জাত নিমের পাতা
আটাশি ওভারের ইনিংসে শুধু বাউন্ডারি আর ছক্কা
মাহবুব কামাল
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাবা মারা যাওয়ার পর আমি দুজন অভিভাবক পেয়েছিলাম। এদের একজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিউদ্দিন ভাই, আরেকজন গাফ্ফার ভাই (আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী)। কিছুদিনের ব্যবধানে দুজনেই লোকান্তরিত হয়ে আমাকে অভিভাবকহীন করে গেছেন।
আজ গাফ্ফার ভাইয়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। কিছু কিছু মৃত্যু থাকে, যে মৃত্যুতে প্রিয়জনের চোখ পাথর হয়ে যায়, তাই জল পড়ে না; কিন্তু মাথা ভনভন করে ঘোরে। গত বছরের ঠিক এই দিনে অফিসে বসে যখন গাফফার ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনলাম, আমার হয়েছিল সেই দশা।
শুধু মাথা ঘুরলেও চলত; কিন্তু ওই অবস্থায় রিসিভ করতে হচ্ছিল একের পর এক ফোন। গাফফার ভাই তার অন্তত ১০-১২টি কলামে আমার কথা উল্লেখ করেছিলেন বলে অনেকেই ভেবেছে আমার কাছে তার মৃত্যুর প্রকৃত খবরটা পাওয়া যাবে। এদেশে বেআক্কেল লোকের অভাব নেই, ওপারের লোকটির মানসিক অবস্থা বুঝলেও কথা দীর্ঘ করা চাই। যা হোক, ফোন রিসিভ করতে করতে আমি ভাবছিলাম এখন আমার কী করা উচিত।
চট করে করণীয় ঠিক করে ফেললাম। আমাকে যেতে হবে চতুর্থতলার অ্যাকাউন্টস সেকশনে। হতবিহ্বল আমি লিফ্ট ব্যবহার করতেও ভুলে যাই, সিঁড়ি দিয়ে অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড হয়ে পড়ে যাই পা পিছলে। সে অবস্থায় অ্যাকাউন্টস সেকশনে গিয়ে বলি, গাফফার ভাই মারা গেছেন, তার লাশের সঙ্গে নিশ্চয়ই তার মেয়েও আসবেন। গাফফার ভাইয়ের পাওনা হিসাব-নিকাশ করে ফেলেন, আমি সাইফুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে নেব।
টাকাটা যেন তার মেয়ের হাতে তুলে দিতে পারি। পরদিন অবশ্য বাংলাটিভির পিংকি আপা, যিনি গাফফার ভাইয়ের খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন, তিনিও গাফ্ফার ভাইয়ের সম্মানির টাকা দ্রুত দেওয়ার কথা বললেন। তিনি জানতেন না যে আমি ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গাফ্ফার ভাইয়ের পাওনা কড়ায়-গণ্ডায় তার মেয়ের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।
গাফ্ফার ভাইয়ের লাশ দেখতে শহিদ মিনারে যেতে পারিনি, গিয়েছিলাম প্রেস ক্লাবে। সে সময় শুধু মনে হয়েছিল, মানুষের তৈরি বিধান প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যায়, প্রকৃতির বিধান যায় না। এই লোকটির সঙ্গে কোনো শক্তির বলেই আর কথা বলতে পারব না। কত কথা যে বলেছি তার সঙ্গে! মৃত্যু-পর্বটা সেরে নেই আগে আমার একটি অভিমানের কথা বলে।
এই অভিমান আমার কোনোদিনও যাবে না। মৃত্যুর ৩-৪ মাস আগে তাকে ফোনে বলেছিলাম, গাফ্ফার ভাই, আমি চাই আপনার কবর হবে শহিদ মিনারের পাশে। আপনি আপনার কলামে এ আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করুন। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পেইন করব, প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্তও পৌঁছানোর চেষ্টা করব। তিনি রাজি হননি। বলেছিলেন, আমার কবরের জায়গা ঠিক করা আছে স্ত্রীর পাশে। আমি বলেছিলাম, আপনি তো শুধু আপনার স্ত্রীর নন, আপনি গোটা জাতির। তাছাড়া আপনাদের দেখা হবে বেহেশতে। এ কথায় কোনো কাজ হয়নি। যা হোক, এবার মূল লেখা শুরু করি।
২২ বছর আগে আমি আমেরিকার বোস্টনে কেমব্রিজ পাবলিক লাইব্রেরির বাংলা বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট স্পিকার হয়ে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে ‘বোস্টন গ্লোব’-এর (এটি আমেরিকার একটি লিডিং ডেইলি) এক সাংবাদিক আমাকে বলেছিলেন, শুনলাম তুমি একজন কলামিস্ট। তো কতদিন পরপর কলাম লেখো? বলেছিলাম, মাসে ৪টি।
সেই সাংবাদিক চোখ কপালে তুলে বলেছিলেন, ওয়াও মাসে ৪টা? তুমি নিশ্চয়ই খুব মেধাবী। ওই সাংবাদিক গাফ্ফার ভাইয়ের কথা শুনলে না জানি কী বলতেন। হ্যাঁ, গাফফার ভাই প্রতিদিনই একটা করে কলাম লিখতেন। পৃথিবীতে আর কোনো কলামিস্ট এত কলাম লিখেছেন কিনা আমার জানা নেই। তার নাম গিনেস বুক অব রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে ঢাকার কয়েকটি পত্রিকা ও ইন্ডিয়ার স্টেটসম্যানে তো লিখতেনই, এছাড়া লন্ডন ও নিউইয়র্কের বাংলা পত্রিকাগুলোয়ও লিখতেন মাঝে মাঝে।
তো আমি যুগান্তরেই তার প্রায় ৫০০ কলাম এডিট করেছি। চলতিপত্র ও মৃদুভাষণেও করেছি অনেক। অন্য যে কারও লেখা, তা তিনি যতো জ্ঞানী-গুণীই হোন (দু’-চারজন বাদে, তারা অবশ্য পণ্ডিত নন, সাংবাদিক), জায়গায় জায়গায় কলম চালাতে হয়। কিন্তু কী বানান, কী বাক্য গঠন, যতিচিহ্নের ব্যবহার অথবা এক্সপ্রেশন-গাফ্ফার ভাইয়ের লেখায় কলম চালাতে হতো না বললেই চলে। মাঝে মাঝে শুধু বলতাম, গাফফার ভাই, এই তথ্যটা ঠিক আছে তো? তিনি বলতেন, ক্রসচেক করে নিও। বলতাম, ’৬৫ সালের ঘটনা ক্রসচেক করবো কীভাবে? আমার ওপর খুব নির্ভর করতেন তিনি। হেডিং চেঞ্চ করলে মাইন্ড করতেন না।
একদিন সাহস করে বলে ফেলেছিলাম, গাফ্ফার ভাই, আপনার বিশ্লেষণ আপনার মতো করবেন; কিন্তু খেয়াল রাখবেন তথ্যবিকৃতি (তিনি যেহেতু লন্ডন থেকে লিখতেন) যেন না ঘটে। তথ্যের ঘাটতি থাকলে অবশ্য তিনি হয় আমাকে, না হয় মোনায়েম ভাইকে ফোন করতেন। কখনো কখনো আমি কলামের সাবজেক্টও ঠিক করে দিয়েছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে কিংবা মন্তব্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে নন-পার্টিজান দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার-এমন কোনো পরামর্শ একজন প্রিয়ভাজন হিসাবে আমি তাকে কখনো দিইনি। অনেক কারণে।
প্রথমত, বাই দ্যাট টাইম তিনি এক বড় প্রতিষ্ঠানে (institution) পরিণত হয়ে গেছেন। ফলে তার চিন্তা বা দর্শন স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে দেওয়াই উচিত। দ্বিতীয়ত, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যদি সাংবাদিকতার সীমানা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর দিকে টিলটেড হয়ে যেতে পারেন, তাহলে গাফ্ফার ভাই কোনো একদিকে টিলটেড হতে চাইলে বাধা দেব কেন? তৃতীয়ত, এ দেশের মানুষ তো কঠিনভাবে দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বরপক্ষ-কন্যাপক্ষ (ছাত্রাবস্থায় অনেক বন্ধু ভুয়া আমন্ত্রিত সেজে বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে যেত।
তো প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তাদের বলতেই হতো তারা বরপক্ষ অথবা কন্যাপক্ষ), বাদী পক্ষ-বিবাদী পক্ষ, শুক্লপক্ষ-কৃষ্ণপক্ষ এমন দুই পক্ষে বিভক্ত এখন মানুষ। যদি এমন হতো, আব্রাহাম লিংকন কিংবা আমার প্রিয় রাষ্ট্রনায়ক আমেরিকার জেফারসনের বক্তৃতা শুনে মানুষ যেভাবে মাইন্ডসেট পরিবর্তন করত, এ দেশের মানুষও তেমন, তাহলে না হয় একটা কথা থাকত। চতুর্থত, তিনি কী লিখবেন আর কী লিখবেন না, এ ধরনের পরামর্শ দিলেও কোনো লাভ হতো বলে মনে করিনি।
গাফ্ফার ভাইয়ের চিন্তার প্রবাহ ছিল জোয়ারের পানির মতো। যে কোনো বিষয়ে স্রোতের মতো এগিয়ে যেত তার লেখা। আর স্মৃতিশক্তি? প্রাণিকুলের মধ্যে বানরের স্মৃতিশক্তি সবচেয়ে বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, বানরের রয়েছে multiple memory system; গাফ্ফার ভাইয়ের স্মৃতিশক্তি ছিল তার চেয়েও বেশি।
গাফ্ফার ভাই কত যে উপকার করেছেন আমার। একবার বললাম, গাফ্ফার ভাই লন্ডন যাব। তিনি ২-৩ দিনের মধ্যেই লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দিলেন। আমেরিকা যাওয়ার আবদার করার পর তিনি নিউইয়র্কের একটি সংগঠনের দাওয়াতপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। লন্ডন যাওয়ার সময় চলতিপত্রে তার পাওনা ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম, তিনি তা নেননি।
বলেছিলেন, টাকাটা এখানে তুমিই খরচ করো। লন্ডনের কত জায়গায় যে তিনি আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন-বিবিসির উর্মি আপা, শামীম চৌধুরীসহ আরও অনেকের বাসায় নিয়ে গিয়ে জমিয়েছেন আড্ডা। এসব তো আছেই। উপরন্তু, পূর্বাচলে আমি যে একখণ্ড জমি পেয়েছি, তার পেছনেও রয়েছে গাফ্ফার ভাইয়ের অবদান।
গাফ্ফার ভাইয়ের সঙ্গে আমি মজাও করতাম অনেক। এক একুশে ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলাম, গাফ্ফার ভাই মিষ্টির টাকা পাঠান, আজ সারা বাংলাদেশে আপনার গান বেজে চলেছে। কী যে খুশি হয়েছিলেন তিনি! মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে বলেছি-আপনি পরী মনিকে নিয়ে যে কবিতা লিখেছেন, সে তো আপনার প্রেমে পড়ে যাবে। তিনি শুধু হেসেছিলেন।
তারপর একদিন বললাম, গাফ্ফার ভাই আপনার ওই কথাটা তো ফলেনি। অসুবিধা নেই। কার্ল মার্কসেরও অনেক কথা ফলেনি-তিনি বলেছিলেন, জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত হবে প্রথম সমাজতন্ত্র; কিন্তু তা হয়নি। আরেকবার বললাম, গাফ্ফার ভাই সাংবাদিকের বিশ্বাসযোগ্যতা কিন্তু নারীর কৌমার্যের মতো, একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না। তিনি বলেছিলেন, এসব উপমা তুমি পাও কোথায়?
কত যে আপন ছিলেন তিনি! ঢাকায় এলে দেখা করাটা একটা অতি আবশ্যিক কাজ হয়ে দাঁড়াত আমার। একবার বিভুদার নেতৃত্বে গাজী শাহাবুদ্দিনের বাসায় চলতিপত্রের পক্ষ থেকে তাকে দিয়েছিলাম জমজমাট এক সংবর্ধনা। ঢাকায় এলে যুগান্তরেও আসতেন তিনি। যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সম্পাদক সাইফুল ভাই, প্রয়াত ফিচার এডিটর রফিকুল হক দাদুভাই-সবার সঙ্গেই ছিল তার ভালো সম্পর্ক।
এছাড়া সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান আসিফ রশীদের বাবার বন্ধু ছিলেন তিনি। আসিফকেও খুব ভালোবাসতেন। যুগান্তরে এলেই হতো আড্ডা। একবার আড্ডা শেষে যমুনা টেলিভিশনের মিশু বলল, কামাল ভাই, গাফ্ফার ভাইয়ের একটা বড় সাক্ষাৎকার নিতে চাই।
আপনি একটু ব্যবস্থা করে দেন না! গাফ্ফার ভাইকে কোনো কথা বলেছি অথচ তিনি শোনেননি এমন অভিজ্ঞতা আমার নেই। যমুনা টেলিভিশনে তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হলো এবং সেই সাক্ষাৎকারে তিনি এমন কিছু কথা বলেছিলেন, যা অন্য কোথাও কখনো বলেননি।
এবার তার কীর্তির কথা বলি। তিনি আটাশি বছর বেঁচে ছিলেন। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব বুঝি একুশের সেই গান-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ আমি কখনো কখনো ভাবি ‘ফেব্রুয়ারি’র ‘য়ারি’র সঙ্গে ‘পারি’ মিলিয়ে একটা গান রচনা এমন কী কঠিন কাজ! কিন্তু পরক্ষণেই উপলব্ধি হয়, এ বড় কঠিন কাজ।
আমরা যখন সুমধুর সুরের কোনো গান গাই, তখন মনেই হয় না যে কঠিন কিছু করছি। কিন্তু গানটির সুরকার জানেন, ওই সুরটা দেওয়ার সময় কত ঠ্যালা সামলাতে হয়েছে তাকে। ঈশ্বর মাথায় ভর করেছিলেন বলেই তিনি অমন একটা সুর দিতে পেরেছিলেন। গাফ্ফার ভাইয়ের এই গানটির কথাও তেমন। তিনি শুধু কলামই লেখেননি, লিখেছেন অনেক উপন্যাস ও গল্পও। তৈরি করেছেন একটি ডকুড্রামা। সেটি অবশ্য তেমন মানসম্পন্ন হয়নি।
এজন্য তিনি আমার কাছে আক্ষেপ করেছেন। মানসম্মত না হওয়ার কারণটাও বলেছেন। সেটা আর লিখতে চাই না, তাহলে দায়ী সুহৃদ ব্যক্তি কষ্ট পাবেন। গাফ্ফার ভাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি সিনেমাও বানাতে চেয়েছিলেন ওই শেষ বয়সে। না বানিয়ে ভালোই করেছেন।
ওই বয়সে সিনেমা নির্মাণের কাজটা তদারকি করা কঠিন হয়ে পড়ত তার জন্য। অ্যাটেনবরো ‘গান্ধী’ ছবিটি বানিয়ে অনেক অস্কার জিতে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গাফ্ফার ভাই যদি সেই মানের ছবি বানাতে না পারতেন, তার ইমেজের অনেক ক্ষতি হতো।
শেষ করে ফেলি। আমার জীবনের তেমন কোনো গৌরব নেই। একটাই গৌরব, গাফ্ফার ভাই আমার লেখা পছন্দ করতেন। সেই যায়যায়দিনের আমল থেকেই তিনি আমার প্রতিটি লেখাই পড়েছেন। আমার ‘জাত নিমের পাতা’ ৩ ও ৪ খণ্ডের ভূমিকায় তিনি যেসব কথা লিখেছেন, তাতে গর্বে আমার বুক ফুলে যাওয়ার কথা; কিন্তু খুব বিব্রত হয়েছি আমি।
যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ার নিউজ পড়েই তিনি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তুমি শুধু লেখায় সাহসী নও, ব্যক্তিজীবনেও খুব সাহসী। তুমি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ করেছ, তোমার জীবনে আর কিছু দরকার নেই।
আসলেই আমার আর কিছু দরকার নেই। শুধু পরপারে গাফ্ফার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলেই ষোলোকলা পূর্ণ হবে। একুশের গান রচনা ও এদেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, সেজন্য তখন আরেকবার ধন্যবাদও জানাতে পারব।
মাহবুব কামাল: সাংবাদিক