পররাষ্ট্রনীতির বৈশ্বিক সমীকরণ
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![পররাষ্ট্রনীতির বৈশ্বিক সমীকরণ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/05/05/image-671285-1683251145.jpg)
করোনা অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি সংকট ও বিদ্যমান অর্থনৈতিক মহামন্দাকে ঘিরে বৈশ্বিক রাজনীতি-পররাষ্ট্রনীতির নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো জোটবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা প্রদান, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের মিত্রতা, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের টানাপোড়েন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, তাইওয়ান-উইঘুর-দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তিক্ততা, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি-এ প্রেক্ষাপটে পুরো বিশ্বের মানুষ উদ্বিগ্ন ও কৌতূহলী হয়ে উঠেছে।
অতিসম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের পরস্পরবিরোধী দুই আঞ্চলিক শক্তি ইরান ও সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে পশ্চিমা শক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর সিরিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ এ কূটনৈতিক পরিবর্তন মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসাবে প্রতীয়মান।
এছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটে পরিবর্তন এবং নতুন করে আঞ্চলিক পর্যায়ে পরাশক্তিগুলোর সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের এক কূটনীতিক বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। ইরানের পরমাণু ইস্যু থেকে শুরু করে সৌদি আরব-ইরান-রাশিয়ার চুক্তির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি বড় উত্থান দেখা যাচ্ছে। এমনকি ভূমিকম্পের পর সিরিয়া ইস্যুতেও মধ্যপ্রাচ্যে বিরাট পরিবর্তন লক্ষ করছি।’
অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ায় প্রভাবশালী দেশগুলোর আগ্রহও লক্ষ করা যাচ্ছে। চলতি বছর বাংলাদেশের কূটনৈতিক রূপরেখা প্রণয়ন ও প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়ালি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আগামী এক বছরে বাংলাদেশের কূটনীতিতে কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিজ দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশকে কোনো ধরনের বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ে না জড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। অত্যন্ত ফলপ্রসূ জাপান সফরকালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ব্যাপক অংশীদারত্ব থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতিতে আগামী দিনে এ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার এবং ‘কৌশলগত অংশীদার’ হিসাবে আইনের শাসনের ভিত্তিতে অবাধ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার দৃঢ় আশাবাদ-অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘এখন বিশ্বব্যবস্থার ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট চলছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা বাড়াতে দুদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জাপানের সম্ভাবনা-বাংলাদেশ ইকোনমিক অংশীদারত্ব চুক্তির বিষয়ে যৌথ সমীক্ষায় ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি। উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য। আমাদের প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতাসহ কৃষি, শুল্ক, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পোন্নয়ন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ, জাহাজ পুনর্ব্যবহার এবং গণপরিবহণ মেট্রোরেল বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরের সময় তিনি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাইকা, জেট্টো, জেইবিআইসি, জেবিপেএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতাদের সঙ্গেও একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ছিল বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রভাববলয়ে থেকেও জাপান বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে সমর্থন এবং ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭১ সালের মার্চে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বর হত্যাযজ্ঞে জাপান সরকার ও জনগণ উদ্বেগ-প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধ দেশটির মিডিয়ায় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পেয়েছিল। বাংলাদেশের শরণার্থীদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি জাপানিদের সমর্থন আদায়ে সেদেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পমালিক, শ্রমিক, ছাত্রসমাজ এগিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য জাপানের শিক্ষার্থীরা তখন টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বীকৃতিদানের এক মাসের মধ্যে ঢাকায় জাপানি দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৩-১৪ মার্চ তিন সদস্যের জাপানি সংসদীয় প্রতিনিধিদল প্রথম বাংলাদেশ সফর করে।
যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের পুনর্গঠনসহ জাপান বিগত ৫০ বছর ধরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সাতোর নির্দেশে ১৯৭২ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম অর্থনৈতিক সার্ভে পাঠানো হয়। বঙ্গবন্ধু জাপানের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে ১৯৭৩ সালে জাপান সফর করেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতাস্বরূপ জাপানের নাগরিকদের বিভিন্ন সময়ে সম্মাননা পদক দিয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকালেও জাপানের চারজন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ অনারে ভূষিত করা হয়।
আমাদের সবার জানা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সূচনাপাঠ হয়েছিল। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দেশের মাটিতে পা রাখার পরদিনই মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ নীতির ভিত্তিতে প্রণয়ন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল তাৎপর্য নিহিত। এ নীতির ভিত্তিতেই বঙ্গবন্ধুর শাসনামল থেকে শুরু করে আজকের বাংলাদেশ বিশ্বসম্প্রদায়ের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার সমন্বয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে করেছেন গতিময় ও মর্যাদাপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সরকার পরিচালনাকালীন বিশ্ব পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক দুইভাগে বিভক্ত থাকলেও তিনি চেয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির কোনো জোটভুক্ত নয়, বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ দেশ, হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড।
বঙ্গবন্ধু তার কূটনৈতিক সাফল্যে মাত্র ৯০ দিনের মাথায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কোনো দেশ থেকে স্বাধীনতার পর এত দ্রুততম সময়ে সৈন্য প্রত্যাহারের দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং সহযোগিতার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়।
ওই সফরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি বন্ধুত্ব-শান্তি-সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু গঙ্গা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক নদীর সুষম পানিবণ্টন ও ছিটমহল হস্তান্তরের প্রশ্ন উত্থাপন করেন। ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল ও সীমানা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কিছু অতিরিক্ত ভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ও শক্তিশালী ভূমিকার জন্য ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শুষ্ক মৌসুমে ভারত ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহার করবে এবং বাংলাদেশ পাবে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি। এর ওপর ভিত্তি করে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে ফারাক্কার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জেএন দীক্ষিত তার ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিওন্ড’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইতেন; তবে তিনি এও চাইতেন যে, বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-কারিগরি সম্পর্ক গড়ে উঠুক, যাতে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হতে হয়।’
অদম্য উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বিশ্বসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় প্রথমবারের মতো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছিল। বিশ্বরাজনীতিতে চলমান পরিবর্তন এবং নতুন নতুন মেরুকরণ-ইস্যু-নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হতে হবে।
পররাষ্ট্রনীতিতে দেশের অর্জনগুলোকে সংহত করে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা-অন্তরায় দূরীকরণ অত্যন্ত জরুরি। বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের বিদ্যমান সক্রিয়তা-সক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নীতির গভীর সংযোগ থাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে আরও শক্তিশালী-গতিশীল করবে বলে বিজ্ঞজনের ধারণা।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়