‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’
ড. হাসনান আহমেদ
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কোনো এক ছায়াছবির একটা গান ছিল এমন : ‘চোখের নজর এমনি কইরা একদিন ক্ষইয়া যাবে, জোয়ার-ভাটায় পইড়া দুই চোখ নদী হইয়া যাবে।’ আমার কৈশোরের শেষে এসে আগুনঝরা মার্চ, স্বাধীনতার ঘোষণা ও অর্জন সবটুকুই গভীরভাবে দেখেছি। সবকিছু দুচোখ দিয়েই দেখেছি। স্বাধীনতাকে এখন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন হিসাবেও ব্যবহৃত হতে দেখছি। মাঝখানে দীর্ঘ ৫৩টি বছর জীবন থেকে পেরিয়ে গেছে। আমার কর্মময় জীবনের পুরোটাই নদীর ঢেউয়ের উত্থান-পতনের মতো দেশের উন্নতি-অবনতির ঢেউ স্বচক্ষে গুনছি। রাজনীতিকদের কাজকর্মের ভালো-মন্দ পর্যবেক্ষণ করছি। সবার ভালো-খারাপ কর্মবিবরণী চোখে চোখে ভাসছে। সত্যটা হলো, এদেশের মানুষ স্বাধীনতাকে বিজ্ঞাপন হিসাবে ব্যবহারের জন্য যুদ্ধ করেনি। এমনকি যুদ্ধ করে যে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে, সে আশায়ও যুদ্ধ করেননি কেউ। এ ধরনের ভাবনা তখন কারও চিন্তায়ও আসেনি। পরবর্তী সময়ে আমার জানা অনেকেই সার্টিফিকেটও কোনোদিন নেননি। তাদের অহংকার ছিল-আমরা সার্টিফিকেটের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি; আমরা দেশের মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। এদের অনেকে কথায় কথায় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত উদ্দেশ্যের কথাও তুলে ধরতেন। তাদের অনেকেই গত হয়েছেন। কিন্তু অর্জিত এ স্বাধীনতার মর্যাদাকে ব্যবহার করে কেউ রাজনীতির ব্যবসা ফেঁদে বসবে, এটা কোনোদিনই কেউ চাননি। এদেশের রাজনীতিকরা স্বার্থান্বেষী হয়ে খেয়ালখুশির বশে যে কাউকে খুশি যতই কাদা ছোড়াছুড়ি ও ধোয়ামোছা করুক না কেন-এটা অনস্বীকার্য যে, যত নোংরামি, রাজনীতি (নেতিবাচক অর্থে), কারও না কারও তাঁবেদারি, রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা, ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ, মিথ্যা বচন-সবই শুরু হয়েছে যুদ্ধে বিজয় অর্জন করার পর, যা এখনো অব্যাহত। নির্ভেজাল সত্য এই, এদেশের সব অব্যবস্থা, দুর্নীতি, একদেশদর্শিতা, আশাহতের বেদনা ইত্যাদি ঘটে চলেছে রাজনীতির ছত্রছায়ায়। এত কথা বলে গৌরচন্দ্রিকা দিচ্ছি মাসের নাম মার্চ বলেই।
আমার সঙ্গে রাজনীতিকদের একটাই বিরোধ, তাদের গঠনতন্ত্রে লেখা বক্তব্যের সঙ্গে কাজ ও চিন্তার মিল নেই। তাই তাদের চিন্তাধারা ও কর্ম, এমনকি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গেও মিল নেই। সে চিন্তা ও স্মরণ মাথায় না থাকলে কাজের সঙ্গেই বা মিল হবে কী করে? সেজন্য জীবনভর কারও দলে ভিড়ে কারও স্লোগানে অংশ নিতে পারলাম না, অথচ জীবনের জোয়ার-ভাটায় পড়ে ‘দুই চোখ নদী হইয়া’ গেল। ‘পোড়া চোখে যা দেখিলাম’ শুধু তাইই রয়ে গেল। নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর পরিবেশ পেলাম না। অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেল বহুকিছু। সমাজটা যেন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল।
মানুষের জন্য দেশ, মানুষের জন্যই সমাজ; দেশ ও সমাজ, এমনকি দেশ চালানোর জন্য যে সিস্টেম ও আদর্শ সবই মানুষের গড়ার কথা। সেই মানুষের স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য যদি প্রকৃত মানুষের মতো না হয়, দেশ গড়ার উপযুক্ত না হয়; কীভাবে দেশ টিকে থাকবে? দেশ গড়ে উঠবে কীভাবে? ভিত্তি না থাকলে কল্পনার ওপর ভর করে আকাশে অট্টালিকা গড়া যায় না। একটা শিশুকে অনেক কথা বিশ্বাস করানো যায়, পূর্ণাঙ্গ কোনো মানুষকেই নয়। মানুষকে উন্নতির বুলি মুখস্থ করাতে গেলে, তার অবচেতন মনে হলেও ভিত্তি সে খুঁজবেই। গানের পরবর্তী কিয়দংশ ‘চোক্ষেরই নাম আরশিনগর, একে একে মনের খবর...সে-তো কইয়া যাবে, পোড়া চোখে...’। তাই যতটা পারা যায়, একটা পত্রিকাকে অবলম্বন করে কখনো প্রবন্ধ আকারে, কিংবা কখনো বই আকারে এই লেখালেখির অবতারণা। কোনো ব্যক্তি, কোনো গোষ্ঠী বা কোনো দেশের তাঁবেদারি করার জন্যও আমরা বেঁচে নেই। আমরা ‘চাটার দলে’র কোনো অংশও নই। কারও হুকুমের গোলাম হতেও চাই না। অধিকার এটুকুই যে, ‘জন্মেছি এই নদীর চরে আমি এদেশের সন্তান, শ্যামলা মাটি-মায়ের বুকে সইপাতি পরান, আমি এদেশের সন্তান।’ বেঁচে আছি সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার সুখ-সাচ্ছন্দ্য যতটা আশা করেছিল, তার কিয়দংশও যদি এদেশের কাউকে না কাউকে, কোথাও না কোথাও সাধ্যমতো দিয়ে যেতে পারি, সেজন্য। তা সঙ্গে কেউ থাক বা না থাক।
কয়েক বছর আগে পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করার অভিযানের কথা পত্রিকায় পড়েছিলাম। তার কিছুদিন পর বিআরটিএ অফিসেও দালালমুক্তির অভিযান চালাতে দেখেছিলাম। বেশ ভালো কথা। আমার জানতে ইচ্ছা করে, ওই জায়গাগুলো এখন দালালমুক্ত অবস্থায় আছে কিনা? দালালমুক্ত না থাকলে কেন নেই? এত শুদ্ধি অভিযানের পরও দুর্নীতিবাজ ও দালাল আসে কোত্থেকে? সমস্যাটা কোথায়? কয়েকদিন আগে ঢাকার বেইলি রোডে এক অগ্নিকাণ্ডে অনেক লোকের প্রাণনাশের খবর শুনলাম। দুর্বিপাকে আমাদের কাছের একজনের অপমৃত্যুকেও সহ্য করতে হলো। পরবর্তী সময়ে অসংখ্য হোটেল-রেস্টুরেন্টের দরজা সংশ্লিষ্ট বিভাগ তালাবদ্ধ করে দিয়েছে। বেশ ভালো খবর। সব অবৈধ হোটেল-রেস্টুরেন্ট তালাবদ্ধ হয়েছে তো? কেন সব অবৈধ হোটেল-রেস্টুরেন্ট তালাবদ্ধ হলো না? যতটি তালাবদ্ধ হলো পাইকারি হারে করা হলো, না বেছে বেছে করা হলো-এটার বিস্তারিত তো কোথাও লেখা দেখলাম না। আচ্ছা, এই যে প্রতিটি সেক্টরের অব্যবস্থাপনা, এর তো কোনো রাখঢাক-গুড়গুড়ি নেই। পত্রিকা পড়লেই বোঝা যায়, সব কিছুই অপেন-সিক্রেট হয়ে গেছে। সব কিছুতেই বড় বড় কথা বলা হয়, কাজের বেলায় ঠনঠনাঠন। এ নীতির নাম কী? এটা আবার কোন তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত? জানি, সরষের মধ্যে নাকি ভূত থাকে। তাহলে সব সরষের মধ্যেই কি ভূত আছে? থাকেই যদি, সে ভূত আমরা বিতাড়িত করি না কেন? অসুবিধা কোথায়? দেশ তলে তলে, কখনো প্রকাশ্য দিবালোকে দিনে দিনে উচ্ছন্নে যাচ্ছে, তাকিয়ে দেখতে কতক্ষণ ভালো লাগে!
কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম, সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের নির্বাচনে এক দলের দু-গ্রুপের মধ্যেই মারামারি, সে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। গতবারও তেমনটিই শুনেছিলাম। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে একই অবস্থা দেখছি ও শুনছি। এর মাজেজা ও হকিকত কী? দেশ নষ্ট হয়ে গেছে, সরকার নষ্ট হয়ে গেছে, না মানুষের মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে? মানুষের মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেলে তার আর থাকে কী? তাকে আর মানুষ বলা যায় কি? আমি মাস্টার মানুষ হওয়ায় অনেকের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো নাও মিলতে পারে। আমাদের সমাজে কি বুনো আবহ বিরাজ করছে? এগুলো দেখেও আমরা না-দেখার ভান করি কেন? এতে কি প্রমাণিত হয় না যে, আমরা মোটের ওপর দুর্নীতিপরায়ণ (সুনীতির অভাব) ও জিঘাংসাপ্রিয় মনোভাবে বিশ্বাসী। যারা সামাজিক এ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে পারছেন না, বা মেনে নিতে পারছেন না, তারা এদেশে খুব মানসিক কষ্টে দিনাতিপাত করে চলেছেন, প্রতিটা পদে অপমানিত হচ্ছেন। তারা না পারছেন মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে, না পারছেন আত্মহত্যা করতে। কথাগুলো খোলামেলা বলাটাও ঝুঁকিপূর্ণ। আমার এ কথায় নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল গোস্সা করলে আমার প্রতি অবিচার করা হবে। এদেশের সব দলেরই একই অবস্থা। দেশটাই তো আমরা প্রায় পচিয়ে ছেড়েছি। খেটে খাওয়া মানুষ বাদে প্রায় সবারই তো একই অবস্থা। প্রতারকের সংখ্যাধিক্য ঘটেছে। মুখের কথার কোনো মূল্য নেই। এমনকি স্বাক্ষর করেও অস্বীকার করা হয়। আমি তো সমাজের যেখানেই যাচ্ছি একই বার্তা পাচ্ছি। আমি আমার নিজের চোখ ও কানকে অস্বীকার করি কী করে? এদেশের ‘বাইরে কোচার পত্তন ভিতরে ছুঁচোর কেত্তন’ অবস্থা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের সহজ কোনো পথ নেই। আমার স্কুলজীবন শুরু হয়েছিল ‘পাক ছার জমিন ছাদ বাদ’ দিয়ে। অর্থটাও জানতাম না। তারপর এক সময় কিছুদিন এলো ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ’। পরে যখন সব শেষে এলো ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন...’। তখন আমি হাইস্কুলের শেষ পর্যায়ে। আমার কণ্ঠটা বরাবরই ভালো ছিল। আমাকে অ্যাসেম্বলির সামনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে হতো। জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে আমার বুকের ছাতি দুই ইঞ্চি ফুলে উঠত। সত্যি বলতে কী, এই দীর্ঘ তেপ্পান্ন বছরের ঘটনাপ্রবাহে বর্তমানে এসে কখনো কখনো জাতীয় সংগীত গাইতে হয় সত্য, কিন্তু বুকের ছাতি আর ফুলে ওঠে না। কেউ কি বলতে পারেন, কেন আর ফুলে ওঠে না? সবাই হয়তো আমাকেই দোষারোপ করবেন। এ দেশের রাজনীতিকদের ভালো-মন্দ সবাইকেই মোটামুটি চিনে ফেলেছি। দেখতে দেখতে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাদের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা হারিয়েছি। আমাকে নৈরাশবাদীর দলে ফেলতে পারেন, আমি প্রতিবাদ করব না। তেপ্পান্ন বছর তো ধৈর্য ধরার জন্য যথেষ্ট। আর কত!
