সংস্কার ছাড়া স্বাস্থ্যখাত ঠিক হবে না
ড. মো. রফিকুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্য খাত। আর এ খাতের উত্তরোত্তর উন্নয়ন করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। অর্থাৎ রাষ্ট্রের জনগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাই মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ লক্ষ্যে সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি টেকসই অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। বিশেষত স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির অর্থই হলো দেশের অর্থনৈতিক ও চিকিৎসাসেবার মানের উন্নতি হয়েছে।
বিশেষ করে ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক পরিবর্তন আনা। যা প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি অনন্য স্বাস্থ্য আইডি ও হাসপাতালে অটোমেশন ব্যবস্থা চালুকরণসহ সব নাগরিককে একই রকম স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ নানা ভুলনীতির কারণে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান আজ তলানিতে। এর উত্তরণ বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু এর একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে অচিরেই চিকিৎসাসেবা আরও অনিরাপদ হয়ে যাবে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি শুধু চাটার দল।’ অর্থাৎ এ চাটার দল গত ৫২ বছরে আরও নতুন করে জেগে উঠেছে। সবখানে যেন তাদের দৌরাত্ম্য। এ চাটার দলের কারণে দেশে সরকারি কেনাকাটা মানেই হচ্ছে দুর্নীতির মহোৎসব। তবে সরকার স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, পরিবার পরিকল্পনাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পরিচালনা করলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটছে না। এর প্রধান কারণ স্বাস্থ্য খাতে বিরাজমান দুর্নীতি। এক্ষেত্রে কেবল একজন মহাপরিচালক পদত্যাগ করলেই স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে তেমনটা নয়। এ খাতে দুর্নীতি তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়েছে। যার পেছনে রয়েছে বড় বড় রাঘলবোয়াল। আর এ রাঘলবোয়ালদের ধরতে না পারলে স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা কোনোদিনও দূর হবে না। যদ্দূর জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৭ হাজার ৩১২। এর মধ্যে সরকারি ২ হাজার ২৫৮টি। যার মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে। আর পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ২৫৪টি। তবে বাংলাদেশে ১ হাজার ৫৮১ জন রোগীর বিপরীতে একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক রয়েছেন। বিশেষত একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকতে হয়। সে অনুপাতে হাসপাতালে নার্স নেই। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও নার্সের স্বল্পতা রয়েছে ঠিকই। এ কারণে প্রতিবছরে বিসিএস-এর মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয় আর নার্সও পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিকে গ্রামের রোগীরা উপজেলা পর্যায়ে ভালো চিকিৎসকের অভাবে জেলা পর্যায়ে ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসছে। এ বিপুলসংখ্যক রোগীর ভিড়ের কারণে জেলা পর্যায়ে ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ ইউনিয়ন ও কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসার মান উন্নত করা যায়, সেক্ষেত্রে হয়তো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী চিকিৎসার জন্য জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ছুটে আসত না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চিকিৎসাব্যবস্থা তেমন উন্নত নয় বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য লাখ লাখ লোক ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। এর মূল কারণ চিকিৎসকের নৈতিকতার বড় অভাব। অর্থাৎ একশ্রেণির অসাধু চিকিৎসক কারণে-অকারণে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অপ্রয়োজনীয় বেশি বেশি ওষুধ রোগীদের প্রেসক্রাইব করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি লক্ষণীয়, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যথাযথ চিকিৎসা সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা না করেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করছেন। যেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদনের বালাই নেই। এমন ঘটনা বহু ঘটছে, যা বর্তমানে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক আকারে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও নানা উপায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্মচারীদের প্রভাবিত করে অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ রোগীদের পকেট কাটছে। এর ফলে সাধারণ রোগীরা অযথা আর্থিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এতে গরিব রোগীরা বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য দক্ষ কোনো জনবল নিয়োগ না দিয়েই যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। এত মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে নষ্ট হচ্ছে। এতে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও যন্ত্রপাতি সরবরাহ অথবা মেরামত না করেও অর্থ আত্মসাৎ করছে একশ্রেণি প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তি । বিশেষত বহুদিন ধরে স্বাস্থ্য খাতে যে অনিয়ম চলে আসছে, সেটি দূর করে স্বাস্থ্য খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে শহরভিত্তিক বড় বড় হাসপাতালেই কেবল নজরদারি বাড়ানো হলেও এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে হয় না। এজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে দুর্নীতিকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশেষত ওষুধ ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনাকাটার দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করার জন্য ক্রয় কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করলেই চলবে না। এর সঙ্গে ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপিতে টেন্ডার আহ্বান ও পিপিআর-এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমানে দেশে বেশ কিছুসংখ্যক নামধারী ওষুধ কোম্পানি বা ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা নিুমানের নকল ওষুধ তৈরি করে কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে চিকিৎসকদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে তাদের উৎপাদিত নিুমানের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লেখার জন্য বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এসব ওষুধসেবন করে রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আবারও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এসব হয়রানি থেকে পরিত্যাণ পেতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, দেশে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এমবিবিএস, নার্সিং, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ মেডিকেল শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উপযুক্ত শিক্ষক পদায়নসহ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। এর পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, আইএসটি, ম্যাটসসহ মেডিকেল শিক্ষার সব স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারী প্রার্থীদের মেডিকেল লাইসেন্সিং (চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সনদ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণের মেডিকেল প্র্যাকটিসের অনুমতির ব্যবস্থা করা বিশেষ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে শক্তিশালী করে মেডিকেল লাইসেন্সিং পরীক্ষা করে তা নবায়নের পরীক্ষা চালু করা জরুরি। পৃথিবীর ৫০টির বেশি দেশে মেডিকেল স্নাতকদের জন্য লাইসেন্সিং পরীক্ষা চালু রয়েছে। তথাপি, উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশে এর আধিক্য বেশি। এদিকে এশিয়ার ২৩টির বেশি দেশে ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপে মেডিকেল স্নাতকদের জন্য লাইসেন্সিং পরীক্ষা চালু রয়েছে। সাম্প্রতিককালে চীন বা অন্য দেশ থেকে প্রাপ্ত মেডিকেল স্নাতকদের জন্য বাংলাদেশে লাইসেন্সিং পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। এদিকে নতুন নীতিমালার আলোকে বেসরকারিভাবে পরিচালিত চিকিৎসা খাতকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করা প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য খাতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোস্পানি লিমিটেড, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ওয়ার্কশপ, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য খাতের সব অঙ্গসংস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। এদিকে ওষুধের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণত বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ নিু ও মধ্যম আয়ের। এদের চিকিৎসা জন্য আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করতে হয়। এজন্য প্রেসার, ডায়াবেটিস, কিডনি ও হ্রদরোগসহ অন্যান্য রোগের ওষুধের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ১৯৮২ সালে প্রণীত মার্ক আপ (মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি) সংশোধন করে যৌক্তিকভাবে নতুন মার্ক আপ নির্ধারণ করা জরুরি। অন্যদিকে ওষুধের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য সব ধরনের ওষুধের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বায়ো-ইকুইভ্যালেন্স পরীক্ষা চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আর সেই সঙ্গে এ খাতকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করা। এ দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রেফারেল পদ্ধতি চালু করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে রেফারেল পদ্ধতি চালু করা হলে জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের কনসালটেন্টদের পেছনে মানুষ কিন্তু আর ভিড় করবে না। অর্থাৎ রেফারেল ছাড়া কনসালটেন্ট রোগী দেখতে পারবে না। এ ধরনের পদ্ধতি চালু হলে রোগীদের কষ্ট কমে আসবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর। যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ভালো চিকিৎসা পায় ও সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া আর সেই সঙ্গে দুর্নীতি বন্ধ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ফি অনেক বেশি। এ বিষয়ে নীতিমালা করে পদক্রম অনুযায়ী চিকিৎসকদের যৌক্তিক ফি নির্ধারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রথমবার ফি নেওয়ার পর রিপোর্ট দেখানোর সময় আবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়, যা একেবারে অনুচিত। এর জন্য নীতিমালা করে রিপোর্ট দেখানোর ফি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নামের সঙ্গে ওষুধের জেনেরিক নামও লেখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশের তথা জনগণের স্বার্থে চিকিৎসাসেবা উন্নত করতে হবে। এছাড়াও নকল ওষুধ তৈরির কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে জনসাধারণের সুবিধার্থে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে উন্মুক্ত স্থানে সিটিজেন চার্টার প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি হাসপাতালে কী কী ওষুধ স্টকে রয়েছে, তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর ফলে জনগণ উপকৃত হবে।
ড. মো. রফিকুল ইসলাম : গ্রন্থাগার বিভাগের প্রধান, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম