপণ্য-বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বাজার সিন্ডিকেট, গ্যাস-ডলার সংকট ইত্যাদি কারণে দেশবাসীর অবস্থা প্রায় অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জনজীবনে এক ধরনের দুর্ভোগ লক্ষণীয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ধরনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি মোটেও প্রত্যাশিত নয়। যথার্থ তদারকিসাপেক্ষে ব্যাংকগুলোর চলমান সমস্যাগুলো দূরীকরণে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায় অবশ্যই রয়েছে। যে কোনো ক্ষেত্রে অকস্মাৎ যে কোনো ধরনের পরিবর্তন-পরিমার্জনে অবশ্যই আর্থসামাজিক সময়কালকে গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণরোষ তৈরির অপচেষ্টা প্রতিরোধে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আবশ্যক। অযাচিত-অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা যে কোনো মূল্যে নির্মূল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুর্নীতিমুক্ত, সাহসী ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাচেতনার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
১২ মার্চ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ৫৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১২টির অবস্থা খুবই খারাপ, যার ৯টি ইতোমধ্যে রেড জোনে অবস্থান করছে। ইয়েলো জোনে আছে ২৯টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৩টি ব্যাংক আছে রেড জোনের খুব কাছাকাছি। মাত্র ১৬টি ব্যাংক গ্রিন জোনে স্থান পেয়েছে। তন্মধ্যে ৮টি দেশি ও ৮টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। আন্তর্জাতিক রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে প্রস্তুতকৃত ওই প্রতিবেদনটি ছয়টি বিষয় বিবেচনায় একটি সাধারণ প্ল্যাটফরমের অধীনে মূল্যায়িত হয়েছে। বিবেচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-মূলধনের পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণমান, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন, তারল্য এবং বাজারের ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা। এতে ১ রেটিং সেরা এবং ৫ রেটিং সবচেয়ে খারাপ হিসাবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে দেশে তফশিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১ হলেও ওই প্রতিবেদনে ৫৪টি ব্যাংকের ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ছয়টি ষাণ্মাসিক তথ্য নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য ছয়টি ষাণ্মাসিকের ভিত্তিতে এই ৫৪টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৮টির অবস্থার অবনতি এবং ১৬টির উন্নতির তথ্য প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। বাকি ৭টির মধ্যে ৩টির আর্থিক অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
দেশের জনগণ সম্যক অবগত আছেন, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বহীনতায় দেশের ব্যাংক খাতের ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাত নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে অনাদায়ি খেলাপি ঋণ এবং নজিরবিহীন তারল্য সংকটের কারণে ঋণ প্রদান সংকুচিত হয়েছে। বিনিয়োগ ও ব্যবসার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব সুস্পষ্ট। জনশ্রুতি মতে, ব্যাংকগুলো কতিপয় প্রভাবশালী বা রাজনৈতিক ব্যক্তির হাতে জিম্মি হওয়ার কারণে এ সমস্যা দীর্ঘতর হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম ও বিধি ভাঙাসহ নানা অনিয়মে ধুঁকতে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়। এছাড়া ব্যাংকে সুশাসন ফেরাতে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত রোডম্যাপের অংশ হিসাবে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় একীভূত ও অধিগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তারা ব্যর্থ হলে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে একীভূত ও অধিগ্রহণ করা হবে।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টদের মতানুসারে, একীভূত করে দেশে চালু ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক। এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক হলেও ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা বাস্তবায়নের পথে যেতে হবে। পাশাপাশি ভালো কোনো ব্যাংকের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা করে পেশাদারির ভিত্তিতে একীভূত করার কার্যক্রম সুফল বয়ে আনতে পারে। অন্যথায় এ উদ্যোগ হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, ‘যেসব ব্যাংক দুর্বল, তার তালিকা করে খারাপ সম্পদগুলো আগে আলাদা করে ফেলতে হবে। এরপর ব্যাংকগুলোকে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার আহ্বান জানালে সেটা ভালো হবে। শুধু একীভূত করেই ব্যাংক খাত ঠিক করা যাবে না। পরিবারের দৌরাত্ম্য কমিয়ে ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংক পরিচালনার সময় এসেছে। পাশাপাশি বেনামি ঋণ ও যেসব ঋণখেলাপি দেখানো হচ্ছে না, তা-ও খুঁজে বের করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বক্ষেত্রে সমআইন প্রয়োগ করতে হবে। কাউকে রেখে কাউকে ধরার দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে আমানতকারীদের অর্থের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার।’
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংক একত্রীকরণের বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, এশিয়ায় অর্থনৈতিক সংকটের সময় (১৯৯০-২০০২) জাপান ৭২টি ব্যাংক একীভূত বা আত্তীকরণ করেছিল। মালয়েশিয়ার ৫৪টি ব্যাংক একীভূত করে ১০টিতে এবং ইন্দোনেশিয়ার ব্যাংক ২৩৯টি থেকে কমিয়ে ১০১টিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল। থাইল্যান্ডে করা হয়েছিল ৫৬টি ব্যাংক। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ১৯৬৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪টি ব্যাংক একীভূত করা হয়। এর মধ্যে বাধ্যতামূলক ও ঐচ্ছিক উভয় ধরনের একীভূতকরণ ছিল। ভারতীয় ব্যাংক খাতের উন্নয়ন এবং কাঠামোগত সংস্কারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ও আলোচিত কমিশন ছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এম নরসিংহের নেতৃত্বে ১৯৯১ ও ১৯৯৮ সালে গঠিত ‘নরসিংহ কমিটি’। উভয় কমিটির সুপারিশ ছিল দেশটির ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠিত ও প্রয়োজনে একীভূত করে বিশ্বমানের ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বিভিন্ন সবল-দুর্বল ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একত্রীকরণের মাধ্যমে শক্তিশালী করা। উল্লেখ্য, কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২০টি বাধ্যতামূলক-স্বতঃপ্রণোদিত একত্রীকরণের ঘটনায় মোট ২৮টি বিভিন্ন আকার ও প্রকৃতির ব্যাংক অন্য ব্যাংকের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়।
বাংলাদেশে খুব বেশি না হলেও পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় কয়েকটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একীভূতকরণের নজির দেখা যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ১০টি পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যাংককে একত্রীকরণ করে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী নামে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে পরিণত করা হয়েছিল। ২০০০ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক স্ট্যানচার্ট গ্রিন্ডলেজ গঠনে এক হয়ে নামকরণ করা হয় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। ২০০১ সালে ব্যাংক অব নোভা স্কটিয়ার ব্যবসায়িক কার্যক্রম অধিগ্রহণ করে ব্যাংক এশিয়া। ২০১০ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও শিল্পঋণ সংস্থাকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে রূপান্তরের মাধ্যমে আরেকটি ব্যাংক একত্রীকরণের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৬ সালে বেসরকারি থিংক ট্যাংক ‘ঢাকা ফোরাম’ দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দিয়েছিল। নানা অনিয়ম ও খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়লে ২০১৮ সালে তৎকালীন সরকারের অর্থমন্ত্রী ব্যাংক একত্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে একটি উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়নে ব্যাংক পরিচালকদের সহায়তা চেয়েছিলেন। পরের বছর গঠিত নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রীও প্রয়োজনীয় নতুন আইন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লিখিত লাল, হলুদ ও সবুজ রেটিং নিয়ে একশ্রেণির মানুষ ফেসবুক-টুইটার-ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এসব প্রচারণায় আমানতকারীরা প্রকৃত অর্থেই ব্যাংকে আমানত রাখার ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। বিশেষ করে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। গত ১৮ মার্চ দুটি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর নিরাপত্তা ও আস্থার অভাবে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাংক দুটি থেকে টাকা তোলার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা সূত্রে জানা যায়, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় সবল ব্যাংকের কর্মকর্তা ও পরিচালকরা একরকম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সবচেয়ে কম ঝুঁকি নেওয়ার প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে অনেকেই নিগূঢ় হিসাব-নিকাশ কষছেন। অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের মতে, ব্যাংক খাতকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান-এ নীতি অনুসরণ করে প্রত্যেককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
আইনে পরিবর্তন ও রাজনৈতিক দৃঢ়তা ছাড়া কথিত পারিবারিক প্রভাব বলয় থেকে ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করা খুবই দুরূহ ব্যাপার। দীর্ঘ সময় ধরে যথার্থ নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশল অবলম্বন না করার ব্যর্থতায় অরাজকতা পুঞ্জীভূত হয়েছে। দৃঢ় ও নিরপেক্ষ প্রায়োগিক কর্মকৌশল বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সমস্যাগুলোর সমাধান অত সহজ হবে না। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থাপনায় সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে দুই বা তিন বছর সময় বেঁধে দিয়ে তাদের কার্যকলাপ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ না রেখে এদের অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণকে যথাযথ অবহিত করা একান্ত জরুরি। গ্রাহক যাতে কোনোভাবেই হয়রানি বা বিপদগ্রস্ত না হয়, তার জন্য যথোপযুক্ত কার্যক্রম গ্রহণ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় রুটিন দায়িত্বের আওতায় নিয়ে আসা গ্রহণযোগ্য পন্থা হতে পারে। মোদ্দা কথা, গ্রাহক বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী-পেশাজীবীসহ ক্ষুদ্র আমানতকারীদের প্রতি মনোযোগ দিতেই হবে। কষ্টার্জিত পেনশন-সঞ্চয় ব্যাংকে গচ্ছিত রেখে উপার্জিত মুনাফার ওপর নির্ভর করে তাদের জীবনপ্রবাহ। এক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষুদ্র গ্রাহকদের যাতে কোনোভাবেই দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের মানবিক বিবেচনাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়