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে লোকদেখানো শুদ্ধি অভিযান প্রায়ই পরিচালনা করা হয়। রাজনীতিকদের মধ্যে বা প্রতিটি দলে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা কর হয় না কেন? অসুবিধা কোথায়? সম্ভবত সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখায় পড়েছিলাম, ‘কুইনাইনে জ্বর সারাবে, কিন্তু কুইনাইনকে সারাবে কে?’ আসলেই তো! কুইনাইনের জ্বরে ধরলে আমাদের করণীয় কী? যুগের পর যুগ কি কুইনাইন জ্বরে কাতরাতেই থাকবে? বর্তমান অবস্থায় রোগের ট্রিটমেন্ট দুটো-একটি হলো রাজনীতি থেকে দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগী লোকগুলো ছাঁটাই করা, আত্মপ্রবঞ্চকদের দূরে সরিয়ে দেওয়া, যাতে রাজনীতি প্রকৃত অর্থেই দেশসেবা ও জনসেবার কাজে নিয়োজিত হয়। আমার জানামতে এবং এইচআরএম আমার ভালোমতো পড়া আছে বলে জানি, এদেশে এখনো দেশসেবা ও জনসেবা করতে চায় এমন লোক অনেক আছেন। তারা এখন সমাজচ্যুত, এটা বলা যায়। অনুকূল পরিবেশ দিলে তারা দেশসেবায় নিযুক্ত হবেন। আমরা মানুষকে বিভক্ত করেছি কে কোন দল করে-তার ভিত্তিতে। আসলে বিভক্তিটা করা প্রয়োজন, কারও মধ্যে সততা, সুশিক্ষা ও ন্যায়নিষ্ঠা আছে কী নেই, এর ভিত্তিতে। আমরা লিখতে ও পড়তে পারে এমন সার্টিফিকেটধারীকে শিক্ষিত লোক বলি। আসলে বিষয়টা আদৌ তেমন নয়। যার মধ্যে জীবনমুখী শিক্ষা, মনুষ্যত্ববোধ শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা-তিন ধরনের শিক্ষা বিদ্যমান, তাকেই শিক্ষিত লোক বলা উচিত। অথচ আমরা এ সাধারণ সত্য থেকে যোজন দূরে সরে গেছি।
আমার এ মাস্টারি বয়ানে কারও বোধোদয় হবে বলে কি মনে হয়? আমার বিশ্বাস হয় না। ‘ছুঁচোর গায়ে আতর মাখালে কি ছুঁচোর গায়ের গন্ধ কখনো যায়? মনে হয় না। জীবনের শুরুতে সুশিক্ষা ও সামাজিক পরিবেশ না দিয়ে, মানুষরূপে না গড়ে অমানুষ বানালে তার জীবনটাই বৃথা এবং সে রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হতে বাধ্য। জীবনের শেষ বিকালে নিজের ভাবনাটা লিখে প্রকাশ করতে পারি, এ এটাই আমার সান্ত্বনা। আমার বয়ান শুনে মানুষ দলে দলে ভালো মানুষে পরিণত হয়ে যাবে, এটা ভাবতে আমি দ্বিধান্বিত। অন্তত রাজনীতিকরা হবেন না, নিশ্চিত জানি। তাছাড়া, বানু মোল্লার সায়েরিটা এরকম, ‘ছাগল ধরিয়া যদি বল কানে কানে, চরিতে না যেও বাবা ফলের বাগানে’। যদি সে প্রাণীটা প্রকৃত ছাগলই হয়, কারও সহি নসিহত কখনোই শুনবে না। দেশের বেশিরভাগ রাজনীতিক ও সমাজ কাউকে কুশিক্ষা দেবে আর মাস্টার সাহেবরা স্কুল-কলেজে সেই শিক্ষার্থীকে ঝুড়িভর্তি সুশিক্ষার অমিয় বাণী শুনিয়ে মানুষের মতো গড়ে তুলবে, এটা অবাস্তব চিন্তা বৈ আর কিছুই না। সেজন্য দেশে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ দরকার; আমরা যাকে আইনের শাসন বলি তা নিশ্চিত করা দরকার। এ দেশে তা কতটুকু আছে? লালনের ভাষায় বলতে হয়, ‘চাঁদের গায়ে দাগ লেগেছে, আমরা ভেবে করব কী? চাঁদের গায়ে...’।
ড. হাসনান আহমেদ : অধ্যাপক, ইউআইইউ; সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ; প্রেসিডেন্ট, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