দেশের সেবা খাতের উন্নয়নে আগামী দিনের শিক্ষা
ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুবাদে গত কয়েক বছরে ভয়াবহ কিছু অভিজ্ঞতা আমাকে হতাশ করেছে। বিশেষ করে যখন দেখি ক্লাসরুমের পড়ায় শিক্ষার্থীদের কোনো আগ্রহ নেই। সেই শিক্ষার্থীরাই আবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইব্রেরিতে বসে থাকছে। মনে মনে একটু খুশি হয়েছিলাম, এরা যাই হোক পড়ছে তো। কিন্তু সেই খুশি বেশিদিন টেকেনি। যখন জানতে পারি এসব শিক্ষার্থী ক্লাসের পড়া না পড়ে মুখস্থ করছে বিসিএস গাইড আর কথিত চাকরির পরীক্ষার নানা সাজেশন, তখন মনে হয় শিক্ষার্থী হিসাবে ওরা যাই হোক, শিক্ষক হিসাবে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ। আর আমাদের এ শিক্ষাব্যবস্থা ওদের সনদ বাদে আর কিছুই দিতে পারেনি।
ক্লাসরুমে শ্মশানের নীরবতার বিপরীতে লাইব্রেরির সামনে সারিবদ্ধ পিঁপড়ার মতো ব্যাগ সাজিয়ে তাদের অপেক্ষা আমাকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে করিয়ে দিয়েছে। সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছি জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতার গানে। তিনি বলেছিলেন, ‘আজকে যিনি কয়লামন্ত্রী, কাল সে দেখেন শিক্ষা, তাই কয়লা কালো শিক্ষা নিয়ে মানুষ করে ভিক্ষা।’
সনদ নাকি শিক্ষা, জীবনমান উন্নয়ন নাকি চাকরির খোঁজ-এমন নানা প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে লেখাপড়ার কথা বলতে গেলে। আর তখন বুঝতে পারি, আমাদের দেশে শিক্ষার মান ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। কারণ, শিক্ষা থেকে ধর্মীয় মূল্যবোধ, সততা, মানবিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, দেশপ্রেম, ন্যায়নিষ্ঠার মতো মানবিক গুণাবলি হারিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষা থেকে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিযুক্ত হয়েছে; টেকনিক্যাল শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এভাবে জাতি হিসাবে আমরা ক্রমেই দুর্বল হতে ও হারিয়ে যেতে বসেছি। আবার শিক্ষার অভাবে আমাদের সমাজে অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, হিংসাবিদ্বেষ, বিশৃঙ্খলা, সামাজিক আয়বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। এমন বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কর্মমুখী শিক্ষা, জীবনমুখী শিক্ষা ও মানবিক গুণাবলি সঞ্চারক শিক্ষা-এ তিন গুণাবলির সমন্বয়পূর্র্বক মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাসেবা পরিষদের (জাশিপ) যাত্রা। দেশের শুভাকাঙ্ক্ষী শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে জাশিপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি। শুরু থেকেই দেশের শিক্ষা খাতে বিদ্যমান নানা অনিয়ম আমরা চিহ্নিত করতে চেষ্টা করেছিলাম।
আমরা খেয়াল করেছি, স্কুল লেভেল থেকে কলেজে উত্তরণ আর তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার আগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা থাক আর নাই থাক, ঘটছে জিপিএ ফাইভের বাম্পার ফলন। সুনির্দিষ্ট সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, তার থেকেও ভয়াবহ অভিশপ্ত সাজেশন। আবার শর্ট সাজেশনের নামে শেষ অবধি প্রশ্নপত্রই শিক্ষার্থীর হাতে, যা তাদের শিক্ষাকে জীবনমুখী করতে পারুক আর নাই পারুক, তারা ভালো রেজাল্ট করছে সহজেই। তাই বর্তমানে শিক্ষার নামে একমাত্র সস্তায় সনদ বিলানো বাদে আর তেমন কিছুই হচ্ছে না।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারীর মধ্যে ৪৭ জনই বেকার অর্থাৎ প্রতি দুজনে একজন। এর কারণগুলো আমরা জানলেও প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতি নোট বা গাইড-বইনির্ভর বা মুখস্থনির্ভর। আমরা শুধু মুখস্থ করছি, চিন্তা করছি না। পড়ছি, কিন্তু স্বপ্ন দেখছি না। ফলে আমাদের চিন্তাশক্তি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, বুদ্ধি বিকশিত হচ্ছে না।
আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারাটা জাতীয় দায়িত্বেরই অংশ। সরকারিভাবে অব্যাহত প্রচেষ্টার পরও এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে আমরা এখনো কাজে লাগাতে পারিনি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষা ও সেবা এবং পরিবেশ খুব জরুরি। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উন্নতি করতে চাইলে সামাজিক শিক্ষা ও সামাজিক সেবার মানকেও উন্নত করতে হবে।
শিক্ষাব্যবস্থার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নৈতিকতা। নৈতিক মূল্যবোধ ছাড়া শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। কারণ, নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত শিক্ষা অর্জন প্রকৃত শিক্ষা নয়। আজ প্রয়োজন আদর্শিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা-যে ব্যবস্থায় থাকবে কারিগরি, বিজ্ঞানভিত্তিক যুগোপযোগী হাতেকলমে শিক্ষা। সনদধারী মূর্খতার যুগের থেকে পরিত্রাণ পেতে এর বাইরে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে আলোর সন্ধান যে মেলেনি, এমন নয়।
আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, দেশের অনেক কৃষিবিজ্ঞানী বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানাগারে প্রধান বিজ্ঞানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ কেউ চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনেক উৎকর্ষ দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা ও ভূতত্ত্বে তাদের দক্ষতা দৃষ্টান্তমূলক। টেক জায়ান্ট গুগল থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে বাঙালিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। বাংলাদেশিদের অনেকে সরাসরি নাসায় গিয়ে যুক্ত হয়েছেন, এ বিষয়টিও আমাদের কাছে অজানা নয়। যখন চারদিক থেকে হতাশার অন্ধকার গ্রাস করে, তখন এ বিষয়গুলো আমাদের একটু শান্তিতে বাঁচার আশা জাগায়।
দেশে কর্মমুখী ও বিজ্ঞাননির্ভর শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন জেলায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। লজ্জার বিষয়, সেখানে বিজ্ঞান ও কৃষিশিক্ষার বদলে কলা ও মানবিকী অনুষদের নানা বিষয়ে পাঠদান চলছে দাপটের সঙ্গে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক নানা দায়িত্ব সাহিত্য ও কলা অনুষদের ব্যক্তিদের হাতে চলে যাওয়ায় তারা বিজ্ঞানশিক্ষাকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল যে লক্ষ্য, তা অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
দেশে কর্মমুখী শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষালাভের জন্য অনেক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্বল্প খরচে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদির ওপর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও বিভিন্ন জেলা শহরে, এমনকি উপজেলা পর্যায়েও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আবার কোথাও কোথাও এনজিও কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকেও কারিগরি জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
এগুলোর বাইরে কম্পিউটার রিপেয়ারিং মেকানিক্স, মোটর মেকানিক কিংবা অটোমোবাইল সার্ভিসিংয়ের মতো পেশায় প্রচুর মানুষ কাজ করছেন। আমাদের যেটা করতে হবে তা হলো, এদের বিষয়ভিত্তিক/পেশাভিত্তিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা এবং সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টায় আরও বেশি মানসম্পন্ন কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। এছাড়া বস্ত্রশিল্প, সুচিশিল্প, জাহাজশিল্প, চিনিকল, ইস্পাত প্রভৃতি শিল্পের জন্য দক্ষ কারিগর সৃষ্টিতেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখ আর কওমি মাদ্রাসায় ১৪ লাখ। দেশে কমবেশি আলেমের সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি, যাদের অধিকাংশ মসজিদ ও মাদ্রাসাকেন্দ্রিক খেদমতে নিয়োজিত আছেন। জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা না থাকায় অধিকাংশই আর্থসামাজিকভাবে অনেক পিছিয়ে। তারা বেকার অথবা ছদ্মবেকার, অনুৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত। মাদ্রাসাশিক্ষাকে রি-অর্গানাইজ করা প্রয়োজন। ব্রিটিশ শাসনের আগেও ভারতবর্ষে মাদ্রাসাশিক্ষায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচলন ছিল। ইতিহাস বলে, নবি-রাসুল-পয়গম্বর সবারই সমসাময়িক সময়ের কোনো না কোনো কর্ম ও পেশা ছিল। তাদের বিজ্ঞান ও ব্যবসা শিক্ষা তথা উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে জড়িত করে মূল স্রোতোধারায় আনতে হবে।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি প্রবাসীরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। তবে চাকরিদানের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে-এরা কি দক্ষ, না অদক্ষ? বড় একটা অংশ অদক্ষ। অন্যান্য দেশের কারিগরি জ্ঞান থাকা শিক্ষিত-দক্ষ শ্রমিক-কর্মীদের তুলনায় দুর্বল। ফলে তারা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছে না, বাধ্য হয়ে অপেক্ষাকৃত কম বেতনে কাজ করছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে। এদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হলে বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি খাত থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও টেকনিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটা সক্ষম অংশকে সরকারি সহযোগিতায় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা জরুরি।
পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য, বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ লোক প্রবেশ করছে, যার মধ্যে কারিগরিভাবে দক্ষ মাত্র ১২০০ জন। অন্যদিকে যে কোনো কাজকে ছোট করে দেখার প্রবণতা আমাদের তরুণ বা যুবসমাজের মধ্যে আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা তাদের কাছে নিতান্তই অবজ্ঞার বিষয়। শিক্ষিত/অশিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলার মাধ্যমেই এ প্রবণতা থেকে আমাদের মুক্তি মিলতে পারে। আর সেজন্য মানসিকতার পরিবর্তন সবার আগে জরুরি।
দেশের অভিভাবকদের মধ্যে শুরু থেকেই ভয়াবহ একটি প্রবণতা থাকে। মা কিংবা বাবা কেউ তাদের সন্তানের কাজে সন্তুষ্ট থাকেন না। এজন্য একজন কৃষিজীবী বাবা তার ছেলেকে বলেন ‘লেখাপড়া কর, না হলে তোকে লাঙল ঠেলতে হবে।’ অন্যদিকে গৃহিণী তার মেয়েকে বলেন, ‘তুই লেখাপড়া কর, না হলে হাঁড়িপাতিল ঠেলতে হবে।’ বেলা শেষে এ ছেলে কিংবা মেয়ে দুজনেই বড় হয়ে লেখাপড়া শেষ করে সনদসর্বস্ব হয়। তারা মায়ের রান্নাবান্না কিংবা বাবার কৃষিকাজকে ঘৃণা করতে করতে বেড়ে ওঠায় একটা সময় ওই পেশায় আর ফিরতে পারে না। পক্ষান্তরে তারা যে শিক্ষাজীবন শেষ করে, সেখানে জীবনমুখী শিক্ষার ঘাটতিও থাকে। ফলে তারা একূল-ওকূল দুই কূল হারিয়ে পড়ে যায় অথই সমুদ্রে। আর এখানেই আমাদের প্রচলিত শিক্ষার মূল সমস্যা।
শিক্ষা শুধু পাশ করা আর সনদ অর্জনের উদ্দেশ্যে নয়, বরং এটাকে হতে হবে জীবনমুখী। বিশেষত, বাংলাদেশের সেবা খাতের উন্নয়নে আগামী দিনের শিক্ষাকে সংস্কারের বিকল্প নেই। আর এ সংস্কারের আগে উপযোগিতা নিশ্চিত করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে শিক্ষা নিলে কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে, সেদিকে আমল দেওয়াটা জরুরি। সেখানে কৃষিশিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা, প্যারামেডিক্যাল ও ভেটেরিনারি ট্রেনিং, নার্সিং ও ডেন্টাল ট্রেনিং, কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদির উন্নয়নে সবার আগে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো পেশাই ছোট নয়-সন্তানের এ মানসিকতা তৈরিতে অভিভাবকদের কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। আর এগুলোর সম্মিলিত প্রয়াস দেশের সেবা খাতের উন্নয়নে আগামী দিনের শিক্ষা যুগোপযোগী ও মানসম্মত করে তোলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; ভাইস প্রেসিডেন্ট, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