বাইফোকাল লেন্স
মার্কিন ভিসানীতি কতটা প্রভাব ফেলবে নির্বাচনে
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতি ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সাড়া জাগিয়েছে চারদিকে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হঁশিয়ারিতে দেশের সব মহলই নড়েচড়ে বসেছে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে। এ ভিসানীতির আওতায় রাজনীতিক, বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এখানে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা এবং ভোটের অনিয়ম বলতে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভোটের আগে ও পরে ভয়ভীতি দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রকাশে বাধা দিলে তাও এ ভিসানীতির আওতায় পড়বে। উল্লিখিত কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার জন্য যারা আদেশ বা হুকুম দেবেন, তারাও হুকুমের আসামির মতো এ ভিসানীতির আওতাভুক্ত হবেন। পাঠক একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন, ২০১৮ সালের সংসদীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এযাবৎ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যত উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, ওইসব নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী ও নির্বাচনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা উল্লিখিত প্রতিটি ঘটনা বারংবার ঘটেছে! সুতরাং এটি সহজেই বোঝা যায়, দলীয় সরকারের অধীনে এতদিন নির্বাচনে, সরকার নিয়জিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনরা ভোটারদের যেভাবে বাধা দিয়ে এসেছে, মার্কিন এ ভিসানীতি যেন তারই আলোকে রচিত হয়েছে। বিগত দুটো সংসদীয় নির্বাচনসহ অন্য সব নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা ভুলে গিয়ে যেভাবে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন, এবার এ ভিসানীতি থেকে তারাও রেহাই পাবেন না।
এ কারণেই মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ভেতর ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। খবরের কাগজের মাধ্যমে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার এটি ছিল ‘টক অব দ্য সেক্রেটারিয়েট’। মার্কিন এ হুঁশিয়ারিতে সচিবালয়ের অনেক উচ্চ পদবির কর্মকর্তাদের বেশ উদ্বিগ্ন দেখা গেছে। জানা যায়, সচিবালয়ের কর্মকর্তারা যার যার ঘনিষ্ঠ কলিগের অফিস কক্ষে জড়ো হয়ে কাজের ছলে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বিশ্লেষণে মেতে ছিলেন। বিশেষ করে যেসব মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এমন কেউ কেউ সিনিয়রদের কাছে নানাভাবে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমাদের সবারই জানা আছে, জেলার ডিসি ও উপজেলার ইউএনওরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত থাকেন। নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ফলাফল ঘোষণায় তাদের প্রভাব থাকে। বিগত প্রায় সব নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বমূলক (সবাই নয়) আচরণ তাদের ওপর ভোটারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে নষ্ট করে দিয়েছে। এমন অপকর্ম যে তারা নিজে থেকে করেছেন তা নয়। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করে যারা কর্মকর্তা হয়েছেন, তারা হয়তো নিজে থেকেই এসব অপকর্মে জড়িত হয়েছেন। আবার অনেকেই হয়তো চাকরি বাঁচাতে আদিষ্ট হয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু মার্কিন ভিসানীতি ঘোষিত হওয়ার পর আগামী নির্বাচনে তাদের কী ভূমিকা হবে, এ নিয়ে তারা এখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছেন। এ বিষয় নিয়েও কেউ কেউ সচিবালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের পরামর্শ চেয়েছেন বলে খবরের কাগজে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে পাত্তাই দিচ্ছে না প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের কথা হলো, নির্বাচন তফশিল হওয়ার পর নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব দপ্তর নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। কাজেই নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী তারা সততার সঙ্গে কাজ করে থাকেন। তাদের এ কথায় আস্থা রাখতে পারছি না বলে আমরা দুঃখিত। কাগজেকলমে নির্বাচন কমিশনের অধীন চলে গেলেও ঘুড়ির সুতা যে টানা থাকে নাটাইয়ের সঙ্গে, সে কথা ভুলে গেলে চলবে কী করে? ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করি’ বলে যতই দাবি করুন না কেন, বিগত নির্বাচনে তারা কতটুকু সততার পরিচয় দিতে পেরেছেন, তা এ দেশের ভোটারদের জানা আছে।
নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। গত সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভোটের আগের রাতে পুলিশ কর্তৃক ব্যালট বক্স ভরার কথা তো একটি বিদেশি মিশনের প্রধানই বলে গেছেন। তিনি অবশ্য নিজ থেকে বলেননি; অন্যের কাছে শুনেছেন বলে তিনি বলেছেন। গত নির্বাচনে রাতের ভোটের কথা আমরা প্রথম জানতে ও দেখতে পাই ভোটের দিন বিবিসির সংবাদের মাধ্যমে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বয়ং যখন ‘আর রাতে ভোট হবে না’ বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলেন, তারপর তো আর কোনো কথা থাকে না। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ যেমন, তেমনই স্পর্শকাতরও বটে। মার্কিন ভিসানীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তের কথা বলা আছে। ‘সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া।’ পুলিশকে এখনই যেভাবে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে চড়াও হয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিতে দেখা যাচ্ছে, আগামী দিনে তাদের কী ভূমিকা হবে, তা বলাই বাহুল্য। পুলিশ অবশ্য বলতে পারে, শান্তি ভঙ্গ হবে ভেবে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ক্ষমতাসীনের চোরাগোপ্তা কুকর্মও তো শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। তবে এ ধরনের পুলিশি অ্যাকশনে নিম্নপদস্থ সদস্যরাই জড়িত থাকে বেশি, যাদের বেশির ভাগ সদস্যেরই মার্কিন ভিসার হয়তো প্রয়োজন পড়বে না। তবে হুকুমদাতাও যে ভিসা পাবেন না, সে কথাও কিন্তু মার্কিন ভিসানীতিতে উল্লেখ আছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের মুখপাত্রও বলেছেন, নিবার্চনকালীন পুলিশ নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকে। সেখান থেকে যেভাবে চালানো হবে পুলিশ সেভাবেই কাজ করবে। কথা তারা খুব সুন্দর করে বলেন ঠিকই; কিন্তু নির্বাচন চলাকালে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনের হুকুম তামিল করবে কী, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-নেত্রীদের আদেশ-অনুরোধ রক্ষা করতেই তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। মুশকিল হলো, অনেকেই যারা মার্কিন মুল্লুকে বিপুল অর্থকড়ি ব্যয় করে গাড়িবাড়ি করেছেন, তাদের কী হবে? যদিও এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি, তবুও যাদের কথা হাওয়ায় ভাসছে তাদের আগামী দিনে নির্বাচনে কী ভূমিকা থাকবে, তা এখন দেখার বিষয়। অর্থকড়ির মায়া কি তারা ত্যাগ করতে পারবেন?
গত ২৬ মে ঢাকার এক দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম ছিল, ‘মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বড় কর্মকর্তারাই বেশি চিন্তিত’। জুতসই শিরোনাম বটে। সাধারণত দেখা যায়, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তাদের অনেকেরই ছেলেমেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। আবার, অনেকের সন্তানরা উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি অনেকেই আবার বেশ অর্থকড়ির মালিক হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই কানাডা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে গাড়িবাড়ি ক্রয়ে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। এসব কর্মকর্তা মার্কিন হুঁশিয়ারিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে নিম্নপদস্থরা এখনো অত বেশি অ্যাফেক্টেড না। এতদিন যারা সরকারের ঘনিষ্ঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন, তারা অনেকটা উভয় সংকটে পড়ে গেছেন। যদিও সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সবাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে প্রতিবারই ঘোষণা দিয়ে থাকেন। তারপরও ‘আন্ডার কাভার’ অনেক বোঝাপড়াই থাকে ক্ষমতাসীন সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে। বাস্তবে গত দুটো নির্বাচনে আমরা তা-ই দেখেছি! এবারও সরকারসংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন। তবে এবার বহুমুখী চাপের মুখেও নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে তারা কী কৌশল প্রয়োগ করেন এখনই বলা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ভিসানীতিকে সব মহল স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশের সরকারপক্ষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির মাধ্যমে ‘প্রধানমন্ত্রীর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকারকে’ সমর্থন জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, ভিসানীতির কারণে বিএনপি চাপে পড়বে। তারা নির্বাচন বানচালের আন্দোলন করলেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান করছে বলে এ নীতির আওতায় পড়বে। বৃহত্তর বিরোধী দল বিএনপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি জনগণের দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন। তবে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতার মন্তব্য হলো, সরকারকে ভয় দেখানোর জন্যই নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র এ ভিসানীতি করেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাতের মন্তব্যটি কিছুটা ব্যতিক্রম ঠেকেছে। ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আরাফাত বলেছেন, ‘আমরা এটাকে মেনে নিচ্ছি না, প্রত্যাখ্যানও করি না। তাই এটাকে পাত্তা দিচ্ছি না।’ আরাফাতের এমন বক্তব্যে আত্মগরিমার বহিঃপ্রকাশ বটে। তিনি অবশ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও একটি কাজ করেছেন, তা হলো, বিএনপি নেতাদের নির্বাচনবিরোধী বেশ কয়েকটি বক্তব্য ও ভাষণের ভিডিও ফুটেজ তার ভেরিফায়েড পেজে আপলোড করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘আশা করি আপনাদের ভিসানীতি এসব বিএনপি নেতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে’। অর্থাৎ তাদের যেন ভিসা না দেওয়া হয়। আরাফাতের এ চিঠির কথা শুনে মন্দ লোকেরা বলছেন, সরকারের হুকুমে বিভিন্ন বিভাগে পুলিশ ও তার দলের কর্মীরা বিএনপির যে সভা-সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে, সে ব্যাপারেও আরাফাত যদি কিছু লিখতেন, তাহলে তিনি যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছেন তা আরও বিশ্বাসযোগ্য হতো।
মার্কিন ভিসানীতি সব মহলের জন্যই একটি সতর্কবার্তা। এ বার্তা বিরোধী দলের ওপর যত না চাপের সৃষ্টি করবে, তার চেয়েও সরকার আরও বেশি চাপ অনুভব করবে। শুধু এ দেশের জনগণই নন, আন্তর্জাতিক মহলও জানে যে, গত দুটো সংসদীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সরকারি প্রশাসনের সহায়তা নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। এসব নির্বাচনে কারচুপি হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেমন প্রতিক্রিয়া আশা করা হয়েছিল, বাস্তবে তা হয়নি। অনেকের ধারণা যুক্তরাষ্ট্র এতদিন ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবলোকন করেছে। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের আগের পলিসির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন তারা সরাসরি সবকিছু হ্যান্ডল করছে। মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার ফলে, যে প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসেছে, সে প্রশাসনের অনেকেই হয়তো এবার ভোট কারচুপিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। কারণ, অনেকেই অনুমান করছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনের পর নতুন করে আরও স্যাংশন আসতে পারে। বলা যায় না, মার্কিন এ ভিসানীতি বাংলাদেশের জন্য পরবর্তী স্যাংশনের প্রাথমিক সংকেত কি না। সরকার যদি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না করতে পারে, তাহলে এ ভিসানীতির আওতায় যারাই পড়বেন, তাদের ওপর নতুন করে স্যাংশন জারি হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নির্বাচনে শুধু বাধা দিলে মার্কিন ভিসা পাওয়া যাবে না যেমন ঠিক, তেমনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করলেও একই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে। দলীয় সরকারের অধীন এ নির্বাচনকে যদি প্রভাবিত করা হয়, সে ক্ষেত্রে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিরুদ্ধেও যদি একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলেও আশ্চর্য হব না।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কলাম লেখক