Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

দেশপ্রেমের চশমা

নেতৃত্বের পরীক্ষা হয় সংকটকালে

Icon

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নেতৃত্বের পরীক্ষা হয় সংকটকালে

জাতীয় সংকটকালে নেতৃত্ব প্রদানকারী এবং দেশ ও জাতিকে ওই সংকট অতিক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী নেতাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকে।

সাধারণ স্বাভাবিক সময়ে সরকার পরিচালনায় নেতৃত্ব প্রদান করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব। তবে দেশে জাতীয় সংকট উপস্থিত হলে অনেক নেতাই যোগ্যতার সঙ্গে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন না। অনেক নেতা সংকটকালে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের ওপরে উঠে গণপ্রত্যাশিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হন। যদি কোনো নেতা সংকটকাল অতিক্রমে জনবান্ধব ভূমিকা পালনে সক্ষম হন, তাহলে ওই নেতার নাম জনগণের হৃদয়ে ঠাঁই পায়।

বাংলাদেশে অনেকবার জাতীয় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আবার ওই সংকটের উত্তরণও ঘটেছে। দেশ আবার ২০১৪ সাল থেকে নতুন রকমের নির্বাচনি সংকটে পড়েছে। ২০১৮ সাল হয়ে এখন ২০২৩ সালে এ সংকটটি অধিকতর গভীর হয়েছে। দেশ ও জাতির স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে কোনো নেতা যদি এ সংকটের সমাধান করতে পারেন, তাহলে তিনি জনগণের হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে আসীন হতে পারবেন।

এ সংকটটির উৎপত্তি ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে। ওই সময় সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রাথমিকভাবে ‘অসাংবিধানিক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিরোধীদলীয় দাবি মেনে নিতে সম্মত হননি।

তিনি বিরোধীদলীয় আন্দোলনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এ দাবি মানতে রাজি ছিলেন না। তবে পরে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাপার সম্মিলিত আন্দোলনের চাপে একটি যেনতেন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট সংসদে সাংবিধানিক আইন পাশ করে দেরি করে হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে তিনি উদ্ভূত জাতীয় সংকটের সমাধান করেছিলেন।

সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দু-দুটি নির্বাচন (৭ম ও ৮ম) গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর রাজনীতির প্রভাব পড়ে।

রাজনৈতিক দলগুলো সংসদ নির্বাচনের আগে সুপ্রিমকোর্টের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে হবেন তা নিয়ে অঙ্ক কষাকষি শুরু করায় বিচার বিভাগে রাজনৈতিক কলুষের প্রভাব পড়ে। ক্ষমতাসীন দল বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বা অঙ্ক করে কোনো পছন্দসই বিচারপতিকে অগ্রিম পদোন্নতি দিয়ে সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পদে আনার চেষ্টায় ব্যাপৃত হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সমালোচনার মুখে পড়ে।

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার এ দুর্বলতা সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রধান উপদেষ্টা পদে বিবেচিত প্রথম ব্যক্তি সুপ্রিমকোর্টের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আরও কতিপয় বিকল্পের সংযোজন ঘটিয়ে সংস্কার করা সম্ভব ছিল।

কিন্তু সংস্কার না করে, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পারস্পরিক অবিশ্বাস নিরসন না করে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে এককভাবে বাতিল করে ভুল করে। পরে দলীয় ব্যবস্থায় দুবার (২০১৪ এবং ২০১৮ সালে) চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগ গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরমভাবে ব্যর্থ হয়।

অধিকাংশ মানুষ এবং বিরোধী দলগুলোর দাবি না মেনে সরকার আবারও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চাইছে। এ নিয়ে বিরোধে জড়িত হয়ে পড়েছে বড় বড় দল এবং সে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো।

এমতাবস্থায় যদি কোনো নেতা এ নির্বাচনি সংকট সমাধান করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেন, নাগরিকদের রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে ভোটের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন, তিনি নিঃসন্দেহে যুগপৎ ইতিহাসের পাতায় এবং দেশপ্রেমিক জনগণের হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসন পাবেন। কাজেই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী এক বিরাট পরীক্ষার মুখোমুখি উপস্থিত হয়েছেন।

এ পরীক্ষায় পাশ করতে হলে তাকে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের ঊর্র্ধ্বে উঠে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, অবাধ নির্বাচনপ্রত্যাশী সুশীল সমাজ ও দেশপ্রেমিক জনগণের দাবির প্রতি একাত্ম হয়ে নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।

এজন্য জাতীয় সংসদে কোনো বিল পাশ করা লাগলে তা করতে হবে। আর এ কাজ না করে যদি তিনি নিজ দলের বিজয়কে বড় করে দেখে দলীয় সরকারাধীনে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গত দুটি সংসদ নির্বাচনের মতো ফন্দি-ফিকির করে নির্বাচনি বিজয় সুনিশ্চিত করেন, তাহলে তিনি রাষ্ট্রনায়ক হতে পারবেন না। হতে পারবেন একজন একনায়কতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী। এখন তাকে ঠিক করতে হবে যে তিনি বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক, নাকি সমালোচিত স্বৈরতান্ত্রিক শাসক হওয়ার পথে হাঁটবেন।

বরেণ্য নেতা হতে পণ্ডিত বা রাজনৈতিক-পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড জরুরি নয়। যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হলো দেশপ্রেম। একজন রাজনৈতিক নেতা যদি নিজের বা দলের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারেন, জনগণের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারেন, তাহলে তার পক্ষে সহজে নেতৃত্বের পরীক্ষায় পাশ করা সম্ভব হয়।

নেতাদের সামনে এমন পরীক্ষা সব সময় আসে না। বাংলাদেশি নেতাদের সামনে এখন এমন একটি সংকট উপস্থিত। এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পারলে একজন নেতা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন। দেশ পরিচালক থেকে তিনি হতে পারবেন রাষ্ট্রনায়ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এখন এমন এক বিরল সুযোগ এসেছে।

জনগণকে ধোঁকা দিয়ে এবং বোকা বানিয়ে গ্রেফতার ও মামলা-হামলাসহ বিভিন্ন কলাকৌশলে বর্তমান সরকার গত কয়েকটি নির্বাচন জিতে প্রায় এক যুগেরও অধিক সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এ সময়ে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে বলে দাবি করছে। সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।

এ দীর্ঘ সময়ে সেতু ও ফ্লাইওভার উঁচু করতে পারলেও সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিচু করে ফেলেছে। অবনমিত করেছে মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার। বাড়িয়েছে ধনী-গরিব বৈষম্য। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতান্ত্রিক অধিকারকে আইসিইউতে পাঠিয়ে গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ভেঙে খানখান করে দিয়েছে। কোনো নির্বাচনেই আর নিয়মতান্ত্রিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। সর্বসম্মতভাবে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার সংস্কার না করে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে এককভাবে এ ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।

দলীয় ব্যবস্থাধীনে গত দুটি সংসদ নির্বাচনে জনগণকে স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার সে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। জনগণ পরপর দুবার সংসদ নির্বাচনে ধোঁকা খেয়েছে। এবার আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সমাগত হলে সরকারি দলের পক্ষ থেকে একই রকম শ্রুতিশোভন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলা প্রবাদে ন্যাড়া তো একবারই বেল তলায় যায়।

জনগণ দুবার বেল তলায় গিয়েছে। এবার আর তারা সরকারের দলীয় সরকারাধীনে স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করছে না। এজন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগ যে পদ্ধতিতে ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে কঠোর আন্দোলন করেছিল, সে একই যুক্তিতে বিরোধী দলগুলো আন্দোলনে নেমেছে। তবে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগের জামায়াত-জাপাকে নিয়ে করা আন্দোলন থেকে বর্তমানে বিএনপি এবং সমমনাদের সৃষ্ট চলমান আন্দোলনের একটি পার্থক্য আছে।

বর্তমান আন্দোলনের ধারায় সহিংসতাকে পরিহার করা হয়েছে। দেশের ভোট দিতে না পারা তরুণ ও যুবকদের এ আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে সঙ্গে বিদেশি বন্ধু পরাশক্তিধর দেশগুলোকে বিরোধীদলীয় আন্দোলনের ন্যায্যতা অনুধাবনের চেষ্টায় আন্দোলনকারীরা অনেকটাই সফল হয়েছেন।

দলীয় ব্যবস্থাধীনে যে স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়, সে বিষয়টি দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছেন। সেজন্য এমন নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ এবং ভোটপ্রদানে কোনো আগ্রহ নেই। এ কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ভোট পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। একই অবস্থা লক্ষণীয় সংসদীয় উপনির্বাচনগুলোতেও।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বরিশাল এবং ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে ভোটপ্রদানে নাগরিক সমাজের অনীহা প্রতিফলিত হয়েছে। নির্বাচনি ব্যবস্থা কতটা নষ্ট হলে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি নির্বাচন দেখভালকারী প্রাথমিক প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে ওই উপনির্বাচনের একজন প্রার্থীকে একটি কেন্দ্রে মারধর করা হয়, তা বোধগম্য। পুলিশ-বিজিবির উপস্থিতিতে ওই প্রার্থীকে কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

এর আগে বরিশালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে একজন প্রার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করলে সিইসি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? এ থেকে অনুধাবন করা যায় যে নির্বাচনের প্রার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করার মতো বিষয়গুলো ইসির কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না। এ ইসি নতুন আরপিওতে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা কমিয়েছে।

ইসির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করলে প্রতীয়মান হয়, ইসি হয়তো সরকারের অঘোষিত নির্দেশনায় কাজ করতে স্বচ্ছন্দবোধ করছে। এসব দেখে অনুধাবন করা যায়, সরকার গত এক যুগে নির্বাচনে দুর্নীতিকারীদের এতটাই প্রশ্রয় দিয়েছে যে, এখন তাদের আর এসব কুকর্ম থেকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। দলীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদ নির্বাচন হলে এসব দুর্নীতিকারীদের ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করা থেকে বিরত রাখতে সরকার চাইলেও পারবে না।

এজন্য অধিকাংশ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিরোধীদলীয় দাবি ন্যায্য মনে করছেন। কোনো আন্দোলন জনগণের সমর্থন পেলে সরকার একগুঁয়েমি করে শক্তি দিয়ে তা দমিয়ে রাখতে পারে না। কোনো এক সময় এ রকম গণসমর্থিত দাবি সরকারকে মেনে নিতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় সরকার দেরি করলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে।

১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া প্রায় দেড় বছরাধিক দেরি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনেছিলেন। এতে সামাজিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস বাড়ায় জনগণের ভোগান্তি হয়েছিল। এবারও প্রধানমন্ত্রী গণদাবি মানতে দেরি করলে তার ফল ভালো হবে না। এ ব্যাপারে গোয়ার্তুমি করলে অভ্যন্তরীণভাবে প্রধানমন্ত্রী যেমন প্রবল অহিংস আন্দোলনের মুখোমুখি হবেন, তেমনি গণতান্ত্রিক বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোর কূটনৈতিক চাপে চলমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা সামাল দিতে বেকায়দায় পড়বেন।

তবে এ ব্যাপারে গড়িমসি না করে তিনি যদি গণদাবি মেনে নির্দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন দেন, তাহলে তিনি চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কৃতিত্ব দাবি করতে পারবেন। নেতৃত্বের পরীক্ষায় পাশ করার এ এক বিরল সুযোগ। দেখা যাক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন কিনা।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম