Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

অর্থনীতি ও গণতন্ত্র বিকাশে চাই বেসরকারি বিনিয়োগ

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অর্থনীতি ও গণতন্ত্র বিকাশে চাই বেসরকারি বিনিয়োগ

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিনিয়োগের মাধ্যমেই অধিকতর উৎপাদন হয়। অধিকতর উৎপাদনের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। প্রবৃদ্ধির হার বেশি হলে একটি দেশ দ্রুত সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।

এই সমৃদ্ধির একটি অংশ যদি দারিদ্র্যক্লিষ্ট জনগণের কাছে পৌঁছায়, তাহলে দারিদ্র্য নিরসনও সম্ভব হয়। মোটা দাগে বলা যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য নিরসনের একটি যোগাযোগ আছে।

বিনিয়োগ আসে সঞ্চয় থেকে। সঞ্চিত সম্পদই বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হয়। একটি দেশের জাতীয় আয় থেকে ভোগ বিয়োগ করলে যা থাকে, সেটাই সঞ্চয়। বাস্তব ক্ষেত্রে একটি অনুন্নত দেশে পুরো সঞ্চয়কে বিনিয়োগ করা সম্ভব নাও হতে পারে। আমরা জানি, আমাদের দেশে একসময় মানুষজন সঞ্চিত অর্থ বাঁশের কুঠুরিতে রাখত অথবা বালিশের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হতো।

এ অর্থ বিনিয়োগ হতে পারে-এমন ধারণা অনেকেরই ছিল না। মানুষজন সযত্নে লুকিয়ে রাখা অর্থকড়ি ভবিষ্যতের সংকট বা বিপদ মোকাবিলা করার জন্য জমিয়ে রাখত। এভাবে অর্থকড়ি জমিয়ে রাখা হলে তা থেকে সুদ বা মুনাফা পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে তখনকার দিনে অভ্যস্ত ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে সঞ্চিত অর্থের পুরোটা বিনিয়োগ হতো না। ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এর শাখা-প্রশাখা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ার ফলে এখন বেশির ভাগ মানুষ তাদের সঞ্চিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখে।

তবে দুর্নীতি ও কালোটাকার অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে সামান্যই প্রবেশ করে। ফলে এ অর্থ বিনিয়োগ হয় না। বাংলাদেশে কালো অর্থনীতির পরিসর খুব ছোট নয়। ফলে বিরাট অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের বাইরে থেকে যায়। এক্ষেত্রে একজন অর্থমন্ত্রীর জন্য চ্যালেঞ্জ হলো, বিনিয়োগে অব্যবহৃত সঞ্চয় বা প্রাপ্তিকে বিনিয়োগের পথে আকৃষ্ট করা। রেডিক্যাল মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল এ বারান দুই ধরনের অর্থনৈতিক উদ্বৃত্ত বা ইকোনমিক সারপ্লাসের কথা বলেছেন। মোটা দাগে ইকোনমিক সারপ্লাস ও সঞ্চয় বেশ কাছাকাছি একটা বিষয়।

আয় ভোগের পর যা কিছু অতিরিক্ত থাকে, সেটাই ইকোনমিক সারপ্লাস। পল এ বারান দুই ধরনের সারপ্লাস বা উদ্বৃত্তের কথা বলেছেন। এ দুটি হলো সম্ভাব্য উদ্বৃত্ত এবং বাস্তব উদ্বৃত্ত (Actual surplus)। অনুন্নত দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো অনেকটাই সামান্ততান্ত্রিক। সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জমিদার, ভূস্বামী এবং বণিকদের প্রাধান্য থাকে। এরা বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত।

অপ্রয়োজনীয় ভোগবিলাসের জন্য এরা যে অর্থ ব্যয় করে, তা থেকে উৎপাদনশীলতা আশা করা যায় না। ফলে মূল্যবান এ অর্থের অপচয় ঘটে। যদি ভোগবিলাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের অর্থ বহুলাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই, বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয় বা উদ্বৃত্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই নির্ভর করে বিনিয়োগকৃত পুঁজির দক্ষ ব্যবহারের ওপর। বাংলাদেশের মতো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ধারণা এমন, চার একক পুঁজি বিনিয়োগ করে এক একক উৎপাদন (Output) আশা করা হয়।

পুঁজির এ রকম ব্যবহার খুবই অদক্ষ। যদি তিন একক পুঁজি ব্যবহার করে এক একক উৎপাদন করা সম্ভব হয়, তাহলে পুঁজির ব্যবহার তুলনামূলকভাবে দক্ষতর হবে। পুঁজি দক্ষতরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও বৃদ্ধি করা সম্ভব। বাংলাদেশে বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত সময়ের তুলনায় বেশি সময় লেগে যাওয়ার ফলে পুঁজি ও উৎপাদনের হার প্রতিকূল হয়ে ওঠে এবং এর বিরূপ প্রভাব পড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারে।

যে কোনো দেশে বিনিয়োগ দুই ধরনের হয়। এগুলো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ এবং ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ। বাজার অর্থনীতিতে রাষ্ট্র সেসব খাতে বিনিয়োগ করে, যেসব খাতে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে চায় না, অথবা বিনিয়োগে উৎসাহী হয় না। সাধারণত এসব বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো খাত, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য। এসব খাতে বিনিয়োগের ফল পেতে বিলম্ব হয়।

ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা এমন কোনো বিনিয়োগ করতে চায় না, যা থেকে ফল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, বন্দর, রেল, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের ফল আসে দেরিতে, তাই এসব কর্মকাণ্ডে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বা ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হয় না। তাই রাষ্ট্রকেই এসব কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করতে হয়।

এ ধরনের বিনিয়োগ বা রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ব্যক্তি খাতের কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চারে বিশাল ভূমিকা পালন করে। দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগগুলো নিজ থেকে মুনাফা করতে পারে না, কিন্তু অর্থনীতির অন্য খাতে বা ব্যক্তি খাতে উৎপাদন গতিশীল করে। শিক্ষা বা জনস্বাস্থ্যে বিনিয়োগের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান হয় না। কিন্তু একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।

বর্তমান সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় খাতে বিশাল বিনিয়োগ হয়েছে। যেসব প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের সময় ও খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দেশি ও বিদেশি সূত্র থেকে ঋণ করতে হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিভিন্ন সময়ে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সামনের দিনগুলোয় কঠিন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশ অতীতে ঋণের কিস্তি পরিশোধে কখনই ব্যর্থ হয়নি। তার কারণ হলো ঋণের পরিমাণ সাধ্যের মধ্যেই ছিল।

গত এক দশকে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঋণের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ঋণের ফাঁদে পড়ে যেতে পারে। তবে আমাদের আশা থাকবে সেরকম কোনো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়। গত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। এ স্থবিরতা হিসাব করা হয় জিডিপির অনুপাতে। ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে যথাক্রমে ২৩.২৬, ২৩.৫৪, ২৪.০২, ২৩.৭০, ২৪.৫২ ও ২৩.৬৪ শতাংশ।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ২০২১ সালে এসেছিল ১১৪ কোটি ডলার এবং ২০২২ সালে ১০২ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ সন্তোষজনক বলা যায় না। ডলার সংকটের কারণে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। রয়েছে জ্বালানির সমস্যা। ফলে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আশানুরূপ ক্রয়াদেশ না পাওয়ায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে পণ্য রপ্তানি কমেছে দেড় শতাংশ। সুদের হার কম থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না। সুদের হার কম থাকলে প্রান্তিক প্রকল্পগুলোও লাভজনক হয়ে ওঠে। সুদের হার বেশি থাকলে এ প্রকল্পগুলো সম্ভবপরতা হারিয়ে ফেলে। দৈনিক প্রথম আলো বলছে, ‘দেশে বিনিয়োগ একেবারেই বাড়ছে না, তা নয়।

তবে এ ক্ষেত্রে যে গতি দরকার, সেটা নেই।’ (৩০ মে ২৩)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিনিয়োগ দাঁড়াবে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এটি গত অর্থবছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ ১০ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৭.৮১ শতাংশ। ৭ বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩-২৪ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই হার জিডিপির অনুপাতে। এ হারকে সন্তোষজনক বলা যায় না।

আমাদের অর্থনীতিতে যে কয়টি উদ্বেগের বিষয় রয়েছে, তার মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেসরকারি বিনিয়োগের হার বাড়ানো সম্ভব না হলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করাও সম্ভব হবে না। উৎপাদনও সন্তোষজনকভাবে বাড়বে না। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হবে।

নতুন অর্থবছরের বাজেট আসছে। আজ জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই অর্থমন্ত্রী যে একজন অর্থমন্ত্রী, তা জনসাধারণ টের করতে পারে না। তিনি কথা এত কম বলেন যে, আমরা অর্থনীতির হালচাল সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারি না। হতে পারে তিনি বুঝে নিয়েছেন, বোবার কোনো শত্রু নেই। আগামী বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রীর জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরা।

বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাগুলো ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বন্ধুসুলভ নয়। একজন বিনিয়োগকারীকে অনেক ঘাটে ঘুরতে হয়। শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জমি পাওয়া দুষ্কর। এই সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে প্রাপ্য ভূমির তুলনায় বিপুল জনসংখ্যার চাপের কারণে। এখানে জমির দাম খুবই বেশি। এ সমস্যাকে মোকাবিলা করার জন্য সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করেছে। তবে এগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও চালু করা সম্ভব হয়নি। হাল আমলে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের ব্যবস্থা প্রকট থেকে প্রকটতর হওয়ায় বিশাল অঙ্কের ব্যাংক ঋণগুলো পাচ্ছে কিছু কিছু ব্যক্তি, যাদের নিয়ত ভালো না। বিশাল অঙ্কের ব্যাংক ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয় এবং ব্যাংক ঋণগুলো খেলাপি হয়ে যায়। খেলাপি ঋণের পরিমাণ আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ টায়-টায় অবস্থায় থাকায় ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে।

এর ফলে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে সমস্যা হচ্ছে এবং মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সব মিলিয়ে রয়েছে আস্থার অভাব। যদি বিনিয়োগকারীরা চিন্তা করে যে, আগামী দিনগুলো তাদের ব্যবসার জন্য সহায়ক হবে না, তাহলে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্য বাস্তব সমস্যা ছাড়াও আস্থার ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা বৃদ্ধি পাওয়ার মতো পরিবেশ তো আমরা দেখছি না। ব্যবসার পরিবেশ যেসব সূচক দিয়ে বোঝা যায়, সেগুলোর তিনটি সূচকে গত এক বছরে অবনতি হয়েছে

এই অবনতি আমরা লক্ষ করি বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স ২০২২-২৩-এর জরিপে। গত জানুয়ারিতে প্রকাশ হওয়া জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ পেতে জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে। জটিলতা বেড়ে গেছে। ভ্যাট ও কর পরিশোধে হয়রানি আগের তুলনায় বেড়েছে। বাংলাদেশে ছোট থকে বড় বড় কাজে যে ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়, তা যে কোনো সভ্য দেশের জন্য কলঙ্ক বলে বিবেচিত হবে। হয়রানি এমন একটি সমস্যা, যা মানুষের কর্মোদ্যোগ ও সদিচ্ছাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্সের জরিপটি করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ। এদের সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি সংকটে

শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নতুন বিনিয়োগাকারীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। দেশে করব্যবস্থার যৌক্তিকীকরণ প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে হয়রানি কমাতে হবে এবং করের হারও ভ্যাটের স্ল্যাপ যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। তাহলে কর আদায় বাড়বে এবং হয়রানি হ্রাস পেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির পথে বাধাবিপত্তির অর্গলগুলো খুলে যাবে। দেশ যদি উৎপাদন বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে অর্থনীতিতে যেমন গতি সঞ্চার হবে, তেমনই প্রতিযোগিতার পরিবেশও সৃষ্টি হবে। পুঁজিবাদের এমন পরিবেশে গণতন্ত্র দানা বাঁধার সুযোগ পাবে।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম