বাইফোকাল লেন্স
ইসরাইলের অবিশ্বাস্য গোয়েন্দা তৎপরতা
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ধ্বংসস্তূপ গাজা
২৫ ডিসেম্বর ইসরাইল এক বিমান হামলায় দামেস্কের শহরতলি জেইনাবিয়াহ জেলায় ইরান রেভুল্যশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়েদ রাজী মুসাভীকে হত্যা করে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুসাভী সিরিয়ায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার হিসাবে কাজ করছিলেন। তিনি মূলত সিরিয়া ও ইরানের মধ্যকার সামরিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করতেন। এ সামরিক জোটটি ইরানের মিত্র ও আঞ্চলিক নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ নামে পরিচিত। মুসাভী ওই অঞ্চলে মিত্র শক্তিগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আইআরজিসির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও পুরোনো কমান্ডারদের একজন ছিলেন। ওই এলাকায় আশির দশক থেকে তিনি কাজ করে আসছিলেন। ইরান ও ইরাক থেকে সিরিয়া এবং সেখান থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্রের চালান পৌঁছানোর নেটওয়ার্কে মুসাভী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন। মুসাভী রেভুল্যুশনারি সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমিনির অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে পরিচিত ছিলেন। এর আগে বেশ কয়েকবার মুসাভীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরাইল। এবার তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়েছে। এ সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। মুসাভী হত্যার পর ইসরাইলের আশঙ্কা ছিল প্রতিশোধ নিতে সিরিয়া ও লেবানন থেকে ইসরাইল ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ করা হতে পারে। কিন্তু প্রায় দুসপ্তাহ হয়ে গেলেও ইরান ওই ধরনের কোনো পদক্ষেপই নেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল, ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার জন্য সিরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বছরের পর বছর ধরে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। তখন থেকেই দামেস্কের ওপর তেহরানের প্রভাব বেড়েছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলায় আইআরজিসির দুই সদস্য নিহত হয়েছিল। নিহত আইআরজিসির সেই সদস্য দুজন সিরিয়ায় সামরিক পরামর্শক হিসাবে কাজ করছিলেন। ইসরাইল গত ২৮ ডিসেম্বরও সিরিয়ার দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের ইসলামিক গার্ডের ১১ সেনাসদস্যকে হত্যা করে। এসব সেনাসদস্য সেদিন দামেস্ক বিমানবন্দরে একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। ওই সময়েই ইসরাইলে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। এসব সেনাসদস্য সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ইরানসমর্থিত সামরিক গোষ্ঠীগুলোর দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সেনারা অবস্থান করছে। তারা এসব দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে।
ইরানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার ইসরাইলকে ভাবিয়ে তুলেছে। সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি ইসরাইল কখনোই চায়নি। ইসরাইল একাধিকবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থনকারী চিরশত্রু ইরানকে কখনো সিরিয়ায় তাদের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে দেবে না। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবেই ইসরাইল সবসময় বিবেচনা করে আসছে। বিশেষ করে ইরান যাতে পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে, সেজন্য ইসরাইল শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য মিত্র দেশের সহযোগিতাও কাজে লাগিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইরানকে ঠেকাতে জাতিসংঘকেও তারা ব্যবহার করেছে। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে ইসরাইলের যে মূল কারণ, তা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। মোট কথা ইসরাইল ইরানকে একঘরে করে ফেলার চেষ্টা করেছে। ইরানকে ঠেকাতে গত দুই দশকে ইরানের সাত পরমাণু বিজ্ঞানীকেও গুপ্তহত্যা করেছে। এ সাতজন পরমাণু বিজ্ঞানী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তহত্যার শিকার। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কখনো গাড়িবোমা অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল পরিচালিত মেশিনগানের নির্ভুল নিশানায় বরাবরই সিদ্ধহস্ত মোসাদের চৌকস সদস্যরা। শুধু তাই নয়, গুপ্তহত্যায় বিষাক্ত গ্যাস কিংবা ম্যাগনেটাইজ বোমার মতো ভয়ংকর বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে মোসাদ।
২০০৭ সালে ইরানের ইস্পাহান পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আরদেশীর হোসেনপুরকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করে মোসাদ। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল এ দুই বছরের মধ্যে ইরানের চারজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়। মোসাদ যে ইরানি বিজ্ঞানীদের গুপ্তহত্যা করছে, তা জনসম্মুখে প্রথম প্রমাণিত হয় ইরানের আরেক বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাসুদ আলি মোহাম্মদির হত্যাকাণ্ডের পর। অধ্যাপক মাসুদকে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে হত্যা করা হয়েছিল। এ ধরনের মিশনের জন্য ইরান সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ অথবা সরকারবিরোধী নাগরিকদের মধ্য থেকে প্রয়োজন অনুসারে একজন কী দুজন ব্যক্তিকে বাছাই করে মোসাদ। তারপর তেলআবিবে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গোয়েন্দা প্রশিক্ষণের ভাষায় এটাকে বলা হয় Talent Spotting। অধ্যাপক মাসুদের হত্যাকারীও ছিলেন একজন ইরানি নাগরিক। নাম তার মজিদ জামালি। তার স্বীকারোক্তিতেই মোসাদের এ গোপন তৎপরতার কথা জানা যায়। মোসাদ কর্তৃক ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ইরানের সবচেয়ে মেধাবী ও চৌকস পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেহকে তেহরানের জনবহুল রাস্তায় রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। জনবহুল রাস্তায় অন্য কোনো বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এড়িয়ে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে একটি মুভিং টার্গেটের ওপর এত নিখুঁত এবং অব্যর্থ হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা সত্যিই বিস্ময়কর। এ ধরনের অপারেশন ঘটনাস্থল থেকে টার্গেটের প্রতিটি মুভমেন্ট সার্বক্ষণিক মনিটর করে প্রতি মুহূর্তে গোপন তথ্য দিয়ে সাহায্য না করলে সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ঘটনার দুই মাস আগে মোহসেন ফখরিযাদেহকে হত্যা করা হতে পারে এমন তথ্য জানার পরও ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সময়োচিত সমন্বয়ের অভাবে মোসাদ সেদিন সাড়া জাগানো এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ও অভিজাত সামরিক ইউনিট আইআরজিসির কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে আগাম তথ্য জানা সত্ত্বেও এ হত্যাকাণ্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি। মোসাদ এ ধরনের মিশন কার্যকর করার লক্ষ্যে সাধারণত তাদের দেশের নারীদের ব্যবহার করে থাকে। এসব নারী উল্লেখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশেষ অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড করে রাখে। যাতে পরবর্তীকালে তাদের ব্লাকমেইল করা যায় এবং মোসাদ গুপ্তচরদের অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে তারা সহযোগিতা করতে বাধ্য হন।
ইরানে মোসাদ সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটিয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে; সেদিন ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরের একটি গোপন গুদাম থেকে পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক আট টন গোপন দলিল চুরি করে তেলআবিবে নিরাপদে নিয়ে গিয়েছিল। মোসাদ ২০১৬ সালেই খবর পায়, ইরান তার গোপন পরমাণু কর্মসূচির সব দলিলপত্র তেহরানের এক গোপন স্থানে সরিয়ে ফেলেছে। সেখানে প্রায় আড়াই মিটার উঁচু ৩২টি সিন্দুকে অত্যন্ত গোপনীয় দলিলগুলো রাখা হয়েছে। ইরান সরকার যে কারখানা থেকে সিন্দুকগুলো তৈরি করেছিল, মোসাদ ছদ্মপরিচয়ে সেখান থেকে দুটো সিন্দুক ক্রয় করে তেলআবিবে নিয়ে যায় এবং সেখানে হুবহু গুদামসদৃশ একটি কেন্দ্র তৈরি করে দুবছর ধরে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে সিন্দুক খোলাসহ অভিযানের খুঁটিনাটি মহড়া ও প্রশিক্ষণ নেয়। ২০১৮-এর জানুয়ারিতে অভিযানকালে রাত দশটার কিছু পর বারোজন লোক সাত ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ২৭টি সিন্দুকের তালা গলিয়ে কোনো ধরনের চিহ্ন না রেখেই আট টন পরিমাণ গোপন দলিল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার তিন মাস পর এপ্রিলে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ইসরাইলের তৎকালীন (বর্তমানেও) প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এসব চুরি করে আনা দলিল তুলে ধরেন। ইসরাইল এসব দলিল পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করে দেখেছে, ইরানের অঘোষিত পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি আছে এবং সে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এরপরই ইসরাইল ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ফখরিযাদেহকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়, যা মোসাদ ২০২০ সালের নভেম্বরের মধ্যেই কার্যকর করে।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর দুই দেশের সুসম্পর্কের আগের ধারা আর বজায় থাকেনি। এরপর থেকেই ইরান মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন ভূমির জবরদখলকারী দেশ হিসাবে ইসরাইলকে চিহ্নিত করে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবসান ঘটায়। শুধু তাই নয়, ইসরাইলের বৈরী দেশগুলোর সঙ্গে কার্যকরভাবে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি করে ইরান। সেই থেকে সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে ইরানের কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইরান এভাবেই তার নিজস্ব সামরিক শক্তিমত্তা তৈরির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক দেশগুলোতে ছায়া মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি করেছে। এ মিলিশিয়া বাহিনীর দুই প্রধান শক্তি হলো হিজবুল্লাহ ও আনসারউল্লাহ বা হুতিরা। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন সামরিক তৎপরতার অন্যতম লক্ষ্য হলো ইসরাইল। ইসরাইলও তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখে ইরানকে। এ কারণেই ইসরাইলের পার্শ্ববর্তী দেশে ইরানের উপস্থিতি মোটেই তাদের কাম্য নয়। শুধু তাই নয়, ইসরাইল মনে করে ইরানের পরমাণু অস্ত্র থাকাও উচিত নয়। ইরান যাতে সামরিক দিক দিয়ে অগ্রসর হতে না পারে, সেজন্য বরাবরই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার গ্যারান্টিদাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে ব্যবহার করে আসছে। ইরানকে কাবু করার জন্য এসব মিত্র দেশগুলোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞারও ব্যবস্থা করেছে; কিন্তু তেহরান শুনছে না কারও কথা। তাতে ইসরাইলের উদ্বিগ্নতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া আশপাশের দেশে অবস্থিত ইরানসমর্থক সংগঠনগুলোও সর্বদা তাদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে আছে। এ চতুর্মুখী চাপ সামাল দিতে কখনো গুপ্তহত্যা, আবার কখনো প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল স্বীকার করুক বা না করুক, তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় যে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে হুমকি বলে মনে করছে, তাদেরই টার্গেট করে হত্যা এবং ধ্বংস করে দিচ্ছে। দামেস্কে আইআরজিসির শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়েদ রাজী মুসাভীর হত্যাকাণ্ড তাদের সেই পরিকল্পনারই আরও একটি উপাখ্যান।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা