বাইফোকাল লেন্স
মালদ্বীপে নির্বাচনি ফলের তাৎপর্য
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ (পিপিএম) দলের প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জো। অপরদিকে ক্ষমতাসীন মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট। মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে মালদ্বীপের মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৭৫৫ জন; যা বাংলাদেশের যে কোনো একটি সংসদীয় আসনের ভোট আয়োজনের সমান বলা যায়। এ নির্বাচনে দেশটির প্রধান দুই দলসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
বলা হয়ে থাকে, পিপিএম প্রধান আবদুল্লাহ্ ইয়ামিন ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মালদ্বীপ চীনঘেঁষা হয়ে পড়ে। সে সময় থেকেই ইয়ামিন মালদ্বীপে চীনের বাণিজ্যিক স্বার্থরক্ষা করে আসছিলেন। বর্তমানে, মুইজ্জোকে বলা হচ্ছে ইয়ামিনের অনুসারী। ইয়ামিন এবারও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছেন বলে আদালতের সিদ্ধান্তে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এভাবেই পিপিএমের পক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ঘটে মুইজ্জোর। মুইজ্জো বর্তমানে মালদ্বীপের রাজধানী মালের মেয়র। নির্বাচনে বিজয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুইজ্জো ইয়ামিনের মুক্তি নিশ্চিত করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইয়ামিনের পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতপন্থি হিসাবে পরিচিত ইব্রাহিম সোলিহ ক্ষমতায় আসীন হলে মালদ্বীপ পুনরায় ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সে সময় বলা হয়েছিল, আবদুল্লাহ্ ইয়ামিনের পরাজয়ের মধ্যদিয়ে মালদ্বীপে ভারতের কূটনৈতিক বিজয় হয়েছিল। ভারতের গণমাধ্যমগুলোও ইব্রাহিম তুষ্টিতে সরব হয়ে উঠেছিল। তারা ইব্রাহিমকে মালদ্বীপের আধুনিক রাজনীতির অন্যতম সংস্কারক হিসাবে আখ্যায়িত করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে মুইজ্জো বিজয়ী হওয়ায় ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো চোট পেয়েছে বলে মনে হয়। মালদ্বীপের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তাদের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনগুলো পড়ে তাই মনে হয়েছে। চীনঘেঁষা দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো দেশ বা সে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সব সময়েই ভারতের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। ভারত মূলত তার অর্থনৈতিক এজেন্ডা সামনে রেখে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
অনেক আগে থেকেই ভারত মালদ্বীপকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। ভারত ধীরে ধীরে সে দেশে তাদের সামরিক উপস্থিতিও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের শাসনকালে ভারতের পুরো নিয়ন্ত্রণে ছিল মালদ্বীপ। ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে একটি সশস্ত্র গ্রুপ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমকে উৎখাতের চেষ্টা করার পর সেখানে কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়ে সে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয় ভারত। সেসময় মালদ্বীপের জনগণ স্বাগত জানালেও এখন তাদের ভূখণ্ডে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি তারা মেনে নিচ্ছেন না। তারা ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখছেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ভারতবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশও হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা নিঃশর্তভাবে সেখান থেকে ভারতের সেনা সরিয়ে নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে। এছাড়া আরও কিছু ঘটনাপ্রবাহ দেশটিতে ভারতবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে, বর্তমান ভারতপন্থি প্রেসিডেন্ট সোলিহ, ভারতের সঙ্গে যে বেশকিছু চুক্তি করেছেন, সে চুক্তিগুলোকে জনগণ দেশবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে। বিশেষ করে, আদালতের রায়সংক্রান্ত যে চুক্তি করা হয়েছে, তা সাধারণ মালদ্বীপবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ী, মালদ্বীপের বেশকিছু ইস্যুতে ভারতীয় আদালতের রায় মেনে নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সে দেশের জনগণ মনে করছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে তাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ‘আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদেশি আদালতের রায় কেন মেনে নিতে হবে। এ চুক্তি আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
এ চুক্তি ছাড়াও সোলিহ সরকার ভারতের সমর্থনে নিজ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এমন কিছু সামরিক চুক্তি করেছে, যা সে দেশের জনগণ মেনে নিতে পারেনি। ভারত কখনো মালদ্বীপে তার সামরিক নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া করতে চায়নি। ষাটের দশক থেকেই ভারত একটু একটু করে মালদ্বীপে তার সামরিক আধিপত্য বাড়িয়ে এসেছে। ভারত মালদ্বীপকে তার মিত্ররাষ্ট্র হিসাবে বহুদিন ধরে দেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে মালদ্বীপের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নিরাপত্তা তদারকির জন্য ভারত একটি ডোর্নিয়ার এয়ারক্রাফট মালদ্বীপকে দেয়। বলা হয়েছিল, মালদ্বীপে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান, অবৈধ মাছ শিকার ও মাদক-চোরাচালানসহ মানব পাচার ঠেকাতে এ এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও এর আরেকটি কাজ হচ্ছে, আঞ্চলিক জলসীমায় চীনা নৌযানের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা। তবে মুশকিল হলো, এ এয়ারক্রাফট চালানোর সক্ষমতা মালদ্বীপের পাইলটদের ছিল না। অতএব এগুলো অপারেট করার জন্য ভারতীয় সামরিক পাইলটদেরই তা করতে হবে। অতএব এর মধ্য দিয়ে ভারতের সামরিক শক্তি দেশটিতে মোতায়েন থাকার সুযোগ সৃষ্টি হলো। বাস্তবেও হয়েছিল তাই। এ একটি ছোট্ট এয়ারক্রাফট অপারেট করার জন্য বর্তমানে ৭৫ ভারতীয় সেনাসদস্য সে দেশে অবস্থান করছে। সমালোচকরা বলছেন, ভারত একটি এয়ারক্রাফট অপারেট করার নামে এত অধিকসংখ্যক সেনাসদস্য না পাঠিয়ে মালদ্বীপের পাইলটদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারত। মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাসদস্য অবস্থানের বিষয়টি নির্বাচনের আগে একটি বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল। ইব্রাহিম সোলিহ এ বিষয়ে উলটো যুক্তি দিয়ে দেশবাসীকে বলেছেন, ‘মালদ্বীপে সামরিকভাবে সক্রিয় কোনো বিদেশি সেনাসদস্য নেই। ভারতের যে সেনাসদস্যরা এ মুহূর্তে মালদ্বীপে রয়েছেন, তারা সবাই মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের অপারেশনাল কমান্ডের অধীন। তার এ যুক্তি সে দেশের জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তাছাড়াও সম্প্রতি ভারত একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় মালদ্বীপে নজরদারির জন্য হেলিকপ্টারও মোতায়েন করেছে। শুধু তাই নয়, তারও আগে মালদ্বীপের ২৬টি প্রধান দ্বীপে ভারত রাডার ব্যবস্থা স্থাপন করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ রাডারগুলোর মাধ্যমে ভারতের উপকূলীয় কমান্ডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায়।
ভারত মহাসাগরের ওপর প্রায় ১২০০ ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্র এ রাষ্ট্রটির প্রতি চীন ও ভারতের আগ্রহের অন্যতম কারণ এর ভূরাজনৈতিক অবস্থান। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে ভারত মহাসাগরের এ সমুদ্রপথে মালদ্বীপের অবস্থানটি এমন এক স্থানে, যেখান থেকে অনায়াসে বাণিজ্যিক চলাচল পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পৃথিবীর প্রায় ৬০ শতাংশ বাণিজ্যিক চলাচল হয় এ সমুদ্রপথে। প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক পণ্য মালাক্কা প্রণালি হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে সরবরাহের জন্য এ সমুদ্রপথ ব্যবহৃত হয়। মালদ্বীপ এ কারণেই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের বাণিজ্যিক সমুদ্রপথে নজরদারির সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়ে আসছে। এ কারণে চীন ও ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেরও আগ্রহ বাড়ছে মালদ্বীপের ব্যাপারে। চীন দীর্ঘদিন ধরে এ সমুদ্রপথে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তার ও বাণিজ্যিক সমুদ্রপথ নিয়ন্ত্রণে চীনের এ প্রচেষ্টাকে ভারত বরাবরই বৈরী চোখে দেখে আসছে।
এবারের নির্বাচনি লড়াইয়ে বিরোধী শিবির অন্যান্য ইস্যু ছাড়াও ‘ইন্ডিয়া আউট’ (ভারত মালদ্বীপ ছাড়ো) ইস্যুকে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে। বর্তমানে মালদ্বীপের প্রায় প্রতিটি প্রকল্পই ভারতের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে এবং ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানি সেই কাজগুলো করছে। এসব কিছু মিলিয়ে মালদ্বীপের জনগণ মনে করছেন, ভারতের ওপর ইব্রাহিম সোলিহ’র সরকারের অতিনির্ভরতার ফলে সে দেশের সার্বভৌমত্ব খর্ব হচ্ছে। তারা ভারতের কব্জা থেকে বেরিয়ে আসতেই মুইজ্জোকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাসদস্যদের ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মুইজ্জো। তিনি ২ অক্টোবর মালেতে এক সমাবেশে বলেছেন, ‘আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে মালদ্বীপ। আমাদের মালদ্বীপপন্থি নীতিকে যেসব দেশ সম্মান করবে এবং মেনে চলবে তাদের মালদ্বীপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে বিবেচনা করা হবে।’ তিনি ইব্রাহিম সোলিহ’র প্রতি ইঙ্গিত করে ভারতীয় সেনা উপস্থিতি নিয়ে বলেছেন, যারা বিদেশি সেনাদের এনেছেন, তারা তাদের ফেরত পাঠাতে চান না, কিন্তু বিদেশি সেনাদের দেশের ভেতরে থাকার অনুমতি আর মিলবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে মালদ্বীপের জনগণ এটাই ঠিক করেছে। তিনি দেশের আইন অনুযায়ী, ভারতের সামরিক বাহিনীকে ফেরত পাঠানোর কথা বলেন। নির্বাচনের আগে দেশে আর ভারতীয় সেনা রাখবেন না বলে যে প্রতিশ্রুতি তিনি জনগণকে দিয়েছিলেন, এ বক্তব্যের মাধ্যমে যেন তারই পুনরাবৃত্তি করলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মালদ্বীপে সামরিক নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে ভারত।
মুইজ্জো ক্ষমতায় বসার পর মালদ্বীপে চীনের প্রভাব বাড়বে সন্দেহ নেই। ২০১৩-২০১৮ মেয়াদে আবদুল্লাহ্ ইয়ামিনের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে চীনের অর্থায়নে মালদ্বীপে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন মুইজ্জো। শুধু মন্ত্রী থাকাকালেই চীনের সঙ্গে কাজ করেননি মুইজ্জো। ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন তিনি। গত বছর চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ‘দল ক্ষমতায় এলে আমাদের দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ এটা ঠিক, মালদ্বীপে চীনের প্রভাব বাড়লেও এখনই ভারতকে পিছু হটাতে পারবে না মুইজ্জো। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মালদ্বীপ থেকে ভারতের সামরিক প্রভাব কমানোর মতো উদ্যোগ নিলেও তা কতটুকু কার্যকর করতে পারবেন বলা কঠিন। তবে এ ক্ষেত্রে সফল হলেও, মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের যে ব্যাপক বাণিজ্যের লেনদেন আছে, তা থেকে সহজে বেরিয়ে আসা কতটুকু সম্ভব হবে, তা ভেবে দেখতে হবে। ইব্রাহিম সোলিহ সরকারের আমলের ভারতের ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণে মোট আটটি প্রকল্প এখনো চলমান। এছাড়াও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতাও চরমে। কেবল ২০২২ সালেই ৪৯৫ মিলিয়ন ডলারের ভারতীয় পণ্য আমদানির বিনিময়ে মালদ্বীপ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছে মাত্র ৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত একচেটিয়া ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ব্যবসা করছে। এছাড়াও ভারতকে একেবারে বাদ দিয়ে দেশ চালানো কতটুকু শান্তিপূর্ণ হবে সে কথাও ভাবতে হবে। এসব কিছু বিবেচনা করেই, নির্বিঘ্নে দেশ চালানোর জন্য মুইজ্জো হয়তো ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলার পথকেই বেছে নেবেন।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কলাম লেখক