বাইফোকাল লেন্স
একজন হিরো আলম বনাম আওয়ামী লীগ
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত ২১ জুলাই যুগান্তরের প্রথম পাতার দুটি তাৎপর্যপূর্ণ সংবাদ শিরোনাম দেখে দেশের চলমান পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। শিরোনাম দুটোর প্রথমটি হলো, ‘বাঙলা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা, কবরে থেকেও আসামি শ্রমিক দল নেতা’। দ্বিতীয়টির শিরোনাম হলো, ‘হিরো আলমকে নিয়ে টুইট, জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব করে ঢাকার অসন্তোষ’। গেল কয়েকদিন ধরে ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও নির্বাচন-উত্তর ঘটনাবলি নিয়ে দেশের প্রায় সব সংবাদপত্র বড় বড় শিরোনাম করেছে। এসব শিরোনামে, উপনির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা এবং ইউটিউব ও টিকটক করে বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর আওয়ামী লীগ কর্মীদের হিংস্র আচরণের সংবাদ জায়গা করে নিয়েছে। উপনির্বাচনের একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসাবে হিরো আলমকে প্রকাশ্য দিবালোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে নৌকা মার্কা ব্যাজধারী আওয়ামী লীগ কর্মীরা নির্দয়ভাবে যে মারধর করেছে, সে খবর শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে।
প্রথম শিরোনামের খবর পড়ে অনেকেই বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের পুলিশ আবারও পুরোনো খেলায় মেতেছে। নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দল দমনে আবারও তৎপর হয়েছে’। তবে আমার মনে হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে এ কথা বলাটা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না। খবর পড়ে জানা গেছে, যে মামলায় শ্রমিক দলের মৃত নেতাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সে মামলার বাদী পুলিশ নয়, সরকারি বাঙলা কলেজের একজন স্টাফ। একথা বলার পর যে জবাব পাওয়া গেছে, তা উপেক্ষাও করা যায় না। ‘যাহা বায়ান্ন তাহাই তিপ্পান্ন’। মামলার বাদী যিনিই হোক না কেন, এসবের পেছনে যে পুলিশের হাত নেই তা বলবে কে? অতীতে বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের নির্দয় আচরণ পর্যালোচনা করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে পুলিশের দেওয়া গায়েবানা ও হয়রানিমূলক মামলার কথা কি মানুষ ভুলে গেছে? তখন এবং তারপরও বিরোধী দলের এমন অনেক মৃত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া মামলার শিরোনাম আমরা খবরের কাগজে দেখেছি। অভিযোগ আছে, পুলিশ কাউকে না কাউকে বাদী সাজিয়ে এসব মামলা করে থাকে। এ মামলার ক্ষেত্রেও যে এরকম কিছু ঘটেনি তা আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? আসলে পুলিশের এ ধরনের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গাটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। টেলিভিশন টকশোগুলোতে দেখি, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক শহিদুল হককে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যখন গায়েবানা ও হয়রানিমূলক মামলার কথা জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যান। প্রতিউত্তরে তিনি যা বলেন, তা দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে পারে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকদের অব্যাহত চাপের মুখে পুলিশকে যে এমন অনেক কিছুই করতে হয়, অনেক সময় তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তা ফুটে উঠেছে। পুলিশের এরূপ সীমাবদ্ধতার কথা তিনি অবশ্য তার লেখা ‘পুলিশ জীবনের স্মৃতি : স্বৈরাচার পতন থেকে জঙ্গি দমন’ বইয়ে অকপটে তুলে ধরেছেন।
যুগান্তরে যে মামলার কথা বলা হয়েছে, তা কোনো গায়েবানা মামলা নয়। এখানে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই বিএনপির পদযাত্রার প্রথম পর্বে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ-পুলিশের মধ্যে যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, কাঁদানে গ্যাস ও বুলেট ছোড়াছুড়ি হয়েছে, সেই ঘটনায় দুটো মামলা হয়। তাতে বিএনপির ২২৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৮০০ থেকে ১০০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মো. মহিদুর রহমান ও রুবেল হোসেন নামে দুই ব্যক্তি এ মামলা দুটির বাদী। মামলা দুটির একটিতে দুই বছর আগে মারা গেছেন শ্রমিক দলের এমন একজন নেতা মো. আ. জব্বার হাওলাদারকে ২ নম্বর অভিযুক্ত হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি দারুসসালাম থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর ক্যানসার রোগে তার মৃত্যু হয়। তিনি সরকারের দেওয়া ২০/২৫টি রাজনৈতিক মামলা মাথায় নিয়ে মারা যান। জব্বার হাওলাদার এতই কপাল পোড়া যে, মৃত্যুর পরও মামলা তার পিছু ছাড়েনি। বিএনপি সমর্থকদের অভিযোগ, সরকার মৃত্যুর পরও তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের ‘ফ্যাসিস্ট’ চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসাফুদৌল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘বাদী কীভাবে যে কী করল বুঝতে পারছি না’।
দ্বিতীয় শিরোনামটি ছিল হিরো আলমকে নিয়ে টুইট করা জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করা নিয়ে। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর নৌকা মার্কা ব্যাজধারী আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। তিনি টুইট করে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে’। গোয়েন লুইস তার টুইট বার্তায় অন্যায় কিংবা অন্যায্য কিছু বলেননি। কিন্তু গোয়েন লুইসের এ টুইট বার্তা প্রেরণের বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি সরকার। নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত চাপের মুখে, উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি সরকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর শামিল হিসাবে বিবেচনা করছে। সরকার অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘ যেন প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে সে কথাও জানিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘ সরকারের অনুরোধ কতটুকু রাখবে, ভবিষ্যৎই তা বলে দেবে। সরকারের এমন পদক্ষেপে অনেকেই বলছেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে ডেকে নিয়ে যত সহজে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে, ইইউসহ পশ্চিমা আরও যে ১২টি রাষ্ট্র প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে, সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরও তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করার সাহস করবে কি? কেউ কেউ বলেন, দরকার কী অনর্থক ঝামেলা বাড়িয়ে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একজন প্রার্থীকে প্রকাশ্য দিবালোক পাষণ্ডের মতো পিটিয়ে সরকারি দলও তো ভালো কাজটি করেনি। প্রশ্ন হচ্ছে, ৪/৫ মাস মেয়াদের সংসদ-সদস্য হিসাবে নির্বাচন করতে গিয়ে হিরো আলমের মতো এমন একজনকে এভাবে মারধরের কি প্রয়োজন ছিল? এ উপনির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটবে আওয়ামী লীগের ওপরের মহলের ধারণাতেই হয়তো ছিল না। দলের কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতাদের যে নিয়ন্ত্রণ নেই, এ ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করে দিল। নিন্দুকেরা তাই বলেন, নিজের ঘর সামলাতে না পেরে অপরের দোষ খুঁজেই বা লাভ কী!
ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলম প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভেতর এক ধরনের অস্বস্তিবোধ লক্ষ করা গেছে। গুলশান-বনানীর মতো এলাকায় হিরো আলমের মতো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেন কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ধরেই নিয়েছিল হিরো আলমই হবেন আরাফাতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও তো ঢাকা-১৭ আসনে তাদের প্রার্থী দিয়েছিল। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের অন্যান্য প্রার্থীও তো ছিল নির্বাচনের দৌড়ে। তারপরও আওয়ামী লীগ প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে হিরো আলমকেই কেন বেছে নিয়েছিল? ভোটের প্রচারে অভিনব কায়দায় তাকে বাধার সৃষ্টিও করা হয়েছিল। প্রচার-প্রচারণায় আরাফাতের তুলনায় হিরো আলম তেমন সুযোগ করে নিতে পারেননি। তার কর্মীদের লাগানো পোস্টারও রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। নির্বাচনে কোনো অবস্থাতেই হিরো আলম যাতে পাশ করে আসতে না পারেন, তার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছিল। এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। সব দলই এমন করে থাকে। পরিবেশ দেখে মনে হয়েছিল, হিরো আলম ও আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচনের মূল যুদ্ধটি চলবে। বাস্তবে তাই হয়েছে। অবস্থাগতিকে মনে হয়েছিল হিরো আলমের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের ভেতর এক ধরনের ভয় ঢুকে গিয়েছিল। গত ১৫ বছর যে দলটি একটানা ক্ষমতায় থেকেছে, সেই আওয়ামী লীগের মতো এমন একটি ঐতিহ্যবাহী দলের ভেতর হিরো আলমকে নিয়ে কেন এত ভয় কাজ করবে? আওয়ামী লীগের সমর্থক এমন দু-একজন বন্ধুকে আমি এ প্রশ্ন করেছি। উত্তরে তারা যা বলেছেন, তা এরকম দাঁড়ায়। ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল, তাই যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেই দল গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় হয়তো এবার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছিল। সবারই দৃষ্টি যেহেতু এ উপনির্বাচনের দিকে থাকবে, এজন্য সরকারও সতর্ক ছিল। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা কারও ধারণার মধ্যেই ছিল না।’
গ্রাম্য একটি বচন আছে, ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী’। ভোটের দিন দেখা গেল ১২/১৪ বছরের শিশুরাও ভোট দিচ্ছে। কেউ কেউ আবার একাই পঞ্চাশটি ভোট দেওয়ার দাবি করে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব জাল ভোটদাতাদের বক্তব্য সয়লাব হয়ে আছে। কী দরকার ছিল এসবের? আরাফাত হয়তো এমনিতেই জয়লাভ করতেন। শাসক দলের নেতারা কি অস্বীকার করতে পারবেন, এ জাল ভোট দেওয়ার পেছনে তাদের কর্মীদের হাত ছিল না? প্রশ্ন হচ্ছে, এসব কিচ্ছা-কাহিনির জন্ম দিয়ে শাসক দলের লোকেরা কী অর্জন করল? এ একটি কম গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনেই যখন জাল ভোট দেওয়ার লোভ সামলাতে পারে না, তখন জাতীয় নির্বাচনে তারা কী করবে? ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো প্রশাসনসহ সব আয়োজনই যদি তাদের পক্ষে থাকে, তাহলে তারা কী করবে তা সহজেই অনুমেয়। এখন কেউ যদি বলেন, গত দশ-বারো বছরে, দুটো জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভেতর জাল ভোট দেওয়ার যে সংস্কৃতি ঢুকে গেছে, তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছেন না, তাহলে কি ভুল বলা হবে?
হিরো আলমের মতো এমন একজন প্রার্থী তাদের ভেতর কিসের এত ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল যে, জাল ভোটের আশ্রয় নিতে হলো? ভোটের দিন আওয়ামী লীগ কর্মীদের শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়েছিল এ ভোটের লড়াই যেন একজন হিরো আলম বনাম আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হিরো আলমকে যেন তাদের কিছুতেই সহ্য হচ্ছিল না। এমন অপকর্ম করে তারা কি আবার প্রমাণ করে দিল না, ক্ষমতাসীন দলের অধীন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করা সম্ভব নয়? এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়ে কথা বলার মতো ইস্যু যদি বিরোধী দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে বিরোধী দলকে দোষ দিয়ে কী লাভ! আমাদের দেশে কথা বলার সুযোগ দিলে মানুষ কথা বলবেই। এ কারণে নিন্দুকেরা যখন বলে, ‘আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের দেখলে মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে তাদের ভেতর এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করছে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন দিলে যদি হেরে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউ’র উৎসাহী তৎপরতা, তাদের এ অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে’; তখন দুর্জনের মুখ বন্ধ করবেন কী করে!
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা