বাইফোকাল লেন্স
প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকবেন কি?
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সরকারের একজন সচিব চমক দেখিয়েছেন। চাকরির এক বছর বাকি থাকতেই তিনি পথসভা ও মতবিনিময় সভা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। চমক সৃষ্টিকারী এ ব্যক্তির নাম খাজা মিয়া। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। খাজা মিয়ার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামে। তিনি ঈদের পর দুদিন বিরামহীনভাবে সকাল, দুপুর, বিকাল ও সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, রাস্তার মোড় ইত্যাদি স্থানে পথসভা ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ খবর জাতীয় সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার পথসভার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি এসব সভায়, রাজনৈতিক নেতাদের মতো নড়াইল-১ আসনের সংসদ-সদস্য কবিরুল হকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। ভিডিও ক্লিপটি দ্রুত ভাইরাল হলে খাজা মিয়াকে নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়।
এসব পথসভা ও মতবিনিময় সভায় জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়া প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে যে বক্তব্য রাখেন, তা শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। সরকারি চাকরিতে থাকাকালে সরকারপ্রধানের কাছে রাজনীতি করার জন্য যে আবদার করা যায়, সম্ভবত বাংলাদেশের মানুষ এই প্রথম তা জানতে পারল। কারণ, খাজা মিয়া কোনো কিছু রাখঢাক না করে, সে কথাই তার এলাকার মানুষদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার চাকরি জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমি আর চাকরি করব না। আপনি আমাকে নমিনেশন দেন। আমি কালিয়ায় ফিরে যেতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী যথাযথ জবাবই দিয়েছেন। খাজা মিয়ার ভাষায়, ‘উনি বলেছেন, তোমাদের একটি মামলা আছে, আইনি বার (বাধা) আছে। তিন বছরের আগে নির্বাচন করতে পারবে না।’ তারপর খাজা মিয়া উপস্থিত সবাইকে বলেন, ‘আমি বলেছি, নেত্রী আমরা ওই তিন বছরের আইনি বার তুলে দিতে হাইকোর্টে মামলা করেছি। মামলার রায় হয়তো আমাদের পক্ষে আসবে। রায় পেলে যদি নমিনেশন দেন, আমি মানুষের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চাই।’
খাজা মিয়া সাহসী ব্যক্তিই বটে। তা না হলে একজন দায়িত্ববান উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তিনি কীভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে সরাসরি অনুরোধ করতে পারেন! শুধু তাই নয়, তিনি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর তোয়াক্কা না করে রাজনীতি করার মনোবাঞ্ছনার কথা এমন খোলাখুলিভাবে গণসমাবেশে বলতে পারেন! সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) স্পস্টভাবে বলা আছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকার সহায়তা করতে পারবেন না।’ অথচ খাজা মিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হাটে-মাঠে-ঘাটে নির্দ্বিধায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বেড়ালেন? এসব সভায় দেওয়া খাজা মিয়ার বক্তব্য শুনে অনেকের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারপ্রধান হয়ে কি সরকারি কর্মকর্তাদের এ ধরনের আলাপচারিতার অনুমোদন দিতে পারেন? তিনি যদি অনুমোদন নাই দিয়ে থাকেন, তাহলে একজন চাকরিরত আমলা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন আবদার করার সাহস পান কী করে? প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে যেহেতু এ নিয়ে কোনো নাড়াচাড়া হয়নি, কাজেই মানুষ ধরেই নিয়েছে যে, জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়ার কথায় সত্যতা আছে।
খাজা মিয়ার এমন গর্হিত কাজের পরও সরকার নীরব ছিল। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। নিন্দুকেরা বলেন, খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছা সরকারের ছিল না। নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে ঈদ শেষে অফিস খোলার পরপরই ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু তা ঘটেনি। শেষ পর্যন্ত ঘটনার দেড় সপ্তাহ পর খাজা মিয়াকে ওএসডি করা হয়। নির্বাচন সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর সম্ভবত তার কারণ। অনেকের ধারণা, চাকরিতে থাকাকালীন সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ আমলার ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করা নিয়ে সরকারের অবস্থান কী, সে বিষয় নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন ওঠে, তার যথাযথ উত্তর যাতে দেওয়া যায় সে বিবেচনা মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত খাজা মিয়াকে ওএসডি করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান, খাজা মিয়াকে তার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। লিগ্যাল নোটিশের খবর বাংলাদেশের সব সংবাদপত্রে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। তারপরও খাজা মিয়ার ব্যাপারে সরকারের কী অবস্থান তা জানা যায়নি। এ নিয়ে নাগরিকদের ভেতর গুঞ্জনও ওঠে। অতঃপর, ইইউ প্রতিনিধিদলের ঢাকায় আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সরকার খাজা মিয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। উল্লেখ্য, জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়ার চাকরির এখনো এক বছর আছে। ২০২৪ সালের ৪ জুলাই তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে।
জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়াকে দোষ দিয়ে লাভ কী! সরকারের জ্যেষ্ঠ আমলা কবির বিন আনোয়ার অবসরে যেতে না যেতেই যখন রাজনৈতিক পোর্টফলিও পাওয়ার অভিপ্রায়ে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে যাতায়াত শুরু করেন, তখনো দেশের গণমাধ্যমে কম সমালোচনা হয়নি। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদ থেকে ৩ জানুয়ারি অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে হাজির হয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি এবং মেয়রদের যৌথসভায় অংশগ্রহণ করেন। সে সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কবির বিন আনোয়ারের আগমনের কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সেদিন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তাকে অফিসে নিয়মিত বসতে বলেছেন। নিশ্চয়ই তাকে কোনো বিশেষ দায়িত্ব দেবেন।’ সাংবাদিকরা যখন কবির বিন আনোয়ারকে জিজ্ঞেস করেন, জবাবে তিনিও বলেছিলেন, ‘নেত্রী কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছেন আমাকে। কাজটি মূলত বুদ্ধিবৃত্তিক। এজন্য আমি আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে বসছি।’ সব ধরনের সরকারি সুবিধা নিয়ে অবসরে যাওয়া মাত্রই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া কতটা নৈতিকতাবিরোধী তা নিয়ে সেসময় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর এক বছর অবসরোত্তর ছুটি ভোগ করেন। এ সময় সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের ছুটি চলাকালীন ১২ মাস মূল বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সব প্রাপ্য পেয়ে থাকেন। কবির বিন আনোয়ার সদ্য অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, যিনি আগে জ্যেষ্ঠ সচিব ছিলেন, এমন একজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের আমলা সরকারি বেতনভাতা ও সুবিধা ভোগ করছেন, তিনি কীভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারেন, এ নিয়েই বিভিন্ন মহলে সমালোচনাও হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রতি এমন অনেক সরকারি কর্মকর্তার দুর্বলতার কথা আমরা এর আগেও শুনেছি। তাদের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ ও আনুগত্যের সংবাদ গণমাধ্যমেও এসেছে। শুধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাই নন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও এরূপ আচরণের অনেক ঘটনাই ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ইউএনও এবং থানার ওসিদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিয়ে প্রচুর সমালোচনা আছে। এমনকি রাজনৈতিক মঞ্চে উঠে দলীয় স্লোগান দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সরকারি পোশাক পরে রাজনৈতিক মঞ্চে উঠে দলীয় স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এসব কর্মকর্তা দলীয় স্লোগান দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে তাদের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় দিতে এতটুকুও দ্বিধা করেননি। বরং তাদের ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক পরিচয় দিতেই যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা আমাদের জানা নেই। অথচ এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়। বিরোধী পক্ষের কারও সঙ্গে টেলিফোন কিংবা সেলফোনে কথা বলার অপরাধে অনেকের সার্ভিস ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার কথাও শুনেছি। সরকারের এ দ্বিচারিতা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। কথিত আছে, এ সরকারের গত তিন মেয়াদে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ও পদবি দেওয়া ছাড়াও, ব্যক্তিগত ভোগবিলাস ও নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে, যার কারণে এসব আমলা কেবল সরকারের প্রতিই নয়, ক্ষমতাসীন দলের প্রতিও তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে সরকার ও সরকারপ্রধানের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এ শ্রেণির অনেক কর্মকর্তাই বর্তমানে পুলিশ এবং বেসামরিক প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো আজও দখল করে আছেন। নিন্দুকরা বলেন, প্রশাসনের এসব চিহ্নিত কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে এত বেশি সুবিধাভোগ করেছেন যে, তারা সরকারকে তার প্রতিদান দিতে প্রস্তুত হয়ে আছেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আওয়ামী লীগ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাইলেও প্রশাসনের এ সুবিধাভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতে দেবেন না। কারণ, তারা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে রাজি নন। এসব নিন্দুক আরও বলছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, তাদের নিজেদের স্বার্থেই আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে চাইবে।
সামনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ভিসানীতি যেন উত্তপ্ত আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র দুটো প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য ইতোমধ্যে সফর করে গেছেন। তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা জানার জন্য ঢাকায় বেশ কয়েকটি মিটিং করেছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। ওদিকে রাজনৈতিক ময়দানে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আরও বেশ কিছুদিন ধরেই চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় আগামী ডিসেম্বরের আগে তা বোঝা যাবে না। তারা বর্তমান সরকারের অধীন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্তমান সেটআপ অক্ষুণ্ন রেখে বাংলাদেশে কোনোদিনও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তারা, সাধারণ ভোটার যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সবার গ্রহণযোগ্য তেমন একটি নির্বাচনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলছেন। ওদিকে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধান উজরা জেয়া যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান ব্যক্ত করে গেছেন, তাতে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তা কেটে গেছে বলা যাবে না। এরূপ মনোভাব খোদ ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারাই প্রকাশ করেছেন।
একেএম শামসুদ্দিন : সাবেক সেবা কর্মকর্তা