Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

স্বদেশ ভাবনা

নির্বাচন কমিশন এখন কী করবে?

Icon

আবদুল লতিফ মণ্ডল

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গত ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনে যদি ১ শতাংশ ভোট পড়ে এবং ৯৯ শতাংশ ভোট না পড়লেও তা আইনগতভাবে সঠিক হবে। সেক্ষেত্রে লেজিটিমেসির (বৈধতা) ব্যাপারটি ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আইনত নির্বাচন সঠিক হবে। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাব না। আমরা দেখব ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ফাইট করবে না। নির্বাচনে লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফাইট করবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কে এলো না এলো, সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। ব্যাপকসংখ্যক ভোটার এসে যদি ভোটদান করে, তাহলে আমরা সেটাকে অংশগ্রহণমূলক বলতে পারি। কাউকে নির্বাচনে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব নয়’ (যুগান্তর, ৫ অক্টোবর)। সিইসির এ বক্তব্য শুধু নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নয়, বরং তার নিজের বক্তব্যের সঙ্গেও কিছুটা সাংঘর্ষিক। প্রায় অংশগ্রহণহীন দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসি এগিয়ে গেলে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত কী ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এবং দেশ কী ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

সিইসির বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিইসি ক্ষমতাসীন সরকারের ‘টুলস’ বা হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে তাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। সিইসির বক্তব্য বিশিষ্টজন এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনরা বলেছেন, একটা বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে, অন্য ৩০০ দলও যদি আসে, তবু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না। অব্যবহিত আগের কমিশনের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন আয়োজিত কর্মশালায় যোগদান করে বলেন, ভোটের পরিবেশ ঠিক করতে হবে। ভোট অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। তবে প্রধান বিরোধী দল না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেছেন, বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে।

এখন অনেকটা অংশগ্রহণহীন দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে আলোচনা করা যাক। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভীষণভাবে পরাজিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। এ সরকার ২০১১ সালের জুনে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের মার্চে বিএনপি প্রবর্তিত জাতীয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। জনগণ আওয়ামী লীগের এ পদক্ষেপকে ভালোভাবে নেয়নি। সাধারণ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের প্রতি জনগণের সমর্থন বাড়তে থাকে। এ দাবিতে আন্দোলন বেগবান হতে থাকলে সরকারের অস্বস্তি বেড়ে যায়।

এ অবস্থায় সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিয়ে সংলাপের জন্য দশম সংসদ নির্বাচনের আড়াই মাস আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের জন্য টেলিফোনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান। প্রস্তাবিত এ সংলাপের তারিখের পরদিন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট আহূত হরতালের মেয়াদ বহাল থাকায় খালেদা জিয়া পরবর্তী যে কোনো দিনে যে কোনো জায়গায় তার সঙ্গে সংলাপে বসার সম্মতি দেন। এ সংলাপ আর হয়নি। অনেকে মনে করেন, গণভবনে আলোচনায় বসার জন্য বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোনে আমন্ত্রণ এবং তাৎক্ষণিক সম্মতি প্রদানের তাগিদ ছিল লোকদেখানো এবং সময় পার করার কৌশল। কারণ, আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে আগ্রহী ছিল না। সরকারের কৌশল বুঝতে ব্যর্থ হয় বিএনপি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সংলাপে যোগ না দিয়ে দলটি সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেয়। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে বিএনপির সংলাপে আগ্রহ নেই-এমন বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ কোনো কার্পণ্য করেনি।

জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনে দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং সমমনা আটটি দল ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে। এতে ওই নির্বাচন অনেকটা একদলীয় রূপ নেয়। ওই নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের ১৫৪টিতে আওয়ামী লীগ ও তাদের গুটিকয়েক সহযোগী দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার ফলে দেশের মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান মাত্র ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। অন্যরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।

দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবং এতে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন না ঘটায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গণতন্ত্রকামী বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি একতরফা দশম সংসদ নির্বাচনে একমাত্র সমর্থনকারী ভারতও দেশে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিতে শেখ হাসিনার সরকারকে পরামর্শ দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে নির্বাচন-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অন্যসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি তার সে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন। আওয়ামী লীগের অনাগ্রহের কারণে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ২ মাস ১৩ দিন আগে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমন্বয়ে গঠিত হয় প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরিস্থিতি তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মোটেই অনুকূল ছিল না। তা সত্ত্বেও ‘নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না’-২০১৮ সালের ১ নভেম্বর গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এমন আশ্বাসে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নির্বাচন মোটেই অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। এ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিল-নির্বাচনের নির্ধারিত দিনের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ব্যালট বাক্সে ভোট প্রদান। নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দলটি প্রথমে ১০টি দাবি উত্থাপন করে। এর প্রধান দুটি দাবির একটি হলো সরকারের পদত্যাগ, আর অন্যটি দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। দুই ডজনের বেশি সরকারবিরোধী দল ও জোট এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। সবশেষে দলটি ‘সরকারের পদত্যাগের একদফা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ একদফা বাস্তবায়নে সমর্থনকারী তিন ডজনের বেশি রাজনৈতিক দল ও জোট নিয়ে বিএনপি আন্দোলন করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এ অবস্থায় ইসি কি প্রায় অংশগ্রহণহীন দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে এগিয়ে যাবে? ইসির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তারা সেদিকেই যাচ্ছে। সিইসি ইতোমধ্যে পরোক্ষভাবে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের দুর্বলতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে।’ ইসি যদি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এগিয়ে যায়, তাহলে ২০০৬ সালের শেষদিকে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। সে অরাজক পরিস্থিতির ফল সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত।

শুধু দেশের বিরোধী দলগুলো যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাচ্ছে তা নয়, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব এটা চাচ্ছে। আমাদের স্মরণে রাখতে হবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কম্বোডিয়ার নির্বাচনের কথা। সে নির্বাচনে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট অংশগ্রহণ করতে পারেনি। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হুন সেনের নিয়ন্ত্রণাধীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) কয়েকটি নামসর্বস্ব দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে সিপিপির নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণা করা হয়। ওদিকে নির্বাচন শেষ হতে না হতেই কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করে। দেশের নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বাদশ নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, প্রধান রাজনৈতিক শক্তি যদি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে অন্যরকম নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

সবশেষে বলতে চাই, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। সম্প্রতি সিইসি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে সরকারের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে। খাঁটি কথা। ইসির উচিত হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বাধাগুলো সরকারকে অবহিত করা এবং বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ করা। যতদূর মনে পড়ে, সরকারি দল ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যকার বিরাজমান মতভেদ দূরীকরণে ইসিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে কয়েক মাস আগে পরামর্শ দেন একজন সাবেক সিইসি। ইসি এরূপ কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা নেই। বরং ইসি আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের আশ্বাসের ওপর আস্থা রাখতে চায়। ইসিকে মনে রাখতে হবে, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমন আশা করা বৃথা। সরকার ইসির সুপারিশ গ্রহণ না করলে কমিশনের সদস্যদের সম্মানজনক পথে চলাই শ্রেয় হবে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম