তোমরা যারে বলো কালো, আমি বলি কৃষ্ণকালো
ড. হাসনান আহমেদ
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
পুরোনো দিনের একটা গল্প মনে পড়ল। এক চাষাভুষা পরিবারের গল্প। গল্পটা এরকম : বুড়ো বাপের কয়েকদিন ধরে ‘লুজ মোশন’ চলছে। শরীরটা অনেক দুর্বল। ছেলে লজ্জায় বাপের অবস্থা জিজ্ঞেস করতেও পারছে না। লজ্জার মাথা খেয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘হ্যাঁ বাপ, তোমার প্রাকৃতিক কর্ম শেষ হয়েছে?’ ছেলের প্রশ্নে বাপও একটু লজ্জিত হলো। বলল, ‘না বাবা, না, লজ্জার কথা। যে অবস্থায় আছি তাতে আর নয়।’ এতেই ছেলে যা বোঝার বুঝে নিল।
ঔরসজাত সন্তান হিসাবে বাবার অসুখ-বিসুখের খবর নেওয়া ছেলের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাই যত লজ্জার কথাই হোক, না জিজ্ঞেস করে গত্যন্তর থাকে না। আমার অবস্থাও তথৈবচ। বাপের বিশ্বাস একশ ভাগ সত্য। কিন্তু লুজ মোশনের ভারসাম্য তো রক্ষা করা যায়! পেটের ব্যামোটা তো অন্তত আরোগ্য হওয়া প্রয়োজন। নইলে যে গুরুজন পিতার অক্কা পাওয়ার নির্ঘাত আশঙ্কা দেখা দেয়। খাদ্য শরীরের কোনো কাজে লাগছে না, পুরোটাই বের হয়ে যাচ্ছে। শরীরে ক্রমেই পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। এসব কিছু ডাক্তারকে বিবেচনায় আনতেই হবে। রাষ্ট্র-পরিবারের একজন নগণ্য নাগরিক বা সদস্য হিসাবে কথা না বলে নির্লিপ্ত বসে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যত শ্রুতিকটুই হোক, সময় এসেছে এসব বিষয়ে ভাবার।
বুদ্ধিশুদ্ধি একটু হওয়ার পর থেকেই দেখছি, দেশটা রাজনীতিকরা চালাচ্ছেন। সে-ও একান্ন বছর হয়ে গেল। দেশে কখনো সামরিক শাসন জারি হলেও আবার রাজনীতিকদের হাতে দেশ ফিরে গেছে। তাই দেশের ভালো-মন্দ সবকিছুর দায় রাজনীতিকরা এড়াতে পারেন না। কিন্তু এত বছরেও রাজনীতির প্রতি কোনোভাবে আশান্বিত হওয়া যাচ্ছে না কেন? লুজ মোশনের কারণে বাপের যে প্রাণবায়ু বের হওয়ার উপক্রম হচ্ছে! রাষ্ট্রপরিচালনার সিস্টেমের মধ্যে কোথাও কি কোনো গলদ আছে? রোগের সাময়িক উপশম কোনো রোগের নিরাময় নয়।
সামনের বাজেট আলোচনা বিভিন্ন পত্রিকায় শুরু হয়ে গেছে। আমিও সেটা দিয়েই শুরু করি। আমরা জানি, অতীত তথ্য ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ সংখ্যাত্বক বা আর্থিক পরিকল্পনা ও তার নিয়ন্ত্রণই বাজেট। বাজেটের যথার্থ প্রয়োগ জাতীয় উন্নয়ন। বাজেট তৈরি হয় পরিকল্পনা আকারে, কিন্তু সারা বছর এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখতে হয়। আমরা যাকে বলি ‘বাজেটারি কন্ট্রোল’। বাজেটে নিয়ন্ত্রণহীনতা দাঁড়-বৈঠাবিহীন জলযানের সমান। আবার পরিকল্পনার ভিত্তিতে গলদ থাকলে শুধু নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা দিয়ে বেশি একটা সফলকাম হওয়া যায় না। আমাদের বাজেটব্যবস্থায় বাস্তবে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আমাদের ‘গমও উদা, জাঁতাও ঢিলা’। পত্রিকার বিভিন্ন খবর পড়লেই এর সত্যতা ধরা পড়ে। রাষ্ট্র তার কোষাগার থেকে একশ টাকা খরচ করলে সেই একশ টাকার সমমূল্যের সম্পদ ও সেবা রাষ্ট্রকে অর্জন করতেই হবে। আরও সহজে বললে, রাষ্ট্র তার কোষাগার থেকে পাঁচশ টাকা ব্যয় করে একটা ক্যালকুলেটর কিনলে পাঁচশ টাকা মূল্যের ক্যালকুলেটর তাকে পেতে হবে। পাঁচশ টাকা ব্যয় করে দুইশ টাকা মূল্যের ক্যালকুলেটর নামের সম্পদপ্রাপ্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাষ্ট্রীয় কোষাগার মানে জনগণের আমানত। এটি খেয়ানত করা বড় রকমের অপরাধ। আজ একান্ন বছর ধরে এভাবে সাধারণ মানুষের আমানতের অনেকাংশ খেয়ানত হয়ে চলেছে। বছর যত যাচ্ছে, তহবিল তছরুপের মাত্রা ততই বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশের বাজেট ব্যবস্থা বানরের পিঠা ভাগের সঙ্গে তুলনীয় হয়ে গেছে। দেশ-পরিচালকদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। অথচ তারা আমানতদার। এর জবাবদিহি কে বা কারা করবে? এ একান্ন বছরে এর জবাবদিহি কেউ করেছে কি? জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা আছে কি? আমরা জনগণের ভোটব্যবস্থার ওপর জবাবদিহিতার ভার ছেড়ে দিয়েছি। পরিচালকরা কৌশলে গণরায়কে পাশ কাটানোর ফন্দি আবিষ্কার করে ফেলেছেন। আবার গণরায় নিয়ে কোষাগারের অর্থ বণ্টনের কাজে গেলেই যে ফান্ড সুষ্ঠুভাবে বণ্টিত হবে, কর্মকাণ্ড সুন্দর হবে, এ নিশ্চয়তা কোথায়? লালন গেয়েছিলেন, ‘দেখেশুনে জ্ঞান হলো না, দুধেতে মিশালি চোনা-আ’। টেকনোলজির উৎকর্ষ ও মনুষ্যত্বহীনতার এ মহামারির যুগে যে কোনো প্রকারে নিজের দিকে ঝোল টানার প্রবণতা তো ওপেন-সিক্রেট ব্যাপার। এখানে সিস্টেমের ভারসাম্য কোথায়?
আমাদের দেশে যে খাদকগোষ্ঠীর উদ্ভব ও উদ্ভাবন কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে, বাজেট ব্যবস্থা ছাড়াও দেশের হেন কাজ নেই, এমনকি নদীর ধারে বসিয়ে দিলে ‘ঢেউ গোনা’র নামেই দেশ-পরিচালকদের পোষ্যপুত্ররা এবং কোষাগার থেকে পোষা অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাধারণ মানুষের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে রসদ বের করে আনছেন। কেউ শতকোটি, কেউবা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। কেউবা ব্যাংক লুট বা টাকা পাচারে যোগ দিয়েছেন। যারা ভবলীলায় লাভবান হচ্ছেন, তারাই কেবল দুর্বিনীত দুরাচারদের পক্ষে কোরাস ধরে নানা ভঙ্গিতে সুর টানছেন। সাধারণ মানুষ নিস্তব্ধ-নির্বিকার, শোষিত। আমিই-বা এর প্রমাণ হাজির করব কেন? এদেশের প্রত্যেক মানুষের চোখ ও কান এবং বাস্তবতা এর সাক্ষী। বছরব্যাপী প্রকাশিত অসংখ্য খবরের কাগজের পৃষ্ঠা এর রাজসাক্ষী। এ-ও তো ওপেন-সিক্রেট ব্যাপার হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের কাছে এর জবাবদিহিতা থেকে আমরা কেউ-ই রেহাই পেতে পারি না। এভাবে আমরা অর্ধশত বছর পাড়ি দিয়ে ফেলেছি। ‘উন্নয়ন’ শব্দটা এখন বহুলব্যবহৃত ‘বিজ্ঞাপন’ শব্দে রূপ নিয়েছে। উন্নয়নের জন্য কাউকে না কাউকে ধন্যবাদ দিতেই হবে, কিন্তু উন্নয়নের সঙ্গে এ কাজে সিস্টেম লসের পরিমাণটাও উল্লেখের দাবি রাখে, যার জন্য ‘যথার্থতা নিরীক্ষা’র একটা টিমও দরকার। মানুষের কথা ক্রমেই মূল্য হারাচ্ছে। বাংলা শব্দগুলো তার ভারিক্কি ভাব হারাচ্ছে। ‘সততা’, ‘মিথ্যাচার’, ‘প্রতারণা-প্রবঞ্চনা’, ‘দোষা-দোষী’, ‘উন্নয়ন-দুর্নীতি’, ‘দুরাচারবৃত্তি’ শব্দগুলো এখন সাধারণ মানুষ ‘কথার কথা’ হিসাবে গণ্য করেন। প্রশ্ন জাগে, আমাদের গন্তব্য কোথায়? আমি কলম ধরেছি বলেই আমাকে যে কোনোভাবে শায়েস্তা করাটাই ‘লুজ মোশনে’র সমাধান নয়। রাষ্ট্র-পরিবারের একজন নগণ্য সদস্য হিসাবে কলমের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আমার তো আর কোনো অবলম্বনও নেই (আমি তো লাঠি ধরতে শিখিনি, রাষ্ট্রও আমাকে লাঠি ধরতে শেখায়নি)।
এই তো কদিন হলো রমজান শেষ হয়েছে। ইফতারিতে আলুর চপসহ প্রতিটি আইটেম খেতে গেলেই আমার চোখে ভাসত কাঁচা আলুর দাম প্রতি কেজি কত, বেসনের কেজি কত? এক কেজি আলু দিয়ে কয়টা আলুর চপ তৈরি হয়? কত পড়তা পড়ে? কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে? এর মধ্যে যৌক্তিক লাভ কত? মার্জিনের কত টাকাই বা ক্রেতাকে শোষণ করছে? জীবনের পদে পদে প্রতিটি পণ্য বা সেবার মধ্যে এর যৌক্তিকতা খুঁজি। স্বাদের আলুর চপ বিস্বাদ লাগে। রাষ্ট্র ও জীবনের প্রতিটি সিস্টেমের যথার্থতার খুঁটিনাটি খুঁজি, ময়নাতদন্ত করি। হয়তো ‘পেশাদার ব্যবস্থাপনা হিসাববিদ’ বলেই প্রতিটি সিস্টেমের কৌশলগত পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এর সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ও সবকিছুর শবব্যবচ্ছেদ মনের অজান্তেই আগেভাগে মনে ভেসে ওঠে। ‘কৃষ্ণ’ হয়তো একটু রঙে কালো, তার কর্মকাণ্ডকে ভবলীলা বলে গণ্য করা যায়। কালোর মধ্যেও ভালোকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাই সবাই যাকে কালো দেখে, আমি দেখি কৃষ্ণকালো। যত নগণ্যই হোক, অনেকেই দেখে পণ্য ও সেবার বিক্রিতে লাভের পরিমাণ কত। আমার চোখে ধরা পড়ে সিস্টেম লস কত, শোষণ কত। লস অব অপরচুনিটি কত। কী করেছি সে কথা নয়, কী করতে পারতাম, সেটা পেরেছি কি না, তা দেখা। কতটুকু উন্নতি করেছি সেটার তুলনায় কতটুকু যথাযথ উন্নয়নের সুযোগ হারিয়েছি তা বিবেচনায় আনা আশু প্রয়োজন। এদেশে লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে, পাচার হচ্ছে শুনি। আমার চোখে ভাসে, মোট আয়ের একটা অংশ নিশ্চয়ই পাচার হচ্ছে। পাচারকৃত টাকাই যদি এত কোটি হয়, তাহলে দেশের মোট আয় আরও কত? আহা, মোট আয়ের পুরোটাই যদি সম্পদ ও সেবার উৎপাদনে দেশের কল্যাণে ব্যয় করা যেত, কত উন্নতিই না হতো! বাজেট বরাদ্দের পুরো টাকাটারই যদি সমপরিমাণ সম্পদ অর্জিত হতো! আমরা বড় কপাল পোড়া। দু-দুবার স্বাধীন হলাম। কিন্তু স্বাধীন জাতির স্বাদ পুরোটা পেলাম না। অর্থনৈতিক শোষণ বন্ধ হলো না! এদেশের দেশ-চালকদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। সেজন্যই দলের নামে হোক বা জোটের নামে, ক্ষমতায় গিয়ে অথবা যাওয়ার জন্য নিজেদের স্বার্থোদ্ধার করার এত প্রতিযোগিতা; এত চাটুকার-স্তাবক।
দেশ-চালকরা নিয়ম মোতাবেক দেশ চালাতে থাকবেন। তারা আমাদের জনপ্রতিনিধি, আমাদের সম্মাননীয়। ইস্পাতই যদি হবে, আশি মন লোহার মধ্য দিয়ে পার হয়ে যেতে তো ভয়ের কিছু নেই। রাজনীতির নামে দেশ-শোষণ ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্র ও সরকার কাঠামো রিস্ট্রাকচারিং করা প্রয়োজন। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরোর’ অনেক হয়েছে, আর নয়। একটা বহুজাতিক কোম্পানি বিশ্বব্যাপী তার ব্যবসা ব্যবস্থাপনার নীতি মেনে সুন্দরভাবে চালাতে পারলে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটা দেশ চালানো এমন কী কঠিন! একটা ভারসাম্যপূর্ণ সরকার পরিচালনা নিশ্চিত করা সম্ভব। কোম্পানিতে কোনো ব্যবস্থাপক বা তার অধীনস্থ কেউ তার নীতিনৈতিকতা হারালে, দুর্নীতি করলে, অযোগ্যতার পরিচয় দিলে তাকে জবাবদিহি করতে হয়। একটা দেশ চালানোর কাজে সরকারের দায়িত্ববোধের ব্যত্যয় ঘটলে, প্রত্যাশিত জনসেবা না দিতে পারলে তার দায়ভার তাদেরই বহন করতে দেওয়া উচিত। দেশ নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবসা করতে অঢেল সুযোগ-সুবিধা বা ছাড় দেওয়া কোনোমতেই উচিত নয়। বলা যায়, সব অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি ও অব্যবস্থার সূতিকাগার হয়েছে এ দিগ্ভ্রষ্ট রাজনীতি; যা এদেশের জনসম্পদকে ‘জনআপদে’ পরিণত করে ছাড়ছে। ‘পির মানা যায়, পিরের বদ খাসলত মানা যায় না।’ যে কোনো মূল্যে দেশ ও দেশের মানুষকে রাজনৈতিক দলের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে ক্ষমতা ও দায়িত্বের ভারসাম্য আনতে হবে। রাজনীতিকদের হাতে সরকার চালনার কর্মভার থাকবে। তারা দেশ ও জনগণের সেবা করবেন। জনগণ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ এবং সরকারের কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে দেখভালের দায়িত্ব থাকা প্রয়োজন রাষ্ট্রের হাতে। রাষ্ট্র একাকী এ দায়িত্ব পালন করবে না। রাষ্ট্রপরিচালনায় একটা টিম বা গ্রুপ অব পিপল থাকবে। টিমের একজন প্রধান থাকবেন। তাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। তারা হবেন দেশের অরাজনৈতিক সুশিক্ষিত পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের পুরোধা। তারা সম্মিলিতভাবে হবেন জনগণ ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থের জিম্মাদার। টিম বা গ্রুপ একটা নির্দিষ্টসংখ্যক নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক বিধিবদ্ধ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। নির্বাচকমণ্ডলী দেশের অরাজনৈতিক পেশাজীবী ও সুশিক্ষিত নাগরিক সমাজের মধ্য থেকে গঠিত হতে হবে। এভাবে রাষ্ট্রপরিচালনায় রাজনীতিক এবং অরাজনৈতিক সুশিক্ষিত পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের মধ্যে ক্ষমতা ও দায়িত্বের ভারসাম্য তৈরি করা যায়। এতে রাজনীতিকরা টিকে থাকার স্বার্থে জনসেবা করতে বাধ্য হবেন, বেপরোয়া-নীতিবিগর্হিত কাজ থেকে বিরত হবেন। দুর্বৃত্ত-দুরাচার পুষলে দেশ চালনার কাজ থেকে বহিষ্কৃত হবেন। দেশ ও জাতি রাজনীতিকদের সুস্থ সেবা পেয়ে ধন্য হোক, এটা সবারই কাম্য।
কোনো রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে জনস্বার্থবিবোধী বা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে, ‘দলবাজি’ করলে রাষ্ট্রীয় টিম তার বিহিত করতে পারবে। রাষ্ট্রীয় টিম বিচারব্যবস্থা ও আইন বিভাগের কিছু কর্তৃত্ব সঙ্গে নিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর বা যখন প্রয়োজন, নির্বাচিত রাষ্ট্রীয় টিমের তত্ত্বাবধানে দেশের যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে। এভাবেই রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছাচারিতা, স্বার্থপরতা ও জবাবহীনতার অবসান হবে। সম্মানিত বৃদ্ধ বাপ কখনো কখনো ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ে অনীহ হন জানি, এ বিষয়ে ডাক্তার ও আপনজনদেরই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. হাসনান আহমেদ এফসিএমএ : অধ্যাপক, ইউআইইউ; গবেষক ও শিক্ষাবিদ