নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
রাজস্ব আশানুরূপ বাড়ছে না যেসব কারণে
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রোজগার বাড়াও, সঞ্চয় করো-এ উপদেশ/পরামর্শ কি কোনো বুদ্ধিমান মানুষকে দিতে হয়? আমার মনে হয় না। যারা বুদ্ধিমান তারা স্বেচ্ছায়ই রোজগার বাড়ানোর চেষ্টা করে এবং কিছু সঞ্চয় করে। নিজের রোজগারে না হলে স্ত্রীকে দিয়ে চাকরি করায়, যাতে দুজনের রোজগারে কিছু সঞ্চয় করা যায়। দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের বেলায় কথাটা সর্র্বাংশে সত্য নয়। আমরা রোজগার/রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নই।
এক্ষেত্রে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাব রাষ্ট্রীয়ভাবে। তা না হলে স্বাধীনতার ৫০-৫২ বছর পরও আমাদের জিডিপি-রাজস্ব হার ৯ শতাংশে এসে আটকে থাকত না। বলা বাহুল্য, এ জিডিপি-রাজস্ব অনুপাত আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও কম। যেহেতু রাজস্ব বৃদ্ধি আশানুরূপ হচ্ছে না/হয় না, তাই, আমরা জানি, আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সাহায্য ও ঋণনির্ভর। রাজস্ব উদ্বৃত্তের টাকা ব্যয়ে আমরা ‘উন্নয়ন’ করতে পারছি না। উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর আমাদের ঋণ করতে হয়-হয় দেশীয় উৎস থেকে অথবা বিদেশি।
আমার কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য যে কেউ আমাদের বাজেটের পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করতে পারেন। প্রতিবছর আমরা ঘাটতি বাজেটের আশ্রয় নিই। ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ প্রায় উন্নয়ন বাজেটের সমান। সামান্য কিছু টাকা আসে রাজস্ব উদ্বৃত্ত থেকে। এটা এতই নগণ্য যে এর কথা উল্লেখ না করলেও চলে। উন্নয়নের টাকার জন্য আমাদের ব্যাংক ঋণ অথবা সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকার ওপর নির্ভর করতে হয়। বাকিটা আসে বিদেশি ঋণ/সাহায্য থেকে। এটা বরাবরের ঘটনা। কোনো ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যেহেতু রাজস্ব আয়/রোজগার আশানুরূপ হয় না, তাই দৈনন্দিন খরচের টাকা জোগাতেও কষ্ট হয়। ভর্তুকির টাকা জোগাতে হয় ঋণ করে অথবা রাজস্ব থেকে। এর ফলে উন্নয়নের টাকা থাকে না। এই অসম্মানজনক অবস্থার সুযোগে বাইরের লোকেরা আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধির কথা বলে।
এটা কী করে মেনে নেওয়া যায় যে, বিদেশিরা আমাদের বলবে রাজস্ব বৃদ্ধির কথা? রাজস্ব বা সরকারের রোজগার বৃদ্ধির কথা আমরাই স্বেচ্ছায় বলব। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। না, তা হচ্ছে না। এ সুযোগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আমাদের বলছে, তোমরা তোমাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করো। করব্যবস্থায় সংস্কার আনো। শুধু কি তাই, তারা এসে এখন বলছে অনেক কথা। কারণ তারা ‘চান্স’ পেয়েছে। আমরা ডলারের টানাটানিতে আছি। আমদানি বেশি, রপ্তানি কম। রেমিট্যান্স আশানুরূপ নয়। অর্থ পাচারও হচ্ছে বাণিজ্যের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক বাজারে যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। দেখা দিয়েছে সরবরাহ সংকট, সরবরাহে বিঘ্ন।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে আমাদের যেতে হয়েছে আইএমএফের কাছে অর্থ সাহায্য/ঋণের জন্য। ব্যস, আর যায় কোথায়? তারা তাদের ভান্ডার নিয়ে হাজির। কিন্তু শর্ত আছে। বিনা শর্তে তারা ঋণ দেবে না। দিনের পর দিন তারা আমাদের অর্থনীতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। অবশেষে দিয়েছে কিছু শর্ত। কী সেসব শর্ত?
