Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

গবেষণা জগতের প্রবেশদ্বার পিএইচডি

Icon

ড. মো. রফিকুল ইসলাম

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গবেষণা জগতের প্রবেশদ্বার পিএইচডি

সভ্যতার বিকাশে নতুন জ্ঞান অম্বেষণ করা খুবই অপরিহার্য। আর নতুন জ্ঞান খুঁজতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি রিসার্চের বাংলা প্রতিশব্দ হলো গবেষণা করা বা অনুসন্ধান করা। গবেষণা বিভিন্ন রকমের থাকলেও পিএইচডি বা ডক্টর অব ফিলোসফি এক ধরনের গবেষণা; যা একাডেমিক ডিগ্রি হিসাবেও পরিচিত। পিএইচডি এমন একটি ডিগ্রি যা একজন গবেষককে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মৌলিক কর্মের স্বীকৃতি হিসাবে দেশ-বিদেশের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদান করা হয়। ইংরেজিতে পিএইচডিকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়-‘পিএইচডি ইজ অ্যান আর্নড রিসার্চ ডিগ্রি অ্যাওয়ার্ডেড টু এ ডক্টরাল ক্যানডিডেট হু হ্যাজ ডান ইনটেনসিভ অ্যান্ড অরিজিনাল ওয়ার্ক ইনটু এ পারটিক্যুলার সাবজেক্ট।’ পিএইচডি অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হলো একজন গবেষকের গবেষণার ক্ষেত্র নির্ধারণসহ গবেষণার মান সম্পর্কে সচেতন থেকে স্বাধীনভাবে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা; যা এর আগে কখনো করা হয়নি।

আদি ইতিহাস থেকেই ডক্টর শব্দটি সম্পর্কে জানা যায় যে, ইংরেজি ডক্টর শব্দটি মূলত ল্যাটিন ভাষা থেকে আগত একটি শব্দ। এর প্রকৃত অর্থ হলো ‘শিক্ষক’ বা ‘প্রশিক্ষক’। মধ্যযুগে ইউরোপে ল্যাটিন ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি লাইসেন্সের প্রয়োজন হতো। যার শিরোনাম ছিল লাইসেন্টিয়া দোসেনদি। এক সময় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শিক্ষকতার লাইসেন্স’ (লাইসেন্স টু টিচ) দেওয়ার প্রচলন ছিল। অন্যদিকে প্রফেশনাল অর্জিত তাত্ত্বিক জ্ঞানের জন্য ‘ব্যবহারের লাইসেন্স’ (লাইসেন্স টু প্র্যাক্টিস) দেওয়ার প্রথাও ছিল। এ লাইসেন্সটিকে ডক্টরেটাস বলা হয়; যার ইংরেজি হলো ডক্টরেট আর এ লাইসেন্স যার থাকত তাকে বলা হয় ডক্টর। এ ডক্টর শব্দের অর্থ হলো ‘শিক্ষক’। সতেরো শতকের দিকে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ডক্টরেট বা শিক্ষকতার লাইসেন্সের একটি নাম দিয়েছিল ডক্টর অব ফিলোসফি। যাকে ল্যাটিন ভাষায় ফিলোসফিয়া ডক্টর বলা হয়। এ ফিলোসফি শব্দের অর্থ দর্শন হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। এটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ ফিলোসফিয়া থেকে উদ্ভব হয়েছে। যার আক্ষরিক অর্থটি হচ্ছে লাভ অব উয়িজডম বা জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা। তা না থাকলে অর্থবিত্তশালী, ক্ষমতাশালী ও পদ-পদবিধারী হলেও ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব নয়। যে ব্যক্তির জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। সে ব্যক্তিই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে ধর্মতত্ত্ব, আইন ও চিকিৎসাশাস্ত্র ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়। যেমন-ইতিহাস, দর্শন, সমাজনীতি, অর্থনীতি, গণিত, পদার্থ, প্রকৃতি, যুক্তি ও চেতনা ইত্যাদি বিষয়ে এক সময় দর্শন শাস্ত্রেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে পিএইচডি গবেষণায় এমন কোনো বিষয় নেই, যা এ বিশ্বজগৎ বা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে না। এ কারণেই মূলত দর্শন ছাড়াও অন্য যে কোনো বিষয়ের ডিগ্রিকে পিএইচডি বলা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে চার্চের পাদ্রিরা ডক্টর ছিলেন। এক্ষেত্রে ওই চার্চের অনুমতি ছাড়া কাউকে ডক্টরেট প্রদান করা হতো না। এদিকে পোপ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মগুরু ১২১৩ সালে ঘোষণা করেন যে, চার্চের পাশাপাশি ফ্রান্সের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ও ডক্টরেট প্রদান করতে পারবে। এ ঘোষণার আগেও প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাথলিক চার্চের অনুমতি নিয়ে কিছু ছাত্রকে ডক্টরেট প্রদান করে। কিথ অ্যালান নোবল তার ‘চেইনজিং ডক্টরাল ডিগ্রিস : অ্যান ইন্টারন্যাশনাল পার্সপেকটিভ’ শিরোনামে বইটিতে উল্লেখ করেন যে, পৃথিবীর প্রথম ডক্টরাল ডিগ্রি ১১৫০ সালে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে প্রদান করা হয়।

ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে প্রথম ইউরোপে অভিসন্দর্ভ দাখিলের ভিত্তিতে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রির উদ্ভব ঘটে। মূলত শিক্ষকদের অধ্যয়নের অনুমতি হিসাবে এ ডিগ্রি দেওয়া হতো। সেই সময় বর্তমানের মতো অভিসন্দর্ভ দাখিল করার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। পরবর্তীকালে ১৬৫২ সালে প্রথম জার্মান হিসাবে এরহার্ড উইগেল পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৮৬১ সালে আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম মোট তিনজনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর আগে মূলত আমেরিকানরা পিএইচডি গবেষণার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেত। ১৮৬০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৮৮২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রবর্তন করলেও যুক্তরাজ্যসহ বিদেশি ছাত্রদের কাছে অভিসন্দর্ভের ভিত্তিতে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি ১৯১৭ সালের দিকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ১৮০৮ সালে জার্মানিতে ও ১৮১৯ সালে রাশিয়ায় এবং ১৯২৭ সালে ইতালিতে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়।

বিশ্বে কয়েক প্রকার ডক্টরাল ডিগ্রি দেওয়া হলেও সব ডক্টরাল ডিগ্রি পিএইচডি নয়। অর্থাৎ বিভিন্ন ডিগ্রির সঙ্গে ডক্টরেট লেখা থাকলেই সেটি পিএইচডি ডিগ্রি হবে তা কিন্তু নয়। প্রকৃতপক্ষে, সব পিএইচডি-ই ডক্টরাল ডিগ্রি। কিন্তু সব ডক্টরাল ডিগ্রি পিএইচডি নয়। যেমন-ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) এবং জুরিস ডক্টর বা ডক্টর অব জুরিসপ্রুডেন্স (জেডি)। এসব ডিগ্রির সঙ্গে ডক্টর থাকলেও আসলে এগুলো পিএইচডি ডিগ্রি নয়। তবে ডক্টর অব জুরিসপ্রুডেন্স আমেরিকা ও কানাডাসহ বেশকটি দেশে আইন বিষয়ে প্রথম ডিগ্রি প্রবর্তন করে, যা এলএলবি অনার্স ডিগ্রির সমতুল্য গণ্য করা হয়। আবার অনারারি বা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিকেও পিএইচডি বলা যায় না। তাছাড়া কিছু প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে, যা মৌলিক গবেষণামূলক ডিগ্রি হিসাবে গণ্য করা হয় না; যদিও তাদের নামের সঙ্গে ডক্টর শব্দ পাওয়া যায়। যেমন-ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, এজুকেশন, মিউজিক, ফার্মেসি ইত্যাদি বিষয়ে প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয় এবং দেশভেদে বিভিন্ন বিষয়ে প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়ে থাকে। এসব ডিগ্রির সঙ্গে ডক্টর লেখা থাকলেও পিএইচডি বলা হয় না। কারণ পিএইচডি এবং প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রির মতো আরও এক ধরনের ডক্টরেট রয়েছে, যাকে উচ্চতর ডক্টরেট বলা হয়। কিন্তু প্রফেশনাল ডক্টরেটকে পুরোপুরি পিএইচডি বলা হয় না। তেমনি উচ্চতর ডক্টরেটও পিএইচডি ডিগ্রি নয়। ফলে উচ্চতর ডক্টরেটকে সম্মানসূচক ডক্টরেট বলা হয়। কোনো কোনো দেশে এলএলডিও ডিসিএল পিএইচডি ডিগ্রির সমতুল্য বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশে প্রফেশনাল ডক্টরেট করার সুযোগ না থাকলেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। পিএইচডি অর্জনের জন্য একজন গবেষককে গবেষণার ক্ষেত্র নির্ধারণ করাসহ কাজের মান সম্পর্কে সচেতন থেকে দেশভেদে ৩ বছর থেকে ৪ বছর অথবা ৫ বছর পর্যন্ত এক বা একাধিক তত্ত্বাবধায়কের অধীনে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক মৌলিক কর্ম করে একটি অভিসন্দর্ভ প্রস্তুত করতে হয়। তবে একজন পিএইচডি গবেষককে কোর্স ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশন এবং অভিসন্দর্ভ দাখিলসহ সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষা ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গবেষণাকর্ম সমাপ্ত করতে হয়। অর্থাৎ অভিসন্দর্ভ হলো গবেষণাকর্মের দৃশ্যমান দলিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের নিয়ম অনুযায়ী নির্র্ধারিত ফরমে অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কিছু কপি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের অফিসে দাখিল করতে হয়। তবে দেশ ও প্রতিষ্ঠান ভেদে এক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে। পিএইচডি কোনো কোনো দেশে পূর্ণকালীন চাকরি আবার কোনো দেশে বৃত্তিমূলক গবেষণাকর্ম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

বাংলাদেশের অনেকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করছেন; যার কোনো অনুমোদন নেই। এছাড়া ইউজিসির সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেন, এ মুহূর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ৫ হাজার বা তারও বেশি হবে বলেই অনেকের ধারণা। উল্লেখ্য, ‘এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসর’ (ইএমজিএস) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইউজিসির প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় মালয়েশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের স্থায়ী সনদ পাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শর্তসাপেক্ষে যৌথ উদ্যোগে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের আলোচনা হয়েছে; যা বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার ইচ্ছা পোষণ করা হয়। এর মাধ্যমে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। আমাদের দেশে অনেকে অবজ্ঞা করে বলেন যে, পিএইচডি করা মানে সময়ের অপচয়। এর মূল কারণ অনেক সময় গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের অবহেলা বা গবেষককে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া। চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি লাভের বহু অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে মানসম্মত গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, গবেষকের দক্ষতা এবং সর্বোপরি গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের পাণ্ডিত্যের ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। আমাদের দেশে ইতঃপূর্বে মানসম্মত গবেষণা হয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। এসব মানসম্মত গবেষণা পরবর্তীকালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসসহ বিদেশি অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি সুনামের সঙ্গে দেশে-বিদেশে আমাদের দেশের গবেষকরা গবেষণাকর্ম পরিচালনা করছেন।

দেশের পিএইচডি গবেষণার মান বাড়াতে হলে গবেষণা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইউজিসিকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। আর একটি বিষয় না বললেই নয়। আর সেটা হলো আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় পিএইচডি করাকে অনেকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে থাকে, যা মোটেই কাম্য নয়। এদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন মহাদেশে যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়; তাদের নিজ ভাষায় গবেষণা করতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ভালো গবেষণাগুলো ইংরেজিতে অনুবাদও করা হয়। যার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। যে ভাষার জন্য বাঙালি জাতি জীবন উৎসর্গ করেছে, সেই ভাষায় গবেষণা করাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আরও উৎসাহিত করা উচিত। বাংলা ভাষায় পিএইচডি অভিসন্দর্ভ রচিত হলে তা সহজে বোধগম্য হবে।

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন মানেই গবেষণা থেকে বিদায় নয়। বস্তুত গবেষণার জগতে প্রবেশদ্বার হলো পিএইচডি। এটিকে আমরা গবেষণার হাতেখড়ি বা সূচনাও বলতে পারি। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর অনেকেই আর গবেষণা কাজে নিয়োজিত থাকেন না। সেক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্য নামের আগে উপাধি বা ডক্টর শব্দটি ব্যবহার করা। এটি আমাদের কাম্য নয়। গুণিজনদের উচিত দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজেদের বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে নিয়োজিত রাখা। সেই সঙ্গে মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধান দেওয়াই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

ড. মো. রফিকুল ইসলাম : গ্রন্থাগার বিভাগের প্রধান, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম