বাইফোকাল লেন্স
কেমন আছে শ্রীলংকা
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
চরম এক সংকটকাল অতিক্রম করছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। প্রায় এক বছর ধরে চলছে শ্রীলংকার এ দৈন্যদশা। অর্থনৈতিক এ সংকটের প্রভাব পড়েছে শ্রীলংকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতে, সরকারি চাকরি, প্রাইভেট সেক্টর, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সর্বত্র যেন বিপর্যস্ত পরিস্থিতি। শ্রীলংকার এ চরম দুরবস্থা মোকাবিলায় দেশটির সরকার বেশ হিমশিম খাচ্ছে। এখন থেকে প্রায় ছয় মাস আগে অর্থনৈতিক সংকটে দেশটির রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় সরকারেও। বর্তমানে অনেকটাই শান্ত হয়ে উঠেছে দেশের পরিস্থিতি। তবে বেকারত্বের বোঝা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সে দেশের মানুষ। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমনই যে, মুদ্রাস্ফীতি সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছানোর পরপর খাদ্যের মূল্যও রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। গত বছরের শুরুতে জ্বালানি তেলের সংকটে পড়ে দেশটি। দিনের পর দিন ফিলিং স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও জ্বালানি তেল পায়নি মানুষ। খাদ্য কেনার জন্য মানুষ ছুটেছে ঊর্ধ্বশ্বাসে। খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। খাদ্য ও জ্বালানি তেলের সংকট থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। তীব্র বিক্ষোভের মুখে জুলাইয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। রাজাপাকসের পদত্যাগের পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় আসেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শ্রীলংকা বেশ কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, সড়ক-মহাসড়ক এবং আরও নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য দেশি-বিদেশি, বিভিন্ন উৎস থেকে শ্রীলংকা ঋণ নিয়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও অনেক প্রকল্পই অর্থনৈতিকভাবে আশানুরূপ লাভজনক হয়নি। ঋণ নেওয়ার উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম উৎস হচ্ছে সার্বভৌম বন্ড। দেশটির সরকার অর্থ জোগাড়ের জন্য বন্ড ইস্যু করেছিল। আয় থেকে ব্যয় বেশি হলে এ ধরনের সার্বভৌম বন্ড বিক্রি করা হয়ে থাকে। শ্রীলংকা এ কাজটিই করেছিল। কিন্তু এই অর্থ কীভাবে পরিশোধ করবে, সে ব্যাপারে আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হয়। ফলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ে। এ কারণে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছিল না। দেশটিতে কর কমানোর পদক্ষেপ ছিল আরও একটি বড় ভুল। দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য ভ্যাট ও কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তারা ভ্যাট প্রদানের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আট শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। আয়কর ও ভ্যাট কমানোর জন্য সরকারের রাজস্ব আয় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। ফলে সরকার আরও ঋণ নিতে বাধ্য হয়।
শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রার বড় উৎস হলো দেশটির পর্যটন খাত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর পর্যটন শিল্পের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় চরম সংকটে পড়ে দেশটি। বৈদেশিক মুদ্রার আরও একটি উৎস হলো বিভিন্ন দেশে কর্মরত শ্রীলংকার নাগরিকদের আয় থেকে পাঠানো ডলার। মহামারির কারণে রেমিট্যান্স খাতেও বিপর্যয় ঘটে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সে দেশে অর্গানিক কৃষি উৎপাদন শুরু করেন। সেজন্য কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে সার আমদানিও নিষিদ্ধ হয়ে যায়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল কৃষিক্ষেত্রে। তাতে চালের উৎপাদন ২০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয় চাল আমদানি করতে। চা উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব পড়ে এ অর্গানিক কৃষি উৎপাদনের সিদ্ধান্তে। চা রপ্তানি করে শ্রীলংকা যেখানে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত, সে খাতে লাগে বড় ধাক্কা। এ ভুল পদক্ষেপের জন্য খাদ্যদ্রব্যের দামও বেড়ে যায়। ফলে খাদ্য আমদানি করতে গিয়ে উলটো আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রার খরচ করতে হয়েছে।
শ্রীলংকা শান্ত হয়ে এলেও খাদ্য ও জ্বালানি তেলের সংকট কিন্তু রয়েই গেছে। ১০ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংক বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। উল্লেখিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থা আগের তুলনায় আরও ৪ শতাংশ সংকুচিত হবে। বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটবেই না; বরং মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। চলতি বছরে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও গভীর সংকটে পড়বে বলে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ব্যবসা ও বাজার অর্থনীতিবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লুবার্গ এ বিষয়ে এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ এশিয়াসংক্রান্ত ব্লুবার্গের অর্থনৈতিকবিষয়ক একজন স্কলার অনকুর শুক্রা সতর্ক করে বলেছেন, কড়াকড়ি অর্থনৈতিক পলিসি ও দ্রুত মুদ্রাস্ফীতির জন্য শ্রীলংকা আরও একবার গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। ব্লুবার্গের এ অর্থনীতিবিদের নিজস্ব জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গ্রস প্রডাক্ট ৮.৪ শতাংশ এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ শতাংশ কমে যাবে।
শ্রীলংকার এখন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন; বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানি তেল প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য তো বটেই। খাদ্যের দাম এতবেশি বেড়েছে যে, খাদ্য নিয়ে প্রায়ই কোনো না কোনো ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ আছে, শ্রীলংকার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছে, যা ২০১৯ সালে ছিল দশ ভাগের একভাগ মাত্র। যদিও বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতি বর্তমানে প্রশমিত হয়ে আসছে; তারপরও শ্রীলংকার খাদ্য পরিস্থিতি একইরকম থাকবে। ফলে সেখানকার মানুষ আগামী দিনগুলোতেও পুষ্টিহীনতায় ভুগবে। উঁচুমানের সারের অভাব ও জ্বালানির উচ্চমূল্য আসছে শস্য মৌসুমে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে বিদ্যমান খাদ্যমূল্য ও বাড়িঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদির মূল্য আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শ্রীলংকার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, অর্থের অভাবে কোনো কোনো পরিবার শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। আবার কেউ কেউ তাদের একাধিক সন্তানদের মধ্যে হয়তো একজনকে স্কুল বা কলেজে প্রেরণ করছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের মতো কমে গেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির যদি উন্নতি না ঘটে, তাহলে এ অনুপস্থিতির হার আরও বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি করুণ চিত্রই বটে। উল্লেখ্য, তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়েও শ্রীলংকায় শিক্ষার হার ৯২.৬ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার এবং সামগ্রিকভাবে এশিয়ার সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থাপনায়ও শ্রীলংকার জন্য সুখবর নেই। চলতি বছরে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানি নিশ্চিত করা না গেলে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। গত ২০ ডিসেম্বর শ্রীলংকার পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশনের চেয়ারম্যান জনাকা রত্নানায়েকে এক বৈদ্যুতিক কারিগরি প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছেন, যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো কয়লা আমদানি করা না যায়, তাহলে ২০২৩ সালে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, গত আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মাত্র ৫ জাহাজ কয়লা আমদানি করা গেছে। কয়লার অভাবে ইতোমধ্যে একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা আমদানি করা সম্ভব না হয়, তাহলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে কল-কারখানার উৎপাদনও ব্যাপক হারে ব্যাহত হবে। ফলে শ্রীলংকার পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শ্রীলংকার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের খরচ কমিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শ্রীলংকা সরকারের মাস মিডিয়া মিনিস্টার ও কেবিনেটের মুখপাত্র ড. বান্দুলা গুনাবরদেনা বলেছেন, ২০২৩ সালে মন্ত্রণালয়গুলোর বাজেট কাটছাট করা হবে। সরকারি তথ্য ডিপার্টমেন্টের কেবিনেটে ব্রিফিং দেওয়ার সময় মন্ত্রণালয়গুলোর বাজেট কাটছাঁট করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বান্দুলা গুনাবরদেনা বলেন, প্রত্যাশিত পরিমাণে বিদেশি ঋণ যেহেতু আর পাওয়া যাচ্ছে না, এজন্য প্রেসিডেন্ট এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও যোগ করেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন, বয়স্ক ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, প্রাত্যহিক গুরুত্বপূর্ণ খরচাদি থেকে যদি সম্ভব হতো অর্থ কাটা হতো; কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। তবে পরিস্থিতি যদি এমন হয়-অর্থের জোগান হচ্ছে না, তাহলে এসব খরচ থেকেও ভবিষ্যতে অর্থ কাটা হতে পারে। এদিকে এত অর্থ সংকটের মধ্যেও দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষভাগে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। দেশজুড়ে ৮ হাজার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে। ২৮ দিনব্যাপী ভোট গ্রহণের এ নির্বাচনে ১০ বিলিয়ন রুপি খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটের এ মুহূর্তে এত অর্থ খরচ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইতোমধ্যেই অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হলে বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তারও একটি পরীক্ষা হয়ে যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
এত খারাপ খবরের মধ্যে উৎসাহব্যঞ্জক খবরও আছে শ্রীলংকার জন্য। সে দেশের বিদেশি মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস পর্যটন ব্যবস্থা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এত বিপর্যয়ের মধ্যেও ২০২২ সালে দেশটিতে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে। অথচ ২০২১ সালে বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন ১ লাখ ৯৪ হাজার পাঁচশর কাছাকাছি। সবচেয়ে আশার কথা-২০২২ সালের ডিসেম্বরেই ৯১ হাজার ৯৬১ পর্যটক বেড়াতে আসেন। অর্থাৎ দিন যতই যাচ্ছে, দেশটিতে পর্যটকদের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে। উল্লেখ্য, শ্রীলংকার জিডিপির ১২ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। সে দেশের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে পর্যটন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ১৭০ কোটি ডলার। তাদের প্রত্যাশা-এ বছর পর্যটকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এই খাত থেকে ২৩০ কোটি ডলার আয় হবে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শ্রীলংকা ভারত, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ-র বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে। দেশটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, অর্থনীতিকে আবার চাঙা করতে এর বিকল্প নেই। অপরদিকে বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন ও ভারতের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আলোচনায় বসবে শ্রীলংকা। দেশটির এফটিএ আলোচনার প্রধান সমন্বয়কারী কে জে ভিরাসংহে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য তাদের চেষ্টার শেষ নেই। তার আশা-২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রথম ভাগেই এসব চুক্তি সম্পাদন করতে পারবেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে-দেশটির অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে তুলতে এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক। ২০২২ সালে শ্রীলংকার অর্থনীতি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকেই তাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা