নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
ডলারের বিকল্প খোঁজার বিকল্প নেই
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ডলার সংকটের মধ্যে এ সময়ের সবচেয়ে বড় খবর কোনটি? নিঃসন্দেহে ডলারের পাশাপাশি রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হওয়ার খবরটি। গত মঙ্গলবার এ সম্পর্কে দুই দেশ বিকল্প লেনদেন চালু করেছে। খবরটি পাঠ করতে করতে আমার অনেক আগের ঘটনা মনে পড়ে গেল। স্বাধীনতার পরপর সময়ের ঘটনা। দেশ সদ্য শত্রুমুক্ত হয়েছে। চারদিকে ধ্বংসের চিহ্ন। উৎপাদন বন্ধ ছিল নয় মাস। কৃষকরা কাজ করতে পারেননি। আমদানি-রপ্তানি ছিল বিঘ্নিত। পণ্যাভাব সর্বত্র। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ফল লাভ হচ্ছে খুবই কম। ডলার নেই আমদানি করার।
আমার মনে আছে, ২৫-৩০ ডলারের জন্যও তখন যেতে হতো বাংলাদেশ ব্যাংকে। কতবার যে গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই। নিজের জন্য, বন্ধুদের জন্য। ডলারের জন্য রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ বা তদবির। তাও কত ডলার? মাত্র ২৫-৩০ ডলার। ভাবা যায়! এখন ১০ হাজার ডলার নিয়ে প্রতিবেশী ভারতে যাওয়া যায়। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হয় না। যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকই যথেষ্ট। ওই সময় আর আজকের সময়ের মধ্যে কত তফাৎ! তখন আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য কী ছিল? মোটে পাট, পাটজাত দ্রব্য, চা, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং কিছু হস্তশিল্পজাত দ্রব্য। তৈরি পোশাক বা রেমিট্যান্সের নামগন্ধ তখন নেই। তাহলে উপায় কী? কী রপ্তানি হবে, কীভাবে হবে আমদানি? সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুদেশ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তাদের ‘ভেটো’ ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে। তারা এগিয়ে এলো। এলো বাণিজ্য করতে। কীভাবে? হবে ‘বিনিময় বাণিজ্য’ (বার্টার)। আমরা পণ্য সরবরাহ করব। ওই টাকাতেই রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করব। এর নাম ‘বার্টার’। পণ্যের বদলে পণ্য। ডলারের কোনো ছাপ নেই। তখন এটি সমাজতান্ত্রিক বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। জনপ্রিয় ‘বার্টার ট্রেড’ মুদ্রা প্রচলনের আগে আমাদের দেশেও হতো। কিন্তু বাদ সাধলো সমালোচকরা। তাদের কথা হলো, এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের স্বার্থ রাশিয়ার কাছে বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধুর সরকার এরই মধ্যে ওই ব্যবস্থা চালু রাখে। বলা বাহুল্য, ওই ব্যবস্থা তখন বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গেও চালু হয়।
কিন্তু বার্টার বা বিনিময় বাণিজ্য ব্যবস্থা টেকেনি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ওই ব্যবস্থার তামাদি ঘটে। ধীরে ধীরে আমরা ‘সমাজতন্ত্র’ থেকে আধাসমাজতন্ত্র, আধাসমাজতন্ত্র থেকে স্বৈরশাসন, স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে এসেছি। এর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ‘উপহার’ হিসাবে পেয়েছি ‘বাজার অর্থনীতি’ (মার্কেট ইকনোমি) বা উগ্র বাজার অর্থনীতি। এ পথ ধরে আমরা বেশ ফল পাই। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটে, মাথাপিছু আয় বাড়ে। সামাজিক সূচকগুলোরও উন্নতি ঘটে। চালে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়। দারিদ্র্যসীমার নিচের মানুষের সংখ্যা অনেক কমে আসে। বলা যায় অভাবনীয় সাফল্য।
এর কারণ প্রধানত তিনটি : কৃষির সাফল্য, তৈরি পোশাক রপ্তানি ও রেমিট্যান্স। তিনের কারণে আমাদের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি ঘটে। ১৯৭২ সালের ডলার সংকট পরিণত হয় ডলার প্রাচুর্যে। যে পাকিস্তানে ১ ডলার বিক্রি হয় ২৮০-৩০০ পাকিস্তানি রুপিতে, সেই ডলার আমরা এখনো কিনি ১১০-১১৫ টাকায়। কিন্তু এখানে কথা আছে। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-এ দুই কারণে সারা বিশ্বের মতোই আমরা কাহিল হয়ে পড়ি। করোনা যাই হোক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের জন্য অভিশাপ বয়ে আনে। সারা বিশ্বে শুরু হয় সরবরাহ সংকট, রেলের সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। সমস্যা হয় আমাদের জন্য এই কারণে যে, আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। সুচ থেকে শুরু করে উড়োজাহাজ পর্যন্ত সবই আমাদের আমদানি করতে হয়।
হঠাৎ ডলারের মূল্য বাড়তে শুরু করে। পণ্যের আমদানিমূল্য বেড়ে যায় হঠাৎ করে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেতে থাকে। রাশিয়ার ওপর ‘স্যাংশন’ আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। আমাদেরসহ অনেক দেশেরই আমদানির জন্য ডলার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ে। ‘আন্তর্জাতিক দেনা পরিশোধ’ (ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিসটেম) করতে গিয়ে আমরা পড়ে গেছি বিপদে। এসেছে আইএমএফ। দিয়েছে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ। আর কত শর্ত! এখন আমরা শর্তের বেড়াজালে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। ডলারের সংকট কাটছে না। রেমিট্যান্স সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না, রপ্তানির বাজারও তা-ই।
উপায়ান্তর না দেখে এখন আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বহু কষ্টে ৩০ বিলিয়ন ডলারে ধরে রাখা হয়েছে। কিন্তু এভাবে তো চলে না। ব্যবসায়ীদের ডলার চাহিদা আছে। মিল-ফ্যাক্টরি চালু রাখতে হবে। জ্বালানি আমদানি করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করতে হবে। অথচ যথেষ্ট ডলার নেই। এদিকে ‘মুডিস’ আমাদের ‘কান্ট্রি রেটিং’ হ্রাস করে দিয়েছে। এতে বৈদেশিক ঋণপ্রাপ্তি, ব্যাংকের ঋণপ্রাপ্তি কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের ব্যাংকগুলোর ঋণপত্র (এলসি) নিতে চায় না অনেক বিদেশি ব্যাংক। এই সংকট থেকে মুক্তির পথ কী?
মুক্তির পথ ডলার। অথচ ডলার জোগাড় হচ্ছে না। ডলার ছাড়া আমদানি করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক ‘পেমেন্টে’ ডলার হচ্ছে সবচেয়ে চালু মুদ্রা। তাহলে? তাহলে বিকল্প কী? এরই খোঁজে আছে পৃথিবীর বহু দেশ। গরজ বড় বালাই! এতদিন ‘বিকল্প’ নিয়ে কেউ ভাবেনি। সবাই ডলার সাম্রাজ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিল। ডলার, ডলার, সর্বত্র ডলার। কিন্তু হঠাৎ করে যে এভাবে বিকল্পের কথা ভাবতে হবে তা কেউ ভাবেনি। এরকম বিকল্পের কথা ভেবে রাখতে হয়। আমাদের বেলাতেই এমন আরও ঘটেছে। একটিতে ভারত হয়েছে উপকৃত, আরেকটিতে আমরা।
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ দুভাগে বিভক্ত হয়-পাকিস্তান ও ভারত। পাটকল সব কলকাতার আশপাশে। অথচ কাঁচা পাট আমাদের। ভারতের মিলগুলো আমাদের ওপর নির্ভরশীল। হঠাৎ কোরীয় যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার ভারতে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ভারতে শিরে সংক্রান্তি। কী হবে, কী হবে? ১৯৬৪-৬৫ সালের দিকে বিপুলসংখ্যক ‘পূর্ব পাকিস্তানি’ (বর্তমান বাংলাদেশি) ভারতে ‘মাইগ্রেট’ করে। তাদের মধ্যে ছিল অনেক পাটচাষি। ভারত সরকার তাদের পাট চাষে উৎসাহ দেয়। ফল সুদূরপ্রসারী, আমরা ছিলাম কাঁচা পাট উৎপাদনে এক নম্বর, এখন তারা।
এদিকে এক দশকও হয়নি, ভারত থেকে গরু ‘আমদানি’ বন্ধ হয়ে যায়। গরু ‘আমদানি’ হতো না। চোরাচালান হয়ে আসত। সেটা বন্ধ হয়ে যায়। কী করা? করার আর কী? বিকল্প পন্থা বের করা। বিকল্প কী? বিকল্প হচ্ছে আমদানি না করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা। যে কথা সেই কাজ। ফলাফল? বাংলাদেশে আজ গাবাদিপশু উৎপাদন বেড়েছে বেশ ভালোভাবে। বলা যায় আমরা গো-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা কীভাবে হলো? হলো বিকল্প বের করাতে।
কাজের কথা হচ্ছে, বিপদ সব সময় থাকে না। বিপদ আসে, বিপদের সঙ্গে সম্ভাবনাও আসে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হয়। বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। এক পাত্রে সব ডিম রাখতে হয় না। এক উৎসের ওপর সব সময় নির্ভরশীল হওয়া যায় না। এ কথাটা এখন সারা বিশ্ব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বুঝতে শুরু করেছে। মার্কিনিরা তাদের ডলার দিয়ে আমাদের কাবু করতে চাইছে, সারা বিশ্বকে কাবু করতে চাইছে। বিশ্বও বসে নেই। সব দেশই এখন বিকল্পের খোঁজ করছে-বসে নেই কেউ। সবাই ডলারের বিকল্প পথ খুঁজছে। ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে ততটুকুই বিকল্প হিসাবে নেওয়া হচ্ছে। গরজ বড় বলাই, প্রয়োজনই সব বলে দেয়।
এ প্রেক্ষাপটেই আমি দেখছি রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়টি। দুই সরকার এ ব্যবস্থা চালু করেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি এবং ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি-এ উভয় ক্ষেত্রেই এখন থেকে ডলারের পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রা রুপিও ব্যবহার করা যাবে। এটা বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বর্তমানে মার্কিন ডলার, ইউরো, পাউন্ড, চীনা ইউয়ান এবং জাপানি ইয়েন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত হয়। এর বাইরে বাণিজ্য করতে গেলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে করতে হবে।
এ কাজটিই বাংলাদেশ ও ভারত করেছে। দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছুদিন কাজ করার পর বর্তমান ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে কী ফল লাভ হবে? আমরা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করি ১৪ বিলিয়ন ডলারের। আর রপ্তানি করি মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। তাহলে কি ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের দাম আমরা ভারতীয় রুপিতে দিতে পারব? তা কীভাবে সম্ভব? এত ভারতীয় রুপি কোথায় পাওয়া যাবে? না, তা হবে না। কতটুকু হবে? আমরা যতটুকু পণ্য রপ্তানি করব, ঠিক তত পরিমাণ ভারতীয় রুপি আমাদের পাওনা হবে। ওই রুপি দিয়ে আমাদের আমদানি করতে হবে। কমও নয়, বেশিও নয়। এতে লাভ কী? লাভ হচ্ছে দুটি। প্রথমত, অন্তত ২ বিলিয়ন ডলারের চাপ থেকে আমরা রেহাই পেলাম। পণ্য ভারতে দিলাম, ভারতে থেকে সমপরিমাণ পণ্য আনলাম।
দ্বিতীয় লাভ হচ্ছে বিনিময় কমিশন, আমদানিকারকদের ডলার কিনতে কমিশন দিতে হয়। আবার ডলার ভাঙাতে কমিশন দিতে হয়। বলা হচ্ছে, কম করে হলেও এক্ষেত্রে এক টাকা আমাদের সাশ্রয় হবে। আরও বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘ডুয়েল কারেন্সি’ কার্ড চালু করা হবে। কার্ডটি হবে ‘ডেবিট কার্ড’। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ব্যাংকে তা খুলে সেখানে টাকা রাখতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে এবং ভারতে কেনাবেচা করা যাবে। ভারতে ভ্রমণ, চিকিৎসা, অধ্যয়ন ইত্যাদি খাতে বেশকিছু ডলার ব্যয় করতে হয় আমাদের। এখন থেকে বছরে ১০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ ভারতীয় রুপির পণ্য আমরা ভারতের দোকান থেকে কিনতে পারব। ডলার কিনতেও হবে না, ভাঙাতেও হবে না।
এ ব্যবস্থা চালুর আগে ও পরে জনমত দেখলাম মিশ্র। তা-ই হয়। আমাদের ব্যবসায়ী নেতারা এ ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বস্তুত চালুর দিনেই দুজন ব্যবসায়ী ভারত থেকে পণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলেছেন। এদিকে অর্থনীতিবিদরা যথারীতি সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করে চলেছেন-যেটা তাদের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। দেখা যাক কে সত্য হয়-ব্যবসায়ীরা, না অর্থনীতিবিদরা। তবে একটা কথা বলা যায়।
ভারতে আমাদের রপ্তানি খুবই কম। আবার আমদানি খুবই বেশি। আমদানি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমরা এখন কাঁচামরিচ পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করছি। ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, চাল, গম, আদা, রসুন ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তো আছেই। বস্তুত আমরা আমদানিনির্ভর একটি দেশে পরিণত হয়েছি। রেমিট্যান্সের টাকা আমাদের বাঁচিয়েছে, তৈরি পোশাকের ডলার নয়। কারণ সেখানে ৫০ শতাংশও ‘ভ্যালু এডিশন’ নয়। ১০০ শতাংশ রপ্তানির বিপরীতে আমাদের ৫০ শতাংশ পণ্য আমদানি করতে হয়।
প্রায় সব ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর এই জাতিকে বাঁচানোর পথ কী? আমদানির বিকল্প খুঁজে বের করা। ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা করা। সীমান্ত বাণিজ্য আরও জোরদার করা দরকার। হোক না ‘বার্টার’, অসুবিধা কোথায়? আইনি বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে চোরাচালান একটি ‘ওপেন সিক্রেট’ বিষয়। আমদানি-রপ্তানির মতোই এটি বাস্তব সত্য। কতদিন ধরে এই চোরাচালানের বিরুদ্ধে কথা শুনছি। কমেনি, বরং তা বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা রিপোর্টে তৎকালীন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বাংলাদেশ-ভারত মুক্ত বাণিজ্যের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সার্ক হয়েছিল এ উদ্দেশ্যেই। তবে মনে হয় পথ বন্ধুর।
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়