বেশি গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোর মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক হতে হবে। দুই নম্বর, ব্যাংকের বর্তমান ‘নয়-ছয়’ সুদের হার বাতিল করতে হবে। এটাও চাহিদা/সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ করতে হবে বাজারভিত্তিক। তিন নম্বর, ঋণের ওপর সুদের হার বাড়াতে হবে। সস্তায় ঋণ দেওয়া যাবে না। চার নম্বর, কর/রাজস্ব আদায়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এরপর আছে ভর্তুকি হ্রাস, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির শর্ত। আরও আছে সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির শর্ত। এ ছাড়া আরও অনেক খুচরা শর্ত আছে। যেমন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের হিসাবায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে করতে হবে। ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইত্যাদি। পাঠ করলে বোঝা যাবে, এসব শর্ত আইএমএফের নতুন কোনো শর্ত নয়। যেসব দেশ ডলার সংকটে পড়ে, আইএমএফ তাদেরকে এসব শর্ত দেয় ঋণ দেওয়ার আগে। ‘স্ট্যান্ডার্ড প্রেসক্রিপশন’। কোনো হেরফের নেই। একদম মুখস্থ ‘প্রেসক্রিপশন’। এতে কোন দেশের ভালো হলো, কোন দেশের ক্ষতি হলো; তাতে কিছু যায় আসে না। ‘ভদ্রলোকের এক কথা’। বাজার অর্থনীতি। অথচ উন্নত অনেক দেশ ভর্তুকি দেয়-জাপান দেয়, যুক্তরাষ্ট্র দেয়। তাদের ক্ষেত্রে কোনো কথা নেই। ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ আর কী! এটা তারা করে যেহেতু ঋণপ্রার্থী দেশগুলো সংকটে/বিপদে পড়েছে। আমরাও সাময়িক অসুবিধায় পড়েছি। তাই তারা নানা শর্ত নিয়ে হাজির।
তবে এখানে কথা আছে। সব শর্তই যে তাদের খারাপ, এটা বলা যাবে না। যেমন, উপস্থিত ক্ষেত্রে রাজস্ব বৃদ্ধির শর্ত। এ শর্ত তাদের দিতে হবে কেন? আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই। ঋণ করে কতদিন চলে? আত্মনির্ভরশীল হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। অথচ এক্ষেত্রে আমরা উদাসীন। সত্যি কি উদাসীন, না চেষ্টা আছে? কিন্তু চেষ্টার কোনো ফলোদয় হচ্ছে না। এর কারণ কী?
রাজস্ব বৃদ্ধি করা দরকার, এ কথা আমাদের সরকার, বিশেষত অর্থমন্ত্রীরা সবসময়ই বলছেন। শুধু বলা নয়, অনেক পদক্ষেপও ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। যেমন, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা এখন করের আওতায়। তাদেরও আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রিটার্নের আওতায় আনা হয়েছে। বেশি বেশি আয়করদাতাকে করের আওতায় আনার জন্য প্রতিবছরই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাজস্ব বিভাগ প্রতিবছর ‘করমেলা’র ব্যবস্থা করেছে। সারা দেশেই তা হয়। রাজস্ব বিভাগ করদাতাদের ফরম পূরণে সাহায্য করে। ‘সেলফ অ্যাসেসমেন্টে’র ব্যবস্থা হয়েছে। আয়কর রিটার্ন সহজ করা হয়েছে। আয়কর আদায় নিশ্চিত করার জন্য উৎসে কর কর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতে যে সুদ দেওয়া হয়, তার ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ কর কেটে নেওয়া হয়। গাড়ির ‘ফিটনেস’ করাতেও অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। ডজন ডজন ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিবছর শ্রেষ্ঠ করদাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। ভ্যাটদাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। ফলে করদাতার সংখ্যা (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) অনেক বেড়েছে।
বলা হচ্ছে, ৭০-৮০ লাখ ‘টিআইএন’ হোল্ডার এখন; যদিও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশে কমপক্ষে ৩-৪ কোটি মানুষ ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অনেকে ট্যাক্স রিটার্ন দেয় না। তাই অনেক ‘সার্ভিস’ পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘রিটার্ন দেওয়া হয়েছে’ এই মর্মে নিশ্চয়তা চাওয়া হচ্ছে। সঞ্চয়পত্র কেনা, এফডিআর করা, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে এখন টিআইএন লাগে। দৃশ্যত অনেক ব্যবস্থাই গৃহীত হয়েছে/হচ্ছে।
প্রশ্ন, এসবের ফল কী? আমরা কি আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছি, আশানুরূপ ভ্যাট আদায় হচ্ছে? প্রকৃত পরিসংখ্যান আমার কাছে নেই। তবে দৃশ্যত মনে হয় আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ অনেক। ইদানীং খবরে দেখতে পাচ্ছি, করব্যবস্থায় ‘কর রেয়াত’, ‘কর অব্যাহতি’ ইত্যাদির আধিপত্য বেড়ে যাচ্ছে। হরেদরে নানা ব্যবসা/শিল্প/সেবাকে কর রেয়াত/কর অব্যাহতি দিতে রাজস্ব বিভাগ বাধ্য হচ্ছে। সরকারের অতিরিক্ত ব্যবসা/ব্যবসায়ী প্রীতিই এর জন্য দায়ী। ব্যবসাবান্ধব সরকার ভালো। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কোনো কর দেবেন না-এটা হয় না।
একটি খবরে দেখলাম, বছরে নাকি আড়াই লাখ কোটি টাকা কর রেয়াত দেওয়া হয়! অর্থাৎ ‘কর ছাড়’। আমাদের জাতীয় রাজস্ব বিভাগ/বোর্ড বছরে কত টাকার রাজস্ব আদায় করে? পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এনবিআর ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায় করবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এখন ভাবুন, যেখানে এনবিআর বছরে আদায় করবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, সেখানে কর ছাড়ের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা! সংশ্লিষ্ট খবরটিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ, পণ্য আমদানির বিপরীতে ৪৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার কর অব্যাহতি দেওয়া হয়। বন্ড সুবিধার আওতায় দেওয়া হয়েছে (শুল্ক ছাড়) ১ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আয়কর ও ভ্যাট খাতে কর ছাড়ের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। প্রশ্ন, এসব কর ছাড়ের ‘বেনিফিট’ কি দেশের অর্থনীতি পাচ্ছে?
বন্ড সুবিধার কথা আমরা জানি। এক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয় রপ্তানির সুবিধার্থে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এ সুবিধা ব্যাপকভাবে অপব্যবহৃত হচ্ছে। বন্ডের কাপড় খোলা বাজারে বিক্রি হয়। রপ্তানি নেই, অথচ বন্ড সুবিধায় পণ্য আনা হচ্ছে। অনেক শিল্প বছরের পর বছর কর ছাড়ের সুবিধা নিয়ে বস্তুত অদক্ষ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে/হচ্ছে।
এভাবে বিচার করলে দেখা যাবে, এনবিআর অনেক কাজ করছে বাধ্য হয়ে। তারা তাদের নিজস্ব ধারণামতে কাজ করতে পারছে না। সাম্প্রতিককালে একশ্রেণির ব্যবসায়ী সরকারের ওপর অনেকটা ‘চড়াও’ হয়ে বসেছে। ব্যাংকের ঋণ সুবিধা, পুনঃতফসিল সুবিধা কর ছাড়-সব ক্ষেত্রেই এই ব্যবসায়ীরা অনৈতিকভাবে সুবিধা নিয়ে বড় হচ্ছে। অথচ দেখা যাচ্ছে এদের অনেকেই টাকাও পাচার করছে। এর শিকার কে? অর্থনীতি/ব্যবসা/সৎ ব্যবসা এর শিকার।
অর্থনীতিতে দক্ষতা বাড়ছে না। উৎপাদনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। এ থেকে পরিত্রাণ কী? বাঁচার কি কোনো ব্যবস্থা আছে? রাজস্ব বৃদ্ধির কি কোনো ব্যবস্থা আছে/হবে? যারা কর দিতে পারে তারা কি কর দেবে? তার কি কর দিতে উৎসাহিত হবে? ধরা যাক গ্রামাঞ্চলের কথা। দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে, কতটি উপজেলা আছে? যদি ধরে নিই সব মিলে সাড়ে পাঁচ হাজার, তাহলে একটা প্রশ্ন মনে জাগে। এসবের নির্বাচনে হাজার হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। খবরের কাগজে দেখি, তারা নাকি কোটি কোটি টাকা নির্বাচনে খরচ করে। এ কথা কি সত্য? অসত্য হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রশ্ন, এরা কি আয়কর দেয়? এদের কি ইনকাম ট্যাক্স ফাইল আছে? আমি নিশ্চিত নই।
বড় বড় কাঁচাবাজারে মুদি দোকানের সংখ্যা হাজার হাজার। এদের অনেকের বেচাকেনা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার। মিষ্টির দোকানে দৈনন্দিন বেচাকেনা অনেকের লাখ লাখ টাকার। এদের সবার কি ফাইল আছে? এরা কি আয়কর, ভ্যাট দেয়? আমি নিশ্চিত নই। দেশে প্রাইভেট কোম্পানি, রেজিস্টার্ড পার্টনারশিপের সংখ্যা কত? তারা কি কর দেয়? তাদের কি ট্যাক্স ফাইল আছে? দেশে বড় বড় কৃষক আছে, শত শত মিলার আছে। তাদের সবার কি ট্যাক্স ফাইল আছে?
দেশের অর্থনীতি অনেক বড় হয়েছে। জিডিপি বেড়েছে কয়েকগুণ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে অনেক। গ্রামাঞ্চলে একশ্রেণির ধনী/অতিধনীর জন্ম হয়েছে। পাকা বাড়ি, আলিশান বিল্ডিং হচ্ছে। এদের মালিকরা কি ট্যাক্সের আওতায় এসেছে? অনেক প্রশ্ন। সরকারের মন্ত্রীরাই বলছেন, ৪ কোটি মানুষ ট্যাক্স দিতে পারে। এ অবস্থায় খুচরা করদাতার পেছনে সময় কম দিয়ে বড় বড় রাঘববোয়ালের দিকে নজর দিতে বাধা কোথায়? বাধা রাজনৈতিক অবশ্যই। কর ফাঁকিবাজরা প্রভাবশালী, ক্ষমতাবান। কে ধরবে তাদের? জর্দা বিক্রেতারাই কি শ্রেষ্ঠ ধনী থাকবে?
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়